টানা পতনমুখি পুঁজিবাজার চাঙাভাবে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে পর পর চার দিন সূচক বেড়ে সোমবার একদিন পতন হলেও পরের দিনই বেড়েছে সূচক।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধন আর কত দীর্ঘ হবে- এমন আলোচনার মধ্যেই পাঁচ কর্মদিবসের চার দিনই সূচক বেড়েছে।
সোমবারের সংশোধনে লেনদেন অনেকটাই কমে গেলেও এই ক্ষেত্রেও দেখা গেছে ইতিবাচক প্রবণতা। আগের দিনের তুলনায় দেড়শ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
মঙ্গলবার শুরুতে সূচক বেড়ে লেনদেন শুরু হলেও পরে তা উঠানামা করতে থাকে। ক্রয়চাপে সূচক উঠে মূলত শেষ ৩৫ মিনিটে। শেষ পর্যন্ত সূচক বাড়ে ১০ পয়েন্ট, যদিও লেনদেন শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে বেড়েছিল ২০ পয়েন্ট। শেষ সমন্বয়ের সমন্বয়ে সেখান থেকে কিছুটা কমে।
রোজার প্রথম দিন থেকেই পুঁজিবাজারে পতনের প্রবণতা দেখা দেয়। মাসের অর্ধেকটা যেতে না যেতে প্রায় তিনশ পয়েন্ট নাই হয়ে যায় সূচক থেকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তখন পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সূচক ৫৯ পয়েন্ট পড়ে গিয়ে বেলা শেষে ৪৭ পয়েন্টের উত্থান বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। যারা সেট বুঝতে পেরেছে, তারা লাভবান হয়েছেন। এরপর আরও তিন দিন বাড়ে সূচক।
পর পর চারদিন উত্থানে শেয়ারদর বাড়ার সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের সোমবার প্রফিট টেকিংয়ের প্রবণতা দেখা দেয়। এটিকে বাজারের সহজাত প্রবণতা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল।
পড়তে পড়তে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিজিটের ব্যবস্থাপক শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টানা চার দিন উত্থানের পর গতকাল দর সংশোধন হয়েছিল। শেয়ারের দাম কমায় আবার পুনর্বিনিয়োগ হয়েছে কিছু শেয়ারে। এ কারণেই সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।’
আগের দিনের মতোই এদিন দেখা গেছে বিমা খাতের প্রাধান্য। তবে প্রায় সব খাতেই দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। এদিন ১৬০টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ১৬৩টির দাম। আর অপরিবর্তিত দামে লেনদেন হয়েছে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার।
বস্ত্র খাতের ২৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে ২১টির দাম কমেছে ও ১২টি অপরিবর্তিত ছিল। ব্যাংক খাতের ১৬টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৯টির ও ৮টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
এছাড়া প্রকৌশল খাতের ১৯টি, ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৩টি ও বিবিধ ৯টি ও খাদ্য খাতের ১০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৬.৪২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওয়ালটন হাইটেক। কোম্পানিটির দর ২.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে ওই পরিমাণ পয়েন্ট সূচকে যোগ হয়েছে।
ম্যারিকোর শেয়ারদর ১.৯২ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ১.০৭ পয়েন্ট। আর কোনো কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকে ১ পয়েন্ট যোগ হয়নি।
এছাড়া সোনালী পেপার ০.৯৫, পাওয়ার গ্রিড ০.৮১, আইপিডিসি ০.৬৭, ট্রাস্ট ব্যাংক ০.৬৪, তিতাস গ্যাস ০.৬, আইসিবি ০.৫৫, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ০.৫৩ ও এমজেএল বাংলাদেশ ০.৫৩ পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই দশটি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১২.৭৭ পয়েন্ট।
সূচক পতনে ভূমিকা রাখা শীর্ষ দশের কোম্পানিগুলো হলো- ট্রাস্ট ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিকন ফার্মা, বিএসআরএম স্টিল, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, রবি ও প্রাইম ব্যাংক।
এই দশটি কোম্পানির দর পতনের কারণে সূচক পড়েছে ৭.৯২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে পেপার ও প্রিন্টিং খাতের কোম্পানির আধিপত্য দেখা গেছে। আগের দিন ৪.৯৮৪ শতাংশ বৃদ্ধির পর আজকে ৮.০১ শতাংশ দর বেড়েছে মনোস্পুল পেপারের। ২০২ টাকায় বিক্রি হওয়া শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ২১৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
এরপরেই দর বেড়েছে বসুন্ধরা পেপারের। ৬.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
দর বাড়ার তালিকায় তৃতীয় স্থানে সোনালী পেপার। আগের দিন ৮৫২ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে প্রতিটি শেয়ার। ৬.৬৯ শতাংশ বেড়ে আজকে সেটি হাতবদল হয়েছে ৯০৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
এছাড়া পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের দর বেড়েছে ৬.৫৬ শতাংশ।
এছাড়া পেনিনসুলার দর ৬.৫৮ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৬.১০ শতাংশ, পারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৫.৮৮ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ৫.৭৯ শতাংশ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৫.১০ শতাংশ ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৪.৮২ শতাংশ।
দর পতনের শীর্ষ ১০ এর তালিকার শীর্ষে ইবিএলকে দেখালেও আসলে তা ছিল না। কোম্পানিটি এবার বিনিয়োগকারীদেরকে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যার অর্ধেক নগদে আর অর্ধেক বোনাসে।
সোমবার রেকর্ড ডেটে শেয়ারদর ছিল ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা্। সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ে দাম হয় ৩৪ টাকা ১০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। ৪০ পয়সা মুনাফার পাশাপাশি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশও মুনাফা হবে।
নগদ লভ্যাংশ সমন্বয়ের কথা না থাকলেও দেশের পুঁজিবাজারে নগদে দেয়া লভ্যাংশের সম পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি শেয়ারদর কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। তবে ইবিএলের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি।
একই কথা প্রযোজ্য এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে দেখানে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের। এই ব্যাংকটি এবার লভ্যাংশ দিয়েছে ১০ শতাংশ।
সোমবার রেকর্ড ডেটে দর ছিল ১৫ টাকা ২০ পয়সা। প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ে দাম হয় ১৩ টাকা ৮০ পয়সা। তবে দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে ৫.২ শতাংশ দরপতন দেখালেও আসলে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এদিন আসলে সবচেয়ে বেশি কমেছে আগের দিন সবচেয়ে বশি দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর। ৪.৯৪ শতাংশ হারিয়ে ১০৯ টাকা ১০ পয়সার শেয়ারের দাম নেমেছে ১০৩ টাকা ৭০ পয়সায়।
জেমিনি সি ফুডের দর ৪.৯৪ শতাংশ কমে ৪১৭ টাকা, এসএস স্টিলের ৩.৭৮ শতাংশ কমে ১৭ টাকা ৮০ পয়সা, লুবরেফ বাংলাদেশের ৩.৭৪ শতাংশ কমে ৩৬ টাকা, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ৩.৬১ শতাংশ কমে ৬৬৩ টাকা ৬০ পয়সা, বিএসআরএমের ৩.৫০ শতাংশ কমে ১০৭ টাকা ৩০ পয়সা, খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর ৩.২ শতাংশ কমে ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ১০ পয়সা, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.১৪ শতাংশ কমে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৬১ টাকা ৭০ পয়সা এবং সোনালী লাইফের দর ৩.০৯ শতাংশ কমে ৫৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে হয়েছে ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য