নানা কর্মসূচি আর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে উদযাপন হলো পদ্মা ব্যাংক ফ্যামিলি ডে-২০২২। গাজীপুরের একটি রিসোর্টে শনিবার দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এক হাজার কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।
পদ্মা ব্যাংক ফ্যামিলি ডে-তে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান এবং মিসেস নাসরিন রিয়াজ খান।
আয়োজনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মিস্ট্রি বক্স উন্মোচন। এতে অংশ নেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের খেলা, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে উৎসবমুখর একটি দিন পার করে পদ্মা ব্যাংক পরিবার।
তারেক রিয়াজ খান ও মিসেস নাসরিন রিয়াজ খান বিভিন্ন খেলায় বিজয়ীদের হাতে উপহার তুলে দেন।
একই সঙ্গে প্রতি বছর এমন জমজমাট আয়োজনের ঘোষণা দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এ সময় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আহসান চৌধুরী, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এম আহসান উল্ল্যাহ খান এবং ফ্যামিলি ডের চেয়ারম্যান এসইভিপি ও হেড অফ ব্রাঞ্চ সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম উপস্থিত ছিলেন।
যানবাহনের প্রচলিত অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদকাল ছয় মাস থেকে এক বছর। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অথচ একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চলে পাঁচ থেকে ছয় বছর। এটি যানবাহন চালানোর খরচ কমিয়ে দেয়। পরিবেশও বাঁচায়।
এমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির থ্রি হুইলার বাজারে আনছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাঘ মোটরস’। আগামী জুলাইয়ে উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান, দেশে এটি হবে প্রথম ইকো থ্রি-হুইলার ট্যাক্সি। এর নাম রাখা হচ্ছে ‘বাঘ’। গাজীপুরের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের তেলের বিকল্প নিয়ে ভাবতেই হবে। শুধু থ্রি-হুইলারই নয়, আগামী তিন বছরে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনও যুক্ত হবে বাঘ মোটরসের বহরে।’
গত মার্চে এ বাহনটিকে চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। উচ্চ নিরাপত্তা ফিচার, কম খরচ ও উন্নত প্রযুক্তির এই গাড়ির দাম ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাঘ মোটরস জানিয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলেও তাদের থ্রি হুইলারে তেমন গরম অনুভূত হয় না।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘বাঘ মোটরস প্রথম কোনো বাংলাদেশি কোম্পানি নিজস্ব প্যাটেন্ট দিয়ে, নিজস্ব ডিজাইনে নিজস্ব প্রকৌশলে দেশে গাড়ি উৎপাদন করছে। বর্তমানে দেশে অন্যরা যেসব গাড়ি উৎপাদন করছে, সেগুলো প্রযুক্তিসহ সব কিছুই অন্য দেশের। এখানে শুধু উৎপাদন হচ্ছে। আর আমাদের পেটেন্ট থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজস্ব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পরিবহন শতভাগ পরিবেশবান্ধব, কোনো দূষণ নাই, সৌরশক্তিতে চলে, গ্রিন এনার্জি ব্যবহার হয়। এমন হাজারটা কারণ আছে, যাতে মানুষ আমাদের এই বাঘ ইকো মোটরসের ইকো ট্যাক্সি ব্যবহার করবে।’
অ্যাসিড ব্যাটারির কারণে দেশে প্রায় ২ কোটি লিটার অ্যাসিড নির্গত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ফলে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন উৎসাহিত করার সময় এসেছে।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই ইকো থ্রি-হুইলারের ডিজাইন-ড্রইং করে পেটেন্ট করেছি। এটা পৃথিবীর প্রথম সোলার ইকো থ্রি-হুইলার, যেটা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। এটির পারমিশন পেতে আমাদের প্রায় ৩০ মাস সময় লেগেছে।’
এটির দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটা সিএনজি অটোরিকশার দাম এখন প্রায় ১৮ লাখ টাকা, সেখানে আমরা একটা ইকো থ্রি-হুইলার ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দিচ্ছি। আমাদের একটা ব্যাটারি ৬ বছর পর্যন্ত পরিবর্তন করতে হয় না। প্রচলিত যেসব অ্যাসিড ব্যাটারি আছে, ছয় বছরে সেখানে ১২টি ব্যাটারি প্রয়োজন হয়।’
২০২০ সালের এপ্রিলে বাঘ মোটরস ১১টি যান তৈরি করে। ডুয়াল পাওয়ার-ব্যাটারি এবং সৌরচালিত এ থ্রি-হুইলারে যাত্রীর নিরাপত্তায় বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হয়েছে। এর একটি হচ্ছে যাত্রীর সিটের সঙ্গে ‘প্যানিক বাটন’ রাখা রয়েছে। এই বাটনে চাপ দিলে গাড়ির গতি মুহূর্তেই ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এরপর ২০ মিনিটের জন্য গাড়িটি অচল হয়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সতর্কবার্তাও পাঠাবে। এতে কর্তৃপক্ষ ট্যাক্সির কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় করতে পারবে।
