দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে ঈদের আগের সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর যে ইঙ্গিত ছিল, সেটি ঈদের অবসর শেষে আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
ঈদের ছুটি শেষে দুই দিনের সাপ্তাহিক বন্ধের আগে একটি মাত্র কর্মদিবসে লেনদেন কমে গেলেও রোববার লেনদেন হয় গত ৩১ মার্চের পর সর্বোচ্চ।
সোমবার সেটি আরও বেড়ে গত প্রায় তিন মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে গেল। দিন শেষে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২০৮ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৫১ কর্মদিবস আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
রোজা শুরুর আগের কর্মদিবস গত ৩১ মার্চের পর এই প্রথম লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়াল।
সূচকের অবস্থানও গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৬৯৮ পয়েন্ট, যা গত ৪ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৭১৮ পয়েন্ট।
২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পুঁজিবাজারে যে চাঙাভাব দেখা যায়, তা চালু থাকে পৌনে দুই বছরেরও বেশি সময়। তবে গত সেপ্টেম্বরে বাজার সংশোধনে যাওয়ার পর দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে মতভিন্নতাসহ নানা ইস্যু সামনে আসে।
চলতি বছরের শুরুতে সংশোধন শেষে বাজারে আবার স্বাভাবিক গতি ফেরে কি না- এই আলোচনার মধ্যে আবার জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে ধীরগতি দেখা দেয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ধস নামে। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
সে সময় ধস ঠেকাতে বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে বিএসইসি। পাশাপাশি এক দিনে দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর প্রমাণ হলেও পরে দেখা যায় ২ শতাংশের এই নির্দেশনার কারণে লেনদেন কমে যাচ্ছে। কারণ এই পরিমাণ দাম কমার পর ভালো কোম্পানির শেয়ারেরও ক্রেতা উধাও হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে দিনের পর দিন দরপতন আর লেনদেন একপর্যায়ে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসার পর বিএসইসি গত ২০ এপ্রিল এক দিনে দরপতনের সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করে।
পর দিন থেকেই বাজারে লেনদেন বাড়তে থাকে। হাতে গোনা দুই-এক দিন কেবল কমে।
কোনো কোম্পানির ২ শতাংশ দরপতন পুঁজিবাজারে খুবই স্বাভাবিক একটি চিত্র। এমনটিও দেখা গেছে দাম কমার পর চাহিদা বাড়লে পরে আবার দর বাড়ে।
২ শতাংশের বাধা কাটার পর এভাবেই শেয়ারের কেনাবেচা বাড়ে। আর ক্রয়চাপ বাড়তে থাকলে শেয়ারদর, সূচক, লেনদেন সবই বাড়তে থাকে।
দিন শেষে বেড়েছে ২৪২টি কোম্পানির দর। বিপরীতে দর হারিয়েছে ৭৭টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত থাকে ৬১টির দর।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে কেবল দুটি কোম্পানি, যার একটির দর গত তিন মাসে আড়াই গুণ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে ছয়টি কোম্পানির। আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল আরও তিনটি বেশি।
ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিমা, আর্থিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিবিধ খাতে দেখা গেছে চাঙাভাব। তবে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
পুঁজিবাজারের এই প্রবণতা নিয়ে এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, 'ঈদের পরে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিছু শেয়ার কিনছেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরও অংশগ্রহণ বেড়েছে। যার কারণে শেয়ারের দাম অল্প পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেনও বেশ ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাজার এখন স্বাভাবিক। আশা করা যায়, এই বিনিয়োগটা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে এবং বাজার ইতিবাচক থাকবে।'
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
সূচক সবচেয়ে বেশি ৫.৬২ পয়েন্ট বাড়িয়েছে আইসিবি। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬.০২ শতাংশ বাড়ায় সূচকে এই পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৪ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে রবির শেয়ারদর ১.২৬ শতাংশ বাড়ার কারণে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১.২২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে আরএকে সিরামিকস, যার শেয়ারদর বেড়েছে ৫.৫৪ শতাংশ।
এছাড়া একমি ল্যাবরেটরিজ ১.১৯ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি ১.১১ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ১.০৭ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ০.৯৪ পয়েন্ট, এসিআই এবং এসিআই ফর্মুলেশন ও স্কয়ার ফার্মা ০.৯১ পয়েন্ট করে সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬.২৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সূচক সবচেয়ে বেশি ৩.০৯ পয়েন্ট কমেছে গ্রামীণ ফোনের দর ০.৬২ শতাংশ কমার কারণে।
পূবালী ব্যাংকের দর ৩.৬১ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১.১৮ পয়েন্ট।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো সূচক কমিয়েছে ১ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ০.৬৮ শতাংশ।
এছাড়া ইবিএল, ইউনিলিভার, বিকন ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, জেনেক্সিল ও ইউসিবি ব্যাংক সূচক নিচের দিকে টেনে ধরায় মুখ্য ভূমিকায় ছিল।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৯ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে যারা
এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে মোট পাঁচটি কোম্পানির দর।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে এসিআই ফর্মুলেশনের দর। আগের দির দর ছিল ১৬৯ টাকা ১০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৮৬ টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের দর।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। কোম্পানিটির দর পর পর তৃতীয় দিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে।
এছাড়া ন্যাশনাল ফিডমিল, ইস্টার্ন হাউজিং ও সিভিও পেট্রোক্যামিকেলসের দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
শীর্ষ দশে থাকা এপেক্স ট্যানারির দর ৮.৯৯ শতাংশ, লোকসানি ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর ৮.৩৩ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের দর ৬.৭৪ এবং এডিএন টেলিকমের দর বেড়েছে ৬.৭৪ শতাংশ।
শীর্ষ দশের বাইরে আরও চারটি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৭টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৭টির দর ৪ শতাংশের বেশি এবং ১৫টির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পর পর দ্বিতীয় দিন এই তালিকার শীর্ষে দেখা গেছে ইমাম বাটন, যার দর কমেছে ৪.৯২ শতাংশ।
দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকেরও। ৪ টাকা ৪০ পয়সার শেয়ারটির দর সর্বোচ্চ ২০ পয়সা কমার সুযোগ ছিল। কমেছেও ততটাই। শতকরা হিসেবে দর কমেছে ৪.৫৪ শতাংশ।
অন্য আটটি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি কোম্পানির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি। এগুলো হলো পূবালী ব্যাংক, জেনেক্সিল ইনফোসিস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ।
দর পতনের শীর্ষ দশের অন্য দুটি কোম্পানি হলো আইপিডিসি ও লাভোলো আইসক্রিম।
আরও দুটির দর ২ শতাংশের বেশি এবং ২০টির দর কমেছে এক শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য