পরিবেশ রক্ষায় ব্যর্থতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতার কারণে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী বন্ধের সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
সংসদ ভবনে সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ আসে।
কমিটির পক্ষ থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) চিঠি দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলে আবারও এই শিল্পনগরী খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মত দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সাভারের ট্যানারি শিল্পনগরী পরিদর্শন করেছিলাম। এ ছাড়া, পরিবেশ অধিদপ্তর একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়েছে।
‘যেটা দেখা গেছে তা হলো, যে পরিমাণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে, উৎপাদন হয় তার চেয়ে অনেক বেশি। জরিমানা বিভিন্ন সময় করা হয়, কিন্তু সেটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এ জন্য আমরা বন্ধ করে দিতে বলেছি।’
কমিটি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদন হয়। সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ঘনমিটারের, অর্থাৎ দৈনিক ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিবেশে মিশছে। গত তিন বছরে ১ কোটি ৬৪ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে গেছে।
সাবের হোসেন বলেন, ‘তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা রয়েছে সাভারে। হেভি মেটাল এবং ক্রোমিয়াম বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থাই নেই। দূষণ কমানোর জন্যই হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি আনা হলো। দূষণ তো কমল না। তাহলে আমরা এটা করতে গেলাম কেন?’
তিনি বলেন, ‘ট্যানারি পরিচালনার জন্য প্রতিবছর যে পরিবেশ ছাড়পত্র নিতে হয় তা নবায়ন না করতেও কমিটি সুপারিশ করেছে।’
চামড়াশিল্পকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরিবেশে উন্নীত করতে ২০০৩ সালে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় বিসিক। হাজারীবাগের ট্যানারিমালিকদের অনীহার পরও ২০১৭ সালের এপ্রিলে সেখানে যেতে বাধ্য হয় তারা।
শুরুতে শর্ত ছিল শিল্পনগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যানারিগুলো নিজেরাই ইটিপি স্থাপন করবে। ট্যানারিগুলো তা না করায় শিল্প মন্ত্রণালয় প্রকল্পের আওতায় সিইটিপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১০ সালে প্রকল্প সংশোধন করা হয়। তখন প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫৪৫ কোটি টাকা।
এর মধ্যে শিল্পনগরীর কোনো সুবিধাই নিশ্চিত না করে ট্যানারিগুলোকে বারবার স্থানান্তরের সময়সীমা বেঁধে দিতে থাকে শিল্প মন্ত্রণালয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় উচ্চ আদালত হাজারীবাগের কারখানাগুলোর গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দেয়। এরপর ২০১৭ সালের এপ্রিলে কারখানাগুলো একযোগে স্থানান্তরিত হয়।
সিইটিপির বিভিন্ন কম্পোনেন্টের কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগেই ১৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন শুরু করে। আগে হাজারীবাগের বর্জ্য ও দূষিত কেমিক্যাল বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে মিশ্রিত হতো, এখন সাভারের চামড়াশিল্পের দূষণ ধলেশ্বরী নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে।
সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, মো. রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন ও শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন:চলমান অর্থনীতির সংকটগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাজেটে ঘোষিত পদক্ষেপগুলো বাস্তববর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেছেন, সংকট মোকাবিলায় ঘোষিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল।
বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘প্রথম বিষয়টি হচ্ছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো ঘোষণা করা হলো সেই সূচকগুলো যেভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা বাস্তববর্জিত এবং অর্জন করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, মূল্যস্ফীতির চাপ বা এর লাগাম টানার জন্য যে সমাধান দেয়া হয়েছে এগুলোও সম্ভব নয়।
‘মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এটি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার, বাজেটে তা নেই।’
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো- যেমন: আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু কিছু পণ্যের ওপর কর থাকে, সেখানে যদি কর রেয়াত দেয়া যায় তাহলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। কিন্তু সেখানে আমরা তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।’
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘২০২৩-২৪ সালের বাজেট এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন অর্থনীতির মূল সূচকগুলো ভেঙে গিয়েছে। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এখন আর নেই। এখানে নানামূখী চাপ রয়েছে। বহির্খাতের চাপ রয়েছে; রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স যেভাবে আসার কথা ছিল সেভাবে আসছে না। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন কিংবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল মূল্যস্ফীতির চাপ, সেটিও রয়ে গেছে। পুরো অর্থবছর জুড়েই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমূখী ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। সেটি বাড়ানো হয়েছে। এটি খুবই ভালো।
‘তবে আমরা দেখছি সরকারি ৩৮টি সেবা পেতে রিটার্ন সাবমিট করতে হবে এবং আয় যেটাই হোক, রিটার্ন সার্টিফিকেট পেতে ২ হাজার টাকা দিতে হবে। সেটি আমাদের কাছে অবিবেচনাপ্রসুত মনে হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে যে ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি তুলে দেয়া উচিত।’
সংস্কারের কথা তুলে ধরে ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে আমরা যেসব সংস্কার প্রস্তাব করেছিলাম, সেগুলোর কোনো প্রতিফলন নেই। এই বাজেটটি এমন একটি সময়ে প্রণয়ন করা হয়েছে যখন আন্তর্জাতিক দুটি সংস্থার বিভিন্ন শর্ত রয়েছে, যেহেতু তারা ঋণ দেবে।
