পুঁজিবাজারে এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করার নির্দেশ জারির পর দিনও আবার উত্থান হলো পুঁজিবাজারে। সব মিলিয়ে এই তিন দিনে সূচকে যোগ হলো ১৭৮ পয়েন্ট। তবে এখন রমজানের আগের অবস্থান থেকে সূচক কম ৯৫ পয়েন্ট।
টানা তৃতীয় দিন সূচক বাড়ার ঘটনার স্বস্তির পাশাপাশি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিচক যে বিষয়টি দেখা গেছে, সেটি হলো লেনদেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে লেনদেন যে অবস্থানে নেমেছিল, সেখান থেকে প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছেছে তা।
রোজা শুরুর পর থেকে টানা নিম্নমুখি পুঁজিবাজারে যখন হতাশা গাঢ় হচ্ছিল, তখন মঙ্গলবার এক পর্যায়ে ৫৯ পয়েন্ট কমে গিয়েও লেনদেন শেষ করে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে। মন্দাভাব থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টার ইঙ্গিত সেদিনই ছিল। সেটি আরও স্পষ্ট হয় বুধবার আরও ৭৬ পয়েন্ট বাড়ার মধ্য দিয়ে।
এদিনই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ করে দেয়া আদেশ সংশোধন করে জানায়, এখন থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ দর কমতে পারবে। আর বৃদ্ধির সীমা আগের মতোই থাকবে ১০ শতাংশ।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে গত ৮ মার্চ এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়টি বাজারের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখা দিলেও পরে দেখা যায়, এটি লেনদেন কমে যাওয়ার একটি কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজারে এক দিনে কোনো কোম্পানির ২ শতাংশ দরপতন মোটেও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। দাম কমলে শেয়ারের চাহিদা বাড়লে আবার দর বাড়ার প্রবণতাও দেখা দেয়। কিন্তু ২ শতাংশের এই নির্দেশনা আসার পর দেখা যাচ্ছিল, ২ শতাংশ দাম কমে গেলে শেয়ারের আর ক্রেতা পাওয়া যায় না। এভাবে দিনের পর দিন কোম্পানিগুলোর দরপতন হচ্ছিল। আর ক্রেতা না থাকায় লেনদেন ক্রমেই কমছিল।
রোজা শুরুর আগে বাজারে এক হাজার এক শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল তা নেমে আসে চার শ কোটি টাকার ঘরে।
গত দুই দিন সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কিছুট গতি পেতে থাকে। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ২ শতাংশের এই বাধা দূর করে আদেশ দেয়ার পর বাজার সংশ্লিষ্টরা একে ইতিবাচক আখ্যা দেন, যদিও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় ছিল যে, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫ শতাংশ করার কারণে আবার দরপতন হয় কি না।
বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর পর বিনিয়োগকারীরা যে সতর্ক ছিলেন, সেটাও বোঝা যায়। সকাল ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সূচক বাড়তে থাকলেও এর পরের আধা ঘণ্টায় তা আবার পড়তে থাকে। তবে এরপর আবার ক্রয়চাপ তৈরি হয়। বেলা সোয়া ১১টা থেকে শেষ পর্যন্ত ঢেউয়ের মতো করে সূচক বাড়তে থাকে।
শেষ পর্যন্ত আগের তুলনায় সূচক বাড়ে ৫৫ পয়েন্ট। তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের আগ মুহূর্তে সেটি বেড়েছিল ৬৪ পয়েন্ট।
দিন শেষে লেনদেন যা হয়েছে, সেটি চলতি মাস তথা রমজানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রোজায় বড় বিনিয়োগের আশ্বাস আসার পর প্রথম কর্মদিবসেই লেনদেন আগের কর্মদিবসের তুলনায় আড়াই শ কোটি টাকার বেশি কমে গিয়ে হয়েছিল ৮৩৬ কোটি ৬২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আর আজ হাতবদল হয়েছে ৭৫৪ কোটি ৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬০৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
রোববার এক দিনে ৩৪৭টি কোম্পানির দর কমেছিল। বিপরীত চিত্র দেখা গেছে আজ। যতগুলো কোম্পানি দর হারিয়েছে তার প্রায় ছয়গুণ কোম্পানির দর বেড়েছে। ৩০০টি শেয়ারের দাম বেড়ে ও ২৫টি অপরিবর্তিত দামে লেনদেন হয়েছে। বিপরীতে কমেছে ৫৫টির দর। এর মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানির দর সমন্বয় হয়েছে লভ্যাংশ ইস্যুতে।
দর পতনের সীমা ২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে উন্নীতকরণ বাজারের জন্য ইতিবাচক হয়েছে বলে মনে করেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে একটা ফ্লেক্সিবিলিটি তৈরি হয়েছে। যার কারণে আগের দিনের চেয়ে প্রায় দেড় শ কোটি টাকা টার্নওভার বেড়েছে।’
তবে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে- এমন সিদ্ধান্তে এখনই আসতে চান না তিনি। বলেন, ‘বরং ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। লেনদেন ৮০০ থেকে ১২০০ কোটি টাকার মধ্যে চলে আসলে বলা যাবে বাজার ফিরেছে। এতে করে যারা টাকা ক্যাশ করে সাইডলাইনে আছেন, বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন তারাও বাজারে ফিরবেন। ওই টাকাগুলোও বাজারে আসতে শুরু করবে।’