এতে থাকবে নিরাপত্তা ক্যামেরা, যা একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে। সব ধরনের ভিডিও রেকর্ড ও সংরক্ষণ থাকবে সার্ভারে। থাকবে এমবেড করা রিয়াল-টাইম জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা থ্রি-হুইলারের রিয়াল-টাইম অবস্থান দেখাবে। চুরি ঠেকাতে থাকবে আলাদা প্রযুক্তিও।
গাড়িগুলোতে উচ্চমানের ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সাধারণত বাস-কারে ব্যবহৃত হয়।
জসিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গাড়ি শতভাগ মেটাল বডির তৈরি। পুরো বডিই মোটরগাড়ির মতো করে তৈরি, যা যাত্রীকে অধিক নিরাপত্তা দেবে। ব্রেক ও লাইট ছাড়া পুরো গাড়ির দুই বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি থাকবে। গাড়িতে ওয়াইফাই সিস্টেম থাকবে, মোবাইল চার্জিং সিস্টেম থাকবে, জিপিএস থাকবে, মনিটর থাকবে।’
২০২৫ সালের পর বিশ্বে কোনো ডিজেলচালিত গাড়ি তৈরি হবে না। ২০৩০ সাল থেকে তৈরি হবে না কোনো অকটেন গাড়িও। সব গাড়িই বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে পরিণত হবে।
নিজস্ব রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে একটি ট্যাক্সি সার্ভিস হিসেবে কাজ করবে এই ইকো ট্যাক্সি। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবেও এটি কেনা যাবে।
সাধারণ সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার এবং হিউম্যান-হলারের চেয়ে বড় চাকা থাকবে বাঘ ইকো ট্যাক্সিতে। পাশাপাশি অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম (এবিএস)-সহ একটি হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেমও থাকবে। গাড়ির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল। এতে ব্যবহৃত একটি ৪৮০ ওয়াটের সোলার প্যানেল দিনের বেলায় ৪০ শতাংশ চার্জ হবে ব্যাটারিতে। যার ফলে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার যেতে পারবে গাড়িটি।
প্রতি কিলোমিটারে এটি চলার খরচ হতে পারে ১ দশমিক ৩৩ টাকার মতো। সম্পূর্ণ চার্জে ১৫০০ ওয়াটের গাড়িটি ৯০ কিলোমিটার চলতে পারে। এতে চালকের দিনে খরচ হবে ১২০ টাকা। ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেও চিন্তা নেই। ৬০ ভোল্টের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব চার্জিং পয়েন্টও বসানো হবে। চার্জিং পোর্টে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-সহ একটি মাইক্রো চিপ ইনস্টল করা থাকবে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পোর্টটি খোলা হবে। গাড়ির মালিক নির্দেশ দিলেই চার্জ শুরু হবে।
আরও পড়ুন:সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এর আগে তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ছিলেন বলে এসবিএসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এএনজেড গ্রিনলেজ ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৭ বছরের ব্যাংকিং জীবন তার। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং কানাডার টরেন্টো ডমিনিয়ন ব্যাংকে চাকুরি করেন হাবিবুর রহমান।
তিনি ঋণ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি বিষয়কসহ পেশাগত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওমেগা নামক প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফাইড ক্রেডিট প্রফেসনালস ডিগ্রি অর্জন করেনিএই ব্যাংকার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-টরন্টো রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে ২৭ জুলাই। টরন্টো ফ্লাইটে ভ্রমণে ইচ্ছুকরা এখন থেকেই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রোববার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশ-বিদেশে অবস্থিত বিমানের যে কোনো সেলস্ সেন্টার, বিমান অনুমোদিত যে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি, বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ থেকে এ রুটের টিকিট কেনা এবং আনুষঙ্গিক সেবাগুলো গ্রহণ করা যাবে।
তবে কানাডা থেকে আপাতত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কেনা যাবে না। বিষয়টি এখনও অ্যাকটিভেশন পর্যায়ে রয়েছে।
