বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।
সংস্থাটি এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. এজারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ১৬ জুন শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
মোশাররফের বিরুদ্ধে দুটি কোম্পানি গঠন করে সেগুলোর নামে প্রভিডেন্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড গঠন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, একাই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে ৫০ টাকার বিপক্ষে ১০ টাকা হারে ও স্পন্সর শেয়ারে সন্দেহজনক লেনদেন, আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনসহ দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও ক্ষমতার অপব্যবহার অভিযোগে হাইকোর্টের নজরে এনে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন করা হয়।
শুনানি শেষে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বিএফইইউকে নির্দেশ দেয়।
তার এসব অনিয়মের বিষয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ তাদের ডাটাবেজে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে।
মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালের মে মাসে আইডিআরএর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বিমার শেয়ারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বারবার আলোচনা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর একই বিষয় আবার দেখা দেয়।
অভিযোগ ওঠে, তিনি নিজেই বিমার শেয়ারে বিনিয়োগ করে পরে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজে ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টরা ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন।
যেভাবে উত্থান হয়েছিল, বিমার শেয়ারে পতনও হয়েছে সেভাবে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পরের বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে বিমার কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারদর ১০ গুণেরও বেশি বেড়েছে, কোনোটির দর বেড়েছে ৮ গুণ, কোনোটির ৬ গুণ। দাম আরও বাড়বে ভেবে উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে এখন মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের।
বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর এখন এক বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে। এই সময়ে কোনো কোম্পানির শেয়ারদর অর্ধেক হয়ে গেছে, কোনোটির দর তার চেয়ে বেশি কমে গেছে।
নিউজবাংলার কাছে আসা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিএফইইউ মোশাররফ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামে পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৩০টি হিসাব পরিচালনার তথ্য পায়। এর মধ্যে ১৮টি হিসাবে ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি ৮১ লাখ টাকার জমার হিসাব পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এম মোশাররফ হোসেনের মোবাইল কল করা হলেও তা রিসিভি করেননি। রিং হওয়ার পর তা কেটে দেন। এমনকি মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়েও তার জবাব পাওয়া যায়নি। পরে আবার কল করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
যেভাবে দুর্নীতি
মোশাররফ এবং তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অ্যান্ড কোম্পানি’র নামে নগদ ৫০ লাখ টাকার দুটি এফডিআর করেন, যার সঙ্গে মোশাররফের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে বিএফআইইউ সন্দেহ প্রকাশ করে।
এই হিসাবের বিবরণীতে ২১ দিন পর ২৮ ডিসেম্বর নগদ অর্থ জমা দেখানো হয়, যার অর্থের উৎস গোপন করা হয়।
‘লাভস অ্যান্ড লাইভ অর্গানিকস লিমিটেড এবং ‘গুলশান ভ্যালি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বাইরে কাশফুল ডেভেলপার্স লিমিটেড নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ।
এখানেও কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ড ফান্ড গঠন করেন মোশাররফ। এই ফান্ড দুটি পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয় যার চেয়ারম্যান হন তিনি নিজে, সেক্রেটারি তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া এবং অন্যতম সদস্য মোশাররফের শাশুড়ি লাভলি ইয়াসমিন।
বিধি অনুযায়ী কর্মচারীদের প্রদেয় বেতন/মজুরির সাড়ে ৭ শতাংশ হারে প্রতি মাসের শেষ কর্মদিবসে বোর্ড অফ ট্রাস্টিকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু সেই তিনটি প্রভিডেন্ড ও তিনটি গ্র্যাচুইটি ফান্ড হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ জমা হয় (প্রায় ৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা), তা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে পরিচালিত হিসাবে সম্পাদিত লেনদেনের (প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা) সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই ছয়টি ফান্ডের হিসাবে নগদ ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ইএফটি, ক্লিয়ারিং ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ জমা হয় এবং ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন, ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বরাবর পে-অর্ডার, অবশিষ্ট ২০ শতাংশ টাকা বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর এবং মোশাররফের নিজের নামে ছয়টি এফডিআর/টিডিআর করা হয়।
এই ছয়টি হিসাবে সম্পাদিত লেনদেনের মাধ্যমে কর ফাঁকির প্রয়াস গ্রহণ করা হয়ে থাকতে পারে মর্মে বিএফআইইউ সন্দেহ প্রকাশ করে।
বিএফআইইউ তাদের পর্যালোচনায় মোশাররফ ঘোষিত পেশা, অর্থের উৎস ও হিসাব খোলার উদ্দেশ্যের সঙ্গে হিসাবগুলোয় সম্পাদিত লেনদেনের অসামঞ্জস্যতা পায়। এসব লেনদেনের সঙ্গে ঘুষ ও দুর্নীতির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে সন্দেহে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩(১) (ক) ধারার আওতায় এ বিষয়ে বিএফআইইউ ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠায়।
সেই প্রতিবেদনে ব্যাংক হিসাবে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ লেনদেন, প্রভিডেন্ড/গ্র্যাচুইটি ফান্ড হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে কর ফাঁকির প্রয়াস গ্রহণ এবং বেনামে ৫০ লক্ষ টাকার এফডিআর খোলার সময় অর্থের উৎস গোপন, ছদ্মাবৃত বা আড়াল করা ও এক্ষেত্রে তিনজন ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তা বা পরামর্শ প্রদানের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু বিএফআইইউ কর্তৃক সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তসহ গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠানোর পর ছয় মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন মোশাররফ হোসেনের বিষয়ে আইনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে থেকে ফান্ড গঠনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিমা কোম্পানির শেয়ারে অবৈধ লেনদেন এবং তারই (কর্তৃপক্ষের) নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানিতে উৎসহীন বিনিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) তদন্ত চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য