পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনায় আগ্রহ নেই, এই পরিস্থিতিতে দরপতন চলছেই। আর লেনদেন নেমেছে এক বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার লেনদেন ছাড়াতে পারেনি চার শ কোটি টাকাও যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সূচক কমেছে আরও ৩০ পয়েন্ট।
২০২১ সালের ৫ এপ্রিল করোনার লকডাউন ঘোষণার পর আতঙ্কে লেনদেন এর চেয়ে নিচে নেমেছিল এক দিন। লকডাউন শুরুর আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
তবে লকডাউনে লেনদেন বন্ধ হচ্ছে না, এমন ঘোষণা দেয়ার পর দিন থেকেই বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। বিধিনিষেধের প্রথম দিন দেড় ঘণ্টা লেনদেনেই হাতবদল হয় পাঁচ শ কোটি টাকার বেশি শেয়ার।
তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দিয়েছে, তা শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
এর মধ্যে লেনদেন বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেষ্টা কম ছিল না। ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বাজার মধ্যস্ততাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে একাধিকবার। এসব বৈঠকে বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার করে সব পক্ষই।
এমনকি রোজায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ৩০০ কোটি টাকা আর প্রতিটি স্টক ডিলার অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি করে আড়াইশ কোটি টাকা লেনদেনের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ছিল।
এই ঘোষণা আসার পর রোজা আসার শেষ কর্মদিবসে লেনদেন বেড়ে এক হাজার একশ কোটি টাকা ছাড়ায়।
কিন্তু রোজার শুরু থেকেই লেনদেন ক্রমেই কমতে থাকে। মোট ১০ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে কেবল তিন দিন। বাকি সাত কর্মদিবসই কমেছে। সব মিলিয়ে এই ১০ কর্মদিবসে সূচক কমেছে ২১৭ পয়েন্ট।
মোট ২৮০টি কোম্পানির দর পতনের দিন বেড়েছে কেবল ৫৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪১টির দর।
গত বৃহস্পতিবার সূচক ১০ পয়েন্ট বাড়ার পরও বিনিয়োগকারীদের মনে কোনো স্বস্তি ছিল না। নতুন সপ্তাহের শুরুতে ২০ মিনিটে আরও ২৭ পয়েন্ট বেড়েওছিল। কিন্তু এরপর থেকে টানা পড়েছে।
এদিন এমন কোনো খাত ছিল না, যে খাতের বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকবে। ব্যাংক, বস্ত্র, বিমা, খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি, আর্থিক, প্রকৌশল সিমেন্ট-সব খাতেই বেড়েছে হাতে গোণা দুই একটি কোম্পানির দর।
নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হসপিটাল ছাড়া অন্য একটি কোম্পানিও ছিল না, যেটির দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।
সূচক কমল যাদের কারণে
সবচেয়ে বেশি ৪.৭৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওয়ালটন হাইটেক।কোম্পানিটির ০.৬৪ শতাংশ দরপতনে এই পয়েন্ট কমেছে।
৪.১১ পয়েন্ট সূচক পড়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দর পতনে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১.৪৪ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩.২৯ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকোর আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার কারণে। দিন শেষে কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশ।
এছাড়া স্কয়ার ফার্মার দরপতনে ১.৩৯ পয়েন্ট, রবি ১.১৭ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ১.১৪ পয়েন্ট, লাফার্জ ১.০৪ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রিড ০.৯৬ পয়েন্ট, আইসিবি ০.৯ পয়েন্ট ও তিতাস গ্যাসের দর হ্রাসে সূচক পড়েছে ০.৮৮ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ১৯.৬২ পয়েন্ট ।
অন্যদিকে সূচকে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিরটির ১ শতাংশ দর বেড়েছে। আর এতে সূচক বেড়েছে ৯.৬৬ পয়েন্ট।
এরপরেই সূচক বাড়িয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। কোম্পানিটি সূচক বাড়িয়েছে ২.৮ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১.৯৯ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর ১.৭৮ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ২.৫৮ পয়েন্ট।
এরপরেই ২.৪১ পয়েন্ট বাড়িয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। কোম্পানিটির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এছাড়া জেএমআই হসপিটাল ১.৪৩ পয়েন্ট, পদ্মা অয়েল ১.১৪ পয়েন্ট, প্রাইম ব্যাংক ০.৭৬ পয়েন্ট, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ০.৭ পয়েন্ট, সাইফ পাওয়ার ০.৫১ পয়েন্ট এবং ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স ০.৪৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২.৪৩ পয়েন্ট।
দর পতনের শীর্ষ ১০
শীর্ষ ১০টি কোম্পানিরই দর পতন হয়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর আশেপাশে। ২ শতাংশ করে দর হারিয়েছে বিডি ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, রেনউইক যগেশ্বর ও তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স।
আগের দিন ৪০ টাকা বিক্রি হওয়া বিডি ফাইন্যান্সের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ২০ পয়সা। তবে বিপুল পরিমাণ বিক্রয় আদেশ থাকলেও ক্রেতা ছিল। পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ না হলে আরও দর কমতে পারত।
২ শতাংশ কমে বেক্সিমকো ফার্মার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬১ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৬৫ টাকায়।
এরপরেই ১.৯৯ শতাংশ করে দর হারিয়েছে অ্যাপেক্স স্পিনিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ, মনোস্পুল, জেএমআই সিরিঞ্জ ও সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
টানা বেড়ে চলেছে জেএমআই হসপিটালের দর। লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের মতো দর বাড়ছে কোম্পানিটির। ২০ টাকায় লেনদেন শুরু হলেও আজ ৯.৯২ শতাংশ বেড়ে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৫০ পয়সায়।
এই কোম্পানিটি ছাড়া অন্য কোনোটির দর সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ছুঁতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.১৬ শতাংশ বেড়েছে লোকসানি কোম্পানি মেঘটা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩.২৮ শতাংশ বেড়েছে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের। আগের দিন ৩৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির চতুর্থ স্থানে রয়েছে সালভো সিমেন্টের। ৩.২০ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিন সেটি হাতবদল হয়েছিল ৫৩ টাকা ১০ পয়সায়।
এছাড়া ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ২.৭৭ শতাংশ, ফার্মা এইডসের দর ২.৫২ শতাংশ, পদ্মা অয়েলের দর ২.৫২ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের দর ২.৫ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের দর ২.৪৮ শতাংশ, উত্তরা ফাইন্যান্সের দর ২.০৫ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের দর ১.৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য