টানা দরপতনের মধ্যে পরপর দুই দিনের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের মনের চাপ কিছুটা হলেও কাটল। এর মধ্যে প্রথম দিনের তুলনায় সূচক আরও বাড়ল দ্বিতীয় দিন। এটি পুঁজিবাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কি না, সেটি নিয়েও কথা হচ্ছে।
রমজানের প্রথম কর্মদিবস থেকেই পুঁজিবাজারে প্রায় প্রতিদিন দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা যখন চূড়ান্ত, তখন মঙ্গলবার আবার বড় পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
রোজার শুরু থেকে পতনের মধ্যে মাঝে এক দিন সূচক বাড়লেও পরে আবার পতনের ধারায় গিয়েছিল বাজার। এবার আর তা হয়নি। বুধবার শুরু থেকেই শেয়ারদর বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার কারণে সূচকে শেষ পর্যন্ত যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট, যদিও লেনদেন শেষ হওয়ার ক্ষণিক আগে তা ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। শেষ সময়ের সমন্বয়ে কিছুটা কমে সেখান থেকে।
দাম বেড়েছে ২৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৭৮টির আর অপরিবর্তিত থাকে ৩২টির দর।
লেনদেন ছয় কর্মদিবস পর ৬০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করল, যা চাঙা পুঁজিবাজারে আসলে আধা ঘণ্টার লেনদেন।
গত ২২ মার্চ ৭৯ পয়েন্ট সূচকের উত্থানের পর এটিই সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন।
দুই দিনে ১২৩ পয়েন্ট বাড়লেও সূচকের অবস্থান রমজান শুরুর আগের অবস্থান থেকে অনেকটাই কম।
রোজা শুরুর আগের কর্মদিবসে সূচক ছিল ৬ হাজার ৭৫৭ পয়েন্ট, যা এখনকার অবস্থানের চেয়ে ১৫১ পয়েন্ট কম।
স্টক ডিলারদের সমিতি ডিবিএর সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, দরপতনের পর উত্থানই পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট্য। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পতনের পরে কিছু কিনেছে। ধরুন, ৯০ টাকার শেয়ার ৮২ টাকায় নেমেছে, সেটা কিনবেই। যার কারণে কিছুটা বেড়েছে। এটা বাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
তার মতে, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ বাজারের টানা পতনের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমি যদি লসে শেয়ার বিক্রি করি তো আরেকজন তো বসে আছে কম দামে শেয়ার কিনে প্রফিট করার জন্য। দরপতনের সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনায় যিনি কিনবেন, তিনি আরও পড়ে কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এভাবে দিনের পর দিন ক্রেতা কমছিল।’
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন নতুন করে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়া বা ফ্লোর প্রাইস দেয়ার যে দাবি করছে, তাও সমর্থন করছেন না শরীফ আনোয়ার। তিনি মনে করেন, পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা কখনও ভালো হয় না।
তবে সূচক বাড়লেও বাজার এখনো ঘুরে দাঁড়ায়নি বলে মনে করেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শেয়ারের দাম কমেছিল। কিছু শেয়ার কেনায় দাম কিছুটা বেড়ে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে। আরও না বাড়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না যে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
সূচক বাড়াল যারা
সূচক বৃদ্ধিতে একক কোম্পানি হিসেবে সূচক সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে রবি। কোম্পানিটির দর ৩.৮১ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৯.০৪ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৬৮ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, যার দর বেড়েছে ৩.৭৯ শতাংশ।
এছাড়া আইসিবি ৩.০১, ওয়ালটন ২.৯২, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২.৭৩, গ্রামীণ ফোন ২.৫২, আইপিডিসি ২.২৯, বিএসসি ২.১৯, পূবালী ব্যাংক ১.৬৩ ও ফরচুন সুজ সূচক বাড়িয়েছে ১.৫৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ৩৪.৫৫ পয়েন্ট।
সার্কিট ব্রেকারের কাছাকাছি তিন কোম্পানির দর
রোজায় প্রথমবারের মতো এক দিনে একাধিক কোম্পানির শেয়ারদর সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৯৮ শতাংশ বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেএমআই হসপিটাল। ২০ টাকায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটি এক মাস যেতে না যেতেই ৭৩ হাজার ৮০ পয়সা হয়ে গেল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৫৫ শতাংশ বেড়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানি আইপিডিসির দর। আগের দিন দর ছিল ৪৫ টাকা। বাড়ার সুযোগ ছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা। সেই পর্যন্ত বেড়েও পরে সেখান থেকে ২০ পয়সা কমে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৪৬ শতাংশ বেড়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসির দর। এই কোম্পানিটিও সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে কিছুটা কমে। আগের দিন দর ছিল ১০৫ টাকা ৭০ পয়সা। দর বাড়ার সুযোগ ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা। এই পরিমাণ বেড়েও সেখান থেকে ৫০ পয়সা কমে শেষ করে লেনদেন।
এ ছাড়া বস্ত্র খাতের আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৮.৯ শতাংশ, বিবিএসের দর ৮.৫১ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংকের দর ৭.৫ শতাংশ, এবি ব্যাংকের দর ৫.৭১ শতাংশ, সোনালী পেপারের দর ৫.৬৪ শতাংশ, বিডি থাইয়ের দর ৫.৫৮ শতাংশ এবং ফরচুন সুজের দর ৫.৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ দশের বাইরে আরও তিনটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২৫টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৬৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায় যেসব কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি ১.৯৯ শতাংশ দর হারিয়েছে আরামিট ইন্ডাস্ট্রিজ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশের বিপরীতে গিয়ে কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে দর ক্রমেই কমছে।
এই কোম্পানিটির মতোই সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে সবগুলোই দর হারিয়েছে এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে, চলতি অর্থবছরের প্রান্তিক প্রতিবেদনে আয়ে ধস নামার তথ্য দেয়া সিঙ্গার বাংলাদেশ, বিমা খাতের তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, ডেফোডিল কম্পিউটারস, প্রান্তিক প্রতিবেদনে ব্যাপক আয় বৃদ্ধির তথ্য জানানোর পর মঙ্গলবার দামে উল্লম্ফন হওয়া ডরিন পাওয়ার, নিলামে বিক্রি হয়ে যাওয়া মিথুন নিটিং, ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া কোম্পানি ফাস ফাইন্যান্স, বিমা খাতের বিএনআইসিএল, প্রাইম ব্যাংক এবং পাট খাতের লোকসানি কোম্পানি জুট স্পিনার্স।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য