গম আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। প্রতি বছর চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় গমের ৮৫ শতাংশই আমদানি করা হয়, যার ৬৮ শতাংশ এতদিন আমদানি হতো রাশিয়া-ইউক্রেন ও কানাডা থেকে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের এই নিত্যপণ্যটি আমদানির বড় উৎসে পরিণত হয়েছে ভারত। যুদ্ধের কারণে গমের আন্তর্জাতিক বাজার রাতারাতি পাল্টে গেছে। একই কারণে কানাডা থেকে গম আমদানিও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এসব কারণে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে একক দেশ হিসেবে ভারত থেকে বাংলাদেশের গম আমদানির অংশ দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের ১ মার্চ পর্যন্ত ২৭ লাখ ১৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে শুধু ভারত থেকে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে গম রপ্তানিতে বিশ্বজুড়ে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে বাধ্য। কারণ এর মাধ্যমে আমদানির বড় উৎস বন্ধ হয়ে গেল।
গত শুক্রবার ভারত এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর শনিবারই বাংলাদেশের গমের পাইকারি বড় বাজার খাতুনগঞ্জে বেড়ে গেছে গমের মণপ্রতি দাম। এই বাজারে বৃহস্পতিবার ভারতীয় গমের দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা, কানাডার গমের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫০ টাকা। শনিবার থেকে সেই ভারতীয় গম ১ হাজার ৫৫০ টাকা এবং কানাডার গম ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এ প্রসঙ্গে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে বিশ্ববাজার পরিস্থিতি খুবই ঘোলাটে অবস্থায় রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই বাজারগুলো থেকে এখন গম আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিকল্প বাজার হয়ে ওঠা ভারত যদি পণ্যটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তার একটা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায় তো আছেই।
‘কিন্তু তার মানে এই নয় যে শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা দিল আর শনিবার থেকেই দেশে দাম বেড়ে যাবে। এটা কোনোভাবেই নৈতিক নয় এবং কেউ সমর্থনও করবে না। দেশে যেটা হয়ে থাকে তা হলো কিছু ব্যবসায়ীর অতি লোভ-লালসার প্রভাব, যারা কোনো একটি ইস্যুকে পুঁজি করে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাড়তি ফায়দা লোটার চেষ্টা করে।’
তিনি এ বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই রপ্তানি বন্ধের সুযোগ নিয়ে বাজার পরিস্থিতি যাতে ঘোলাটে না হয়, সে জন্য আগে থেকেই সরকারের সতর্ক থাকা উচিত।
এফবিসিসিআই সহসভাপতি বলেন, ‘ভারত বেসরকারি খাতের জন্য রপ্তানি বন্ধ করলেও সেখানে সরকারিভাবে আমদানির সুযোগ এখনও রয়েছে। সরকারকে অতিসত্বর ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে এই জি-টু-জি পর্যায়ে গম কেনার সুযোগটি নিতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও যাতে গম আমদানি করা যায় তার অনুরোধ করতে হবে।’
এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারত থেকে জি-টু-জি পর্যায়ে বাংলাদেশ গম আমদানির সুযোগ তো আছেই। গম তো আমাদের প্রয়োজন। এখন এই উদ্যোগটি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আসতে হবে। তারা আগ্রহ দেখালে বা চাহিদাপত্র দিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সেই অনুযায়ী গম আমদানির পথ সুগম করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারত সরকারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ করতে প্রস্তুত।’
তিনি জানান, দেশে পর্যাপ্ত গম আমদানি হয়েছে। ভারত ছাড়াও আরও অনেক দেশ থেকে আমদানির সুযোগ রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, প্রতি বছর দেশে গমের চাহিদা আছে ৭৫ লাখ টনের। এ হিসাবে দৈনিক ২০ হাজার ৫৪৭ টন গম বা গমের আটা-ময়দার প্রয়োজন হয়। দেশে প্রতি বছর গড়ে উৎপাদন হয় ১১ লাখ টন গম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের তুলনায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে গম আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়েছে, দামের দিক থেকে যা ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার বেশি। এটা শুধু তবে গম আমদানির পরিমাণ বাড়ার কারণে ঘটেনি, বিশ্ববাজারে গমের বাড়তি মূল্যের কারণেও ঘটেছে।