ভোজ্যতেলে আমদানিনির্ভর সয়াবিননির্ভরতা থেকে বের হয়ে সরিষা ও ধানের কুঁড়ার রাইন ব্র্যান অয়েলের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দেশে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় তার কুঁড়া দিয়ে তেল উৎপাদন করলে চাহিদার চার ভাগের এক ভাগ পূরণ করা সম্ভব বলে প্রাথমিক এক মূল্যায়নে উঠে এসেছে।
সরিষার চাষ ও উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলেও মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এর বাইরে তিনি ক্যানোলার তেলকে জনপ্রিয় করতে চান। এই তিনের মিলেশে টালমাটাল বিশ্ববাজার পরিস্থিতিতেও দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা দূর করা সম্ভব বলে ধারণা তার।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে এই তিন উদ্যোগের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিশ্ববাজারে সরবরাহ সংকটে সয়াবিন, পাম অয়েলের দাম ক্রমেই বাড়ছে। দেশের বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। এক বছরের কিছু বেশি সময়ে দেশে দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি সরবরাহ সংকটও দেখা দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। মিলারও জানিয়েছেন, দেশে তেল আছে তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটে যাবে। প্রশ্ন হলো সেটি কতদিন?
আরও পড়ুন: যে কারণে বাজার পেল না রাইস ব্র্যান অয়েল
‘আমরা শুধু সয়াবিন ও আমদানিনির্ভর এই থাকব না সয়াবিনের বিকল্প সরিষা ও রাইস ব্রান কিংবা ক্যানোলা তেল খাব, আমাদেরকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাকে ও তার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে দেশে সরিষা ও রাইস ব্রান উৎপাদন বাড়ানোর। কৃষি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করছে।’
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন মাত্র কেবল ৫০ হাজার টন। সরকার হিসাব করে দেখেছে এটি সাত লাখ টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের মোট ভোজ্যতেলের চাহিদার ২৪ থেকে ২৫ পার্সেন্ট রাইস ব্রান থেকেই মিটে যাবে।
‘একইভাবে আমরা সরিষা উৎপাদনেও জোর দিতে যাচ্ছি। আমাদের সরিষা উৎপাদন ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব যার থেকে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হবে। এছাড়া ক্যানোলা অয়েল আমদানির বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টনের মতো। এর সিংহভাগই আমদানি করে মেটানো হয়। রান্নায় ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাম তেলের নির্ভরতা বেশি।
৮০ দশকেও দেশে সরিষার তেলের ওপর নির্ভরতা বেশি থাকলেও পরে তা কমে আসে। তবে গত কয়েক বছরে এই তেলের চাহিদাও বাড়ছে।
সয়াবিন তেলের বিকল্প এসব তেলের উপকারিতা সম্পর্কে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সাংবাদিক সবাইকে জোরালোভাবে প্রচারের ওপরও জোর দেন মন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে একটি বিলাসবহুল রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
গাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ড রোলস রয়েস ২০২১ মডেলের অত্যাধুনিক এসইউভি। গাড়িটি ৬৭৫০ সিসির, যার বাজারমূল্য ২৭ কোটি টাকা।
অবৈধভাবে এই গাড়িটি চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে বের করে ২৪ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী জানান, গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম ইপিজেডের মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছিল। এরপর এর শুল্ক না পরিশোধ করেই অবৈধভাবে গাড়িটি গত ১৭ মে রাতে ইপিজেড থেকে বের করে ঢাকার বারিধারায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পারি গত ৪ জুলাই পর্যন্ত এই গাড়ির শুল্ক জমা হয়নি। গোয়েন্দা তৎপরতায় গাড়িটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এমডির গুলশানের বারিধারার নিজ বাসভবনে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে।’
জব্দ করা গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় পড়বে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেডঅ্যান্ডজেড ইনটাইমস লিমিটেডের মাধ্যমে হংকং এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য এ গাড়িটি আনা হয়। কিন্তু আমদানিকারক বেআইনিভাবে কাস্টমস শুল্কায়ন সম্পন্ন এবং শুল্ক-কর পরিশোধ না করে তার ব্যক্তিগত গ্যারেজে গাড়িটি লুকিয়ে রাখেন।
