ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে শনিবার সব ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
এর আগে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল পোশাকশিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যে অধিক লেনদেন হয়েছে। ব্যাংকে নগদ টাকার জমা ও উত্তোলন বেড়েছে। সবার সুবিধার্থে সীমিত লোকবল নিয়ে সারা দেশে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে।
শনিবার ব্যাংক লেনদেন হবে সাড়ে ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়, আগামীকাল শুক্রবার পোশাকশিল্প এলাকায় ব্যাংক লেনদেন চলবে সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর ব্যাংক খোলা ৩টা পর্যন্ত।
এই দুই দিন নগদ লেনদেনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে বলে জানানো হয়।
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ কর্মকর্তাকে দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন বুধবার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এ টাকা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায় করা হবে।
প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
একসঙ্গে চলবে দুই ধারার সাজা। এ কারণে দণ্ডিতদের ১৭ বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং এজিএম কামরুল হোসেন খান আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্য ৫ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলা তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।
আরও পড়ুন:বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে সুদ মওকুফে ‘বিশেষ’ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে, তাতে বেশ কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মঙ্গলবার এক সার্কুলারে বলেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করতে পারবে না। ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আগের আয় থেকে সুদ মওকুফ করতে পারবে।
বেশ কিছু দিন ধরে সুদ মওকুফ সুবিধা নিতে কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ যে অপতৎপরতা শুরু করেছিল, এই সার্কুলারের মাধ্যমে তাদের সেই তৎপরতার সুযোগ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের পরিচালক, তাদের পরিবারের সদস্য ও পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
দেশের শীর্ষ দুই ব্যবসায়ী গ্রুপ একে অপরের ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়েছে। যার অনাপত্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও অনেক গ্রুপ নিজেদের সুদ মওকুফ করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর সবই বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ।
এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মঙ্গলবার এই নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগমের সই করা সার্কুলারটি মঙ্গলবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
তাতে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল `সুদ মওকুফ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রসঙ্গে’ শীর্ষক সার্কুলারে সুদ মওকুফ সংক্রান্ত নীতিমালা অবলোপনকৃত ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কি না এ বিষয়ে অস্পষ্টতা নিরসনকল্পে এ মর্মে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, তফসিলি ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রেও উক্ত নীতিমালা অনুসরণীয় হবে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করা যাবে না।
ইতোপূর্বে জারি করা সার্কুলারে রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারি ও বিদেশি সব ব্যাংকের আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। নতুন নির্দেশনায় বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকের জন্য এ শর্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করতে পারবে না।
মঙ্গলবারের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ‘সুদ মওকুফে অপরিহার্য ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয় আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য এর যৌক্তিকতা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (এইচআইসিসি) এর মতামত গ্রহণ করতে হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি এক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, “ব্যাংক পরিচালকেরা আগে নিজের ব্যাংক থেকে ইচ্ছেমতো ঋণ নিতেন। পরে আইনি বাধার কারণে সেই সুযোগ কমে যায়। এরপর শুরু হয় এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের আতাতের মাধ্যমে সীমার বেশি ঋণ নেওয়া। যার মাধ্যমে উভয় ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে গড়ে ওঠে অশুভ জোট। এখন সেই পরিচালকেরা ‘অশুভ আঁতাত’ এর মাধ্যমে একে অপরের ঋণের পুরো সুদ মওকুফ করে নিচ্ছেন।”
এতে ব্যাংকিং খাতের বড় ক্ষতি হবে বলে জানান ওই ব্যাংকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চট্টগ্রামভিত্তিক একটি গ্রুপের সব ঋণের সুদ মওকুফ করে দিয়েছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক। আবার রাজধানীর একটি গ্রুপের ঋণের সুদ মওকুফ করে দিয়েছে ইসলামী ধারার ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলো পড়ছে ঝুঁকিতে। আর সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়েছে জনগণের আমানত।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকা এর নবনির্বাচিত পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সোমবার এই অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান। কাউন্সিলের সদস্য ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের ছাইদুর রহমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সামর্থ্য সৃষ্টি করতে প্রশাসনের পাশাপাশি নবনির্বাচিত কাউন্সিলের পরিষদকেও কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ওবায়দুল হক, জিএম মাকছুদা বেগম এবং আবুল কালাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরাতন পরিষদকে বিদায় ও নবনির্বাচিত পরিষদকে বরণ করে নেওয়া হয়। পুরাতন পরিষদের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার সিদ্দিকী এবং নবনির্বাচিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ যথাক্রমে বিদায়ী ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিল নির্বাচনে সভাপতি পদে মহাব্যবস্থাপক এইচ এম দেলোয়ার হোসাইন, সহসভাপতি পদে যুগ্মপরিচালক তানভীর আহমেদ ও উপমহাব্যবস্থাপক জয়দেব চন্দ্র বণিক, সাধারণ সম্পাদক যুগ্মপরিচালক এ কে এম মাসুম বিল্লাহ, সহসাধারণ সম্পাদক যুগ্মপরিচালক গোলাম মোস্তফা শ্রাবণ ও যুগ্ম পরিচালক এ ইউ এম.মান্না ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে যুগ্ম পরিচালক জহুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক উপ পরিচালক তানবীর এহসান শোভন, প্রচার সম্পাদক উপ পরিচালক আজহারুল ইসলাম এবং দপ্তর সম্পাদক পদে উপপরিচালক তৌফিকুর রহমান নিরআচিত হন।
