ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় চালু হলো না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দিল্লি ও কলকাতা ফ্লাইট। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার থেকে এই দুই গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর কথা ছিল।
ভারতের তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও গত ১৭ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, দেশটির সঙ্গে ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২০ আগস্ট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ঘোষণার পরদিনই দেশটির দুই গন্তব্য দিল্লি ও কলকাতায় ফ্লাইট শুরুর কথা জানায় বিমান। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে দুই দিন দিল্লিতে এবং তিন দিন কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান ঘোষণা দিলেও সে সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছিল, ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ভারতের কোনো সিদ্ধান্ত তারা জানেন না। বেসরকারি দুই এয়ারলাইনস ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারও ফ্লাইট চালুর কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেয়ায় বিমানের দিল্লি ও কলকাতার পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইট চালু সম্ভব হয়নি।
‘আমরা এরই মধ্যে যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করেছি। যারা টিকিট কেটেছেন, তারা কোনো ফি ছাড়াই রিফান্ড নিতে পারবেন। পরবর্তীতে ভারতের অনুমতি পেলে ফ্লাইট শুরুর দিনক্ষণ জানানো হবে।’
দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৪ এপ্রিল বন্ধ করা হয় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর ১ মে ১২টি দেশ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে আকাশপথ খুলে দেয়া হয়। তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ।
বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন হলেও ভারতের সঙ্গে আকাশপথ বন্ধই রয়েছে। সবশেষ গত ৫ জুলাই থেকে ভারতসহ আট দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সার্কুলার দেয় বেবিচক।
প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আবার ফ্লাইট চালু করতে কিছুদিন ধরে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে আলোচনা চলছিল। নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দুদেশের মধ্যে থাকা এয়ারবাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চালুতে আগ্রহ দেখায় উভয় দেশ। বেবিচক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় আপাতত সে পথ খুলল।
গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ। তারপর গত বছর ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ারবাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।
ভারতের সাথে আকাশপথে যোগাযোগ কবে শুরু হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভারতের চিঠির অপেক্ষায় আছি। তাদের দিক থেকে ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেই আমরা ফ্লাইট চালু করতে পারব।’
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২০) কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২)। চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৬ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি নাঈমসহ গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন। গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে র্যাব-১২ ও র্যাব-১১-এর যৌথ অভিযানিক দল তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১২-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১২-এর উপঅধিনায়ক মো. আহসান হাবিব বলেন, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে নাইম পলাতক ছিল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। গ্রেপ্তার নাইমকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ওই কিশোরী (১৪) মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হলে ওই কিশোরীকে ছয়জন যুবক জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নেয়। তাকে জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে ধর্ষণ করে নাইম। কিশোরীর চিৎকার যেন বাইরে না যায় সে জন্য বাকি আসামিরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজায়। পাশবিক নির্যাতনে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষক ও তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বিশেষ অঙ্গ রিপায়ার করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই মামলার এজাহার নামীয় তিন আসামি মো. আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩) ও মো. নাজমুল হক নয়নকে (২৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফরিদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে প্রফেসর এবিএম সাত্তার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টবিষয়ক শিক্ষা সেমিনার গত বুধবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানে ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক প্রফেসর এবিএম সাত্তার। শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর তারিক হোসেন খান। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সেমিনার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিনা সিরাজী। পরে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন, সহকারী শিক্ষক প্রতিমা বিশ্বাস, লাইব্রেরিয়ান মোছা. আশশেফা নাসরীন, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল, আইসিটি সহকারী শিক্ষক আলমগীর মোল্লা, সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক রেহেনা বেগম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহা. আতাউর রহমান, প্রভাষক অ বা ভূ মশিউর রহমান মিয়া, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফ হোসেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সরকারি অধ্যাপক মো. মুবিনুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রফেসর এবিএম সাত্তার। বিশেষ অতিথি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর তারিক হোসেন খান। এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি হালিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মো. বদরুদ্দোজার সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ হওয়া বিটিসিএল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীর সন্ধান পাওয়া গছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা সদরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকার একটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে গত বুধবার ফজর নামাজের পর হাটাহাটি করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। দিনভর খোঁজে না পেয়ে রাতে তার স্বজনরা টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহ জুমার নামাজে সনাতন সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন ও হিন্দু ছেলেদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের সতীত্ব নষ্টকরাসহ সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে জুমার খুতবায় নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক বয়ান রাখতেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে গত বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খোলা থাকলেও সোয়া ১১টার পর মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা সদরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় তাকে গাছের সাথে হাত-পা লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে বলে নিশ্চিত করেন মাওলানা মুহিবুল্লাহের ছেলে আব্দুল্লাহ।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত স্থান থেকে ইমাম সাহেবকে নিরাপদে নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানার অসার পর তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারব।
নবীন প্রজন্মকে কৃষির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’। গত বুধবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তফা এমরান হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন, এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব শাহআলম মজুমদার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্যোক্তা, কৃষক ও জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
শহীদ কামরুল মিয়ার পিতা জনাব নান্নু মিয়া বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
অন্যদিকে সাইফুল্লাহ বলেন, ‘তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করতে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত ইতিবাচক। এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতেই এই বীজ বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও নবীন চিন্তাধারার সংযোজন ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
এ সময় প্রধান অতিথি ড. মোস্তফা এমরান হোসেন বলেন, ‘সরকার আধুনিক কৃষিতে তরুণ ও শিক্ষিত শ্রেণিকে আকৃষ্ট করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাণিজ্যিক কৃষিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত তরুণ উদ্যোক্তা, কৃষক ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ মোট ২০ জনের মাঝে উন্নত মানের বীজ বিতরণ করা হয়।
শেরপুরের সজবরখিলার হরিজন পল্লীর পাচঁ শতাধিক বাসিন্দাদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করা হয়েছে। ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ২২ অক্টোবর রাতে এসব শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম ও শহর বিএনপির সদস্য সচিব জাফর আলীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
২১ অক্টোবর রাতে হরিজন পল্লীর সামনে ২০১৮ সালের বিএনপির আলোচিত এমপি প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার এক নির্বাচনী পথ সভায় হরিজন পল্লীর গৃহবধূ অরুনা ভাস্কর চোখের জলে তাদের দুঃখ দুর্দশার গল্প তুলে ধরেন। আর তার এ বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায়। পরে ২২ অক্টোবর রাতে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা হরিজন পল্লীর সবার জন্য একবেলা খাবার খাওয়ান এবং সবাইকে শাড়ি ও লুঙ্গি উপহার দেন।
এ সময় তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে আর তিনি এমপি নির্বাচিত হন, তবে হরিজন পল্লীকে আধুনিক পল্লী হিসেবে গড়ে তুলা হবে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।