কাস্টমস আইন অনুযায়ী গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কী কারণে আমদানি করা গাড়িটি ছাড় হওয়ার ৭০ দিন পরও শুল্কায়ন করা হয়নি, সে বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
প্রটোকল রুটে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে বাংলাদেশে দুই হাজার টন ন্যাপথা রপ্তানি করা হয়েছে।
রোববার ওটি সাংহাই এইট নামের একটি বার্জ পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ন্যাপথা নিয়ে বাংলাদেশের অ্যাকোয়া রিফাইনারি সংস্থার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নদীপথে বার্জ যাত্রার সূচনা করেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহেরা এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরের আইওসি রিফাইনারি থেকে ১৮ কোটি টাকার ন্যাপথা নিয়ে রওনা হওয়া বার্জটি প্রথমে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছবে। সেখান থেকে চালানটি যাবে নরসিংদী জেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে আমেরিকান প্রযুক্তিতে গড়ে ওঠা অ্যাকোয়া রিফাইনারিতে।
হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল মেহরা বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে প্রটোকল রুটে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগের কার্যকারিতা দিন দিন বাড়ছে। হলদিয়া বন্দর ও শিল্পগুলোর বাড়তি বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছে এই প্রটোকল রুট।’
প্রটোকল রুটের কার্যকারিতাকে গুরুত্ব দিয়ে হলদিয়া বন্দরের রপ্তানি বাড়াতে মাল্টিমোডাম হাব ও জেটি তৈরি করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রটোকল রুটে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বাণিজ্যের সূচনা করেন ভারতের জাহাজ মন্ত্রী।
আইওসির ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ বলেন, ‘হলদিয়া থেকে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে হলদিয়া রিফাইনারির নতুন সম্পর্ক তৈরি হলো। ন্যাপথা ছাড়াও বাংলাদেশে হাই স্পিড ডিজেল, হার্সেল অয়েল, সালফার পেটকোকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আগামী দিনে এই পণ্যগুলো বার্জে করে বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো।’
রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখায় বিশেষ ব্যবস্থায় ঈদের আগে তিনদিন রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাংক কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটগুলোয় প্রচুর ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে। এসব হাটে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন হয়। ফলে হাটগুলোয় আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কোরবানির পশুর হাটগুলোর কাছেই বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা নিয়মিত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। হাটগুলোর নিকটবর্তী এসব ব্যাংকের শাখা ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাদের পশু বিক্রির অর্থ লেনদেন করতে পারেন।
এ ছাড়া পশুর হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ খোলা হলে ব্যবসায়ীরা তা থেকে সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় ৭ জুলাই বিকেল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখা যাবে। এছাড়া ৮ ও ৯ জুলাই শুক্র ও শনিবার এসব শাখার কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখা যাবে।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে স্বীয় বিবেচনায় অস্থায়ী বুথ স্থাপন করতে হবে।
চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটগুলোতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
এসব শাখায় বাড়তি সময় ও বন্ধের দিনে সেবা চালু রাখলে অতিরিক্ত সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন:দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ তাদের লোগোতে পরিবর্তন এনেছে।
টেকসই শিল্প নির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নতুন লোগো উন্মোচন করেন। এতে নয়টি অগ্রাধিকার সম্পন্ন বিষয়কে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পোশাক শিল্পের জন্য নতুন রূপকল্প প্রণয়নের ঘোষণা দেয়া হয়।