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য মতে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন আর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানিকৃত গম দিয়ে দেশের চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত চাহিদা পূরণ হওয়ার কথা। গমের সম্ভাব্য ঘাটতি এবং রপ্তানি বন্ধের সুযোগ ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা নিয়েছেন। সামনে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে জানান, ‘ভারত থেকে আমদানি করা গম দিয়ে সাধারণত নানান রকম রুটি ও বিস্কুট তৈরি হয়। এই রুটি বিস্কুট মূলত দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য।
‘এখন ভারত সরকার বেসরকারিভাবে গম রপ্তানি সাময়িক বন্ধ রেখেছে। অথচ দেশে গমের যত প্রয়োজন তার ৯০ ভাগই আমদানি করে বেসরকারি খাত। রপ্তানি বন্ধের প্রভাব দেশেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আর গমের দাম বাড়লে শেষ পর্যন্ত সেটার প্রভাব গমনির্ভর পণ্য আটা, ময়দা, রুটি, পরোটা, পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, পাস্তা, পিৎজা, নুডলস, বার্গারসহ বিভিন্ন পণ্যে পড়বে, যেমনটি হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর।’
জানা গেছে, আটা-ময়দা এবং ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় দেশে অনেক আগেই পরোটার দাম দ্বিগুণ হয়ে ১০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগে ৩২৫ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাউরুটির দাম ছিল ৩৫ টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গম রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে সেই পাউরুটির প্যাকেটের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। আনুপাতিক হারে বেড়েছে কেক-বিস্কুটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নুডলসের দামও। একইভাবে ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত দীর্ঘতর হলে তার প্রভাব পর্যায়ক্রমে সবখানেই পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যসচিব ড. নাজমানারা খানুম নিউজবাংলাকে জানান, বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী গমের কোনো ঘাটতি নেই। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া এবং গমনির্ভর পণ্যের দাম বাড়ারও কারণ নেই।
জি-টু-জি উদ্যোগে ভারত থেকে বড় লটে গম আমদানির পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যসচিব বলেন, ‘গম আমদানির জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের সুযোগ নিতে চায়। ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশ থেকেও গম আনার জন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বুলগেরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউক্রেন ও রাশিয়াসহ অন্যান্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে এই পরিস্থিতিতে সরকার জি-টু-জি পর্যায়ে ভারত থেকে আরও গম আমদানির বিষয়েও নতুন করে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত কিছু হলে সেটি আপনারা জানবেন।’
তিনি জানান, চলতি অর্থবছর ১২ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে দেশে গম আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার টন। বেসরকারি খাতে আমদানি হয়েছে ৩০ লাখ টন। সরকার আরও ৩ লাখ টন গম আমদানি করছে, যার প্রথম চালান ১ লাখ টন দুই-এক দিনের মধ্যে বন্দরে ভিড়বে। এ ছাড়া গুদামে মজুত আছে ১ লাখ ১৮ হাজার টন গম।
এর বাইরে বেসরকারিভাবে আমদানি করা ১ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টন গম নিয়ে জাহাজ বন্দরে ভিড়েছে, যা এখন খালাসের অপেক্ষায়। অন্য দিকে চলতি অর্থবছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আরও ৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৮০ টন গম আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। পাইপলাইনে থাকা এসব গম দ্রুতই দেশে আসবে। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া ও ভারত ছাড়াও গম আমদানির আরও বাজার আছে। সেইসব দেশ থেকেও বেসরকারিভাবে গম আমদানি হচ্ছে। সব মিলিয়ে মজুত ও পাইপলাইনে থাকা গম দিয়ে আগামী আগস্ট পর্যন্ত চাহিদায় কোনো ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য