× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Dividends increased after three years of disaster in the fourth quarter
google_news print-icon

চতুর্থ প্রান্তিকে ‘বিপর্যয়’, তিন বছর পর বাড়ল লভ্যাংশ

চতুর্থ-প্রান্তিকে-বিপর্যয়-তিন-বছর-পর-বাড়ল-লভ্যাংশ
এই ব্যাংকটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা। আর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৩ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি যত আয় দেখানো হয়েছিল, চতুর্থ প্রান্তিক শেষে চূড়ান্ত আয় হলো তার অর্ধেকেরও কম।

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের এই চিত্রের পরও সাউথ ইস্ট ব্যাংক তার বিনিয়োগকারীদের জন্য আগের তিন বছরের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ।

টানা তিন বছর ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার পর তা কিছুটা বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৮ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেয়া হবে ৮০ পয়সা করে। বাকি ৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া হবে বোনাস হিসেবে, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে দেয়া হবে চারটি শেয়ার।

বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০২০ সালে ব্যাংকটি ১০ শতাংশ নগদ, তার আগের বছর সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস এবং ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় সাউথইস্ট।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে খুব কম ব্যাংকেরই আয় কমেছে। তবে সাউথ ইস্টের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রে হয়নি।

এই ব্যাংকটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৩ পয়সা।

আয় কমলেও শেয়ার প্রতি সম্পদের দিক দিয়ে খানিকটা উন্নতি হয়েছে সাউথ ইস্টের। গত ডিসেম্বর শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২৫ টাকা ২২ পয়সার। আগের বছর ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি ২৪ টাকা ৯৮ পয়সা সম্পদ ছিল ব্যাংকটির।

যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১২ জুন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা যাকা হয়েছে আগামী ১১ আগস্ট।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে এসেই কমল আয়
আয় বেড়ে আড়াই গুণ, লভ্যাংশ তলানিতে
পাঁচ বছর ধরেই একই হারে লভ্যাংশ এসআইবিএলের
ইপিএস কমলেও নগদ লভ্যাংশ বাড়াল এক্সিম ব্যাংক
ছয় বছরের সর্বনিম্ন আয়, লভ্যাংশ কমায়নি আল আরাফাহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Best Holdings is capable of delivering consistent dividends to investors

‘বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক লভ্যাংশ দিতে সক্ষম বেস্ট হোল্ডিংস’

‘বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক লভ্যাংশ দিতে সক্ষম বেস্ট হোল্ডিংস’ ময়মনসিংহের ভালুকায় বেস্ট হোল্ডিংস-এর লাক্সারিয়াস প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। ছবি: নিউজবাংলা
কোম্পানির চেয়ারম্যান আমিন আহমদ বলেন, ‘বেস্ট হোল্ডিংসের প্রকল্পগুলো ব্যবসা সফল হওয়ার বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। সম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো মুনাফা অর্জনের চিত্রই তার প্রমাণ বহন করে। এর বাইরে কোম্পানির অর্জিত মুনাফা রয়েছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি, যা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দাবিদার।’

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল লে মেরিডিয়ানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে ৩৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা শুক্রবার কোম্পানির নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলো পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে কোম্পানির চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ তাদের প্রকল্পগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানান। এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা তুলে ধরেন।

এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ বলেন, ‘বেস্ট হোল্ডিংসের প্রকল্পগুলো ব্যবসা সফল হওয়ার বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। সম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো মুনাফা অর্জনের চিত্রই তার প্রমাণ বহন করে। এর বাইরে কোম্পানির রিটেইন্ড আর্নিংস বা অর্জিত মুনাফা রয়েছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি, যা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দাবিদার।’

তিনি বলেন, ‘বেস্ট হোল্ডিংস এমন একটি কোম্পানি যারা বিশ্বের স্বনামধন্য চারটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ম্যারিয়ট, লে মেরিডিয়ান, হেইলিবেরি ও লাক্সারিয়াস।

‘ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যবসা পরিচালনা করে বেস্ট হোল্ডিংস। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মালিকানার কোম্পানি হিসেবে এটি এক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে মধ্যে আগামী বছরেই শেষ করতে পারলে এর কার্যক্রম থেকে ভালো মুনাফা অর্জন সম্ভব হবে, যা বিনিয়োগকারী ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবাদন রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’

