পতনমুখী পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে দেয়া একগুচ্ছ সিদ্ধান্তও বাজারে আস্থা ফেরাতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নানা ঘোষণায় যে উত্থান হয়েছিল, সেটি টিকল না এক দিনও।
সোমবার ১১৮ পয়েন্ট সূচক বাড়ার সুখস্মৃতি নিয়ে লেনদেন শুরু করা পুঁজিবাজারে মঙ্গলবার পতন হলো ৫০ পয়েন্ট।
লেনদেন শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগেও সূচক পড়ে যায় ৭১ পয়েন্ট। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে এই সূচক সেখান থেকে ২১ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বড় দরপতনে যে চিত্র প্রতিদিন দেখা গেছে, সেটি দেখা গেল আবার। এদিনও একপর্যায়ে সূচক বেড়ে গিয়ে আশা তৈরি করে পরে হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের।
শেয়ারদর ও সূচকের পতন হয়েছে মূলত শেষ সময়ে, যাতে বোঝা যায়, দেড় দিনের উত্থানের সুযোগে মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে, এমন আশায় শেয়ার ধরে না রেখে যে মুনাফা হয়েছে, সেটিই নিয়ে নিয়েছেন তারা।
ঈদের অবসর শেষে টানা আট কর্মদিবসে ৫৫৫ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে।
বৈঠকে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে ব্যাংকগুলো আইসিবির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে যে বিনিয়োগ করবে, সেটাকে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগসীমার (এক্সপোজার লিমিট) বাইরে রাখা হবে।
এ ছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য আইসিবিকে দেয়া ১৫৩ কোটি টাকার যে তহবিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেটির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তহবিলের আকারও বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশও দেন মন্ত্রী।
এই বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ১১৮ পয়েন্টের উত্থান হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে শঙ্কা রয়ে গিয়েছিল, সেটির প্রমাণ পাওয়া যায় লেনদেনেই। বাজারে সক্রিয় না হয়ে আরও অপেক্ষার নীতি নেয়ায় লেনদেন কমে যায় অনেকটাই।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার নিয়ে আর কী বলব, কিছুই বলার নাই। কী বলব বুঝতে পারছি না। এত সাপোর্ট, এত কিছু- ভেবেছিলাম বাজার এবার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু একদিন বেড়েই আবার সেই পতন। কিছুই বলার নেই।’
সূচক পতনের দিন লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বাড়ে। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬৫৮ কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। সেটি হয়েছে ৬৬০ কোটি ৪৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
আগের দিন প্রায় সাড়ে ৩০০ কোম্পানির দর বাড়লেও আজ কমে যায় পৌনে ৩০০ কোম্পানির দর।
দিন শেষে বাড়ে ৫৫টির দর, কমে যায় ২৭৮টির আর দর অপরিবর্তিত থাকে ৪৩টির।
এর মধ্যে সিরামিকস, চামড়া, টেলিযোগাযোগ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সব শেয়ারই দর হারিয়েছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। বাকি সব খাতেই দর হারিয়েছে সিংহভাগ কোম্পানি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৩টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৬টির।
প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্রে ৪টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫০টির দর, প্রকৌশণ খাতে ৬টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৩৪টি, সাধারণ বিমায় ৫ টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৩২টি, জীবন বিমায় ৩টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৯টির, খাদ্য খাতে ৩টির বিপরীতে ১৮টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩টির বিপরীতে ২০টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৪টির বিপরীতে ২০টি, বিবিধ খাতে ২টির বিপরীতে ১২টি, ব্যাংক খাতে ৬টির বিপরীতে ১৪টি, আর্থিক খাতে ৩টির বিপরীতে ১৩টি, তথ্য প্রযুক্তিতে একটির বিপরীতে ১০টি, সিমেন্টের একটির বিপরীতে ৫টি, সেবা ও আবাসনে একটির বিপরীতে ৩টির দর কমেছে।
ফের ঢালাও পতন
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সোনালী পেপার দেখালেও প্রকৃতপক্ষে এই কোম্পানিটির দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরকে প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার দিয়েছে, যার রেকর্ড ডেট ছিল সোমবার।
রেকর্ড ডেটে দর ছিল ৭২৮ টাকা ২০ পয়সা। দুটি শেয়ারে অভিহিত মূল্যে একটি রাইট শেয়ার দিলে একেকটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৪৮৮ টাকা ৮০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৫৩১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ দর বেড়েছে ৮.৭৩ শতাংশ।
এদিন সব মিলিয়ে ১৫টির মতো কোম্পানি দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ শতাংশ বা কাছাকাছি কমে লেনদেন শেষ করেছে।
আরও ১৩টি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৩২টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৬৭টির দর ২ শতাংশের বেশি কমেছে।
বিপরীতে একটি কোম্পানিও দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া সিলকো ফার্মার দর বেড়েছে ৬.৮৫ শতাংশ।
এর বাইরে দুটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৪টির দর ৪ শতাংশের বেশি, দুটির দর ৩ শতাংশের বেশি, তিনটির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
সূচকের পতন যাদের কারণে
সূচক সবচেয়ে বেশি ৫.৯৩ পয়েন্ট কমিয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানিটির দর কমেছে ১.৬২ শতাংশ। সোনালী পেপারের রাইট শেয়ারের সঙ্গে দর সমন্বয়ে সূচক কমেছে ৪.৭৭ পয়েন্ট। গ্রামীণ ফোনের দর ০.৮৫ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.৮৮ পয়েন্ট।
এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ২.১৫ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ২.০৫ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ১.৯৭ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড ১.২৬ পয়েন্ট, ও বিএসআরএম স্টিল ০.৯১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে সূচক যতটা কমেছে, তার অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ২৬ পয়েন্টই কমিয়েছে এই ১০টি কোম্পানি।
অন্যদিকে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে, এমন একটি কোম্পানিও এক পয়েন্ট বাড়াতে পারেনি। সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে বাড়াতে পেরেছে ৪.১১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য