× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Are notes lost on paper?
google_news print-icon

কাগুজে নোট কি হারিয়ে যাচ্ছে?

কাগুজে-নোট-কি-হারিয়ে-যাচ্ছে?
লেনদেনে কাগুজে টাকার বদলে বাড়ছে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার। ফাইল ছবি
গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৮টি। এসব কার্ডে শুধু জুন মাসেই লেনদেন হয়েছে ২৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। শহুরে লোকজন এখন তাদের মাসিক লেনদেনের বড় অংশই সারছেন কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। কাগুজে টাকা খুব কমই বহন করছে লোকে।

‘এখন আমগো খুব সুবিধা হইছে। বেতনডা হইলে কার্ডডা নিয়ে মেশিন (ব্যাংকের বুথ) থ্যাইক্যা টাকা তুলি। এহন আর আগের মতন ঘরে টাকা রাখন লাগে না। যহন কামে লাগে, তহন তুলি। এ জন্য বছরে বছরে টাকা কাডে। তার পরও এইডাই সুবিধা।’

মিরপুর-৬০ ফিট সড়কের পাকা মসজিদের পাশে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বললেন গার্মেন্টকর্মী পারভীন আক্তার। এই গার্মেন্টকর্মী যে কারখানায় কাজ করেন, তাদের সবারই এটিএম কার্ড সুবিধা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পারভীন জানান, তার মতো অনেকেই এই বুথ থেকে টাকা তোলেন। তবে মাসের যে দিন বেতন হয়, সে দিন খুবই চাপ তৈরি হয়। অনেক সময় রাতও হয়ে যায়, আবার বেশি চাপ তৈরি হলে শেষ হয়ে যায় বুথে থাকা টাকাও। তার পরও এতেই স্বস্তি।

পারভীনের বোন জোসনা জানান, হাতে বেতন দিলে সেই টাকা সারা মাস রেখে খরচ করা খুব কষ্টকর। কারণ বাসায় টাকা রেখে কাজে গেলে চুরি যাবার ভয় থাকে। বুথ থেকে টাকা তুলে খরচ করতে সুবিধা বেশি। এই সেবার জন্য বছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। সেবা নিতে গেলে ফি দিতে হবে, এটা স্বাভাবিক বলেই মনে করেন জোসনা। কিন্তু যারা কম বেতন পান, তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা।

ক্রমান্বয়ে কমছে কাগুজে টাকার ব্যবহার। মানিব্যাগ অথবা পকেট ফুলিয়ে টাকা রাখার যে প্রবণতা একসময় ছিল, এখন সেই ধারণা থেকে বের হয়ে আসছে সবাই। বড় প্রতিষ্ঠানের সিইও থেকে শুরু করে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক পর্যন্ত কার্ডের দিকে ঝুঁকছেন।

কার্ডের ব্যবহার

কেনাকাটা থেকে শুরু করে সব কাজেই এখন ব্যবহার হচ্ছে ব্যাংকের কার্ড।

বিদেশি একটি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করেন ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কার্ড দিয়েই সারছেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা। নিয়মিত বাজার করেন, নিজের ও পরিবারের অন্য সব কেনাকাটাওসহ পরিবারের ৮০ শতাংশ ব্যয় তিনি কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন।

রবিউল বলেন, ‘টাকা বহন করা ঝামেলা মনে হয়। যতটুকু সম্ভব কার্ড বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন করি।’

বিশ্বের সব উন্নত দেশে নগদ টাকার ব্যবহার কমছে। বিকল্প হয়ে উঠছে কার্ড, ইন্টারনেট, মোবাইল ব্যাংকিং। তবে বাংলাদেশে এসব লেনদেন এখনো মূলত রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতেই সীমাবদ্ধ। অবশ্য ব্যাংকগুলো কার্ডের গ্রাহক বাড়াতে কমবেশি চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও সময় সময়ে তাদের নীতি-সহায়তা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা মোট ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৮টি। জুন মাসে এসব কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয় ২৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ডেবিট কার্ড তথা নিজের জমানো টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করছে কার্ড। তবে এ সময়ে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে।

ডেবিট কার্ডের গ্রাহক ২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭০২ জন। এসব কার্ডে লেনদেন ২১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬ জন। জুনে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। প্রি-পেইড কার্ডধারী ৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ জন। এসব কার্ডে লেনদেন ১৯১ কোটি টাকা।

বাড়ছে এটিএম বুথ

ক্রমান্বয়ে বাড়ছে অটোমেটেড মানি ট্রেলার (এটিএম) বুথের সংখ্যা। ২০১৮ সালে দেশে এটিএম বুথের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ২৮০টি। চলতি বছর জুন শেষে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৩৩৭টি।

পয়েন্ট অফ সেলস ২০১৮ সালে ছিল ৪৮ হাজার ২২৮। আড়াই বছরে সেটা বেড়ে হয়েছে ৮২ হাজার ৯৮।

শাখায় ভিড় এড়াতে অনেক ব্যাংক এখন ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম) স্থাপনে জোর দিয়েছে। জুন মাসে দেশের সিডিএমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬৪। ২০১৮ সালে সিডিএম ছিল ১ হাজার ৩২৪।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং

ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার পরিধিও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৮ সালে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার গ্রাহক ছিল ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৪ জন। আড়াই বছরে যা বেড়ে হয়েছে ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৩ জন। আর লেনদেনও ৩ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্যাংকগুলোর আলাদা অ্যাপসও রয়েছে।

