× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
75 percent implementation of incentive package
google_news print-icon

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন ৭৫ ভাগ

প্রণোদনা-প্যাকেজ-বাস্তবায়ন-৭৫-ভাগ
নাজুক প্যাকেজগুলোর সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের দুস্থ শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষিজীবী এবং করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীরা।  

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।

এর মধ্যে পাঁচটি প্যাকেজের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও অপর পাঁচটির অবস্থা নাজুক। তবে এই ১০টি বাদে অন্য ১৩ প্যাকেজের বাস্তবায়ন হার মাঝামাঝি অবস্থায়।

২৩ প্যাকেজে জড়িত মোট অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

এর মধ্যে সামগ্রিকভাবে মোট বরাদ্দের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে ৯৬ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।

প্রতিবেদনের একটি কপি গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, নাজুক প্যাকেজগুলোর সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের দুস্থ শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষিজীবী এবং করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীরা।

অপরদিকে, শতভাগ বাস্তবায়নকারী প্যাকেজগুলোর উপকারভোগীরা হলো: রপ্তানিমুখী শিল্প শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, করোনায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গত বছরের এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে প্যাকেজগুলো ঘোষণা করে সরকার।

এর মধ্যে বেশিরভাগ প্যাকেজ মূলত ব্যাংকঋণ নির্ভর। এতে অর্থের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। অবশিষ্ট প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও বিভাগের।

বাস্তবায়নের দিক থেকে নাজুক পাঁচটি প্যাকেজে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত জুন পর্যন্ত এসব তহবিল থেকে খরচ হয়েছে মাত্র ৮০৪ কোটি টাকা, যা শতকরা হারে গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ।

অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময় ধরে উল্লিখিত প্যাকেজগুলোর আওতায় বরাদ্দের সিংহভাগ টাকাই খরচ হয়নি।

তবে অন্য পাঁচ প্যাকেজ বাস্তবায়নের চিত্র ভিন্ন। এগুলোর বাস্তবায়নের হার কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগ ছাড়িয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

নাজুক পাঁচ প্যাকেজের বাস্তবায়ন চিত্র

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাস্তবায়নের দিকে থেকে যে পাঁচটি প্যাকেজের অবস্থা নাজুক, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমুখী শিল্পকে সহায়তা দিতে প্রাকজাহাজীকরণ পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি।

এ কর্মসূচির আওতায় ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত এপ্রিল থেকে চলতি অর্থবছরে পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ২৯১ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের হার মাত্র ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

পোশাক মালিকরা বলছেন, টাকা ছাড়ে নানা শর্ত ও জটিলতার কারণে এ তহবিলের টাকা নিতে অনেকে উৎসাহী নন। যে সময় টাকা দেয়া হয়, তাতে রপ্তানিকারকদের খুব বেশি লাভ হয় না।

যোগাযোগ করা হলে বিকেএমইএ-এর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই প্যাকেজ থেকে অর্থ ব্যয় না হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে নানা ধরনের শর্ত দেয়া আছে। যখন টাকা প্রয়োজন, তখন দেয়া হয় না। এ কারণে রপ্তানিকারকরা খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’

সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক উর্ধ্বতন পরিচালক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালে ব্যাংকগুলোর ঋণ কার্যক্রম গতিহীন হয়ে পড়ে। পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির জন্য যে ধরনের নীতিমালা কিংবা রেগুলেশন তৈরি করা দরকার, সেভাবে করতে পারেনি। এ দুর্বলতার কারণে পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি থেকে টাকা ছাড় করা সম্ভব হয়নি।’

এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ২ হাজার কোটি টাকার ‘এসএমই খাতের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম’ প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। জুন পর্যন্ত এ প্যাকেজ থেকে খরচ হয়েছে মাত্র ২৯ কোটি টাকা। পড়ে আছে ১ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের হার প্রায় দেড় শতাংশ।

‘কৃষিকাজ যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক প্যাকেজে বরাদ্দ ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত এ থেকে খরচ হয়েছে ৪০৮ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের হার প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ।

