টানা পতনমুখি পুঁজিবাজারে যখন হতাশা জেঁকে বসছিল, তখন হঠাৎ করেই যেন আলোর পথে যাত্রা শুরু হয়েছে।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করার দ্বিতীয় কর্মদিবসেই পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও বেড়ে রমজানের সর্বোচ্চ হয়ে গেল। আগের সপ্তাহে টানা তিন দিনের পর বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে গত সপ্তাহের প্রথম দিনও বাড়ল সূচক।
এ নিয়ে রমজানের প্রথম ১১ কর্মদিবসে সূচক ২৭৫ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর চার কর্মদিবসে উদ্ধার হলো ২০০ পয়েন্ট।
রমজানে কেবল সূচক কমছিল-এমন নয় লেনদেনও ক্রমেই নামছিল তলানিতে। ঈদের আগের শেষ কর্মদিবসে যেখানে এক হাজার ১১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লেনদেন ছিল, সেখানে তা এক পর্যায়ে ১৮ এপ্রিল নেমে আসে ৩৯০ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকায়।
পুঁজিবাজারে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনাকে লেনদেন কমার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কারণ, পুঁজিবাজারে এক দিনে দুই শতাংশ দরপতন খুবই স্বাভাবিক ঘটনা হলেও এই বিধানের কারণে ২ শতাংশ কমে যেতেই ক্রেতাশূন্য হয়ে যাচ্ছিল কোম্পানিগুলো।
যেসব কোম্পানির শেয়ার বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর ১০ টাকার নিচে, সেগুলোর দর ১০ পয়সা কমতেই ক্রেতাশূন্য হয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যাচ্ছিল। আর শেয়ারের চাহিদা না থাকায় দরও বাড়ছিল না। ফলে লেনদেন কমার পাশাপাশি দিনে দিনে কমছিল দরও।
রোজায় প্রায় প্রতিদিনই এভাবে শতাধিক কোম্পানি বিক্রেতাশূন্য হয়ে যাচ্ছিল। যদিও গত বুধবার যখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা জন্মেছিল যে, দরপতনের সীমা বাড়ানোর পর শেয়ারদর আরও কমবে, কিন্তু ঘটে উল্টোটা। শেয়ারের চাহিদা বাড়ায় বাড়তে থাকে লেনদেন, সেই সঙ্গে বাড়ে শেয়ারদর।
দরপতনের সীমা বাড়ার পর গত বৃহস্পতিবার লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বাড়ে দেড় শ কোটি টাকার বেশি। সূচক বাড়ে ৫৫ পয়েন্ট, এক দিনে বাড়ে তিন শ কোম্পানির দর।
রোববার সেখান থেকে লেনদেন বাড়ে আরও প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। শেয়ারদর আরও বাড়ে ২০০ কোম্পানির। সূচক বাড়ে ২০ পয়েন্ট, যদিও এক সময় বেড়েছিল ৫৭ পয়েন্ট।
পর পর চার দিন শেয়ারদর বাড়ার কারণে শেষ সময়ে প্রফিট টেকিংয়ের কারণে সূচক বেড়ে গিয়ে সেখান থেকে কিছুটা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক্সপো ট্রেডার্স এর প্রধান নির্বাহী শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশকিছুদিন পতনের কারণে অনেক ভালো শেয়ার অবমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে। যে কারণে এখন শেয়ার কেনার প্রবণতা বাড়ছে। তাই বাড়ছে বিনিয়োগ।’
তিনি বলেন, ‘মৌলভিত্তির মৌলভিত্তির শেয়ারের নজর দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আর এসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বেশি। তাই এগুলো সূচকেও প্রভাব রাখছে বেশি।’
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ করার পর প্রতিদিন যেখানে দেড়শ থেকে দুইশ, কোনো কোনো দিন তার চেয়ে বেশি কোম্পানির শেয়ারদর এই পরিমাণ কমছিল, সেখানে আজ দুই শতাংশের বেশি কমেছে ৪৪টির দর আর দুই শতাংশের কাছাকাছি কমেছে আরও ১৩টির দর।
খাত হিসেবে সবচেয়ে ভালো দিন বিমাতে
বেশিরভাগ শেয়ারদর বৃদ্ধির দিনে খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভালো দিন গেছে বিমা খাতে। এর মধ্যে সাধারণ বিমা খাতের ৪০টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৩৫টির দর, কমেছে বাকি ৫টির। জীবন বিমা খাতে ১৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে চারটির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।
ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতেও দারুণ দিন গেছে। এই খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির দর, দাম কমেছে ২টির, ৩টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
ব্যাংক খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩টির, কমেছে ৭টির, যার মধ্যে দুটির দর কমেছে আসলে রেকর্ড ডেটের পর ‘সমন্বয়ের কারণে’।
বেশিরভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও। মিশ্র প্রবণতা গেছে বস্ত্র ও প্রকৌশত খাতে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ দর বেড়েছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের দর। আগের দিন ৪০ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৪ টাকা ৬০ পয়সায়।
গত ১ জানুয়ারি প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই- সেপ্টেম্বর’২১) আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ পয়সা বেড়েছে।
এরপর থেকে দর বাড়তে শুরু করে শেয়ারের। এর মধ্যে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে কোম্পানির জানায়, কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই দাম বাড়ছে।
৯.১২ শতাংশ দর বেড়ে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ারের দাম ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। এক শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিয়ে গত ৩১ মার্চ থেকে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত হয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ হা-ওয়েল টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিন যেটা ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায়।
সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
এরপরেই ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
৬ শতাংশ বা ৪০ পয়সা দর বেড়ে আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিটি ইউনিট ৬ টাকা ৭০ পয়সা লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দর হারানো কোম্পানিগুলোর শীর্ষ দশটি দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর হারিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে শমরিটা হাসপাতাল। কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২৩ পয়সা। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রতিটি শেয়ার ৪ টাকা ৩০ পয়সা দর হারিয়ে বিক্রি হয়েছে ৮১ টাকা ৯০ পয়সায়।
একই সমান দর হারিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারির। আগের দিনে ৩৮ টাকা ১০ পয়সা লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকা ২০ পয়সা।
লেনদেন শুরুর পর টানা দর বৃদ্ধি পাওয়া জে এম আই হসপিটালের দর কমেছে ৪.৯৬ শতাংশ। আগের কার্যদিবসের শেয়ার হাত বদল হয়েছিল ৭৪ টাকা ৫০ পয়সায়। রোববার সেটি লেনদেন হয় ৭০ টাকা ৮০ পয়সা।
যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর ১ টাকা ১০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ২১ টাকা ৫০ পয়সায়। এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে লেনদেন শুরু করেছে। এবার বিনিয়োগকারীরা পাবে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা। নগদ লভ্যাংশে দর সমন্বয়ের কথা না থাকলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দেখা, যে টাকা লভ্যাংশ দেয়া, হয় দর কমে তার চেয়ে বেশি।
যমুনার লভ্যাংশের চেয়ে দাম অবশ্য কম কমেছে। তবে একদিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশ হওয়ার কারণে এর চেয়ে বেশি কমা সম্ভব ছিল না।
ক্রাউন সিমেন্ট দর হারিয়েছে ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৯ টাকায়।
এছাড়া ৪ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে আপেক্স ফুডস ১৯৪ টাকা ৭০ পয়সা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ফ্যামিলি টেক্স ৪ টাকা ৫০ পয়সায় এবং ইমাম বাটন বিক্রি হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
সূচক বাড়িয়েছে যেসব কোম্পানি
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য