‘বাজেট ডকুমেন্টে তিনবার আইএমএফ-এর কথা বলা হয়েছে। পরিষ্কারভাবে আইএমএফ-এর শর্তের কথা বলা না হলেও সেই শর্ত পালনের ইঙ্গিত রয়েছে বাজেটে। সবমিলিয়ে চলমান অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঘোষিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটিই অপ্রতুল।’
আরও পড়ুন:ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে চতুর্থ। আর ছাগলের মাংস উৎপাদনে দেশের অবস্থান সপ্তম।
বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।
মন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ ছাগলের মাংস উৎপাদনে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, চাল উৎপাদনে দেশ বিশ্বে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম, মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়, সজবি উৎপাদনে তৃতীয়, পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে কোভিড-১৯ ও চলমান বৈশ্বিক সংকেটর মাঝেও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। ধান, ভুট্টা, আল, সবজি ও ফলসহ অন্য ফসল উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর আগে বাজেট উপস্থাপনের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নেন অর্থমন্ত্রী। স্পিকারের অনুমতিক্রমে মন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় সংসদে টানা পঞ্চমবারের মতো বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ইতিহাসে ৫২তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ মেয়াদের ২৪তম বাজেট।
আরও পড়ুন:কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ডলার সংগ্রহ ও সঞ্চয়ে জোর দেয়া হলেও প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কোনো আকর্ষণ রাখা হয়নি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানালেও তাদের জন্য নতুন কোনো আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দক্ষতার ঘাটতির কারণে বিদেশে কর্মরত প্রবাসীদের সংখ্যার অনুপাতে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি সন্তোষজনক নয় বলে সংসদে জানান অর্থমন্ত্রী। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিদেশ গমনের আগে প্রবাসে যেতে ইচ্ছুকদের অবহিতকরণ, কারিগরি ও বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা কোর্স এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষণের গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষতার স্বীকৃতি, দক্ষ পেশায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, স্থানীয় প্রশিক্ষণ সনদের আন্তর্জাতিক সনদায়ন নিশ্চিত ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষায় দক্ষতা অর্জনসহ নানা কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রেখেছি। বিদেশগামী প্রত্যেক কর্মীকে মাইক্রোচিপ সম্বলিত স্মার্ট কার্ড/বহির্গমন ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ১৪ বছরের শাসনামলে ১০ লাখ নারীসহ ৮১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২ শ্রমিকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে অদক্ষ ও আধা-দক্ষ ক্যাটাগরিতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের পেশায় প্রবেশের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মূল গন্তব্যের বাইরেও পোল্যান্ড, সিসিলি, আলবেনিয়া, রোমনিয়া, স্লোভেনিয়া, উজবেকিস্তান, বসনিয়া হার্জেগোভিনিয়া ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের পাঠানো সম্ভব হয়েছে।’
হুন্ডি ঠেকিয়ে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স আনতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে প্রবাসীদের দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয় সরকার। গত বছর তা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়। এর ফলে কোনো প্রবাসী দেশে ১০০ টাকা পাঠালে, তার পরিবার ১০২ টাকা পায়। বাড়তি ২ টাকা সরকার উপহার বাবদ ভর্তুকি দেয়।
দেশে চলমান ডলার সংকটের অন্যতম কারণ রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যাওয়া। বৈধপথের তুলনায় হুন্ডি মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠালে বেশি টাকা পায় প্রবাসীদের পরিবার।
ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে ফের বাড়ছে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানো। রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু হুন্ডিতে আরও বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
রেমিট্যান্সে তাই প্রণোদনা বৃদ্ধির দাবি থাকলেও, বাজেটে এ বিষয়ে কিছুই নেই।
বৃহস্পতিবার সংসদে উপস্থাপিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এক হাজার ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের চেয়ে যা ২৮ কোটি টাকা বেশি।
তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমে হয় ৫৯৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৯৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে যা ছিল ২২ হাজার ৫৭৭ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেট বক্তব্য থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর মধ্যে জননিরাপত্তা সচিবালয়ের জন্য ৪৯৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, পুলিশের জন্য ১৭ হাজার ৭৬৫ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে জন্য ৪ হাজার ২৭০ কোটি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, কোস্ট গার্ডের জন্য ১ হাজার ২৬ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং আনসারের জন্য ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করবে জননিরাপত্তা বিভাগ।
সেগুলো হল হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো, ঢাকা মহানগর পুলিশের এলাকায় ৯টি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের জন্য ৯টি আবাসিক ভবন নির্মাণ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ, পাঁচটি র্যাব কমপ্লেক্স এবং একটি র্যাব ট্রেনিং স্কুল নির্মাণ, র্যাবের জন্য সদর দফতর নির্মাণ, র্যাবের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো, সীমান্ত এলাকায় ৭৩টি আধুনিক বা কম্পোজিট বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বা বিওপি নির্মাণ, বিজিবির নতুন গঠিত ৬২ ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণ এবং কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিক্স ও ফ্লিট মেনটেইন্যান্স ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সে সঙ্গে আগামী অর্থবছরেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা তার।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে এসেছে। এ ছাড়া দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।’
