× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Wholesale traders angry over search for edible oil
google_news print-icon

ভোজ্যতেলের খোঁজে অভিযান নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

ভোজ্যতেল
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ফাইল ছবি
পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ‘দোকানে যদি মাল মজুত না থাকে তাহলে ব্যবসা করব কীভাবে? রমজানের আগে বাজারে ঘাটতি দূর করতে ব্যবসায়ীরা দোকানে মাল মজুত করেছেন। অথচ এ জন্য ব্যবসায়ীদের নাজেহাল করা হচ্ছে।’

ভোজ্যতেল ইস্যুতে বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানের বিরুদ্ধে চরম আপত্তি তুলেছেন পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা।

তার দাবি, ব্যবসা করতে গেলে পণ্যের মজুত থাকতে হবে। অথচ দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে কিছু তেল পাওয়া গেলেই ব্যবসায়ীদের ‘অপদস্ত করা হচ্ছে’।

ভোজ্যতেলের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার এফবিসিসিআই আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানান তিনি। তবে ওই সভাতেই কয়েক ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেয়ায় তাদের আপত্তি নেই।

রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

সচিবালয়ে গত ৯ মে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। সভার শুরুতে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে তিনি ভুল করেছেন। ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভোজ্যতেলে কারসাজি করেছেন। ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করেছেন। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে।

‘ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই মনে করে মন্ত্রীর এই মন্তব্যে ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দোকান ও গোডাউন থেকে ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এর জন্য এফবিসিসিআইকে কথা শুনতে হচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বক্তব্য জানতে চান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, ‘ভোজ্যতেল এখন একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে করণীয় কেউ বলছেন না। লাগাতার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর অভিযোগ চাপানো হচ্ছে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দোকানে যদি মাল মজুত না থাকে তাহলে ব্যবসা করব কীভাবে? রমজানের আগে বাজারে ঘাটতি দূর করতে ব্যবসায়ীরা দোকানে মাল মজুত করেছেন। অথচ এ জন্য ব্যবসায়ীদের নাজেহাল করা হচ্ছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘জোরজবরদস্তি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এভাবে চাপ দিলে ঘাটতি আরও বাড়বে।’

ভোজ্যতেলের বাজার স্বাভাবিক রাখতে মিল মালিকদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানান তিনি। গোলাম মাওলা বলেন, ‘মিল মালিকরা সাপ্লাই স্বাভাবিক রাখলে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের আর অপদস্থ হতে হবে না।’

রাজশাহীর এক ব্যবসায়ীর গুদামে ভোজ্যতেলের বড় মজুত ধরা পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর ওই ব্যবসায়ী কালোবাজারি করেননি। তিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে মাল মজুত করেছেন। তার ওপর যেভাবে অত্যাচার হয়েছে সেটি ঠিক হয়নি।’

তবে কিছু ব্যবসায়ী উদ্দেশ্যমূলকভাবে পণ্য মজুত করেছেন বলে স্বীকার করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি জহিরুল হক ভূইয়া। তিনি বলেন, ‘সংগঠনের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও আমরা দেখতে পেলাম কিছু কিছু ব্যবসায়ী কিছু পরিমাণ পণ্য স্টক করেছেন। আমরা মনে করি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

নিউ মার্কেটের দক্ষিণ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ‘সবাই মাল স্টক করেননি। কেউ কেউ করেছেন। তবে এর জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে অপদস্থ হতে হচ্ছে। এ ধরনের মজুত যারা করেন তারা রাষ্ট্রের শত্রু, সমাজের শত্রু এবং সরকারের জন্য ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে সমিতি কোনো আপত্তি তুলবে না।’

আরও পড়ুন:
এক গুদামে জব্দ ১৩ হাজার ৭৪৬ লিটার সয়াবিন
বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি-মজুত করায় জরিমানা
লুকিয়ে রাখা সয়াবিন তেল উদ্ধার সিরাজগঞ্জে
পুঠিয়ায় জব্দ তেল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে, আটক ৫
৭ জেলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The price of fish also increased by Tk 20 per kg in sugar

চিনিতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি, বেড়েছে মাছের দামও

চিনিতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি, বেড়েছে মাছের দামও ফাইল ছবি
নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার পাইকারি বাজার ঘুরে প্যাকেটজাত চিনি খুব একটা চোখে পড়েনি শুক্রবার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ ঠিক থাকলে চিনির বাজরের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকত।

সরকার নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কা না করে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি দামে ১৪০ টাকা দরে খোলা চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এর সঙ্গে রাজধানীর বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি।

নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার পাইকারি বাজার ঘুরে প্যাকেটজাত চিনি খুব একটা চোখে পড়েনি শুক্রবার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ ঠিক থাকলে চিনির বাজরের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকত।

শুধু চিনি নয়, সবজি থেকে শুরু করে মুরগি, মাছ, মসলা, পেঁয়াজ, তেল- সবকিছুর ঝাঁজ যেন ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে। তবে তুলনামূলক স্বস্তি আছে শাকে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকার মধ্যে সব ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চালের বাজার কিছুটা অপরিবর্তিত থাকলেও মসলার বাজারে আগুন ছড়িয়েছে যেন।

বুধবার খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম বেড়ে হয় ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজির দাম বেড়ে হয় ১২৫ টাকা। তবে বাজারে গিয়ে পাওয়া যায় ভিন্ন পরিস্থিতি।
তেজগাঁওয়ের মরন আলী রোডে শাহরাস্তি জেনারেল স্টোরে গিয়ে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যায়নি। খোলা চিনি থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।

একই অবস্থা কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে। সেখানে গিয়েও প্যাকেটজাত চিনি চোখে পড়ল না। পাশাপাশি খুচরা চিনি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশি দামে।

খুচরা বাজরে প্রায় সব সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। শুধু টমেটো ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পেঁপে ৮০ টাকা। বেগুনও ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে কারওয়ান বাজারে এসব সবজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি, লালশাক ১৫ টাকা, লাউশাক ও পুঁইশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে যে মাছ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজারে শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি। শিং ৬০০, বেলে ৬০০, চিংড়ি ৭৬০, ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা।

মাছ বিক্রেতা বিপদ চন্দ দাস বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাজারে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিং, বেলে এখন ৬০০ টাকা। সব জিনিসের দাম বেশি। মানুষ দাম শুইনা চইলা যায়।’

এ ছাড়া খাসির মাংস ৯৫০ টাকা। গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা ও আদা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের আল্লাহর দান জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, ‘সব মালের দাম বাড়তি। চালের দাম আগের রেটে আছে। বাড়ছে তেল, চিনি, জিরা, মসলার দাম। আগে বেচতাম ৫ লিটার তেল ৮৮০, এখন ৯৪০ টাকা। চিনি গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, এ সপ্তাহে ৩৫ টাকা। প্যাকেট চিনি পাচ্ছি না। মসুর ডাল ১৩৫ টাকা। মিনিকেট চাল ৭৬, নাজিরশাইল ৭৫ টাকা। পোলাওয়ের চাল ১৪০ টাকা।’

আরও পড়ুন:
মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়াল বিএসইসি
সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
কক্সবাজারে এসআইকে ছুরিকাঘাত, গ্রেপ্তার ৩

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Commerce Ministry will write to NBR to keep sugar import duty free

চিনির আমদানি শুল্ক: এনবিআরকে চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

চিনির আমদানি শুল্ক: এনবিআরকে চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দোকানে সাজিয়ে রাখা চিনি। ফাইল ছবি
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘চিনির শুল্কছাড় ৩১ মে শেষ হবে। এটা অব্যাহত রাখতে আমরা এনবিআরকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এ জন্য শুল্কহার আরও কমানোর সুপারিশ করব।’

চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ও ডলারের মূল্য বাড়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বুধবার আমদানি করা খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে আমদানি নীতি আদেশ-২০২১, ২০২৪ সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণবিষয়ক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘চিনির শুল্কছাড় ৩১ মে শেষ হবে। এটা অব্যাহত রাখতে আমরা এনবিআরকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এ জন্য শুল্কহার আরও কমানোর সুপারিশ করব।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির আমদানি কমেছে। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।