‘মানসম্পন্ন সম্পদ গঠনে বিনিয়োগ করুন, যা আপনাকে কয়েক দশক ধরে ক্রমবর্ধমান রাজস্ব তৈরি করতে সহায়তা করবে’ এমন দর্শনকে বুকে লালন করে গড়ে ওঠে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। কোম্পানির চেয়ারম্যান আমিন আহমেদের তিন দশকের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশের একজন খ্যাতিমান সেতু নির্মাণকারী হিসেবে। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সফল ব্যবসায়ী জীবনের পেছনে যেসব প্রতিবদ্ধকতাকে অতিক্রম করতে হয়েছে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আমিন আহমেদ। এতে তিনি কীভাবে তার কোম্পানি অবকাঠামো তৈরি করছে, ব্যবসায় কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে একটি বিলাসবহুল হোটেল-রিসোর্ট সাম্রাজ্যের জন্য তার স্বপ্নকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল সেসব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

আমিন আহমেদ বলেন, ‘চাহিদা মূল্যায়ন এবং স্থান নির্বাচনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচ তারকা হোটেল লে মেরিডিয়ান প্রতিষ্ঠা একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। কেননা, ঢাকায় আসা বিদেশি অতিথিরা এখানে বিশ্বের বড় বড় হোটেলগুলোর চেয়ে বেশি মূল্যায়ন দিতেও আপত্তি করেন না।’

নির্মাণকাজ স্থগিত রাখা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে দেরি হওয়ার কারণে ‘লে মেরিডিয়ান ঢাকা’র উদ্বোধন সাত বছর পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। হোটেল প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫-০৬ সালে শুরু করা হলেও এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয় ২০১৫ সালে।

৯০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প সময়সমতো শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় এর ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ফলে কোম্পানিকে ব্যাংক ঋণের সহায়তা নিতে হয়েছে। লে মেরিডিয়ান হোটেল এবং ভালুকা ও নোয়াখালীতে কোম্পানির কৃষি খামারের জন্য ব্যাংক ঋণ ও কনভার্টিবল বন্ড ইস্যুর পথ সহজ হয়েছিল।

২০১৯ সালে বেস্ট হোল্ডিংস তার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বন্ডের মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল। ইতোমধ্যে এর বড় একটা অংশ নগদ এবং ইক্যুইটিতে রূপান্তরের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

আমিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা যখন লে মেরিডিয়ানের যাত্রা শুরু করলাম তার কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি কোভিড-১৯ আঘাত হানে। ফলে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ হিসাব বছরে আমাদের ব্যবসা অনেক কমে যায়। এর মধ্যে ২০২০-২১ হিসাব বছরে আমাদের রাজস্ব আয় নেমে আসে ১১৩ কোটি টাকায়, যা দুই বছর আগের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ।

অবশ্য ২০২২-২৩ হিসাব বছরে আমরা মহামারির আগের বছরের থেকেও ভালো অবস্থানে ফিরতে পেরেছি। আশা করছি, আগামী বছরে আমাদের ব্যবসা আরও বাড়বে। কেননা, লে মেরিডিয়ান ঢাকায় এখন রুম ভাড়া আগের থেকে ৭০-৮০ শতাংশ বেশি।’

প্রসপেক্টাস অনুসারে, বেস্ট হোল্ডিংসের আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ভবন ও অন্যান্য পূর্তকাজ, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ খাতে ব্যয় করা হবে। কোম্পানিটির নির্মাণাধীন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো- আন্তর্জাতিক মানের একটি ম্যারিয়ট হোটেল, বিলাসবহুল রিসোর্ট, ব্যক্তিগত ভিলা, স্কুল প্রকল্প এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

আইপিওর মাধ্যমে তোলা ৩৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১৭৬ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যবহার করা হবে ভালুকায় ৪৩ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা রিসোর্টটির ভবন তৈরিতে। ৪৫ কোটি টাকা দিয়ে এই রিসোর্টের জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হবে। আর ১১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে। এছাড়া আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে শান্তা ইকুইটি লিমিটেড ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না বলে শর্ত দিয়েছে বিএসইসি।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দৃঢ় ও সম্ভাবনাময়: বিএসইসি চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারে বিমা খাতের দাপট, সূচকের উত্থান
পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি
ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন এটিএম তারিকুজ্জামান
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে আরও সহজ করবে ডিজিটাল সেবা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshs capital market is strong and promising BSEC Chairman

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দৃঢ় ও সম্ভাবনাময়: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দৃঢ় ও সম্ভাবনাময়: বিএসইসি চেয়ারম্যান বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ফাইল ছবি
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত সরকারের নেয়া পুঁজিবাজারবান্ধব নীতি তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে স্বাধীনতা লাভ করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে আশার কথা শোনালেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দৃঢ় ও সম্ভাবনাময়। বাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে কাজ করছে বিএসইসি।