সারা বিশ্বে কমছে কাগুজে টাকার ব্যবহার

ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মানি ডটকম-ডট-ইউকে এর ‘ক্যাশলেস কান্ট্রিস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ক্যাশলেস বা নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কানাডা। এর পরই রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর ও নিউজিল্যান্ডের নাম।

কানাডার জনসংখ্যার প্রায় ৮৩ শতাংশ (১৫ বছরের বেশি বয়সী) অন্তত একটি ক্রেডিট কার্ডের মালিক। এই দেশের নাগরিকরা একবারে ২০২ ডলার পর্যন্ত স্পর্শবিহীন লেনদেন করতে পারেন।

এর পরই হংকংয়ে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৩ শতাংশের অন্তত একটি ডেবিট কার্ড রয়েছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের পাশাপাশি দেশটির নাগরিকরা লেনদেনের ক্ষেত্রে অ্যাপল পে, গুগল পে, স্যামসাং পে ও আলি পেও ব্যবহার করছেন।

তৃতীয় স্থানে থাকা সিঙ্গাপুরের প্রায় ৯২ শতাংশ লোকের ডেবিট কার্ড রয়েছে এবং তারা চারটি বড় ই-ওয়ালেট ব্যবহার করেন। দেশটিতে স্পর্শবিহীন লেনদেনের সীমা ১৪৮ ডলার ৯০ সেন্ট।

চতুর্থ স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডে স্পর্শবিহীন লেনদেনের সীমা ১৪১ ডলার ৭০ সেন্ট।

নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে জাপান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস করতে দেশটি স্পর্শবিহীন লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে ১৮০ ডলার ৫০ সেন্ট নির্ধারণ করেছে।

অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড শীর্ষ ১০টি নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম নগদ অর্থবিহীন দেশ হতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ৮৩ শতাংশ জনগণ অন্তত একটি ডেবিট কার্ডের মালিক। এ ছাড়া দুই-তৃতীয়াংশ সুইস জনগোষ্ঠী ক্রেডিট কার্ডের মালিক।

ফিনল্যান্ডের ৯৮ শতাংশ লোকের ডেবিট কার্ড এবং ৬৩ শতাংশের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে।

তালিকায় ১১তম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের প্রতি ১০ জনের ৯ জনের হাতে ডেবিট কার্ড ও দুই-তৃতীয়াংশের হাতে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে।

ডিজিটাল লেনদেন বাড়তেই থাকবে

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরফান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেনের পরিসর বাড়ানো, গ্রাহদের সচেতনতা, পরিবেশ-পরিস্থিতি, ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিবর্তন- সব মিলিয়ে ডিজিটাল লেনদেন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।

‘যে কোনও দেশে ২০ বছর আগে টাকার ব্যবহার যে পরিমাণ ছিল, সেটা পরিবর্তন হচ্ছে। সবাই ডিজিটাল লেনদেন বা ইলেকট্রনিক মানিতে ঝুঁকছে। কাগুজে নোট এক সময় উঠে যাবে। হয়তো ১০ শতাংশ নোট থাকবে, বাকি ৯০ শতাংশ লেনদেন ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে হবে।’

ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রবণতার কারণে কাগুজে মুদ্রার ব্যবহার কমে যাবে। চায়না এখন পুরোপুরি নোটবিহীন। আমেরিকাতে কমে যাচ্ছে। আমাদের দেশও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

তবে পুরোপুরি ডিজিটাল লেনদেন চালু হতে এখনো অনেক সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের নগদ টাকায় লেনদেন অনেক বেশি। এতে কর ফাঁকি দেয়া যায়। ডিজিটাল লেনদেনে কর ফাঁকির সুযোগ নেই। এ জন্য এসব লেনদেন উৎসাহিত করার জন্য কর আরোপ উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষও ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহী হবে।’

আরও পড়ুন:
অলস টাকা: দ্বিতীয় নিলামে ব্যাংকের মুনাফা পৌনে তিন কোটি
কারখানায় নামাজ পড়া যাবে না নোটিশ প্রত্যাহার
করোনায় মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণের নোটিশ
নগদ টাকার চাহিদা, নতুন টাকায় আগ্রহ কম
নওগাঁয় ২০ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
On the occasion of the martyrdom anniversary of Shaheed President Ziaur Rahman
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে

জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।

জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Return is not obligated to get a credit card and trade license purchased by savings

সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা নেই

সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা নেই

১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।

এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Proposes to increase the special advantage of government employees in the budget

বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব

বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Online shopping will be more expensive

অনলাইন কেনাকাটা হবে আরও ব্যয়বহুল

অনলাইন কেনাকাটা হবে আরও ব্যয়বহুল

ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।

তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inflation will come down to 5 percent this June Finance Advisor 

চলতি জুনেই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে : অর্থ উপদেষ্টা 

চলতি জুনেই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে : অর্থ উপদেষ্টা 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’

মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the twilight of international finance the new challenge of IMF

আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সন্ধিক্ষণে: আইএমএফের নতুন চ্যালেঞ্জ

আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সন্ধিক্ষণে: আইএমএফের নতুন চ্যালেঞ্জ

১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।

আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।

ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?

আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।

এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।

আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সন্ধিক্ষণে: আইএমএফের নতুন চ্যালেঞ্জ

বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান

এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।

বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।

আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
There is no new surprise in the budget Devpriya Bhattacharya

বাজেটে নতুন চমক থাকছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বাজেটে নতুন চমক থাকছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’

‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’

তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’

‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।

সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

মন্তব্য

p
উপরে