এসব কারণে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে আশা করি।’
তবে অর্থমন্ত্রীর প্রত্যাশা কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা অনেকটাই অনিশ্চিত। কেননা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান কবে হবে তা কেউ বলতে পারছে না। ফলে আগামী বছরও উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে ওঠে। এপ্রিলে তা সামান্য কমে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়েছে। মে মাসের তথ্য পাওয়া গেলে সেটা দুই অঙ্কের ঘরে (ডাবল ডিজিট) গিয়ে পৌঁছতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্ববাজারের অস্থিরতাকে সঙ্গী করে সরকার যখন আইএমএফের ঋণের শর্ত মেনে ভর্তুকি তুলে নিয়ে ধাপে ধাপে জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে, সেই সময়ে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচককে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে বেধে রাখার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে তা সংশোধন করে ৬ শতাংশ করা হয়। তবে সেই লক্ষ্যও পূরণ করা যায়নি।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১০ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা বহু বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের সংসারে তেল-নুনের হিসাব মেলাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড চাপ পড়ছে।
এমন বাস্তবতায় গড় মূল্যস্ফীতি কী করে ৬ শতাংশে রাখা যাবে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় দেননি।
প্রবৃদ্ধি অর্জনে আরও কঠিন লক্ষ্য দিয়েছেন তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব প্রতিনিয়ত পড়ছে অর্থনীতিতে। এমন অস্থির বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ডিসেম্বর অথবা পরবর্তী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের এই মহাযজ্ঞ আয়োজনে রয়েছে বিশাল ব্যয়ের চাপ। পাশাপাশি এই ভোট ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
এসব সংকটের মধ্যেও আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ অর্জন করতে চান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। আর সেই লক্ষ্য অনুযায়ী এবার জিডিপির মোট আকার নির্ধারণ করা হচ্ছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটেও মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জিত হবে বলে লক্ষ্য ধরেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কিন্তু ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) হিসাব কষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, এবার ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি বলছে আরও কম; ৫ শতাংশের কিছু বেশি।
অর্থনীতি চাপে থাকার পরও কেন এবার বেশি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন- সে ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে হলেও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে আমাদের বাণিজ্য ও প্রবাস আয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ বছরের এপ্রিলে প্রক্ষেপণ করেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসার সুবাদে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে বলেও আইএমএফ-এর প্রক্ষেপণে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির অনুকূল পরিবর্তন আমাদের জন্য আশার সঞ্চার করছে। একইসঙ্গে কোভিড পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পূর্ণ গতি সঞ্চার হয়েছে। এছাড়াও, অর্থবছরের শেষাংশে কৃষি খাতে ভাল ফলন আসছে। সার্বিকভাবে, উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ ও উৎপাদশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং সুসংহত অভ্যন্তরীণ চাহিদার কল্যাণে অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরে আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসব এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।’
করোনা ভাইরাস মহামারির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ধারাবাহিক অগ্রগতির পথ ধরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ (ভিত্তি বছর পরিবর্তনের পর যা ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ) প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
গত এক দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চার বছরে এই হার ছিল ৭ শতাংশের ওপরে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমে আসে, যা ছিল তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
আরও পড়ুন:অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে। শিগগিরই একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। এর আগে জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩’ পাশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে। প্রস্তাবিত স্কিমে অর্ন্তভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকগকরা অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা প্রদান করার পূর্বেই মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে। এ ছাড়াও চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্ব্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসাবে উত্তোলন করা যাবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। শিগগিরই একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য এক হাজার ৯৪২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের জন্য ২৩৭ কোটি এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের জন্য ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত এ বাজেট পেশ করেন।
দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। দীর্ঘ বাজেট বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
এটি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। যা পরে সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জন্য ২৩০ কোটি এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য