টানা দরপতনের মধ্যে পরপর দুই দিনের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের মনের চাপ কিছুটা হলেও কাটল। এর মধ্যে প্রথম দিনের তুলনায় সূচক আরও বাড়ল দ্বিতীয় দিন। এটি পুঁজিবাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কি না, সেটি নিয়েও কথা হচ্ছে।
রমজানের প্রথম কর্মদিবস থেকেই পুঁজিবাজারে প্রায় প্রতিদিন দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা যখন চূড়ান্ত, তখন মঙ্গলবার আবার বড় পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
রোজার শুরু থেকে পতনের মধ্যে মাঝে এক দিন সূচক বাড়লেও পরে আবার পতনের ধারায় গিয়েছিল বাজার। এবার আর তা হয়নি। বুধবার শুরু থেকেই শেয়ারদর বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার কারণে সূচকে শেষ পর্যন্ত যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট, যদিও লেনদেন শেষ হওয়ার ক্ষণিক আগে তা ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। শেষ সময়ের সমন্বয়ে কিছুটা কমে সেখান থেকে।
দাম বেড়েছে ২৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৭৮টির আর অপরিবর্তিত থাকে ৩২টির দর।
লেনদেন ছয় কর্মদিবস পর ৬০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করল, যা চাঙা পুঁজিবাজারে আসলে আধা ঘণ্টার লেনদেন।
গত ২২ মার্চ ৭৯ পয়েন্ট সূচকের উত্থানের পর এটিই সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন।
দুই দিনে ১২৩ পয়েন্ট বাড়লেও সূচকের অবস্থান রমজান শুরুর আগের অবস্থান থেকে অনেকটাই কম।
রোজা শুরুর আগের কর্মদিবসে সূচক ছিল ৬ হাজার ৭৫৭ পয়েন্ট, যা এখনকার অবস্থানের চেয়ে ১৫১ পয়েন্ট কম।
স্টক ডিলারদের সমিতি ডিবিএর সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, দরপতনের পর উত্থানই পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পতনের পরে কিছু কিনেছে। ধরুন, ৯০ টাকার শেয়ার ৮২ টাকায় নেমেছে, সেটা কিনবেই। যার কারণে কিছুটা বেড়েছে। এটা বাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
তার মতে, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ বাজারের টানা পতনের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমি যদি লসে শেয়ার বিক্রি করি তো আরেকজন তো বসে আছে কম দামে শেয়ার কিনে প্রফিট করার জন্য। দরপতনের সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনায় যিনি কিনবেন, তিনি আরও পড়ে কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এভাবে দিনের পর দিন ক্রেতা কমছিল।’
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন নতুন করে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়া বা ফ্লোর প্রাইস দেয়ার যে দাবি করছে, তাও সমর্থন করছেন না শরীফ আনোয়ার। তিনি মনে করেন, পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা কখনও ভালো হয় না।
তবে সূচক বাড়লেও বাজার এখনো ঘুরে দাঁড়ায়নি বলে মনে করেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শেয়ারের দাম কমেছিল। কিছু শেয়ার কেনায় দাম কিছুটা বেড়ে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে। আরও না বাড়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না যে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
সূচক বাড়াল যারা
সূচক বৃদ্ধিতে একক কোম্পানি হিসেবে সূচক সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে রবি। কোম্পানিটির দর ৩.৮১ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৯.০৪ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৬৮ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, যার দর বেড়েছে ৩.৭৯ শতাংশ।
এছাড়া আইসিবি ৩.০১, ওয়ালটন ২.৯২, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২.৭৩, গ্রামীণ ফোন ২.৫২, আইপিডিসি ২.২৯, বিএসসি ২.১৯, পূবালী ব্যাংক ১.৬৩ ও ফরচুন সুজ সূচক বাড়িয়েছে ১.৫৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ৩৪.৫৫ পয়েন্ট।
সার্কিট ব্রেকারের কাছাকাছি তিন কোম্পানির দর
রোজায় প্রথমবারের মতো এক দিনে একাধিক কোম্পানির শেয়ারদর সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেএমআই হসপিটাল। ২০ টাকায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটি এক মাস যেতে না যেতেই ৭৩ হাজার ৮০ পয়সা হয়ে গেল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৫৫ শতাংশ বেড়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানি আইপিডিসির দর। আগের দিন দর ছিল ৪৫ টাকা। বাড়ার সুযোগ ছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা। সেই পর্যন্ত বেড়েও পরে সেখান থেকে ২০ পয়সা কমে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৪৬ শতাংশ বেড়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসির দর। এই কোম্পানিটিও সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে কিছুটা কমে। আগের দিন দর ছিল ১০৫ টাকা ৭০ পয়সা। দর বাড়ার সুযোগ ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা। এই পরিমাণ বেড়েও সেখান থেকে ৫০ পয়সা কমে শেষ করে লেনদেন।
এ ছাড়া বস্ত্র খাতের আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৮.৯ শতাংশ, বিবিএসের দর ৮.৫১ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংকের দর ৭.৫ শতাংশ, এবি ব্যাংকের দর ৫.৭১ শতাংশ, সোনালী পেপারের দর ৫.৬৪ শতাংশ, বিডি থাইয়ের দর ৫.৫৮ শতাংশ এবং ফরচুন সুজের দর ৫.৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশের বাইরে আরও তিনটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২৫টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৬৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় যেসব কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি ১.৯৯ শতাংশ দর হারিয়েছে আরামিট ইন্ডাস্ট্রিজ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশের বিপরীতে গিয়ে কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে দর ক্রমেই কমছে।
এই কোম্পানিটির মতোই সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে সবগুলোই দর হারিয়েছে এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে, চলতি অর্থবছরের প্রান্তিক প্রতিবেদনে আয়ে ধস নামার তথ্য দেয়া সিঙ্গার বাংলাদেশ, বিমা খাতের তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, ডেফোডিল কম্পিউটারস, প্রান্তিক প্রতিবেদনে ব্যাপক আয় বৃদ্ধির তথ্য জানানোর পর মঙ্গলবার দামে উল্লম্ফন হওয়া ডরিন পাওয়ার, নিলামে বিক্রি হয়ে যাওয়া মিথুন নিটিং, ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া কোম্পানি ফাস ফাইন্যান্স, বিমা খাতের বিএনআইসিএল, প্রাইম ব্যাংক এবং পাট খাতের লোকসানি কোম্পানি জুট স্পিনার্স।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য