দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে ঈদের আগের সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর যে ইঙ্গিত ছিল, সেটি ঈদের অবসর শেষে আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
ঈদের ছুটি শেষে দুই দিনের সাপ্তাহিক বন্ধের আগে একটি মাত্র কর্মদিবসে লেনদেন কমে গেলেও রোববার লেনদেন হয় গত ৩১ মার্চের পর সর্বোচ্চ।
সোমবার সেটি আরও বেড়ে গত প্রায় তিন মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে গেল। দিন শেষে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২০৮ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৫১ কর্মদিবস আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
রোজা শুরুর আগের কর্মদিবস গত ৩১ মার্চের পর এই প্রথম লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়াল।
সূচকের অবস্থানও গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৬৯৮ পয়েন্ট, যা গত ৪ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৭১৮ পয়েন্ট।
২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পুঁজিবাজারে যে চাঙাভাব দেখা যায়, তা চালু থাকে পৌনে দুই বছরেরও বেশি সময়। তবে গত সেপ্টেম্বরে বাজার সংশোধনে যাওয়ার পর দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে মতভিন্নতাসহ নানা ইস্যু সামনে আসে।
চলতি বছরের শুরুতে সংশোধন শেষে বাজারে আবার স্বাভাবিক গতি ফেরে কি না- এই আলোচনার মধ্যে আবার জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে ধীরগতি দেখা দেয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ধস নামে। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
সে সময় ধস ঠেকাতে বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে বিএসইসি। পাশাপাশি এক দিনে দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর প্রমাণ হলেও পরে দেখা যায় ২ শতাংশের এই নির্দেশনার কারণে লেনদেন কমে যাচ্ছে। কারণ এই পরিমাণ দাম কমার পর ভালো কোম্পানির শেয়ারেরও ক্রেতা উধাও হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে দিনের পর দিন দরপতন আর লেনদেন একপর্যায়ে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসার পর বিএসইসি গত ২০ এপ্রিল এক দিনে দরপতনের সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করে।
পর দিন থেকেই বাজারে লেনদেন বাড়তে থাকে। হাতে গোনা দুই-এক দিন কেবল কমে।
কোনো কোম্পানির ২ শতাংশ দরপতন পুঁজিবাজারে খুবই স্বাভাবিক একটি চিত্র। এমনটিও দেখা গেছে দাম কমার পর চাহিদা বাড়লে পরে আবার দর বাড়ে।
২ শতাংশের বাধা কাটার পর এভাবেই শেয়ারের কেনাবেচা বাড়ে। আর ক্রয়চাপ বাড়তে থাকলে শেয়ারদর, সূচক, লেনদেন সবই বাড়তে থাকে।
দিন শেষে বেড়েছে ২৪২টি কোম্পানির দর। বিপরীতে দর হারিয়েছে ৭৭টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত থাকে ৬১টির দর।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে কেবল দুটি কোম্পানি, যার একটির দর গত তিন মাসে আড়াই গুণ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ছয়টি কোম্পানির। আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল আরও তিনটি বেশি।
ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিমা, আর্থিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিবিধ খাতে দেখা গেছে চাঙাভাব। তবে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
পুঁজিবাজারের এই প্রবণতা নিয়ে এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, 'ঈদের পরে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিছু শেয়ার কিনছেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরও অংশগ্রহণ বেড়েছে। যার কারণে শেয়ারের দাম অল্প পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেনও বেশ ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাজার এখন স্বাভাবিক। আশা করা যায়, এই বিনিয়োগটা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে এবং বাজার ইতিবাচক থাকবে।'
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
সূচক সবচেয়ে বেশি ৫.৬২ পয়েন্ট বাড়িয়েছে আইসিবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬.০২ শতাংশ বাড়ায় সূচকে এই পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৪ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে রবির শেয়ারদর ১.২৬ শতাংশ বাড়ার কারণে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.২২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে আরএকে সিরামিকস, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৫.৫৪ শতাংশ।
এছাড়া একমি ল্যাবরেটরিজ ১.১৯ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি ১.১১ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ১.০৭ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ০.৯৪ পয়েন্ট, এসিআই এবং এসিআই ফর্মুলেশন ও স্কয়ার ফার্মা ০.৯১ পয়েন্ট করে সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬.২৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সূচক সবচেয়ে বেশি ৩.০৯ পয়েন্ট কমেছে গ্রামীণ ফোনের দর ০.৬২ শতাংশ কমার কারণে।
পূবালী ব্যাংকের দর ৩.৬১ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১.১৮ পয়েন্ট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো সূচক কমিয়েছে ১ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ০.৬৮ শতাংশ।
এছাড়া ইবিএল, ইউনিলিভার, বিকন ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, জেনেক্সিল ও ইউসিবি ব্যাংক সূচক নিচের দিকে টেনে ধরায় মুখ্য ভূমিকায় ছিল।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে যারা
এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে মোট পাঁচটি কোম্পানির দর।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে এসিআই ফর্মুলেশনের দর। আগের দির দর ছিল ১৬৯ টাকা ১০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৮৬ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। কোম্পানিটির দর পর পর তৃতীয় দিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে।
এছাড়া ন্যাশনাল ফিডমিল, ইস্টার্ন হাউজিং ও সিভিও পেট্রোক্যামিকেলসের দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
শীর্ষ দশে থাকা এপেক্স ট্যানারির দর ৮.৯৯ শতাংশ, লোকসানি ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর ৮.৩৩ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের দর ৬.৭৪ এবং এডিএন টেলিকমের দর বেড়েছে ৬.৭৪ শতাংশ।
শীর্ষ দশের বাইরে আরও চারটি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৭টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৭টির দর ৪ শতাংশের বেশি এবং ১৫টির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পর পর দ্বিতীয় দিন এই তালিকার শীর্ষে দেখা গেছে ইমাম বাটন, যার দর কমেছে ৪.৯২ শতাংশ।
দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকেরও। ৪ টাকা ৪০ পয়সার শেয়ারটির দর সর্বোচ্চ ২০ পয়সা কমার সুযোগ ছিল। কমেছেও ততটাই। শতকরা হিসেবে দর কমেছে ৪.৫৪ শতাংশ।
অন্য আটটি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি কোম্পানির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। এগুলো হলো পূবালী ব্যাংক, জেনেক্সিল ইনফোসিস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ।
দর পতনের শীর্ষ দশের অন্য দুটি কোম্পানি হলো আইপিডিসি ও লাভোলো আইসক্রিম।
আরও দুটির দর ২ শতাংশের বেশি এবং ২০টির দর কমেছে এক শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য