ফারুক হাসান বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে পোশাক শিল্প এমন একটি জায়গায় পৌছেঁছে, যে শিল্পের প্রচলিত নিয়মগুলো খাটছে না, প্রায়শই চ্যালেঞ্জের সম্মুক্ষীন হতে হচ্ছে। শিল্পকে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য পণ্যেও ডিজাইন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া, লিড টাইম হ্রাস করা, সর্বশেষ প্রযুক্তি গ্রহণ, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস এবং কারখানাগুলোকে আরও টেকসই করার কোন বিকল্প নেই।’
‘আর এ প্রচেষ্টাগুলো শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে জ্ঞানার্জনের জন্য আমরা উত্তরায় বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয়ে নতুন সেন্টার ফর ইনোভেশন, এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই কেন্দ্রের লক্ষ্য হচ্ছে- পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা।’
তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের মুখপাত্র সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি শিল্পকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সময়ের প্রয়োজনে শিল্পকে এগিয়ে নিতে যখন যে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন তাই নিচ্ছে। পোশাক শিল্পকে টেকসই উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য বিজিএমইএ শিল্পের জন্য একটি টেকসই শিল্পায়নে রোডম্যাপ তৈরি করতে যাচ্ছে, যা সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হচ্ছে।’
‘যেহেতু বিজিএমইএ আমাদের পোশাক শিল্পের মূখপাত্র, তাই এই শিল্পের এগিয়ে যাওয়া এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিজিএমইএর নিজস্ব ব্র্যান্ডিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমরা বিজিএমইএর অতীত ঐতিহ্যকে অটুট রেখে আগামীর টেকসই শিল্প নির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে বিজিএমইএর কর্পোরেট আইডেনটিটি অর্থাৎ লোগোতে পরিবর্তন এনেছি।’
‘আমরা মনে করি বিজিএমইএর রিনিউড ভিশন বা নতুন প্রত্যয় সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করবে। এটি একটি ডাইনামিক লোগো যাতে ৯টি অগ্রাধিকার সম্পন্ন বিষয়কে ডটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিরই স্বতন্ত্র অর্থ আছে।’
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে একসময় তাচ্ছিল্য করা হলেও নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ অর্জন।’
‘গত ৫ দশকে যে অর্জনগুলো আমাদের দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি এনে দিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অর্জন হলো প্রথম সারির তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে উঠে আসা।
‘আনন্দের বিষয় হলো- পোশাক শিল্পের ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আমাদের রপ্তানি আয় ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আর আমাদের এই খাতটির ওপর ভর করেই এবার দেশেল মোট রপ্তানি আয় ৫২ দশমিক শূন্য আট ০৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।’
‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় অর্জন করতে পারাটা অনেক বড় অর্জন বলে আমরা মনে করি।’
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বর্তমান সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মিরান আলী, পরিচালক ব্যারিষ্টার শেহরিন সালাম ঐশী, আসিফ আশরাফ, মহিউদ্দিন রুবেল, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, ব্যারিষ্টার ভিদিয়া অমৃত খান, ইনামুল হক খান (বাবলু), ইমরানুর রহমান, হোসনে আরা নীলা, জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক শারমিন হাসান তিথীসহ অন্য পোশাক শিল্পমালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:জনগণ সহজেই যেন কর দিতে পারে সে জন্য সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্বব্যবস্থাকে বদলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জোর করে কারো কাছ থেকে রাজস্ব আহরণ করা যায় না। সে জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা জোর দিয়েছি সিস্টেমের ওপর। সিস্টেম যাতে সহজ হয় সে জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ সময় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৮তম লটারির ড্রয়ের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রহমাতুল মুনিম জানান, গত তিন বছর পর পর করহার কমানো হয়েছে। ধারণা করা হয়, করহার কমলে রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এটা ঠিক নয়, বরং করহার কমালে ও আদায় প্রক্রিয়া সহজ করলে রাজস্ব আদায় বাড়ে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনবিআর কাজ করছে।
