রোজায় ১১ কর্মদিবসে ২৮৯ পয়েন্ট সূচকের পতন, দ্বাদশ কর্মদিবসে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা যেতে না যেতেই আরও ৫৯ পয়েন্টের পতন। আতঙ্ক জেঁকে বসা পুঁজিবাজার হঠাৎ করেই সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াল। বেলা শেষে ৪৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হলো লেনদেন।
অর্থাৎ দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে ১০৮ পয়েন্ট যোগ করে শেষ হয়েছে লেনদেন। আর আগের দিনের তুলনায় দেড় গুণ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ৩০ পয়েন্ট, পরের দিন ৭২ পয়েন্ট পতনের পর মঙ্গলবারের এই লেনদেন পুঁজিবাজারের তলানি থেকে উঠে আসার চেষ্টা কি না, সেটি আছে আলোচনায়।
আগের দুই দিন লেনদেন ছিল ৪০০ কোটি টাকার নিচে। আর মঙ্গলবার তা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।
আগের দিন ৩৪৭টি কোম্পানির দরপতনের বিরল ঘটনার সাক্ষী পুঁজিবাজারে আজ যতগুলো কোম্পানির দর পতন হয়েছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের বেশি। ১০৫টি কোম্পানির মূল্য হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে ২৩৪টির দাম। আর ৩৯টির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দামেই।
আগের দিন সর্বোচ্চ ২ শতাংশে দরপতনেও বিপুলসংখ্যক শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যায়নি। লেনদেনের শুরুতে তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে আধা ঘণ্টা পর থেকে শেয়ার কেনার আগ্রহ লক্ষ করা গেছে।
ধীরে ধীরে শেয়ারগুলো দর ফিরে পেতে থাকে। বেলা ২টার কিছু আগে আগের দিনের চেয়ে সূচক ৬০ পয়েন্ট বাড়লে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে কিছুটা কমে যায়।
এ নিয়ে রমজান শুরুর পরে ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক বাড়ল চার দিন। তার পরেও সব মিলিয়ে এই সময়ে কয়দিনে সূচক কমেছে ২২৭ পয়েন্ট।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে পুঁজিবাজারের যে ধস নামে, তাতে বাতাস দিয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুরবস্থা। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও তা খুব বেশি কাজে আসেনি।
এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ফ্লোর প্রাইস বা সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার বিকেলে এই দাবি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ যায় বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়।
তবে কমিশনের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেছেন, এ বিষয়ে তারা এখন কিছু ভাবছেন না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কার মন্দা, এ রকম বিষয়গুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে তার কিছুটা পুঁজিবাজারে দেখা গেছে।
‘এ ছাড়া এখন রমজান ও ঈদ আসন্ন। পুঁজিবাজার থেকে এখন টাকা কাপড় ও অন্যান্য বাজারে চলে গেছে। বাজার আপন গতিতেই ঘুরে দাঁড়াবে। কিছুটা সময় লাগবে।’
বিভিন্ন খাতের চিত্র দুই শতাধিক কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব খাতেই দর উত্থান দেখা গেছে। তবে কোনো খাতের লেনদেনে এক শ কোটি ছাড়ায়নি।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ কোম্পানির দর বেড়েছে বস্ত্র খাতে। তবে খুব বেশি লেনদেন হয়নি। ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার হাতবদলের মধ্য দিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ৮টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল। বিপরীতে দর কমেছে ১৪টির।
২৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে প্রকৌশল খাতে। ১২টির দরপতন ও দুটির অপরিবর্তিত দামে হাতবদল হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে।
৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। চারটি করে কোম্পানির দর পতন ও অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে ২৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
লেনদেনের প্রথম অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতে দর বেড়েছে ৮টি কোম্পানির। কমেছে ৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে একটির দর। লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
শীর্ষ পাঁচের বাইরে ভালো দিন গেছে জ্বালানি খাতে। মাত্র দুটি কোম্পারি দর পতনের বিপরীতে ২০টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
লেনদেন কম হলেও বিমা খাতের ২১টি কোম্পানির দর বেড়েছে।
আর ২০টি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে মাত্র ৬ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডে।
খাদ্য খাতে ১০টি ও সিমেন্টের ছয়টি ও সেবা ও রিয়েল এস্টেটের চারটি কোম্পানিরই দর বেড়েছে।
সূচক বাড়াল যারা
আগের দিন যেসব বড় মূলধনি কোম্পানির কারণে সবচেয়ে বেশি সূচক পড়েছিল, সেগুলোর দর বৃদ্ধিতেই সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৬.৯৮ পয়েন্ট যোগ করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬.৯৮ শতাংশ।
এরপরেই সূচক বাড়িয়েছে ওয়ালটন হাইটেক। কোম্পানিটি সূচক বাড়িয়েছে ৪.৬৭ পয়েন্ট। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১.১৪ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর ৩.৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ২.৭৫ পয়েন্ট।
এছাড়া ২ পয়েন্টের বেশি করে সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ও স্কয়ার ফার্মা।
এক পয়েন্টে বেশি সূচক বাড়িয়েছে রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ইবিএল ও জিপিএইচ ইস্পাত। এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৮.০৮ পয়েন্ট।
সূচক কমল যাদের কারণে
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির কোনোটিই এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।
সবচেয়ে বেশি ০.৮১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে আইসিবি। কোম্পানিটির ০.৮২ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
০.৫৬ পয়েন্ট সূচক পড়েছে বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের দর পতনে। প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ১.৭ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ০.৫৫ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। দিন শেষে কোম্পানির দর কমেছে ০.৩৬ শতাংশ।
এছাড়া আইপিডিসি, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, জেনেক্স ইনফোসিস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে। এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে মাত্র ৪.১৪ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
আবার এই তালিকার শীর্ষে নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটার। ২০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর ছাড়িয়ে গেছে ৬০ টাকা। আজ দর বেড়েছে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭.৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে জ্বালানি খাতের ডরিন পাওয়ারের। এই কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি আয় করার তথ্য জানানোর পর দামে এই উল্লম্ফন দেখা গেছে।
তৃতীয় স্থানে ছিল জনতা ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা ইবনেসিনার দর বেড়েছে ৬.৩৩ শতাংশ।
পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে ছিল যথাক্রমে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, এসএস স্টিল, ক্রাউন সিমেন্ট ও ফারইস্ট নিটিংয়ের দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
চার শতাংশের বেশি বেড়েছে নবম ও দশম স্থানে থাকা ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও লাভেলো আইসক্রিমের দর।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার সবগুলোর দরই কমেছে দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের আশেপাশে।
এর মধ্যে শীর্ষে ছিল লোকসানি কোম্পানি সাভার রিফ্রাকটরিজের দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর কমেছে আরামিটের।
অন্য আটটি কোম্পানি ছিল জেমিনি সি ফুড, মনোস্পুল পেপার, নাহি অ্যালুমিনিয়ম, আইপিডিসি, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, বিডি ল্যাপস এবং ড্যাফোডিল কম্পিউটারস।
একইভাবে দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে ৫০টিরও বেশি কোম্পানি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য