ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগের শেষ কর্মদিবসটা ভালো গেল না পুঁজিবাজারে। কমল বেশির ভাগ শেয়ারের দর, সেই সঙ্গে কমল সূচক আর লেনদেন।
আগের দিন লেনদেন হয়েছিল গোটা রমজানের সর্বোচ্চ। আর পরপর দুই দিন তা দেড় শ কোটি টাকা করে বেড়েছিল। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসেও লেনদেন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা থাকলে তা হাজার কোটি টাকা ছাড়াতেও পারত।
কিন্তু তা হয়নি। টানা চার কর্মদিবস সূচক বাড়ার পর এক দিনের সংশোধন শেষে আবার দুই দিন সূচক অবস্থান ধরে রাখার পর বৃহস্পতিবার কমল ২১ পয়েন্ট। লেনদেন কমল ৬২৫ কোটি টাকারও বেশি।
আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৩২ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। পরের দিন হলো ৮৬৯ কোটি ৮১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
এদিন বেড়েছে ৯০টি শেয়ারের দর, কমেছে ২৪৭টির আর দর ধরে রাখতে পারে ৪৯টি।
পুঁজিবাজারে এর পরের লেনদেন হবে ঈদের ছুটি শেষে।
সব মিলিয়ে রোজায় সূচক কমল ১০২ পয়েন্ট। এই মাস শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৭৫৭ পয়েন্ট, আর মাস শেষ হয়েছে ৬ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে।
এই মাসের ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক পড়েছে ১০ দিন, বেড়েছে বাকি ৯ দিন। এর মধ্যে এক দিন বেড়েছে কেবল ০.০৭ পয়েন্ট।
তবে বাজার পতনের এই প্রবণতাকে স্বাভাবিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বুধবার কয়েকটি ব্যাংকের লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মনঃপূত হয়নি। সূচকে প্রভাব ফেলে, গত কয়েক দিনে বহুজাতিক এমন বেশ কয়েকটি কোম্পানির আয় কমে যাওয়ার তথ্য এসেছে।
আয় কমার মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর কিছুটা কমেছে অনেকটাই। এগুলোই সূচকে প্রভাব ফেলেছে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির ইপিএস ঘোষণা করা হচ্ছে। যার কারণে একটু দর ওঠানামা চলছে। আজকের টার্নওভারও খারাপ নয়। আগামী ৮ মে থেকে যে সপ্তাহ শুরু হবে সেই সপ্তাহে যদি লেনদেন এমন ৮০০ থেকে ৯০০ কোটির মধ্যে টার্নওভার থাকে, তাহলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে আশা করা যায়।’
আবার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে বিনিয়োগে যাওয়ার ইচ্ছাও সেভাবে ছিল না। ছুটি শেষে বাজার দেখে তারা বিনিয়োগে যাবেন।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক শেখ ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘এই সপ্তাহে বেশ কিছু শেয়ারের দাম বেড়েছে। সেগুলোতে যারা লাভ করতে পেরেছে তারাই কিছুটা শেয়ার বিক্রি করেছে। এ কারণে দর কমে বাজার নেতিবাচক হয়েছে।’
এদিন বলতে গেলে কোনো খাতেই দিনটি ভালে যায়নি। ব্যাংক, বিমা, বস্ত্র, প্রকৌশল, ওষুধ, রসায়ন, সিমেন্ট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্যসহ প্রায় সব খাতেই কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর।
সবচেয়ে বেশি সূচক কমেছে ওয়ালটন হাইটেকের দরপতনে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.১৫ শতাংশ কমায় সূচক পড়েছে ৫.১ পয়েন্ট।
এর পরেই ১.৪১ পয়েন্ট সূচক কমেছে রেকিট বেনকিজারের দরপতনে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় কমে যাওয়ার তথ্য দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে গেছে ৪.৭১ শতাংশ।
সূচক ১.৩ পয়েন্ট কমেছে রবির দরপতনে। শেয়ারদর ০.৬১ শতাংশ কমায় দরপতনের কারণে এই পরিমাণ সূচক কমেছে।
গ্রামীণফোনের শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
এর পরে আর কোনো কোম্পানি সূচক এক পয়েন্টের বেশি ফেলতে পারেনি।
সূচক পতনের শীর্ষ দশে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, তিতাস গ্যাস, এমজেএল বাংলাদেশ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির সূচক ফেলেছে ১৩.৭৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২.২৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে পূবালী ব্যাংক। ব্যাংকটির ৬.৭৪ শতাংশ দরবৃদ্ধিতে ওই পরিমাণ সূচক বেড়েছে।
এর পরেই ১.৬৫ পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৯ শতাংশ।
জিপিএইচ ইস্পাতের ৫.১৯ শতাংশ দর বৃদ্ধির কারণে ১.৫১ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে।
১.০৮ পয়েন্ট সূচকে যোগ করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৬৮ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে 1 পয়েন্টের বেশি যোগ হয়নি।
সূচক বাড়াতে ভূমিকা রাখা শীর্ষ দশটি কোম্পানির বাকিগুলো হলো, সামিট অ্যালায়েন্স, ইউনিক হোটেল এক্সিম ব্যাংক, এসপি সিরামিকস, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন-বিএসসি।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির বাড়িয়েছে ৯.০৭ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯.৮৩ শতাংশ বেড়েছে বন্ধ কোম্পানি বিডি ওয়েল্ডিংয়ের দর। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়। ১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ার সুযোগ ছিল। এই পরিমাণই বেড়েছে দর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের দর বেড়েছে । আগের দিন ২৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাত বদল হওয়া প্রতিটি শেয়ার আজ লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকা ৪০ পয়সায়।
তৃতীয় স্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৮ টাকা ৩০ পয়সায়। গতকাল যেটি ছিল ২৬ টাকা ৪০ পয়সা।
এর পরেই পূবালী ব্যাংকের ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর কমে ২৮ টাকা ৫০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া সায়হাম কটন মিলসের দর ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, আরএসআরএম স্টিলের দর ৫.৬৮ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইনান্সের দর ৫.৬৬ শতাংশ, জিপিএইচ ইস্পাতের দর ৫.১৮ শতাংশ। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর ৫ শতাংশ, এবং হাওয়েল টেক্সটাইলের দর ৪.৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
দরপতনের শীর্ষ ১০
শীর্ষ ১০টি কোম্পানি দরপতন হয়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশ ও এর আশেপাশে।
৫ দশমিক ৯২ শতাংশ দর কমেছে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের। আগের দিন ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাত বদল হওয়া প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ৭০ পয়সায়।
কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যার ৩ শতাংশ নগদ আর এক শতাংশ বোনাস। এ কারণে কোম্পানিটির কোনো মূল্যসীমা ছিল না। ফলে সেটি দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশের বেশি কমতে পেরেছে।
এরপরের অবস্থানে ছিল প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। আগের দিন ৯৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ারের দর ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। এ নিয়ে পর পর দুই দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন বেড়েছিল প্রায় ১০ শতাংশ।
মীর আক্তারের দর কমেছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার ৬১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে ৫৮ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি তার ইস্যুমূল্যের কাছাকাছি নেমে এসেছে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৪ টাকায় আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন ৬০ টাকায়।
এছাড়া ৪ শতাংশের বেশি দর কমেছে সি পার্ল, দেশবন্ধু পলিমার, বসুন্ধরা পেপার মিলস, রেকিট বেনকিজার, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ইয়াকিন পলিমার ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের দর।
আরও পাঁচটি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি আর ১৫টি কোম্পানির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য