বিমান বলছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা-টরন্টো রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ঢাকা থেকে প্রতি বুধবার ও রোববার বিমানের ফ্লাইট টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিন টরন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। রুটটিতে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানের বহরে থাকা বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় ফ্লাইটটি তুরস্কের ইস্তানবুলে এক ঘণ্টার জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করবে। তবে ফিরতি ফ্লাইটটি সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে বিমান।
বাংলাদেশ থেকে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণে একমুখী যাত্রার জন্য ভাড়া ঠিক করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৯০ হাজার ৫১০ টাকা। আর রিটার্ন টিকিটের ভাড়া ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা।
প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের একমুখী ভাড়া ১ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৫ টাকা।
আর বিজনেস ক্লাসের ক্লাসে ভ্রমণে একমুখী ভাড়া শুরু হবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা এবং রিটার্ন টিকিটের সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৩০২ টাকা।
টরন্টো থেকে যারা ঢাকায় আসবেন তাদের জন্য ইকোনমি ক্লাসে একমুখী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯০ কানাডিয়ান ডলার আর রিটার্ন টিকিটের দাম ১ হাজার ২৩৩ কানাডিয়ান ডলার।
প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের ক্ষেত্রে একমুখী ভাড়া ১ হাজার ২৩০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭৮ কানাডিয়ান ডলার। আর বিজনেস ক্লাসের ক্ষেত্রে একমুখী ভাড়া ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৭৮ কানাডিয়ান ডলার।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া, টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। স্বপ্নের এই সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছে বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে যুক্ত ছিল একমাত্র দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। ঐতিহাসিক এই যাত্রায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের গর্বিত অংশীদার প্রতিষ্ঠানটি। পুরো প্রকল্পে সেতুর গুনগত মান ঠিক রাখতে প্রায় এক কোটি আমেরিকান ডলার খরচ করে জার্মানি থেকে দুটি মেশিন নিয়ে আসার পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেও আব্দুল মোনেম লিমিটেড বিনিয়োগ করেছে।’
আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছি আমরা। এই প্রকল্পে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের আরও যেকোনো বড় প্রকল্পে আরও দক্ষতার সাথে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করে।’
আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জনের গর্বিত অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
দেশের জনপ্রিয় বিপণন ব্যক্তিত্ব জানে আলম রোমেল শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের বিপণন, ডিজিটাল বিজনেস ও গ্রাহক পরিষেবার প্রধান হিসেবে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন।
তিনি শান্তার পুঁজিবাজার ব্যবসার অঙ্গসংস্থাসমূহ শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, শান্তা সিকিউরিটিজ এবং শান্তা ইকুইটির সামগ্রিক বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেন, ‘এফএমসিজি, এয়ারলাইনস, ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রির মতো বৈচিত্র্যময় কর্মক্ষেত্র রোমেলের অভিজ্ঞতাকে পরিণত ও সমৃদ্ধ করেছে। আমরা আশাবাদী, তার ভিন্নধর্মী চিন্তাধারা, বিপণন নিয়ে ভিন্ন কিছু করার অদম্য ইচ্ছা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।’
শান্তা অ্যাসেটে যোগদানের আগে জানে আলম রোমেল ছয় বছর আইডিএলসি ফাইন্যান্সের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করার পর জানে আলম ২০০৫ সালে এমজিএইচ গ্রুপে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাংলাদেশের বিক্রয় ও বিপণন প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
কর্মজীবনের দীর্ঘ সময় তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মার্কেটিং কমিউনিকেশনের প্রধান এবং র্যাংগস ইন্ডাস্ট্রিজের মার্কেটিং প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
শান্তা আসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, ‘জানে আলম রোমেলকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা আনন্দিত। কাজের প্রতি তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, কর্ম-উদ্দীপনা, বিক্রয় এবং বিপণনের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা রাখি।’