বর্ধিত কর আহরণের জন্য নেট বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। দেশে করদাতা শনাক্তকারী নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা অনেক বেশি হলেও সে অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা কম বলে জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে নতুন অর্থবছরে। সেটি হলো রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে আগের বছরের দলিলপত্র ও আনুষঙ্গিক প্রমাণাদি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে করে আশা করা হচ্ছে, রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বাড়বে।
তিনি বলেন, 'উপজেলা পর্যন্ত নতুন করদাতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সে জন্য আমরা উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছি এবং এ বিষয়ে সম্প্রসারণ প্রস্তাব জনপ্রশাসনের জমা দেয়া হয়েছে। আশা করছি, এটি কার্যকর হলে উপজেলা পর্যায়ে করদাতা শনাক্ত করা সহজ হবে।'
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও কাস্টমসে আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গোটা রাজস্বব্যবস্থা বদলে যাবে। রাজস্ব আহরণে বাড়বে গতি। সামগ্রিকভাবে দেশের চেহারা বদলে দেয়ার জন্য এনবিআর বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে আগামী দিনে।
ভ্যাটব্যবস্থায় প্রবর্তিত আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি নিয়ে কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এটি একটি নতুন প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। সারা দেশে ৭ হাজার ভ্যাট মেশিন বসানো হয়েছে। যদিও গত বছর পর্যন্ত টার্গেট ছিল ১০ হাজার মেশিন বসানোর।
চেয়ারম্যান জানান, ইএফডি মেশিন ব্যবহার উৎসাহিত করতে লটারি সিস্টেম চালু করা হলেও এর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ তেমন নেই। কেন আগ্রহ নেই সেটি বোধগম্য নয় বল জানান তিনি।
এ বিষয়ে তিনি আরো জানান, লটারি ড্রর পর পুরস্কারের জন্য আবেদন জমা হয়েছে প্রায় ১৮০০। কিন্তু দাবি এসেছে মাত্র একটি। অবশ্য পুরস্কারের জন্য দাবি কেন কম পড়েছে তার ব্যাখ্যা দেননি এনবিআর চেয়ারম্যান।
খুচরা পর্যায় ভ্যাট আদায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। বলেন, এই খাতে ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া এখনো অস্বচ্ছ। চেষ্টা করা হচ্ছে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার। কিন্তু সফল হতে পারছি না। এর একটি কারণ হতে পারে, খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা অনেক বেশি। যে কারণে তাদের কাছ থেকে যথাযথ ভ্যাট আদায় করা কঠিন।
তিনি বলেন, এখানে তদারকি ব্যবস্থা দুর্বল। এটি শক্তিশালী করা গেলে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট আদায়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। এ জন্য অটোমেশনে কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন:ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার। ট্যানারি মালিকদের এবার আগের তুলনায় প্রতি বর্গফুটে গরুর চামড়া ৭ টাকা ও খাসির চামড়া ৩ টাকা বাড়তি দরে কিনতে হবে।
অবশ্য এই দর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ভিন্ন হবে। এবার ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া কিনতে হবে ৪৭-৫২ টাকায়, যা গত বছর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বর্গফুট হিসেবে কিনেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
এই দর তার আগের বছর বা ২০২০ সালে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
ঢাকার বাইরে এবার সারা দেশে ট্যানারি মালিকরা লবণযুক্ত গরুর চামড়া কিনবেন ৪০ থেকে ৪৪ টাকা দরে। গত বছর এই দাম ছিল ৩৩-৩৭ টাকা। আর ২০২০ সালে ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা বর্গফুট।
এ ছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার দর ৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। গত বছর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা।
তবে এবার বকরির চামড়ার বর্গফুটপ্রতি দাম গত বছরেরটাই বহাল রাখা হয়েছে। গত বছর বকরির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১২ থেকে ১৪ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা।