ফ্রান্সের তুলুসে বুধবার ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: বাংলাদেশ-ফ্রান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট- ২০২৩’ শীর্ষক একটি সামিটে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের বিশ্বস্ত জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিএসইসির নানা পদক্ষেপ উল্লেখ করে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ও এ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’-এর আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সের তুলুসে বুধবার সামিটটির আয়োজন করা হয়। যার প্রধান আলোচ্য সূচি ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয়, সহজতর এবং লাভজনক দেশ হিসেবে ফ্রান্সের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের নিকট তুলে ধরা।

বিএসইসি ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সামিটটি ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনেসকোর বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। স্বাগত বক্তব্যের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর অডিও-ভিজুয়াল প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টুলুস মেট্রোপোলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিন-ক্লদ ডারডেলেট। অন্যদের মধ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়াসহ ফ্রান্সের ব্যবসায়ী কমিউনিটির অনেকেই এ সময় বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত এ সময় বর্তমান সরকারের নেয়া পুঁজিবাজারবান্ধব নীতির কথা তুলে ধরেন। বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে স্বাধীনতা লাভ করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দিনে দিনে আরও জোরদার হচ্ছে। ভূরাজনৈতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তারুণ্যে উজ্জীবিত মানবসম্পদের সুযোগ-সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চ হার, দারিদ্র্য হ্রাস, শিশুমৃত্যু হ্রাস, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, দক্ষ জনবল এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরেন অধ্যাপক রুবাইয়াত।

ফ্রান্সের তুলুসে অনুষ্ঠিত সামিটের ফলে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। এর ফলে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে বলেও আশাবাদ জানান পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Exports of readymade garments increased in nine months

নয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বেড়েছে প্রবৃদ্ধি

নয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বেড়েছে প্রবৃদ্ধি ছবি: সংগৃহীত
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) গত নয় মাসের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে ইউরোপে বাংলাদেশের রফতানি ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ৩২ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক রপ্তানি গন্তব্য হওয়ায় এই সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) গত নয় মাসের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে ইউরোপে বাংলাদেশের রফতানি ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তথ্য বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজার জার্মানিতে গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত কমেছে। ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইইউ অঞ্চলের অন্যান্য যেসব বাজারগুলোতে রপ্তানি কমেছে তা হচ্ছে- লিথুয়ানিয়া, মাল্টা, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং স্লোভেনিয়া। তবে ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালিতে রফতানি যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা যথাক্রমে ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ডেনমার্কে রফতানি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। একই সময়ের মধ্যে, লাটভিয়া, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশগুলো শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২৩ সালের একই সময়ে ৬ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, গত নয় মাসে যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ও কানাডায় ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পোশাক রফতানি যথাক্রমে ৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

গতানুগতিক বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা বছরে ৪৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ৫৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ভারতে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চীন এবং তুরস্কের মতো অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি যথাক্রমে, ৪৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ,৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।

একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার, যা মোট রফতানির ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ইইউ তৈরি পোশাক রফতানির প্রায় ৪৯ দশমিক ২২ শতাংশ ধরে রেখেছে। যুক্তরাজ্য এবং কানাডার ক্ষেত্রে মোট পোশাক রফতানির ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ১৬ শতাংশে এ পৌঁছেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে অ-প্রচলিত বাজারের অংশ মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। অপ্রচলিত বাজারের অংশ বৃদ্ধি অবশ্যই পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানির স্বপ্ন দেখে আগামী দিনগুলোতেও বাজারের বৈচিত্র্য অব্যাহত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন:
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি
বরিশাল থেকে রাতেই ভারতের পথে ১৯ টন ইলিশ
ভারতে রপ্তানিতে ‘উড়ো ফোনের’ ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা
আগস্টে পণ্য রপ্তানিতে আয় ৪৭৮ কোটি ২২ লাখ ডলার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The rise of the insurance sector dominance index in the capital market

পুঁজিবাজারে বিমা খাতের দাপট, সূচকের উত্থান

পুঁজিবাজারে বিমা খাতের দাপট, সূচকের উত্থান ফাইল ছবি।
ডিএসইতে সোমবার ৪৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ৫৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭২ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে।

