এক দিনে সূচকের পতন প্রায় দুই শতাংশ। ৩৮১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারাল প্রায় সাড়ে তিন শ। শতাধিক কোম্পানির দর কমেছে এক দিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই।
এমন দিনেও লেনদেন ছাড়াল হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দম দামে হলেও শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ, স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা বলেছেন, বাজারে কী হয়েছে, সেটি তারা বুঝতে পারছেন না। রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি আইসিবিও শেয়ার বিক্রি করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে নিত্যপণের দাম ক্রমেই বেড়ে চলার মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ে উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে বিনিয়োগকারীদের।
ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পুঁজিবাজারে যে ধস নামে, সেটি টানা কয়েক মাস চলার পর রোজার শেষ দিকে থাকার ইঙ্গিত দেয়। ঈদ শেষে বাজারে লেনদেন বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তা এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। বাড়তে থাকে শেয়ারদর।
কিন্তু শুভ ইঙ্গিত দিয়ে গত সপ্তাহে আবার মুখ থুবড়ে পড়ে পুঁজিবাজার। টানা তিন দিনে পতন হয় ১৩২ পয়েন্ট। দুই দিনের সাপ্তাহিক বন্ধ শেষে বুদ্ধ পুর্ণিমার ছুটি শেষে সোমবার আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিল বিনিয়োগকারীদের। আগের তিন দিনে মিলিয়ে সূচক যত পড়েছিল, এক দিনেই পড়ল তার চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান এখন ৬ হাজার ৪৩০ পয়েন্ট, যা গত বছরের ২৯ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্ট।
তবে সে সময় পুঁজিবাজারে ছিল সুবাতাশ। প্রতি দিনই সূচক বাড়ছিল। এক পর্যায়ে তা সাত হাজার ছাড়িয়ে ১০ হাজারে পৌঁছবে বলে আশাবাদ তৈরি হয়।
তবে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বাজারে দর সংশোধন শুরু হয়, যা বছরের শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে। নতুন বছর ২০২২ সালের শুরুতে বাজারে ঊর্ধ্বগতি ফেরার ইঙ্গিত দিলেও ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর আবার নামে ধস। শেয়ারদর কমতে থাকার পর লেনদেনও নেমে আসে তলানিতে।
এই যুদ্ধ প্রলম্বিত হতে থাকায় সারা বিশ্বই অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে খাদ্যপণ্যের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশেও নানা গুজব ছড়ায়।
সোমবারের বাজার দেখে কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের সমিতি বাংলাদেশ স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন-ডিবিএর সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর নানা ধরনের গুজবে পুঁজিবাজার টালমাটাল ছিল। কিন্তু তাই বলে এত বড় ধস কেন, সোট আমরা বুঝতে পারছি না। কী কারণে আকষ্মিক এত বড় ধস হলো, সেটা আমরা সত্যিই কেউ বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে সবাই বিক্রি করে বাজার থেকে চলে যাবে- এমন অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নয়, আইসিবিও শেয়ার বিক্রি করছে। যাদের সাপোর্ট দেয়ার কথা, তারাও যদি বিক্রি করে, তাহলে বাজারের এমন না হয়ে কী হবে?’
পুঁজিবাজারে এক দিনে এর চেয়ে বেশি দরপতন দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল। লকডাউন আতঙ্কে সেদিন ডিএসইতে সূচক কমেছিল ১৮১ পয়েন্ট।
পরের দিন থেকে করোনার কারণে বিধিনিষেধে যাওয়ার কথা ছিল দেশ। ২০২০ সালে সাধারণ ছুটির সময় পুঁজিবাজারে লেনদেন স্থগিত থাকে। সেবারও তাই হবে ভেবে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করেছিল বিনিয়োগকারীরা। তবে এই পতনের দিনই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসে যে, লকডাউনেও লেনদেন চলবে। পর দিন থেকেই পুঁজিবাজারে শুরু হয় উত্থান।
আর এখন পুঁজিবাজারের সূচক ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সব খাতেই দরপতনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩ কোম্পানির সবগুলো দর হারিয়েছে। সিমেন্ট, আবাসন, তথ্য প্রযুক্তি, ভ্রমণ ও অবসর, টেলিকমিউনিকেশন, কাগজ, পাট খাতেরও শতভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
এছাড়া বস্ত্র খাতে তিনটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৫৬টি, সাধারণ বিমা খাতে একটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৩৯টি, জীবন বিমা খাতে একটির দর বৃদ্ধি ও একটির দর ধরে রাখার বিপরীতে আরও ১১টি, প্রকৌশল খাতে তিনটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৩৯টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে তিনটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৮টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দুটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৮টি এবং বিবিধ খাতে একটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১৩টি কোম্পনি।
ব্যাংক খাতে ৬টির দর বেড়েছে, আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে আরও ছয়টি আর কমেছে বাকি ২১টির দর।
দুটি কোম্পানির দর কমেছে এক দিনে দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশ। আরও শতাধিক কোম্পানির দর কমেছে আশেপাশে।
সব মিলিয়ে ১৩০টি কোম্পানির দর কমেছে ৪ শতাংশের বেশি, আরও ৭৬টির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি, ৫৭টির দর কমেছে ২ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য