সুইচিং সিস্টেম আপগ্রেড করার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) এটিএম বুথ ও সিআরএম তিন দিন বন্ধ থাকবে।
শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা এসব সেবা বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস), ই-কমার্স, রকেট ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের সেবাও ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
ব্যাংকটি জানায়, ৫ মে রাত ১২টা ১ মিনিট তথা ৬ মে থেকে ৮ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এটিএম ও সিআরএম সেবা ৭২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
সুইচিং সিস্টেম আপগ্রেড করার জন্য এটিএম/সিআরএম, পিওএস, ই-কমার্স, নেক্সাসপে, নেক্সাস ডেবিট কার্ড, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্ড, রকেট, ভিসা ও মাস্টারকার্ড, ডেবিট কার্ড এবং মাস্টারকার্ড, ক্রেডিট কার্ড সেবা ৬ থেকে ৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও পিওএস সেবা বন্ধ থাকবে ৩৬ ঘণ্টা।
৫ মে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৭ মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পিওএস সেবা নিতে পারবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ‘স্মার্ট ব্যাংকিং টুওয়ার্ডস এক্সিলেন্স ইন অ্যাসেট কোয়ালিটি’ শীর্ষক মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. নাইয়ার আজম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকটির সব জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জরা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) থেকে সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক, সনদ ও অন্যান্য ফি আদায়ের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং এমআরএর মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার এমআরএ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠান হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
এমআরএর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম ও এমআরএর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ।
সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাষ চন্দ্র দাস এবং এমআরএর পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ মাজেদুল হক চুক্তিতে সই করেন।
অন্যদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল ও মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস এনডিসি, সোনালী ব্যাংক পিএলসির জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরূন নবী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমান, এমআরএর পরিচালক মো. নূরে আলম মেহেদী, উপ-পরিচালক মো. সাহিদুল হাসান এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে সোনালী ব্যাংকের সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে অনলাইনে ঘরে বসেই এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ৭৩১টি ও সাময়িক সনদপ্রাপ্ত ৩৫০টি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বাৎসরিক ও সনদ ফিসহ অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Sonali e-Sheba’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে দেশ-বিদেশ থেকে দুই মিনিটে ব্যাংক হিসাব খোলা যায়।
অপর দিকে ‘Sonali e-Wallet’ এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং লেনদেন করা যায়।
এতে অনলাইনে যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌছাঁনো সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন:দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
গত বছরের মার্চে ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতে মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশই বর্তমানে খেলাপি। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রয়েছে ৫৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর তিন হাজার ৪২ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ঋণ খেলাপি। আর সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংকের মোট ঋণের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো এখন নিজেরাই নিজেদের ঋণ পুনঃতফসিল করছে। ফলে ব্যাংক নিজেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। তাই খেলাপি ঋণের এ তথ্য প্রকৃত চিত্র নয়। বাস্তবে খেলাপি ঋণ আরও বেশি হতে পারে। অনেক ব্যাংক ঋণ আদায় করতে না পেরে তারল্য-সংকটে ভুগছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মার্চে খেলাপি ঋণ দেয়ায় অনেক ব্যাংক দেরি করেছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কাজ করছে। ফলে বাস্তবে খেলাপি ঋণ এর চেয়েও বেশি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা হলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে তা প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। কারণ আইএমএফ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি দেখানোর পক্ষে।
সরকার আইএমএফের কাছে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করে। তার অংশ হিসেবে আইএমএফের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে নানা পরামর্শ দেয় আইএমএফ। সে সময় খেলাপি ঋণকে ব্যাংক খাতের অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়েও জানতে চায় বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘বিতরণ করা এসব ঋণের বেশিরভাগই অসৎ উপায় অবলম্বন করে দেয়া হয়েছে। এমন লোকদের ঋণ দেয়া হয়েছে, যারা পরবর্তী সময়ে এসব টাকা আর পরিশোধ করছে না।
‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এসব ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জড়িত থাকে। এসব ঋণ এখন আর ফেরত আসছে না। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দিন দিন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। আর্থিক খাত দুর্বল হওয়ার কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আর্থিক খাতে নানা রকম কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব খেলাপি ঋণের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, সেসব বিষয়ে তারা এড়িয়ে যায়।’
আহসান মনসুর বলেন, ‘যারা ভালো কাজ করে তাদেরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাস্তি দেয়। আর যারা খারাপ কাজ করে তাদের বিষয়ে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয় না।’
আরও পড়ুন:রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশে রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
রোববার ‘রূপালী ব্যাংক রেমিট্যান্স সেবা কর্মসূচি’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এ সময় কাজী ছানাউল হক দেশের স্বার্থে গ্রাহকদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রূপালী ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করাই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রূপালী ব্যাংকের পুরনো রেমিট্যান্স গ্রাহকদের ব্যাংকে ফিরিয়ে আনা এবং নতুন গ্রাহক সৃষ্টি করাই এ ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য। রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে।’
