× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Increasing supply of soybean oil
google_news print-icon

বাড়ছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ

বাড়ছে-সয়াবিন-তেলের-সরবরাহ
বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ছবি: সংগৃহীত
দোকানিরা জানিয়েছেন, তারা ইচ্ছে করে বেশি তেল আনছেন না, কারণ দোকানে বেশি তেল রাখলে তারা মজুতদারির অভিযোগের ঝামেলায় পড়তে পারেন।

বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পরিমাণে কম হলেও দোকানগুলোয় এখন দেখা যাচ্ছে তেলের উপস্থিতি। নতুন দামে কোম্পানিগুলো তাদের সয়াবিন তেল বাজারজাত শুরু করার পর সেটি ডিলার, পাইকার হয়ে এখন খুচরা পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে দোকানগুলোয় নতুন দামে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ দেখা গেছে।

সরবরাহকৃত তেলের মধ্যে পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বেশি। এক ও দুই লিটারের বোতল সংখ্যায় কম।

দোকানিরা জানিয়েছেন, এতদিন তো দোকান তেলশূন্য ছিল। এখন সরবরাহ সংকট কেটে যেতে শুরু করেছে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ এখন ডিলার ও পাইকারের কাছে গেলে পাওয়া যাচ্ছে তেল। মিলগুলোও তাদের সাপ্লাই বাড়িয়েছে। ফলে দোকানদাররা তেল পেতে শুরু করেছেন।

তাহলে দোকানে তেলের উপস্থিতি কম কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রায় সব দোকানিই জানিয়েছেন, তারা ইচ্ছে করেই বেশি তেল আনছেন না, কারণ দোকানে বেশি তেল রাখলে তারা মজুতদারির অভিযোগের ঝামেলায় পড়তে পারেন।

রামপুরা কাঁচাবাজারের তইয়ব জেনারেল স্টোরে দেখা গেল তেলের খোঁজে এসেছেন এক ক্রেতা। দোকানি তাকে জানালেন, তার কাছে এক লিটার বোতলের তেল আছে।

ক্রেতা দাম জানতে চাইলে দোকানি বললেন, ‘তেলের দাম তো সরকার ফিক্সড করে দিয়েছে। আমরা সরকার নির্ধারিত ১৯৮ টাকাতেই বিক্রি করছি।’

পাশেই আরেক দোকানি বিক্রি করছেন তীর ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটার সয়াবিন। ক্রেতা সেজে ওই দোকানির কাছে পাঁচ লিটারের দাম জানতে চাইলে এক কথায় উত্তর মিলল ৯৮৫ টাকা। সরকার পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৮৫ টাকাই নির্ধারণ করে দিয়েছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের মেসার্স শাহিনের স্টোর, শুভ জেনারেল স্টোর, হোসেন স্টোরেও দেখা মিলেছে এক ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল। এর পাশাপাশি বাজারে দেখা মিলেছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলেরও। তবে এখানকার দোকানিরাও জানিয়েছেন, তারা চাহিদার তুলনায় দোকানে তেলের মজুত কম রাখছেন।

শান্তিনগর কাঁচাবাজারেও দেখা মিলেছে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের।

তবে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের সব দোকানে মেলেনি সয়াবিনের উপস্থিতি। তারা জানিয়েছেন, ঈদের পর আবার সরবরাহ শুরু হওয়ার পর এক-দুটি দোকান অল্প করে তেল এনেছিল। ইতোমধ্যে তা বিক্রি শেষ হয়েছে। কাল-পরশুর মধ্যে এ বাজারেও সব দোকানে তেল আসতে শুরু করবে।

বাজারে তেলের সরবরাহ আসতে শুরু করলেও রাজধানীর এসব এলাকার অলিগলিতে থাকা দোকানগুলোয় এখনও তেল সরবরাহ আসছে না।

হাজীপাড়া নতুন রাস্তার কোনো দোকানে দেখা মেলেনি বোতলজাত খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের। পাশের গলিতে পিয়াশ ভূঁইয়া জেনারেল স্টোরের দেখা গেছে, সয়াবিনের পরিবর্তে ১০০ গ্রাম থেকে এক লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের সরিষার তেলের অনেকগুলো বোতল। পাশের বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরেও একই অবস্থা।
মগবাজার নয়াটোলা অলিগলির দোকানগুলোও তেলশূন্য।

সিটি গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা নিউজবাংলাকে জানান, ঈদের পর গত রোববার থেকে তারা নতুন দামে সারা দেশে তেল সরবরাহ শুরু করেছেন। তাদের দৈনন্দিন উৎপাদন সামর্থ্য যা আছে, তাই তারা সরবরাহ করছেন।