আরও পড়ুন:সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ভ্রমণ জরুরি হলে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিদেশে যেতে পারবেন বলে সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন ও চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিদেশে যেতে পারবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত ব্যাংকে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা তার নিজ দেশে যেতে পারবেন। পাশাপাশি, বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশের শাখায় কর্মরত কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ে যেতে পারবেন। এ ছাড়া বিদেশি আয়োজক সংস্থার সম্পূর্ণ অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরেও ব্যাংক কর্মকর্তারা অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে জানায়, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ভ্রমণসহ প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে যাওয়া পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ওই সার্কুলারে আরও বলা হয়, করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থার কারণে বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সুসংহত রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরকারের অর্থ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করে সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ স্থগিত করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭০ জন গ্রাহককে ৪ হাজার ২৯৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো। বিতরণ করা এ অর্থ স্কিমের তহবিলের ৮৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে ‘কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে জামানতবিহীন সহজ শর্তে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন কৃষক।
যেসব ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের এ অর্থ সাধারণ কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করেছে, তাদের মধ্যে সফল বাস্তবায়নকারী ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে প্রশংসাপত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এ এন হামিদুল্লাহ্ কনফারেন্স রুমে একটি সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশংসাপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
প্রশংসাপত্র পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট, কৃষি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, ইসলামী, এক্সিম, ব্র্যাক, প্রিমিয়ার, ওয়ান , ব্যাংক এশিয়া, শাহজালাল ইসলামী, উত্তরা, এবি, এনআরবি কমার্শিয়াল এবং মধুমতি ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, নির্বাহী পরিচালক আওলাদ হোসেন চৌধুরী ও কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাকিমসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংক হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উপহারসামগ্রী প্রদান করেছে।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ওমর ফারুক খান সোমবার আশকোনাস্থ হজ অফিসে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাইফুল ইসলামের কাছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন বলে ব্যাংকটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাকসুদুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম এবং হাজি ক্যাম্প শাখার প্রধান সাইফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শর্ত রইল না আর।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রিজার্ভে টান পড়ার মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর পথ সহজ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে পাঁচ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স এলে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই পাওয়া যাবে প্রণোদনা।
সোমবার সিদ্ধান্তটি জারির দিন থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার প্রক্রিয়া সহজ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে গেলে রেমিটারকে (অর্থপ্রেরক) বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের কাছে বিস্তারিত কাগজপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
সেটি তুলে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘পাঁচ হাজার অথবা পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রবাসীর কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এখন থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে রেমিট্যান্স প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানে রেমিটারের কোনো কাগজপত্র ব্যতীত বিদ্যমান হারে (২.৫০ শতাংশ) রেমিট্যান্স প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে।’
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিপরীতে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে।
প্রতি ডলারের বিপরীতে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত পাওয়া যাবে আরও আড়াই টাকা। ডলারের সবশেষ বিনিময় হার ঠিক হয়েছে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা। এর সঙ্গে আড়াই টাকা যোগ হয়ে পাওয়া যাবে ৯০ টাকা ৪০ পয়সা।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
জ্বালানি ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডলারের মজুত এখন দেশের প্রধান দুশ্চিন্তার একটি হয়ে গেছে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। তখন ওই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। তখন অবশ্য প্রতি মাসে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হতো।
তবে আমদানি ব্যয় বাড়ায় গত ৯ মে আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) রেকর্ড ২২৪ কোটি (২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর সপ্তাহ খানেক রিজার্ভ ৪২ বিলিয়নন ডলারের নিচে অবস্থান করে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় গত বুধবার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। গত কদিন তা আরও বেড়ে রোববার দিন শেষে ৪২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ- প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে দেশে। এ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য