ক্যাম্পেইনটি ২৮ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ জুন।
আগামী এক মাসে প্রবাসীরা রূপালী ব্যাংকে টাকা পাঠালেই পাবেন লটারি জেতার সুযোগ।
ক্যাম্পেইন চলাকালে প্রতি সপ্তাহে রূপালী ব্যাংকের রেমিট্যান্স গ্রাহকদের মধ্যে লটারি হবে। প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন বিজয়ী হবেন।
লটারির পুরস্কার হিসেবে রয়েছে পাঁচটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, পাঁচটি ৪০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি, পাঁচটি মাইক্রোওয়েভ ওভেন, পাঁচটি স্মার্টফোন ও পাঁচটি ডিনার সেটসহ ২৫টি পুরস্কার।
এই উদ্যোগের ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হবে, যা ডলার সংকটের মুহূর্তে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি বয়ে আনবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে রূপালী ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে বিতরণ করা ক্যাশ রেমিট্যান্সের বেনিফিসিয়ারীরা ও যে সব গ্রাহক বিদেশ থেকে রূপালী ব্যাংকের চুক্তিবদ্ধ এক্সচেঞ্জ হাউস/ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠাবেন, তারা পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য বিবেচিত হবেন।
প্রতি সপ্তাহ শেষে পরবর্তী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লটারির ড্র হবে।
লটারি বিজয়ীদের নাম রূপালী ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে প্রচার করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি তাহমিনা আখতার ও হাসান তানভীর, মহাব্যবস্থাপক মো. হারুনুর রশিদ, মো. ফয়েজ আলম, মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান ও মো. ইসমাইল হোসেন শেখ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:সোনালী ব্যাংকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী তদন্তবিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আইটি ল্যাবে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য এ.বি.এম রূহুল আজাদ, মোল্লা আবদুল ওয়াদুদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, আইন পরামর্শক মো. বারেকুজ্জামান।
প্রশিক্ষণে ব্যাংকের বিভিন্ন ডিভিশন ও নিয়ন্ত্রণকারী কার্যালয়ের ২০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
এক সময়কার মিঞা সাহেব ময়দান বর্তমানে লক্ষ্মীবাজার নামে পরিচিত। পুরান ঢাকার জনবহুল ঐতিহাসিক এ এলাকায় উপশাখা উদ্বোধন করল পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখানে অবস্থিত। শুধু তাই নয় এর পাশেই আছে ধোলাই খাল, যা কারিগরি প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য বিখ্যাত। এই এলাকার ব্যবসায়ীদের আর্থিক লেনদেন সহজ ও দ্রুত করতেই সম্প্রতি লক্ষ্মীবাজার উপশাখার কার্যক্রম শুরু করল পদ্মা ব্যাংক।
ইমামগঞ্জ শাখার অধীনে এটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ নিয়ে পদ্মা ব্যাংকের অষ্টম উপশাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো।
এই উপশাখায় সব ধরনের ব্যাংক হিসাব খোলা, নগদ টাকা জমা ও উত্তোলন, চেক বই ও পে অর্ডার ইস্যু, ক্লিয়ারিং চেক ও পে-অর্ডার জমা, আমানত ও ঋণ সুবিধা, রিয়েল টাইম অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা, ইউটিলিটি বিল জমাসহ সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সোমবার উপশাখাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পদ্মা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “বদলে যাও বদলে দাও, বদলে যাবে পদ্মা ব্যাংক”-স্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করছি আমরা। অভিজ্ঞ ও দক্ষ এক পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে, সুশান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছে কর্মঠ ও একনিষ্ঠ কর্মীরা। গ্রাহকরাই আমাদের প্রেরণা। আর তাই গ্রাহকদের আধুনিক ও মানসম্পন্ন সেবা দিতেই উপশাখা বাড়িয়ে চলেছি আমরা”।
তিনি আরও বলেন, “লক্ষ্মীবাজার উপশাখার মাধ্যমে ঐতিহাসিক এই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে যথাযথ আর্থিক ও প্রতিষ্ঠানিক সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এসএমই, এগ্রি অ্যান্ড উই হেড মো. রিয়াজুল ইসলাম, রিটেইল ব্যাংকিং হেড রকিবুল হাসান চৌধুরী, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স হেড সায়ন্তনী ত্বিষা -সহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সরকারি সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবির মূল মালিকানায় পরিচালিত চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড দেশজুড়ে ৬০টি শাখা, উপশাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সোনালী ব্যাংক প্রাতিষ্ঠানিক কমিটি, খুলনা আঞ্চলিক কমিটি ও নড়াইল আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সূরা ফাতেহা পাঠ এবং জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সোনালী ব্যাংক পিএলসির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার গাজী মিজানুর রহমান, জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ও খুলনা আঞ্চলিক কমিটির উপদেষ্টা নন্দিতা চক্রবর্তী, উপদেষ্টা সুব্রত চৌধুরী, সোনালী ব্যাংক প্রাতিষ্ঠানিক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক লেনিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান শিমুল, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ইকবাল আলী, সোনালী ব্যাংক প্রাতিষ্ঠানিক কমিটির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রনি, সহ-সভাপতি ও নড়াইল আঞ্চলিক কমিটি সভাপতি প্রলয় চক্রবর্তী, সহ সভাপতি বিপ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উমর সাঈদ তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আশীষ কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম আরেফিন, কোষাধ্যক্ষ দিলীপ কুমার ঘোষ, উপ অর্থ-সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. সোহেলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ফকর উদ্দিন মানিক, প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক আবু হাসনাত পিন্টু, পরিবহন সম্পাদক মো. তানভীরুল আলম, নারী উন্নয়ন সম্পাদক রোকসানা আনোয়ার, কার্যকরী সদস্য খোন্দকার রাহাত মোজাম্মেল হক, খুলনা আঞ্চলিক কমিটি সভাপতি শাহরিয়ার সোলাইমান, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন, নড়াইল আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শেখ, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিতুসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে কমিটির নেতারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন এবং সরকারি বিশেষ গণগ্রন্থাগার, যাদুঘর, পুরনো বাড়িসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।
মন্তব্য