‘এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে চিনি বিক্রির জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তবে তারা আমাদেরকে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি।’

সচিব আরও বলেন, ‘যখনই কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে না, তখন আমরা এনবিআরকে শুল্কহার কমাতে অনুরোধ জানাই। তারা কখনও কমায়, আবার সম্ভব না হলে কমাতে পারে না।’

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক রেয়াত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করায় তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘তেলের শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও আমরা চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু এনবিআর তা করেনি।’

এ সময় ই-সিগারেটের আমদানির প্রসঙ্গও উঠে আসে। এর জবাবে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী আমদানি নীতি প্রণয়ন করা হবে।’

ই-সিগারেটের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে চিনিকলের জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫
দাম বাড়ানো না হলে বাজারে চিনি পাওয়া যাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
ফের দাম বাড়ছে চিনির
রমজানে চিনির দাম কমানোর উদ্যোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
ঠাকুরগাঁও চিনিকলে উঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of soybean oil increased

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের জন্য এখন থেকে ১৯৯ টাকা গুনতে হবে ক্রেতাকে। আগে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা।

ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা জানিয়ে সয়াবিন তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংস্থাটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের জন্য এখন থেকে ১৯৯ টাকা গুনতে হবে ক্রেতাকে। আগে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকার প্রদত্ত ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড ট্যারিফ কমিশনের সাথে আলোচনাক্রমে

ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নোক্তভাবে সমন্বয় করল।’

সমন্বয়কৃত মূল্য অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৬ টাকায়। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল ৯৬০ টাকা এবং খোলা পাম সুপার তেলের প্রতি লিটার বিক্রি হবে ১৩৫ টাকায়।

নির্ধারিত মূল্য অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sugar disappeared from Dhaka market even at high prices

ঢাকার বাজার থেকে চিনি উধাও

ঢাকার বাজার থেকে চিনি উধাও ফাইল ছবি
খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি কমই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি খোলা চিনির জন্যও ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বেড়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

সরবরাহ স্বল্পতার কারণে ঢাকার বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।

গত ৮ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির জন্য প্রতি কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে। যদিও ভোক্তারা এই মূল্যের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে। খবর ইউএনবির।

খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি কমই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি খোলা চিনির জন্যও ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বেড়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। গত মাসের শেষ দিকে ঈদুল ফিতরের পর থেকে চিনির সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি কোম্পানিগুলো সরবরাহ কম হওয়ায় সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির উচ্চমূল্যের জন্য সরবরাহ স্বল্পতার জন্য দায়ী করছেন যা অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে প্রভাবিত করছে।

তারা বেশি দামে আমদানি করতে যাবে কি না সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। দাম বেশি হওয়ায় তারাও আমদানি কমিয়েছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে চিনির দাম ১৫ শতাংশ বেড়েছে, এক বছরে তা বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।

কারওয়ান বাজারের চাদপুর স্টোরের সালমত সরদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি পর্যায়ে কেনা খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকার বেশি। তারপরও ডিলাররা ক্রয় রশিদ দিচ্ছেন না।

তুরস্ক থেকে আসছে চিনি

তুরস্ক থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৮২ টাকা ৮৯ পয়সা কেজি দরে কেনা হবে এই চিনি। আগের তুলনায় প্রতি কেজি চিনি কিনতে প্রায় ৬ টাকা কম খরচ হচ্ছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এ চিনি কেনা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে কোটি ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন:
দাম বাড়ানো না হলে বাজারে চিনি পাওয়া যাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
ফের দাম বাড়ছে চিনির
রমজানে চিনির দাম কমানোর উদ্যোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
ঠাকুরগাঁও চিনিকলে উঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনা
চিনির দাম বেশি রাখলে জেলে যেতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The government is bringing 12 thousand tons of sugar from Türkiye