পুঁজিবাজারে সোমবার দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। আর সে সুবাদে সূচকেরও উত্থাপন ঘটেছে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন ক্রেতার চাপ বেশি হওয়ায় লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের চেয়ে উত্থানই বেশি হয়েছে।

বিমা খাতের ৫৭টি কোম্পানির মধ্যে ৪৭টি বা ৮২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। যেখানে সব খাত মিলিয়ে ৮৭টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।

ডিএসইতে সোমবার ৪৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ৫৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭২ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে।

ডিএসইএস সূচক দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৭ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৪ দশমিক ৬২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৭টি এবং কমেছে ৫৮টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ১৩৭টির।

এদিন লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার লেনদেন বেশি ছিল। এতে শীর্ষের দ্বিতীয়তে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা, সোনালী পেপারের ১৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা, সি পার্ল বিচের ১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, জেমিনি সি ফুডের ১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, লার্ফাজহোলসিমের ১১ কোটি ২ লাখ টাকা এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফু-ওয়াং ফুডের ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনের ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং এমবি ফার্মার ৬ দশমিক ১০ শতাংশের শেয়ার দর বেড়েছে।

শেয়ারের দর কমার দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে জুট স্পিনার্স। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবস রোববার যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্টে।

সিএসসিএক্স সূচক ৩ দশমিক ১৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৬ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ৪৮ পয়েন্ট এবং সিএসই ৩০ সূচক দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৫ দশমিক ৫২ শতাংশ পয়েন্টে এবং ১৩ হাজার ৩৫৫ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫২টি এবং কমেছে ৩৪টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৫৯টির। এদিন লেনদেনে শীর্ষে উঠে আসা ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারদর। কোম্পানিটির ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর ড্যাফোডিল কম্পিউটাসের শেয়ার লেনদেন বেশি ছিল। এতে শীর্ষের দ্বিতীয়তে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। কোম্পানিটির ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনে শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ৫৯ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৩৫ লাখ টাকা, ইবনে সিনার ৩৫ লাখ টাকা, এইচআর টেক্সের ২৩ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ২১ লাখ টাকা, আরডি ফুডের ১৫ লাখ টাকা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: মাসের প্রথম দিনে কিছুটা স্বস্তি
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে আরও সহজ করবে ডিজিটাল সেবা
১১৭০ বিনিয়োগকারী প্রাপ্য টাকা ও শেয়ার বুঝে পেয়েছে
পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে লেনদেন খরায় সপ্তাহ পার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
It is important to ensure the flow of information to prevent manipulation in the capital market
কর্মশালায় ডিএসই-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক

পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি

পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি কুয়াকাটায় সিএমজেএফ ও ডিএসই আয়োজিত আবাসিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। ছবি: নিউজবাংলা
‘বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতে কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।’

পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতে কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ডিএসইর নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান শনিবার দু’দিনব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে কুয়াকাটার হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডিএসই’র সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে ডা. মোগল জান রহমান মিঠু, ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফ-এর প্রাক্তন সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইনকানুন ও বিধিবিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা বৃদ্ধি করা জরুরি। পুঁজিবাজার একটি মূলধনী বাজার। এখানে অনেক স্টেকহোল্ডার কাজ করছে। আমি মনে করি সব স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

পরবর্তীতে কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।’

স্বাগত বক্তব্যে সিএমজেএফ সভাপতি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায় তখন বাজার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোর প্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কায় যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Toshiba is losing from the stock market

শেয়ার বাজার থেকে ‘হারাচ্ছে’ তোশিবা

শেয়ার বাজার থেকে ‘হারাচ্ছে’ তোশিবা
ঘড়ি এবং যান্ত্রিক পুতুলের নির্মাতা হিসেবে ১৮৭৫ সালের দিকে বাজারে আসে তোশিবা। এর পর নানা পণ্য উৎপাদন শুরু করে এই কোম্পানি।

অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে কোম্পানির বড় অংশের শেয়ার বিক্রি হওয়ার প্রেক্ষাপটে জাপানের শেয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দেশটির প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তোশিবা।

এর মাধ্যমে তোশিবার ৭৪ বছরের শেয়ার বাজারের ইতিহাস শেষ হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটি বলছে, প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম জাপান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনারস (জেআইপি)-এর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ তোশিবার ৭৮.৬৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে। অর্থাৎ গ্রুপটি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি অংশীদারিত্বের মালিকানা পেয়েছে।