মঙ্গলবার ঈদুল আজহা ২০২২ উপলক্ষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ চামড়ার এই মূল্যস্তর নির্ধারণ করেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চামড়ার এই মূল্য নির্ধারণ করে দেন।
তবে এবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাই প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫ টাকা ও খাসির চামড়ার দাম ৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের গরুর চামড়ার দাম প্রস্তাবের সঙ্গে দুই টাকা বাড়তি যোগ করে খাসির চামড়ার দাম ৩ টাকা অপরিবর্তিত রাখেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ, ক্রয়-বিক্রয়, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মজুত, চামড়ায় লবণ লাগানো ও মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন:প্রতি বছর দুই ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে হিমশিম খেতে হয় এয়ারলাইনসগুলোকে। এ কারণে ঈদের সময় প্রতিটি রুটেই বেশ কিছু অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবার আকাশপথে তেমন একটা চাপ নেই বলে জানিয়েছে দেশি এয়ারলাইনসগুলো। তারা বলছে, রোজার ঈদের তুলনায় এবার যাত্রীদের আকাশপথে ভ্রমণের প্রবণতা কম। আর এ কারণে প্রস্তুতি রাখা হলেও এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ছাড়া আর কোনো দেশি এয়ারলাইনসই অতিরিক্ত ফ্লাইট ঘোষণা করেনি।
এবার পদ্মা সেতু হওয়ার পর যশোর এবং বরিশাল রুটে আকাশপথে অন্যান্য বারের মতো বাড়তি কোনো চাপ নেই। স্বাভাবিক ফ্লাইট দিয়েই এ দুটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনসগুলো।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঈদকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ সাত রুটে ২৯টি অতিরিক্ত ফ্লাইট ঘোষণা করেছে। স্বাভাবিক সময়ে দেশি এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানই সবচেয়ে কম ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘এবার অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান অতিরিক্ত ২৯টি (যাওয়া-আসা মিলে ৫৮টি) ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ৫ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হবে।
‘এর মধ্যে সৈয়দপুর রুটে ৯টি, যশোর রুটে ৮টি, বরিশাল রুটে ৬টি এবং রাজশাহী রুটে ৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।’
ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত ফ্লাইটের প্রস্তুতি রাখা হলেও এখনও বাড়তি ফ্লাইট ঘোষণা করেনি বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা। অভ্যন্তরীণ রুটে এই এয়ারলাইনসটির ফ্লাইটই সবচেয়ে বেশি।
এয়ারলাইনসটির জনসংযোগ ও বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঈদে সবচেয়ে বেশি চাপ সৈয়দপুর ও রাজশাহী রুটে। এই রুট দুটিতে ৭, ৮ ও ৯ জুলাইয়ের ফ্লাইটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্য রুটগুলোতে এখনও বাড়তি চাপ নেই।’
পদ্মা সেতু হওয়ার পর যশোর ও বরিশালের ফ্লাইটে কোনো তারতম্য দেখা যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুব স্বাভাবিকভাবেই পদ্মা সেতু একটি আকর্ষণ তৈরি করেছে। অনেকেই হয়তো এটাকে ঘিরে যাত্রার পরিকল্পনা সাজাতে চাইবে। তবে দীর্ঘ সময়ে আকাশপথ আর সড়ক পথ কখনই প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না। এই রুটগুলোতে স্বাভাবিক যাত্রীই আমরা দেখছি। বাড়তি কোনো চাপ নেই।
‘রোজার ঈদের সঙ্গে তুলনা করলে এবার এমনিতেই আকাশপথের যাত্রী সংখ্যা কম। এর জন্য তিনটি কারণ রয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি রয়েছে, তারপর কোভিড পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগের কারণ হচ্ছে। এবার কিন্তু সরকারি ছুটিও কম। এই তিন কারণেই মানুষের মুভমেন্ট কম বলে মনে হচ্ছে।’
একই পরিস্থিতি দেশের আরেক বেসরকারি এয়ারলাইনস নভো এয়ারেও। এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার বাড়তি কোনো চাপই নেই। তবে এর মধ্যেও সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের প্রতি যাত্রীদের কিছুটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আর অন্যান্যগুলো স্বাভাবিক সময়ের মতো।’
পদ্মা সেতুর কোনো প্রভাব বরিশাল ও যশোর রুটে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুটা পড়েছে। যেমন বরিশালে তেমন একটা ডিমান্ড আমরা দেখছি না। আর যশোরেই অন্যান্য বারের চেয়ে অন্তত ৪০ ভাগ কম চাহিদা দেখা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য