তুরস্ক থেকে ১২ হাজার টন চিনি আনছে সরকার

তুরস্ক থেকে ১২ হাজার টন চিনি আনছে সরকার ফাইল ছবি
মাহবুব খান বলেন, এ চিনি কিনতে মোট খরচ হবে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনি কেনা হচ্ছে ৮২ টাকা ৮৯ পয়সা দিয়ে। প্রতি কেজি চিনির আগের ক্রয় মূল্য ছিল ৮৮ টাকা ৭৪ পয়সা।

তুরস্ক থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৮২ টাকা ৮৯ পয়সা কেজি দরে কেনা হবে এই চিনি। আগের তুলনায় প্রতি কেজি চিনি কিনতে প্রায় ৬ টাকা কম খরচ হচ্ছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এ চিনি কেনা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে কোটি ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের স্মাটেক ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মাহবুব খান বলেন, এ চিনি কিনতে মোট খরচ হবে ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনি কেনা হচ্ছে ৮২ টাকা ৮৯ পয়সা দিয়ে। প্রতি কেজি চিনির আগের ক্রয় মূল্য ছিল ৮৮ টাকা ৭৪ পয়সা।

এর আগে ১২ এপ্রিল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি মালয়েশিয়ার ব্রিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডির (স্থানীয় এজেন্ট, জেআই ট্রেডার্স, ঢাকা) কাছ থেকে ৬৮ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। সে সময় প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা।

আরও পড়ুন:
চাহিদা বাড়ায় চিনির দাম বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনির দাম কমল
দামে লাগাম টানতে চিনির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inflation 924 in April

এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৯.২৪%

এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৯.২৪% প্রতীকী ছবি
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছে, এই বছরের এপ্রিলে তা কিনতে ১০৯ টাকা ২৪ পয়সায়। মার্চে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে ব্যয় হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ফেব্রুয়ারিতে লেগেছিল ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা। জানুয়ারিতে লেগেছিল ১০৮ টাকা ৫৭ পয়সা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের দশম মাস এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

আগের মাস মার্চে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির এই হিসাবের অর্থ হলো ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছে, এই বছরের এপ্রিলে তা কিনতে ১০৯ টাকা ২৪ পয়সায়। মার্চে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে ব্যয় হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ফেব্রুয়ারিতে লেগেছিল ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা। জানুয়ারিতে লেগেছিল ১০৮ টাকা ৫৭ পয়সা।

চলতি এপ্রিল থেকে নতুন নিয়মে গণনা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। আগে মূল্যস্ফীতি গণনার বাস্কেটে ছিল ৮টি গ্রুপ, এখন হয়েছে ১২টি গ্রুপ। আগে ৪২২টি পণ্য থেকে মূল্যস্ফীতির তথ্য বের করা হতো। এখন ৭২০টি পণ্য থেকে মূল্যস্ফীতির তথ্য বের করা হবে। আগে বেজ ইয়ার ছিল ২০০৫-২০০৬। এখন বেজ ইয়ার হয়েছে ২০২১-২০২২।

এপ্রিলে কমার আগে টানা তিন মাস মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল দেশে। আগের মাস মার্চের মূল্যস্ফীতি ছিল সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস অর্থাৎ ২০২২ সালের আগস্ট মাসে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। যা ছিল গত এক যুগের মধ্যেও সর্বোচ্চ।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার প্রবণতা ছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ঠিক এ রকম এক সময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। এর পরপরই বাড়ানো হয় সব ধরনের পরিবহন ভাড়া। এই দুইয়ের প্রভাবে বেড়ে যায় প্রায় সব পণ্যের দাম। ফলে পরের মাস আগস্টে মূল্যস্ফীতি এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়।

মাঝে কয়েকটা মাস বাড়ার প্রবণতায় লাগাম থাকলেও রোজাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে, এতে ফের বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারিতে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যমতে, এপ্রিলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মার্চে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। মার্চেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল একই।