করোনা ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা এবং জীবনবিমা খাতে বরাদ্দ আছে ৭৫০ কোটি টাকা। এ থেকে জুন পর্যন্ত খরচ হয় ৭০ কোটি টাকা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে পোশাক ও চামড়া খাতে চাকরি হারানো শ্রমিকদের ৩ হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকে জুন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৫ জন শ্রমিকের জন্য মাত্র ৬ কোটি টাকা খরচ হয়। অবশিষ্ট টাকা ব্যয় হয়নি।

অর্থমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, যে সব প্যাকেজের অগ্রগতি তেমন ভালো নয়, সেগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন যাতে দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে নতুন করে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে।

শতভাগ বাস্তবায়িত প্যাকেজগুলোর চিত্র

রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করে সরকার। পোশাক খাতের সুরক্ষায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে গঠিত এ তহবিলের আকার ছিল প্রথমে ৫ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে দুই ধাপে বাড়িয়ে মোট ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। নির্ধারতি সময়ের আগেই এই তহবিলের পুরোটা শেষ হয়ে যায়।

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দিতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার থেকে ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। ফলে অতিরিক্ত যোগ হয় ১৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

পরে অর্থ আরও বাড়িয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্যাকেজের আকার করা হয় ১৭ হাজার কোটি টাকা। ৩০ জুন পর্যন্ত পুরো অর্থই খরচ হয়।

চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানী বাবদ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখে একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় গত বছর। জুন পর্যন্ত খরচ হয় ১১০ কোটি টাকা।

১০ টাকা কেজি দরে চাল দিতে প্রথমবার ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। পরে এটি বাড়িয়ে করা হয় ৭৭০ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত পুরো টাকাই ব্যয় হয়।

গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ প্যাকেজে বরাদ্দ রাখা হয় ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত এ প্যাকেজের আওতায় খরচ হয় ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা ।

আরও পড়ুন:
মুদ্রানীতি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক নয় : সিপিডি
প্রণোদনার ঋণ কোথায় গেল, জানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ নেই
প্রণোদনা: যারা ঋণ পেয়েছেন তাদের আর নয়
প্রণোদনার টাকা আ. লীগ নেতারা নিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Import export is closed in Benapole on the occasion of Eid Miladunnabi

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।’

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক দিনের সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ভারত থেকে পণ্যবোঝাই ৩০০ থেকে ৩৫০টি ট্রাক আসে। বাংলাদেশ থেকেও ২০০ ট্রাকেরও বেশি পণ্য যায় ভারতে।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সোমবার সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।’

আরও পড়ুন:
বেনাপোল দিয়ে তিন দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
৫ অর্থবছর পর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
‘অতিরিক্ত শুল্ক আদায়’, বেনাপোলে আটকা পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক
বাংলাবান্ধায় ৭ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
ভাঙা কাঁচে কেটেছে হাত, বেনাপোলে যাত্রীদের পেটাল পুলিশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Starting with a coffee shop Manjurul now owns 21 restaurants

কফি শপ দিয়ে শুরু করা মনজুরুল এখন ২১ রেস্তোরাঁর মালিক

কফি শপ দিয়ে শুরু করা মনজুরুল এখন ২১ রেস্তোরাঁর মালিক বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।

চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। বাবা নুরুল হকের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সে সময় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নতুন কিছু করার তাগিদে কফি শপ শুরু করেন, যার নাম দেন ‘বারকোড’।

এ শপের সফলতার পর মনজুরুল সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আরেকটি রেস্তোরাঁ খোলার। নতুন রেস্তোরাঁটির নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘বারকোড সি-ফুড’। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রেস্তোরাঁটির সজ্জা সম্পন্ন করেছিলেন। এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ।

বিধিবাম ছিল মনজুরুলের। উদ্বোধনের এক রাত আগে ২২ মার্চ রাতে ভয়াবহ আগুনে রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে প্রচণ্ড আহত হলেও মনোবল নষ্ট হতে দেননি মনজুরুল। তিনি ফের রেস্তোরাঁ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। রেস্তোরাঁর নতুন নাম দেন ‘বারকোড অন ফায়ার’।

বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।

মনজুরুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইউএইতে। পড়াশোনা সিঙ্গাপুরের থেমস বিজনেস স্কুল থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Letter from Indian traders asking for hilsa

ইলিশ চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠি

ইলিশ চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফাইল ছবি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইলিশ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়েছে ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশের কাছে ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পদ্মার ইলিশ এপারে এলে খুশি হন মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে তাদের অনেকটাই লাভ হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ আমদানি হয়েছে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং আসামেও বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানি হয়ে এসেছে। বছর ভর এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে তাদের পূজার আয়োজন একেবারে জমে যায়। গত বছরও এক হাজার ৩০০ টন ইলিশ গেছে বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, এমনকি আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

আরও পড়ুন:
ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে বাড়ছে দাম
বছরে ইলিশ উৎপাদন প্রায় ৬ লাখ টন
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The interim government will continue the universal pension scheme

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখবে অন্তর্বর্তী সরকার

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখবে অন্তর্বর্তী সরকার
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বৈঠকে সর্বজনীন পেনশনের চারটি স্কিম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিনি এগুলো চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’

বিকল্প নতুন কোনো পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক করেন। বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সার্বিক বিষয় ও চলমান কার্যক্রম অর্থ উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টার সম্মতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সোমবার একটি বৈঠক করেছেন। এ সময় স্কিম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। স্কিমটি যেভাবে চালু আছে সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে আমরা সামনের দিকে কী করব, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে চারটি স্কিম রয়েছে সেগুলো এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা কী করেছি সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি। তার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশনের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’

পেনশন স্কিমের চাঁদা বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। সম্পূর্ণই সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।’

দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।

গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা- প্রাথমিকভাবে এই চারটি স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু হয়। পরে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।

গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কার্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৯৪ জন। আর তাদের জমা দেয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন দরিদ্ররা, যাদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এই আয়ের মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ টাকা স্কিম গ্রহণকারী দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দু’লাখ ৮৫ হাজার জন। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ ৪০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের ৭৭ শতাংশই দরিদ্র মানুষ।

অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কাজের গতি অনেকটাই কমে গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে যখন প্রচারণা চালাবে তখন গতি আবার আগের পর্যায়ে চলে আসবে। নিবন্ধনের হারও অনেক বাড়বে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
14 thousand kg of imported eggs came from India

ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম

ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ডিমের চালান। ছবি: নিউজবাংলা
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।

দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি মুরগির ডিম।

এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।

বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সে অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।

ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালানটি রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chittagong Chamber administrator is Anwar Pasha

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক- বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের (একশত বিশদিন) মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতিরও পদত্যাগ, ভেঙে গেছে পর্ষদ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
When one group of extortionists goes another group comes financial advisors

চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা

চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’

মূল্যস্ফীতি কমানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে সরকারের এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। সূত্র: ইউএনবি

অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। এ বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক অবস্থান নিইনি এবং অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। যখন এক দল বেরিয়ে যায়, তখন অন্য দল অনিবার্যভাবে ওই শূন্যস্থানে চলে আসে। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’

আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা নিম্নমুখী হওয়ায় জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।

‘মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করা কেবল সরবরাহ বাড়ানোর চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন সম্পর্কিত কারণগুলো তুলে ধরার সঙ্গে জড়িত।

ড. সালেহউদ্দিন আশ্বস্ত করে বলেন, ঘাটতি রোধে সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

‘খুচরা দামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অবস্থান হলো, ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানো উচিত নয়।’

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন।

সরকারের পদক্ষেপের সুষ্ঠু মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রাতারাতি কমবে না।’

অতীতের মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন পূর্ববর্তী প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থ মুদ্রণের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ওই সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।

ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি চলমান প্রকল্পগুলোতে শুধু সহযোগিতাই অব্যাহত রাখছে না, বরং নতুন নতুন উদ্যোগেরও প্রস্তাব দিচ্ছে। ইউএনডিপি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি খাতে সমর্থন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত রাখবে জাপান: অর্থ উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, মন্থর হয়ে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে