ঈদ অবসর কাটিয়ে দুই দিন ফুরফুরে মেজাজে কাটানো পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই পতন হলো। তবে টানা দ্বিতীয় দিন লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে তা গত প্রায় তিন মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছল।
আগের দুই দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার লেনদেন শুরু হয় সূচক বেড়েই। প্রথম আধা ঘণ্টাতেই সূচক বেড়ে যায় ২৮ পয়েন্ট। গত ৪ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো সূচক ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে লেনদেন হতে থাকে।
এরপর কিছুটা কমলেও বেলা একটার সময়ও সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই বিক্রয় চাপ তৈরি হয়। দ্রুত নামতে থাকে সূচক।
এক ঘণ্টা ২৩ মিনিটে সূচক পড়ে যায় ৫৯ পয়েন্ট। শেষ সাত মিনিটে সেখান থেকে কিছুটা বেড়ে লেনদেন শেষ হয় ৩২ পয়েন্ট কমে।
আগের দুই দিন সূচক ৫৪ পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের পর প্রথমবারের মতো এক হাজার দুই শ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে সোমবার। বিক্রয়চাপের মধ্যেও আগের দিনের লেনদেনকে ছাড়িয়ে যায় পুঁজিবাজার।
শেষ পর্যন্ত হাতবদল হয় এক হাজার ২৫৮ কোটি ৫৮ হাজার টাকার, যা গত ১৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ২৭৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
টানা দুই দিন দুই শরও বেশি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি দেখার পর আজ দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। এক দিনেই হারিয়েছে ২০৫টি কোম্পানির দর। বিপরীতে বেড়েছে ১৩০টির। আর ৪৫টি দর ধরে রাখতে পারে।
খাতভিত্তিক বিবেচনা করলে দারুণ দিন গেছে সাধারণ বিমা খাতে। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির দর বেড়েছে, বিপরীতে হারিয়েছে ৬টি আর অপরিবর্তিত থাকে দুটির দর।
অবশ্য জীবন বিমা খাতের কোম্পানিগুলোতে দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। এই খাতের দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে হারিয়েছে ১১টি।
এ ছাড়া বস্ত্র খাতে বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এই খাতের ১৯টি কোম্পানি দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ৩১টির দর। বাকি ৯টি দর ধরে রাখতে পারে।
ব্যাংক, আর্থিক খাত, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং বিবিধ খাতে যত কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে অনেক বেশি।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ শতাংশের আশেপাশে দর কমেছে ১১টি কোম্পানির। সম্প্রতি এক দিনে এত বেশি কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমায় লেনদেন হতে দেখা যায়নি।
আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল দুই, তার আগের দিন একটি।
অন্যদিকে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে চারটি কোম্পানির। আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল পাঁচটি, তার আগের দিন আরও বেশি।
সূচক কমাল যেসব কোম্পানি
সূচক সবচেয়ে বেশি ৪.০১ পয়েন্ট কমিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির দর কমেছে ২.০৪ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ১৪৬ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ১৪৩ টাকা ৮০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.৮১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ, আইসিবি। কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২.৮৮ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ২.৮৮ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো। কোম্পানিটির দর ০.৬০ শতাংশ কমায় এই পরিমাণ সূচক কমেছে।
এছাড়া রবির শেয়ারদর ০.৯৩ শতাংশ কমায় ২.৪ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দর ১.৪২ শতাংশ কমায় ১.৯৫ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিডের দর ২.৫৮ শতাংশ কমায় ১.৭৪ পয়েন্ট, সোনালী পেপারের দর ৪.২৪ শতাংশ কমায় ১.৩৫ পয়েন্ট, জিপিএইচ ইস্পাতের দর ৩.১ শতাংশ কমায় ১.২ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৪.১২ শতাংশ কমায় ১.১৬ পয়েন্ট, আইডিএলসির দর ৩.১৭ পয়েন্ট কমায় ১.০৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক কমেছে ২১.৫৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১.৫৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে পূবালী ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ারদর ৩.৭৬ শতাংশ বাড়ার কারণে এই সূচক বেড়েছে।
এর বাইরে এসিআই ফর্মুলেশনের শেয়ারদর ১০ শতাংশ বাড়ায় সূচকে ১.৩৪ পয়েন্ট, এনভয় টেক্সটাইলের দর ৯.৫৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১.০৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
এছাড়া ইউনিলিভার, বেক্সিমকো ফার্মা, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, স্কয়ার টেক্সটাইল, বিকন ফার্মা ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি মিলে যোগ করতে পেরেছে ৮.৬১ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে এসিআই ফর্মুলেশনের দর। কোম্পানিটির দর আগের দিন ছিল ১৮৬ টাকা। এক দিনে ১৮ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২০৪ টাকা ৬০ পয়সা।
আরও তিনটি কোম্পানির দর বেড়েছে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি। এর মধ্যে বঙ্গজের দর ৯.৯৪ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডমিল লিমিটেডের দর ৯.৬০ শতাংশ, ঢাকা ডায়িংয়ের দর ৯.৫৯ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৯.৫৮ শতাংশ।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.৭৪ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দর ৬.৮৯ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের দর ৫.৯৬ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফেকচারিংয়ের দর ৫.৮৮ শতাংশ এবং রিংশাইন টেক্সটাইলের দর ৫.৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
আরও দুটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, একটির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৯টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
টানা তৃতীয় দিন এই তালিকার শীর্ষে ছিল ইমামবাটন, যার দর এই তিন দিন কমল একদিনে যত কমা সম্ভব ততটাই।
আজ কমেছে ঠিক ঠিক ৫ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৫৬ টাকা। সেটি কমে গয়েছে ৫৩ টাকা ২০ পয়সা।
এক যুগেও লভ্যাংশ নিতে না পারা কোম্পানিটির দর গত ফেব্রুয়ারি থেকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে বাড়তে আড়াইগুণ হয়ে গিয়েছিল।
কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে গিয়ে এখন কমছে।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা বা কাছাকাছি গিয়ে লেনদেন শেষ করেছে সাভার রিফ্রাকটরিজ, জেএমআই হসপিটাল, মনস্পুল পেপার, সেনিনসুলা, ন্যাশনাল পলিমার, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, সোনালী পেপার, এডভেন্ট ফার্মা ও শ্যামপুর সুগার।
আরও তিনটি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২৭টির দর ৩ শতাংশের বেশি এবং ৪১টির দর কমেছে ২ টাকার বেশি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য