সূচক বাড়াল যেসব কোম্পানি
সূচকে সর্বোচ্চ ৪.৯৪ পয়েন্ট যোগ করেছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির ০.৭৮ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইসিবির দর বেড়েছে ৩.৪১ শতাংশ আর এতে সূচক বেড়েছে ৪.০১ পয়েন্ট।
রবির ১.৫৩ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ৩.৮৩ পয়েন্ট। আর ১.১৭ শতাংশ দর বাড়ায় বেক্সিমকো সূচকে যোগ করেছে ২.১৮ পয়েন্ট।
এছাড়া ১ পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়িয়েছে আইপিডিসি, লাফার্জ হোলসিম, এনআরবিসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৫.৩৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩.৩৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের ৪.৯৮ শতাংশ দর পতনে সূচক কমেছে ১.৮২ শতাংশ।
এছাড়া সূচক পতনে ভূমিকা রেখেছে ফরচুন শুজ, আল আরাফাহ ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, রেনাটা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সোনালী পেপার ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। তবে কোনোটিই এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
একমাত্র কোম্পানি হিসেবে বিডি কমের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। ৯.৭৩ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩৭ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিন শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা।
এরপরেই আইডিসি ও এনআরবিসি ব্যাংকের দর বেড়েছে ৭ শতাংশ করে। আইপিডিসির প্রতিটি শেয়ার গতকাল লেনদেন হয় ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায়। আজকে ৫৩ টাকা ৪০ পয়সায় বেচাকেনা হলেও শেষ পর্যন্ত দর দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৯০ পয়সায়।
আর এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারদর সাত শতাংশ বেড়ে ২৪ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে। গতকাল এটি লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ৯০ পয়সায়।
মোজাফ্ফর স্পিনিংয়ের ৬.৮২ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৬.২৫ শতাংশ, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫.৯৬ শতাংশ, এসইএমল লেকচার ইক্যুয়িটি ফান্ডের ৫.৮৮ শতাংশ দর বেড়েছে।
পাঁচ শতাংশের ওপর দর বেড়েছে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, ইনটেক ও আমরা টেকনোলজিসের।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে প্রিমিয়ার ব্যাংককে দেখালেও আসলে এর দাম অতটা কমেনি।
পাঁচ শতাংশের বেশি দর কমার সুযোগ না থাকার পরও এই পরিমাণ দর কমার কারণ এর লভ্যাংশ সমন্বয়ের ইস্যু।
কোম্পানিটি এবার ১০ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বুধবার রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। বোনাস সমন্বয়ে দাম হয় ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। দর কমার সুযোগ ছিল ৬০ পয়সা। এই পরিমাণই কমেছে দাম।
ফলে ১৩.৫৮ শতাংশ দাম কমার বিষয়টি দেখালেও আসলে কমেছে ৩.৭০ শতাংশ।
দরপতনের দ্বিতীয় স্থানে দেখানো প্রাইম ব্যাংকের দরই আসলে সবচেয়ে বেশি ৪.৯৭ শতাংশ কমেছে। এই ব্যাংকটির বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষণা করা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশের রেকর্ড ডেট গেছে বুধবার।
সেদিন দর ছিল ২২ টাকা ১০ পয়সা। নগদ লভ্যাংশের ক্ষেত্রে দর সমন্বয়ের কিছু না থাকলেও দেশের পুঁজিবাজারে দাম কমার প্রবণতা দেখা যায়। এমনও দেখা যায়, যে পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করা হয়, দাম কমে যায় তার চেয়ে বেশি। ফলে নগদ লভ্যাংশ নিলে শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীর আসলে লাভ হয় না।
তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা আইসিবিআই ব্যাংক ও ফ্যামিলি টেক্সটাইলের দর কমেছে ২০ পয়সা করে। ৫ টাকার নিচে লেনদেন হওয়ার কারণে এই কোম্পানি দুটির দর গত ৯ মার্চের পর থেকে কমতে পারেনি। আর দরপতনের সীমা পাঁচ শতাংশ হওয়ার পর এখন দর কমার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলো হলো বিআইএফসি, জিলবাংলা সুগার, ফরচুন সুজ, দুলামিয়া কটন, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা মিল্ক ও সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
এই ১১টি কোম্পানির দরই কেবল ২ শতাংশের বেশি কমেছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য