এতে খুশি হন হরিজন পল্লীর বাসিন্দারা। এ সময় অরুনা ভাস্কর বলেন, ‘আমরা আজ খুশি হয়েছি। আমাদের দুঃখ প্রিয়াঙ্কা আপা বুঝতে পেরেছেন। আমি বলব, আপা আমাদের ভুইলা যাইয়েন না।’
জবাবে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমরা হরিজন পল্লীর লোকজনকে কাছে টেনে নিয়েছি। এমপি হই আর না হই কখনো দূরে ঠেলে দেব না।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫-এর নবীন সদস্যদের মূল্যায়ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের ৫ম তলায় সাংবাদিক ফোরামের অফিস কক্ষে নতুন সদস্যদের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাইভা বোর্ডে সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাকিল বাবু, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রোকন বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক আবু ইসহাক অনিকসহ ও বিভিন্ন কার্যকরী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক ফোরামের ৪র্থ নবীন সদস্য আহ্বানের মাধ্যমে একগুচ্ছ প্রতিভাবান ও প্রচণ্ড গতিশীল, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় আগ্রহী নতুন মুখ নিয়ে সম্পন্ন হয় নব্য সদস্যদের এ মৌখিক ভাইভা পর্ব। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে নতুন সদস্য সংগ্রহের আহ্বান করা হয়েছিল। ফোরামের পথ চলায় চিরকাল স্বপ্ন সারথি হয়ে কাজ করে যাবে।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম স্বীকৃতি লাভ করে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। সংগঠনটির সদস্যরা স্বাধীনভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল ও মাল্টিমিডিয়াগুলোতে কাজ করে চলেছে অবিরাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখালেখি, ফটো বা ভিডিওগ্রাফি এবং গ্রাফিক্স বা পোস্টার ডিজাইনের মাধ্যমে সাংবাদিকতা করতে আগ্রহী এমন নবীন শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাংবাদিক ফোরামের সাথে যুক্ত করে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ভূমিকা রাখে এ সংগঠন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিকতার মান বজায় রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তৈরি করতে সাংবাদিক ফোরামে ৪র্থ বারের মতো এ নবীন সদস্য সংগ্রহ ও তাদের মূল্যায়ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
পঞ্চগড় পৌর শহরে চলাচলে দুর্ভোগ সড়কে বালি ভর্তি ট্রাক ও ট্রাক্টর গাড়ির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বালিবাহী গাড়িগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিকমতো ঢাকা বা পরিষ্কার না করেই চলাচল করছে, ফলে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে বালি ও ধুলো। এতে পথচারীদের চোখে বালি পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক ও টলি বালি পরিবহন করছে। এসব গাড়ির পেছন কোনো ঢাকা নেই। চলাচলের সময় বালি উড়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, রাস্তায় ধুলো জমে যাচ্ছে, সামান্য বাতাসেই আশপাশের দোকানপাট ও পথচারীরা ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বালিভর্তি ট্রাকগুলো যদি পরিষ্কার করে বা ঢাকা দিয়ে পানির ব্যবহার করা হইত এইতো রাস্তায় তারপর রাস্তায় নামতো, তাহলে এত সমস্যা হতো না। কিন্তু তারা যেভাবে বালি ছিটিয়ে চলে, এখন রাস্তায় হাঁটাচলাও কষ্টকর হয়ে গেছে।
স্কুল শিক্ষক মনি আক্তার বলেন, শিশুদের চোখে প্রতিদিনই বালি ঢুকে যায়। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। পৌরসভা বা প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দ্রুত নজরে আনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় পৌরসভার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বিষয়টি জানি। যারা নিয়ম না মেনে বালি পরিবহন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পঞ্চগড় পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৌরসভার ঝাড়ুদার কর্মী আছেন ৩৮ জন। শহরের পরিচ্ছন্নতা কাজে রয়েছে বড় তিনটি ময়লা বহনকারী গাড়ি, একটি মাঝারি গাড়ি, একটি ছোট জরুরি গাড়ি এবং চারটি থ্রি-হুইলার। এছাড়া সড়কে পানি ছিটানোর জন্য একটি গাড়ি রয়েছে, যা বর্তমানে নষ্ট হয়ে আছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রনব চন্দ্র দে বলেন, পানি ছিটানোর গাড়িটি নষ্ট হয়ে আছে। খুব দ্রুতই তা মেরামত করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার প্রশাসক সীমা শারমিন বলেন, ‘শহরের ধুলোবালি কমানোর জন্য সড়কে পানি ছিটানো হবে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে কার্যক্রম চালু হবে।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আর এম ও ডা. মো. রহিমুল ইসলাম বলেন, ধুলো থেকে সাধারণত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। ছোট শিশু, বয়স্ক এবং জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি বেশি বিপজ্জনক। শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, কাশি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শহরবাসীর দাবি, অবিলম্বে পৌরসভা ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বালিবাহী গাড়িগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে রাস্তায় ধুলাবালি ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে শহরবাসী স্বস্তিতে চলাচল করতে পারেন।
মন্তব্য