এই সপ্তাহে তারা ডিলারদের মাধ্যমে সারা দেশে তেল বাজারজাত করছেন।

টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আলম জানান, তাদের সরবরাহ কখনই বন্ধ ছিল না। বাজারে পুরোনো দামের তেল যেমন ছিল, পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত নতুন দাম চূড়ান্ত হওয়ার পর সেই রেটে তারা রোববার থেকে তেল সরবরাহ শুরু করেছেন।

আশা করা হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে তেল সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

আরও পড়ুন:
৩০০ ব্যারেল সয়াবিন তেল মজুত, ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা
তেলের মূল্যবৃদ্ধি রোধে রিট: আদেশ সোমবার
মিল ছেড়ে বাজারে কেন, ভোক্তা অধিকারকে ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন
তেলের দামে কারসাজি, দোকানে দোকানে জরিমানা
ভোজ্যতেলের রিফাইনারিগুলোর তিন মাসের তথ্য তলব

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The price of onion is increasing hour by hour in Chittagong

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম!

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম! ছবি: সংগৃহীত
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা।’

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে আগুন। চলছে চরম নৈরাজ্য। বেপরোয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় কেজিতে বেড়েছে ১৩০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে।

শনিবার পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। আগের দিন ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তারপরও বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে পেঁয়াজ।

জানা গেছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। এ ঘটনার জেরে দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা। তারা বলছেন, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে রীতিমতো নৈরাজ্য শুরু করেছে। তারা এক কেজি পেঁয়াজে ১৩০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করছেন।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার কারণে বাজারে ব্যবসায়ীদের হাতে তেমন পেঁয়াজ নেই। যেহেতু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম, তাই বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছে না। রিয়াজুদ্দিন বাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা কেজিতে ৭০/৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

কাজির দেউরি বাজারের ব্যবসায়ী হাবিব মিয়া বলেন, ‘ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন খবরের কারণে পাইকারদের কাছ থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় কিনছি।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ তেমন একটা নেই। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই তাদের দেশেও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রন দেশটি রপ্তানিও বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ছে।

ভোক্তারা বলছেন, ভারত মাত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে এখনই দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ আড়ত বন্ধ। তারা বলছে যে আড়তে পেঁয়াজ নেই। অথচ প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ আছে। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

যে গুটিকয় আড়ত বিক্রি করছে তা-ও চড়া দামে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। অথচ দুদিন আগেও তা বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। অর্থাৎ একদিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের এক আড়তদার বলেন, বর্তমানে খাতুনগঞ্জে যেসব পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো বাজার পর্যন্ত আসতে খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। কিন্তু ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা মুনাফা করছেন আমদানিকারকরা।

নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি বাজার, বহদ্দারহাট, চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারেই পেঁয়াজ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কোনো দোকানেই এর কমে পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। অনেক দোকানে পেঁয়াজই নেই।

বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা মামুন মিয়া বলেন, ‘বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজির নিচে নেই। আর ভারতের পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি। দুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা। এটা কেমন কথা! দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এভাবে হলে আমরা কীভাবে চলবো?’

চাক্তাই আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। সেখানেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ায় এখানে দাম বাড়ছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ানো বা কমানোর ব্যাপারে আড়তদারদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যে দামে বিক্রি করতে বলেন সেই দামেই আড়তদাররা বিক্রি করেন।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া।’

গত কিছুদিন ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দিলেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরও পড়ুন:
বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আজ ভোক্তা-অধিকারের অভিযান
অসময়ের বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Unsettled onion market in Benapole

বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার

বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার দোকানে স্তূপ করে রাখা পেঁয়াজের বস্তা। ফাইল ছবি
বেনাপোল বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ যেভাবে কিনে থাকি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সে পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।’

ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাংলাদেশে পণ্যটির বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শনিবার সকালে ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আজ সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে।

বেনাপোল বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ যেভাবে কিনে থাকি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সে পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।’

দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজ থাকলেও কিছু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল কাস্টমস জানায়, গত সপ্তাহে প্রতি টন পেঁয়াজের এলসি মূল্য ছিল ৮০০ ডলার। সর্বশেষ ৫৯ টনসহ গত মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভারত সরকার সে দেশে সংকট দেখিয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়।

আরও পড়ুন:
লেনদেন ও সূচকে হতাশার মাঝে শেষ দিনে আশা
কক্সবাজার রুট চালুর পরদিনই রেললাইনের নাট-বল্টু উধাও
হিমেল হাওয়ায় কমলগঞ্জে জমেনি শীতপোশাকের ব্যবসা
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনযাত্রা শুরু কাল
পাঁচ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Today consumer rights campaign across the country to control the onion market

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আজ ভোক্তা-অধিকারের অভিযান

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আজ ভোক্তা-অধিকারের অভিযান পেঁয়াজের খোসা ছাড়াচ্ছেন এক নারী। ফাইল ছবি
ভারত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা কার্যকর হয় শুক্রবার। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বাড়তে শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ সারা দেশে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আজ ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

‘উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে চারটি পৃথক টিম বাজার অভিযান পরিচালনা করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় অভিযান চালাবেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় অভিযানে থাকবেন ভোক্তা-অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান। এর বাইরে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট এলাকায় অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযানে থাকবেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ আলম।

ভারত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা কার্যকর হয় শুক্রবার। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বাড়তে শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
খাতুনগঞ্জে অস্থিরতা, পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা
৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কেনা যাবে টিসিবির কার্ডে
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম এক দিনে বাড়ল ১০ টাকা
আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়াল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India bans onion exports to curb prices

দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের দোকানে স্তূপ করে রাখা পেঁয়াজের বস্তা। ফাইল ছবি
ভারতজুড়ে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড়মূল্য ছিল ৫৭ দশমিক ১১ রুপি। এ দর এক বছর আগের এ সময়ের তুলনায় ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।

আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের আগে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের মার্চ নাগাদ এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেইন ট্রেডের (ডিজিএফটি) বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পেঁয়াজ রপ্তানি নীতি ‘অবাধ’ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার কার্যকর হলেও তিনটি শর্তে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে।

এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির আগে জাহাজে বোঝাইকৃত পেঁয়াজ; পরিবহন মূল্য পরিশোধ, পেঁয়াজ বোঝাইয়ের জন্য জাহাজের ভারতের বন্দরে আগমন ও প্রজ্ঞাপনের আগে জাহাজগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ এবং প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর ও নিবন্ধিত হলে পণ্যটি রপ্তানি করা যাবে।

ভারতজুড়ে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড়মূল্য ছিল ৫৭ দশমিক ১১ রুপি। এ দর এক বছর আগের এ সময়ের তুলনায় ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর আলাদা বার্তা নিয়ে দিল্লি যাচ্ছি না: পররাষ্ট্র সচিব
যে সাত কারণে পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবল ভারত
তীরে এসে তরি ডুবল ভারতের, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
হেডের সেঞ্চুরি, জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপ জিততে ২৪১ দরকার অস্ট্রেলিয়ার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Consumer rights nationwide campaign on Friday to control beef prices

গরুর মাংসের মূল্য তদারকিতে শুক্রবার দেশব্যাপী অভিযান ভোক্তা-অধিকারের

গরুর মাংসের মূল্য তদারকিতে শুক্রবার দেশব্যাপী অভিযান ভোক্তা-অধিকারের দোকানে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা গরুর মাংস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় অভিযান চালাবেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা ও অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুস সালাম।

গরুর মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকি করতে শুক্রবার সারা দেশে অভিযান চালাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক গরুর মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির লক্ষ্যে বাজার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

‘উল্লেখ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে অধিদপ্তরের দুইজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে দুটি পৃথক টিম বাজার অভিযান পরিচালনা করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় অভিযান চালাবেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা ও অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুস সালাম।

আরও পড়ুন:
ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা
জাফলংয়ে ইসিএ-তে বালু ও পাথর উত্তোলন, ৫ নৌকা জব্দ, জরিমানা
ভোক্তা অধিকারের অভিযানে চড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
বেশি মূল্যে আলু পেঁয়াজ বিক্রি, ব্যবসায়ীদের জরিমানা
‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’ ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পাস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Trade deficit reduced by 60 per cent due to non essential imports
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের সুফল

অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ শতাংশ

অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ শতাংশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়। বিলাসি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয়া হয় ব্যাংকগুলোকে। সেসব পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে।

অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। করোনা মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ ধরে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয় ডলার সংকট। বিশ্ব বাণিজ্যের বড় অংশই যেহেতু নিয়ন্ত্রণ হয় ডলারে, সেহেতু যুদ্ধ ও করোনা মহামারিকে পুঁজি করে বাড়তে থাকে মুদ্রাটির চাহিদা।

করোনা মহামারি-পরবর্তী বাংলাদেশেও বেড়ে যায় আমদানি চাহিদা। তাতে করে প্রয়োজন বাড়ে ডলারের। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে দফায় দফায় বিক্রি করতে হয়েছে ডলার। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ নেমে আসে প্রায় অর্ধেকে।