গত কয়েক মাস ধরেই মজুরি সূচক অল্প অল্প করে বাড়ছে। অক্টোবরে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয় ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সর্বশেষ জানুয়ারিতে তা আরও খানিকটা বেড়ে ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশে ওঠে। ফেব্রুয়ারি মাসে হয় ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। মার্চ মাসে মজুরি সূচক বেড়ে হয়েছিল ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। এপ্রিল মাসে মজুরি সূচক বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
‘মূল্যস্ফীতির জন্য যুদ্ধের পাশাপাশি দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা দায়ী’
চার মাস ধরে কমছে মূল্যস্ফীতি
খাবারের দাম শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি
৩২ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি অস্ট্রেলিয়ায়
মূল্যস্ফীতি চড়া, কম খাচ্ছে মানুষ : সিপিডি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of fish and meat is the same as before

মাছ-মাংসের দাম ঈদের আগের মতোই

মাছ-মাংসের দাম ঈদের আগের মতোই ফাইল ছবি
ঈদের আগে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে, টমেটো ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ছোট দেশি করলা ৬০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজান মাসের শেষের দিকে মাছ-মাংসের দাম যেমন ছিল, রাজধানীর বাজারগুলোতে এসব খাদ্য পণ্যের দাম এখনও প্রায় তেমনই আছে। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে সবজি কিনতে গিয়ে।

ঈদের ছুটি শেষ হলেও নগরী অনেকটাই ফাঁকা। কেউ কেউ বাজারে যাচ্ছেন, তবে দোকানিদের ছুটি এখনও শেষ হয়নি। পুরোপুরি ব্যবসা শুরু করেননি অনেক বাজারের দোকানদার। শুক্রবার বেশ কিছু বাজার ঘিরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাড্ডা, রামপুরা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের দাম ঈদের পর বরং বেড়ে গেছে। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাকে এখন গুনতে হচ্ছে ৮০০ টাকা, যা ঈদের আগের সপ্তাহেও ছিল ৭৫০ টাকা। এই মাংসের দাম এক লাফে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।

মাংস বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের এই দাম কোরবানির ঈদের আগে আর কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাড্ডা বাজারের সততা হালাল গোস্ত বিতানের ব্যবসায়ী জসীম বলেন, ‘আমাদের বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। তাই মাংসের দামও কেজিতে বেড়েছে। দাম বাড়লে আমাদের বিক্রি কম হয়। আমরা তো ইচ্ছা কইরা দাম বাড়াই না। এই দাম কোরবানির আগে আর কমবে বলে আমার মনে হয় না।’

একই বাজারে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টা মাছের দোকানের মধ্যে মাত্র দুইটা দোকান খোলা। বাকিগুলোয় কেউ এখনো বসেননি। অন্য বাজারে বিক্রেতারা বসলেও ক্রেতা তেমন একটা নেই।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে, টমেটো ৪০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ছোট দেশি করলা ৬০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা মাসুম রহমান বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা যেসব সবজি বিক্রি করেছি, এখন সেগুলোর ক্রেতা কম হওয়ায় আর পচনশীল হওয়ায় দাম কমে গেছে। এই দাম আরও কিছুদিন কমের মধ্যেই থাকবে।’

ঈদের আগে থেকেই যে মাছের দাম চড়েছিল, সেই দাম এখনো স্থিতিশীল আছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী বললেন, ঈদের পর মুরগির পাশাপাশি মাছের চাহিদা বেশি ছিল। তাই মাছের দাম আর কমেনি। তা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী মাছের সরবরাহও কম।

বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৪০ টাকা, শিং মাছ ৪৬০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে কয়েক দিন হট্টগোল চলছিল। তারপর বাজারে অভিযান চালানোর পর দাম কিছুটা কমিয়ে আনা হয়। তখন কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে এ দাম ঈদের পর আবার এখন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ৩৪০ টাকা আর ‘কক’ মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।

রামপুরা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদে ব্রয়লারের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়ছিল। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ছিল না। আর এমনিতেও আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এখন আমাদের কেনাই পড়তেছে ২৩২ টাকা কেজি। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা ২৪০ টাকা বিক্রি করব।’

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন
লেনদেন ছাড়াল ৭৬৫ কোটি
ট্রলারে ১০ মরদেহ: দুই আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে