রোজায় ১১ কর্মদিবসে ২৮৯ পয়েন্ট সূচকের পতন, দ্বাদশ কর্মদিবসে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা যেতে না যেতেই আরও ৫৯ পয়েন্টের পতন। আতঙ্ক জেঁকে বসা পুঁজিবাজার হঠাৎ করেই সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াল। বেলা শেষে ৪৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হলো লেনদেন।
অর্থাৎ দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে ১০৮ পয়েন্ট যোগ করে শেষ হয়েছে লেনদেন। আর আগের দিনের তুলনায় দেড় গুণ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ৩০ পয়েন্ট, পরের দিন ৭২ পয়েন্ট পতনের পর মঙ্গলবারের এই লেনদেন পুঁজিবাজারের তলানি থেকে উঠে আসার চেষ্টা কি না, সেটি আছে আলোচনায়।
আগের দুই দিন লেনদেন ছিল ৪০০ কোটি টাকার নিচে। আর মঙ্গলবার তা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।
আগের দিন ৩৪৭টি কোম্পানির দরপতনের বিরল ঘটনার সাক্ষী পুঁজিবাজারে আজ যতগুলো কোম্পানির দর পতন হয়েছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের বেশি। ১০৫টি কোম্পানির মূল্য হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে ২৩৪টির দাম। আর ৩৯টির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দামেই।
আগের দিন সর্বোচ্চ ২ শতাংশে দরপতনেও বিপুলসংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যায়নি। লেনদেনের শুরুতে তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে আধা ঘণ্টা পর থেকে শেয়ার কেনার আগ্রহ লক্ষ করা গেছে।
ধীরে ধীরে শেয়ারগুলো দর ফিরে পেতে থাকে। বেলা ২টার কিছু আগে আগের দিনের চেয়ে সূচক ৬০ পয়েন্ট বাড়লে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে কিছুটা কমে যায়।
এ নিয়ে রমজান শুরুর পরে ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক বাড়ল চার দিন। তার পরেও সব মিলিয়ে এই সময়ে কয়দিনে সূচক কমেছে ২২৭ পয়েন্ট।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে পুঁজিবাজারের যে ধস নামে, তাতে বাতাস দিয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুরবস্থা। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও তা খুব বেশি কাজে আসেনি।
এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ফ্লোর প্রাইস বা সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার বিকেলে এই দাবি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ যায় বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়।
তবে কমিশনের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেছেন, এ বিষয়ে তারা এখন কিছু ভাবছেন না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কার মন্দা, এ রকম বিষয়গুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে তার কিছুটা পুঁজিবাজারে দেখা গেছে।
‘এ ছাড়া এখন রমজান ও ঈদ আসন্ন। পুঁজিবাজার থেকে এখন টাকা কাপড় ও অন্যান্য বাজারে চলে গেছে। বাজার আপন গতিতেই ঘুরে দাঁড়াবে। কিছুটা সময় লাগবে।’
বিভিন্ন খাতের চিত্র দুই শতাধিক কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব খাতেই দর উত্থান দেখা গেছে। তবে কোনো খাতের লেনদেনে এক শ কোটি ছাড়ায়নি।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ কোম্পানির দর বেড়েছে বস্ত্র খাতে। তবে খুব বেশি লেনদেন হয়নি। ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার হাতবদলের মধ্য দিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ৮টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল। বিপরীতে দর কমেছে ১৪টির।
২৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে প্রকৌশল খাতে। ১২টির দরপতন ও দুটির অপরিবর্তিত দামে হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে।
৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। চারটি করে কোম্পানির দর পতন ও অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে ২৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
লেনদেনের প্রথম অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতে দর বেড়েছে ৮টি কোম্পানির। কমেছে ৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে একটির দর। লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
শীর্ষ পাঁচের বাইরে ভালো দিন গেছে জ্বালানি খাতে। মাত্র দুটি কোম্পারি দর পতনের বিপরীতে ২০টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
লেনদেন কম হলেও বিমা খাতের ২১টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
আর ২০টি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে মাত্র ৬ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডে।
খাদ্য খাতে ১০টি ও সিমেন্টের ছয়টি ও সেবা ও রিয়েল এস্টেটের চারটি কোম্পানিরই দর বেড়েছে।
সূচক বাড়াল যারা
আগের দিন যেসব বড় মূলধনি কোম্পানির কারণে সবচেয়ে বেশি সূচক পড়েছিল, সেগুলোর দর বৃদ্ধিতেই সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৬.৯৮ পয়েন্ট যোগ করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬.৯৮ শতাংশ।
এরপরেই সূচক বাড়িয়েছে ওয়ালটন হাইটেক। কোম্পানিটি সূচক বাড়িয়েছে ৪.৬৭ পয়েন্ট। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১.১৪ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর ৩.৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ২.৭৫ পয়েন্ট।
এছাড়া ২ পয়েন্টের বেশি করে সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ও স্কয়ার ফার্মা।
এক পয়েন্টে বেশি সূচক বাড়িয়েছে রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইবিএল ও জিপিএইচ ইস্পাত। এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৮.০৮ পয়েন্ট।
সূচক কমল যাদের কারণে
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির কোনোটিই এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।
সবচেয়ে বেশি ০.৮১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে আইসিবি। কোম্পানিটির ০.৮২ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
০.৫৬ পয়েন্ট সূচক পড়েছে বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের দর পতনে। প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ১.৭ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ০.৫৫ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। দিন শেষে কোম্পানির দর কমেছে ০.৩৬ শতাংশ।
এছাড়া আইপিডিসি, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, জেনেক্স ইনফোসিস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে। এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে মাত্র ৪.১৪ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
আবার এই তালিকার শীর্ষে নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটার। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর ছাড়িয়ে গেছে ৬০ টাকা। আজ দর বেড়েছে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭.৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে জ্বালানি খাতের ডরিন পাওয়ারের। এই কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি আয় করার তথ্য জানানোর পর দামে এই উল্লম্ফন দেখা গেছে।
তৃতীয় স্থানে ছিল জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা ইবনেসিনার দর বেড়েছে ৬.৩৩ শতাংশ।
পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে ছিল যথাক্রমে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, এসএস স্টিল, ক্রাউন সিমেন্ট ও ফারইস্ট নিটিংয়ের দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
চার শতাংশের বেশি বেড়েছে নবম ও দশম স্থানে থাকা ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও লাভেলো আইসক্রিমের দর।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার সবগুলোর দরই কমেছে দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের আশেপাশে।
এর মধ্যে শীর্ষে ছিল লোকসানি কোম্পানি সাভার রিফ্রাকটরিজের দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর কমেছে আরামিটের।
অন্য আটটি কোম্পানি ছিল জেমিনি সি ফুড, মনোস্পুল পেপার, নাহি অ্যালুমিনিয়ম, আইপিডিসি, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, বিডি ল্যাপস এবং ড্যাফোডিল কম্পিউটারস।
একইভাবে দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে ৫০টিরও বেশি কোম্পানি।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য