আরও পড়ুন:সিলেটের সবচেয়ে বড় বইয়ের মার্কেট রাজা ম্যানশন। গত ১৮ জুন এই মার্কেটে বন্যার পানি ঢুকে নিচের তলা পুরোপুরি ডুবে যায়। এতে কোটি টাকার বই নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
গত ১৫ জুন থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। এর দুদিন পর থেকে ভয়ংকর রূপ নেয় বন্যা। ১৮ জুন সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের উঁচু এলাকাগুলোও। ওইদিন পানি ঢুকে পড়ে নগরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জিন্দাবাজারের বেশির ভাগ শপিং মল ও দোকানপাটে।
পানি ঢোকে জিন্দাবাজার এলাকার রাজা ম্যানশনেও। মার্কেটের নিচতলার অর্ধশত বইয়ের দোকান, ছাপাখানা ও কম্পিউটারের দোকানে পানি ঢুকে পড়ে।
রাজা ম্যানশনের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে তারা জিন্দাবাজার এলাকা পানিশূন্য অবস্থায় দেখে ঘরে ফেরেন। পরের দিন শুক্রবার মার্কেট বন্ধ ছিল। আর ১৮ জুন শনিবার সকালে এসে দেখতে পান পানিতে তলিয়ে গেছে মার্কেট। পানি ঢুকে পড়েছে নিচতলার সব দোকানে। অনেক দোকানে কোমর সমান পানিও জমা হয়।
তারা আরও জানান, পানিতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বই ব্যবসায়ীরা। বইয়ের দোকানের নিচের তাকগুলোয় থাকা সব বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন এগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে।
শনিবার রাজা ম্যানশনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেট থেকে পানি নেমে গেছে। ভিজে নষ্ট হওয়া বই ভ্যানে করে সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিছু বই আবার রোদে শুকানোর চেষ্টা করছেন তারা।
এ সময় কথা হয় মার্কেটের শুভেচ্ছা লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী তানজিল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার দোকান মার্কেটের একেবারে সম্মুখে। তাই বন্যার পানি প্রথমে আমার দোকানেই ঢুকে পড়ে। পানিতে দোকানের প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো আর ব্যবহারের উপযোগী নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাজা ম্যানশনে বন্যার পানি ঢুকবে তা কখনও কল্পনাও করিনি। অথচ নিমিষেই পানিতে তলিয়ে গেল মার্কেটের পুরো নিচতলা। এখন ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো তা বুঝতে পারছি না।’
প্যারাগন লাইব্রেরির বিক্রেতা আকাশ আহমদ বলেন, ‘আমাদের অন্তত ৭ লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হওয়া বইগুলো পুরনো কাগজের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। যেগুলো অল্প ভিজেছে সেগুলো শুকিয়ে ঠিক করা যায় কি না সে চেষ্টা করছি।’
জানা গেছে, বইয়ের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে মার্কেটের নিচতলার ছাপাখানা ও কম্পিউটার ব্যবসায়ীদেরও।
প্যারাডাইস প্রেস নামের একটি ছাপাখানার কর্মকর্তা সুমন বক্স বলেন, ‘আমাদের প্রেস মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশে পানি ঢুকে গেছে। এগুলোর মেরামত কাজ চলছে। ফলে ছাপাখানা আপাতত বন্ধ আছে।’
রাজা ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন রহিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে মার্কেটের নিচতলার সব দোকান এবং প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কেবল বই ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার মতো।’
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিহিত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার আগেও আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম। এবার বন্যার কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হলো। বন্যা আমাদের সব মূলধন নিয়ে চলে গেল।’
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমে আসায় দেশেও ভোজ্যতেলের দাম দু-এক দিনের মধ্যে কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বাদশ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে আলোচনার নানা দিক তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সেই হিসেবে দেশেও দাম কমানো হবে।’
দাম কমলে কত কমানো হতে পারে- এমন প্রশ্নে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আগামী দু-এক দিনের মধ্যে কিংবা চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।
‘সেখানে আন্তর্জাতিক দাম অনুযায়ী দেশে গত এক মাসের মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই দাম নির্ধারণ করা হবে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুব বেশি কমানো সম্ভব নাও হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউ সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য