তবে ডলার সংকট কিংবা রিজার্ভ কমে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে গভর্নর হিসেবে আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে নেয়া হয় বেশ কিছু পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিলাসি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয় ব্যাংকগুলোকে। সেসব পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। আমদানি ও রপ্তানির ঘাটতি পূরণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে তাদের নেয়া পদক্ষেপ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের চার মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, গেল চার মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমে হয়েছে ৩৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৯৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের চার মাসের হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ।

তবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতি, ১৮২ কোটি ডলার। অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও সার আমদানির প্রভাবে এটা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্য ঘাটতি কমার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে দেশে মোট আমদানি হয়েছে ২ হাজার ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পণ্য। আগের অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে তা ছিলো ২ হাজার ৫৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে চার মাসে আমদানি কমেছে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

অন্যদিকে একই সময়ে রপ্তানি থেকে মোট আয় এসেছে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ছিলো ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানিতে বড় কোনো প্রবৃদ্ধি না হলেও বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি বাড়ানো গেলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি কোনো আমদানিকারক যেন পণ্যের বাড়তি দাম দেখিয়ে আমদানি করতে না পারে সেদিকেও রয়েছে কঠোর নজরদারি।

‘প্রতিটি ব্যাংককে আমরা সতর্কতার সঙ্গে আমদানির ঋণপত্র খুলতে বলেছি। আমদানিতে যেন কোনোভাবেই কোনো মিথ্যা তথ্য না আসে সেদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর নজরদারি করছে। শুধু তাই নয়, আমদানির আড়ালে যেন কোনোভাবেই অর্থ পাচার না হয় সেদিকেও আমাদের নজরদারি রয়েছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া দাম বাড়তি মনে হলে তা সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমদানি কিছুটা কমে এসেছে।

আমদানি কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কোনো ভুল দামে পণ্য আমদানি করতে দেবে না। আমার মনে হয় এতে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ঘাটতি কমে আসবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি কমে ৩ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এটা ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ছিলো ১ হাজার ৭১৫ কোটি ডলার বা ১৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যায় ২০২০-২১ অর্থবছরে। করোনা মহামারি শুরুর প্রথম বছরে বাণিজ্য ঘাটতি সব রেকর্ড ভেঙে ছাড়িয়ে যায় ৩ হাজার ৩২৫ কোটি ডলারের ঘর। সে হিসাবে গত অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধেক হয় বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছর শেষে তা আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তবে এর প্রভাবে যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কমে না আসে সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অফ বাংলাদেশের (আইসিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন এফসিএ বলেন, ‘রিজার্ভের কথা চিন্তা করে আমদানি কমিয়ে আনতে হবে; সেটা ধীরে ধীরে হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকরা কাঁচামাল আমদানি করতে না পারলে রপ্তানিও কমে আসবে।’

তার পরামর্শ, আমদানির আড়ালে যেন অর্থ পাচার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

আরও পড়ুন:
চলতি মাসে রিজার্ভ আর কমবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখার সুযোগ
ডলারের অবমূল্যায়ন বিচক্ষণ পদক্ষেপ: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিট্যান্সের অর্থ দুই দিনের মধ্যে জমা করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bashundhara Housing won the World Business Outlook Award 2023

ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ পুরস্কার জিতল বসুন্ধরা হাউজিং

ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ পুরস্কার জিতল বসুন্ধরা হাউজিং
এই পুরস্কারটি একটি আধুনিক এবং গতিশীল জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরির জন্য বসুন্ধরা হাউজিং-এর অবদানকে তুলে ধরে, যা ঢাকায় প্রথম পরিকল্পিত এবং একমাত্র রাজউক-অনুমোদিত আধুনিক স্মার্ট সিটি।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ল্যান্ড ডেভেলপার, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা হাউজিং জিতল মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’। এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা হাউজিং বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ল্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেল যা রিয়েল এস্টেট সেক্টরের জন্য নতুন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

গত ২৫ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কুইন্স পার্কের ম্যারিয়ট মারকুইস-এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এই পুরস্কারটি ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন (ডিআইটিপি) থেকে তুলে দেন নাটিয়া সুচিন্দা এবং পুরস্কারটি গ্রহণ করেন জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান (বিক্রয় ও বিপণন), বসুন্ধরা গ্রুপ।

এই পুরস্কারটি একটি আধুনিক এবং গতিশীল জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরির জন্য বসুন্ধরা হাউজিং-এর অবদানকে তুলে ধরে, যা ঢাকায় প্রথম পরিকল্পিত এবং একমাত্র রাজউক-অনুমোদিত আধুনিক স্মার্ট সিটি।

মন্তব্য

p
উপরে