ঘড়ি এবং যান্ত্রিক পুতুলের নির্মাতা হিসেবে ১৮৭৫ সালের দিকে বাজারে আসে তোশিবা। এর পর নানা পণ্য উৎপাদন শুরু করে এই কোম্পানি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তোশিবার সঙ্গে হওয়া নতুন চুক্তির অধীনে এ বছরের শেষের দিকে কোম্পানিটির বকি শেয়ার বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাজার থেকে সরার পথে তোশিবা। এর অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ল্যাপটপ ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, তারা ৩৫ বছরের পুরোনো ল্যাপটপ ব্যবসা থেকে সরে যাবে। এ ব্যবসার শেয়ার বিক্রি করার কথা বলা হয় জাপানি প্রতিষ্ঠান শার্পের কাছে।

বিবিসি বলছে, জাপান যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসছে এবং টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ পুনরায় চালু হলো তখন ১৯৪৯ সালের মে মাসে তোশিবার শেয়ারের ব্যবসা শুরু হয়।

বাসা-বাড়ির ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ছিল এই তোশিবার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কয়েক দশক ধরে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং এর উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পের প্রতীক ছিল।

তবে গত কয়েক বছর ধরে বেশ বিপাকে পড়েছে তোশিবার ব্যবসা। ২০১৭ সালে যুক্তরষ্ট্রে পারমাণবিক শক্তি ব্যবসায় বড় ক্ষতির কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। দেউলিয়া হওয়া এড়াতে তোশিবা ২০১৮ সালে এর মেমরি চিপ ব্যবসা বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

তোশিবা ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের প্রাইভেট ইক্যুইটি গ্রুপ সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারদের কাছ থেকে পাওয়া বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তবে শেষ পর্যন্ত অস্তিত্বের প্রশ্নে অনেকটাই আপস করতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Economic development is not possible without capital market development

‘পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়’

‘পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়’ ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সোমবার নিকুঞ্জে ডিএসই ভবনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএসই চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, ‘সিকিউরিটিজ হাউজগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। হাউজগুলোর কাছে আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডিএসই নিরলস কাজ করছে। আমরা এই উন্নয়নে হাউজগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবো।’

দেশের পুঁজিবাজার আজ অনেক কারণে পিছিয়ে আছে। অথচ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে পুঁজিবাজারের উন্নতির ওপর। পিছিয়ে থাকা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। আর এতে নেতৃত্ব দিতে পুঁজিবাজারের মূল কর্ণধার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।

ডিএসই চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু সোমবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছাসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসইর নিজস্ব ভবনে এই আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন যেভাবে এগিয়েছে, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। আমরা সততা নিয়ে কাজ করলে পুঁজিবাজার দাঁড়িয়ে যাবে।

‘সিকিউরিটিজ হাউজগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। হাউজগুলোর কাছে আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডিএসই নিরলস কাজ করছে। আমরা এই উন্নয়নে হাউজগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবো।’

‘পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়’
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএসই চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। ছবি: নিউজবাংলা

বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্মৃতিচারণ করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একজন সরল প্রকৃতির নির্ভীক মানুষ ছিলেন। তার কথাবার্তায় কোনো জটিলতা ছিল না। তিনি কখনোই এদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন না। একেবারে সাধারণের মতো জীবনযাপন করতেন। সবার সঙ্গে তিনি অতি সাধারণভাবে মিশতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘আমরা অনেক ভাগ্যবান। কারণ বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন। আমরা আগামী ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান করার চিন্তা করছি। এটা তখনই সম্ভব, যখন স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি দেশ শাসন করে। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে তখনই সম্মান দেখাতে পারব, যখন আমরা দুর্নীতিকে পরাস্ত করে স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড-এর চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়েই বঙ্গবন্ধুর জন্য একটি স্থান রয়েছে। বিদেশে আমি যখনই গিয়েছি, বাংলাদেশের নাম শুনলেই সবাই বলত শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। বাংলাদেশ মানেই যেন শেখ মুজিবুর রহমান।’

আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় সংগ্রামী জীবনের ওপর আলোকপাত করে আরও বক্তব্য দেন ডিএসই’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, ডিবিএ-র প্রেসিডেন্ট রিজার্ড ডি রোজারিও, ডিএসই’র সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমদ রশিদ লালী, বুলবুল সিকিউরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।

আরও পড়ুন:
ডিএসইর অভ্যন্তরেই ‘অনৈতিক লেনদেন’
ডিএসই’র চেয়ারম্যান হলেন ড. হাফিজ মুহাম্মদ

মন্তব্য

p
উপরে