পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০৫ কোটি টাকা ছাড় করার চিঠি ছড়িয়ে পড়ার পর বড় উত্থানে সপ্তাহ শুরু হলো পুঁজিবাজারে।
চলতি বছরে এক দিনে সূচকের সর্বোচ্চ উত্থানের পাশাপাশি প্রায় সাড়ে তিন শ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেলা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে ১৩২ পয়েন্ট। এর আগে চলতি বছর কখনও কোনো সপ্তাহের প্রথম দিন এত বেশি সূচক বাড়েনি।
চলতি বছর এক দিনে সর্বোচ্চ সূচক বেড়েছিল গত সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ১১৮ পয়েন্ট। কিন্তু এর পর আবার দুই দিন পতনে হতাশা তৈরি করে। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে বেশ ইতিবাচকভাবে নেয় বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার নিয়ে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে মতভিন্নতা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ইস্যুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট যখন প্রকট, তখন বৃহস্পতিবার এই অর্থছাড়ের কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পদক্ষেপটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ভরসা তৈরি করেছে। আগের সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে যে বৈঠকে বসেন, সেখানে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংককে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশনা দেন।
পাশাপাশি আইসিবির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ তার এক্সপোজার লিমিট বা বিনিয়োগসীমার বাইরে রাখার যে নির্দেশনা এসেছে, সেটিও বাজারে তারল্য বাড়াতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এই বিষয়ে যখন প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায়, সে সময় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাড় করার এই চিঠি প্রকাশ হয।
বিএসইসির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও এই চিঠিটি প্রচার করা হয়।
এরপর রোববার লেনদেন শুরুই হয় সূচকের লাফ দিয়ে। ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে শুরু হওয়ার পর তা কখনও পড়েনি। বরং বেলা যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে।
টানা পড়তে থাকা বিপুল সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারদর দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে এক পর্যায়ে বিক্রেতাশূন্য হয়ে যায়।
৩৪২ টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৫টির দর। ১০টি দর ধরে রাখতে পারে। আগের কর্মদিবসের তুলনায় লেনদেনও বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
রোববারের লেনদেন নিয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের উত্থান এবং লেনদেন বাড়ার কারণ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শেয়ার কিনতে শুরু করেছে। কিছুদিন পতনের কারণে বেশ কিছু ভালো শেয়ার আন্ডারভ্যালুড হয়ে পড়েছিল। এখন মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সেসব শেয়ার কিনছে।’
তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর বেশি কিছু নির্দেশনার পরে বিএসইসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছেন পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এছাড়াও তিনি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই পুঁজিবাজারের এমন ব্যবস্থা থাকবে না। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশাবাদী হচ্ছেন, তারা বিনিয়োগে ফিরছেন।
‘মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সেই সুযোগটাই নিচ্ছে। তারা বাইয়ে (ক্রয়ে) ফিরেছে, কারণ কিছুদিন পরে তারা সেই শেয়ারগুলোতে লাভ করতে পারবে।’
উত্থান সব খাতেই
ঢালাও পতনের দিন যে ধরনের চিত্র দেখা যেত, উত্থানের দিন পুরো বিপরীত চিত্র দেখা গেছে।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, তথ্য প্রযুক্তি, বিবিধ, চামড়া, সিরামিকস, জীবন বিমা, সেবা ও আবাসন, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সব কোম্পানির দর বেড়েছে।
এর বাইরে বস্ত্র এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে একটি মাত্র কোম্পানির দর বাড়েনি, যেটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
এছাড়া প্রকৌশল খাতে একটির দর কমার বিপরীতে বেড়েছে ৪১টির, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে একটির বিপরীতে ৩২টির, আর্থিক খাতে একটির বিপরীতে ২০টির, সাধারণ বিমায় তিনটির বিপরীতে ৩৬টির, ওষুধ ও রসায়ন খাতে চারটির বিপরীতে ২৭টির, ব্যাংক খাতে ৬টির বিপরীতে ২৪টির, সিমেন্ট খাতে একটির বিপরীতে ৬টির, কাগজ ও প্রকাশনা খাতে একটির বিপরীতে ৫টির, টেলিকমিউনিকেশনস এবং পাট খাতে খাতে একটির বিপরীতে দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে।
আর্থিক খাতের আইপিডিসি কাগজ খাতের পেপার প্রসেসিং ও মনোস্পুল পেপার, বস্ত্র খাতের তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, অলটেক্স, দুলামিয়া কটন ও ফ্যামিলি টেক্স, খাদ্য খাতের আরডি ফুড, ওষুধ খাতের ইমাম বাটন প্রকৌশল খাতের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া এই ১০টি কোম্পানির সবগুলোর দামই বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততটাই।
শীর্ষ ১০ এর পর আরও দুটি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, ৭টির দর ৮ শতাংশের বেশি, ৯টির দর ৭ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৩৮টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৫৭টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৬৮টির তর ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
বিপরীতে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ছুঁয়ে ক্রেতা উধাও হয়ে যায় ৬টি কোম্পানির দর।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য