× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
In three months defaulted loans increased to Tk 3699 crore
google_news print-icon

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৩৮৯৯ কোটি টাকা

তিন-মাসে-খেলাপি-ঋণ-বাড়ল-৩৮৯৯-কোটি-টাকা
সব মিলিয়ে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই। বিতরণ করা মোট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে মোট ঋণের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ এখন খেলাপি।

করোনার সময় কিস্তি জমা না দিলেও খেলাপির তালিকায় যাবে না- এমন সুবিধা দেয়ার পরেও খেলাপি ঋণ বেড়ে গেল আরও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ প্রতিবেদন বলছে, গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা।

এর আগে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ৬ হাজার ৮০২ কোটি টাকা।

এই হিসাবে চলতি বছরের ছয় মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ১০ হাজার ৭০১ কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই। বিতরণ করা মোট ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৯৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে মোট ঋণের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ এখন খেলাপি।

মার্চ মাস শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। ওই সময় দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এই খেলাপির মধ্যে কোন ব্যাংকের কত বা সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের অংশ কত, সেই পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি।

তবে গত মার্চের হিসাবে দেখা যায়, বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কয়েক গুণ বেশি।

ওই হিসাবে পুঁজিবাজারের ৩১টি ব্যাংকে গড় খেলাপির হার ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর পুঁজিবাজারে নেই, এমন সরকারি ব্যাংকে খেলাপির হার ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত বছরের জুনের তুলনায় শতকরা হারে কম খেলাপি

গত ৬ মাসে বাড়লেও খেলাপি ঋণ ও শতকরা হার বাড়লেও ২০২০ সালের জুনের তুলনায় শতকরা হারে খেলাপি কমেছে। সে সময় বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।

অবশ্য বিতরণ করা ঋণ কম ছিল বলে এখনকার চেয়ে টাকার অঙ্কে খেলাপি কম ছিল। সে সময় মোট খেলাপি ছিল ৯৬ হাজার ১১৭ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণের সমস্যা সমাধানে ২০১৯ সালে ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ১০ বছরের জন্য ৫২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়মিত করা হয়। যে কারণে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ আগে কমে যায়।

তবে ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাবে তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দাভাব, নতুন বিনিয়োগে অনাগ্রহের কারণে ব্যাংকের কিস্তি দেয়া অনিশ্চিত হয়ে যায়। আর বাস্তবতা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেয় বিশেষ ‍সুবিধা। ঋণের কিস্তি জমা না দিলেও খেলাপির তালিকায় নাম উঠবে না, এমন সুবিধায় ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সাল শেষে খেলাপি ঋণ কমে ছয় হাজার কোটি টাকার মতো।

তবে কিস্তি পুরোপুরি জমা না দেয়ার সুবিধা এখন নেই। কিস্তির একটি অংশ এখন জমা দিতে হচ্ছে। কিন্তু জমা না পড়ায় খেলাপির পরিমাণ আবার বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
খেলাপি ঋণ: পাকিস্তানের চেয়ে কম, ভারতের চেয়ে বেশি
দুই বছরে ৬৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নিয়মিত
ঋণ পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চায় এফবিসিসিআই
খেলাপি ঋণ আদায়ে নজির ব্যাংক এশিয়ার
খেলাপি ঋণে ভালো অবস্থানে পুঁজিবাজারের ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Adviser Nahids comments on political parties are criticism of BNP

রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য, উপদেষ্টা নাহিদের সমালোচনা বিএনপির

রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য, উপদেষ্টা নাহিদের সমালোচনা বিএনপির
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ বিবেচনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তাদের দিক থেকে কোনো স্ববিরোধী বা প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্য এলে তা জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপি। এ ধরনের অযৌক্তিক বক্তব্য জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি মনে করি, তার (উপদেষ্টা) এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তিনি সঠিক কথা বলেননি। এটি জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ বিবেচনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তাদের (সরকার) দিক থেকে যদি কোনো স্ববিরোধী বা প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্য আসে, তাহলে তা জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করবে।’

রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো যে সমালোচনা করছে তাতে সরকার লাভবান হতে পারে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সমালোচনা অপরিহার্য উপাদান। আপনি এটি অস্বীকার করতে পারবেন না। উপদেষ্টার এই মন্তব্য ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এটা তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের (সরকার) বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

‘রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজ শেষ করে সঠিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। নির্বাচন কি গণতন্ত্রের অন্যান্য উপাদান থেকে ভিন্ন, যে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির বিরুদ্ধে আপনি এত জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন? বস্তুত গণতান্ত্রিক চর্চা ও অগ্রগতির জন্য নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি সরকারের উপেক্ষা করা উচিত হবে না। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনে দেশের জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে।’

এর আগে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

সচিবালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের (জিপিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন:
ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক: রিজভী
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বের কাছে মিথ্যাচার করছে ভারত: রিজভী
আধিপত্য বিস্তারে ভারত সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে: রিজভী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির
ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নিন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A case of embezzlement of Tk 29 crore by a woman businessman against S Alam

এস আলমের বিরুদ্ধে এক নারী ব্যবসায়ীর ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

এস আলমের বিরুদ্ধে এক নারী ব্যবসায়ীর ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা সাইফুল আলম মাসুদ। ফাইল ছবি
বাদীর অভিযোগ, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে তার সই করা বেশ কয়েক পাতা খালি চেক দিতে হয়েছিল। সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন এসব খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে তার কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তাকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী ব্যবসায়ী। মামলায় মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর আসকারদিঘির পাড়ে ফিউশন ইটস্ নামে এক রেস্তোরাঁ মালিক নাজমে নওরোজ ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

ফিউশন ইটস্ নামের এই রেস্তোরাঁ প্রথমে ‘এরিস্টোক্র্যাট’ ও পরে ‘লা এরিস্টোক্রেসি’ নামে চালাতেন নাজমে নওরোজ।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সুবাদে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম) মাসুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে তাকে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আসামি তার মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কাজীর দেউড়ি মহিলা শাখা থেকে প্রথমে দুই কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর কয়েক দফায় তাকে মোট ৩০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই ঋণগুলো নেয়া হয়।

বাদী অভিযোগ করেন, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে তার সই করা বেশ কয়েক পাতা খালি চেক দিতে হয়েছিল। সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন এসব খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে তার কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। গত ২২ জুলাই টাকাগুলো ফেরত চাইলে বাদীকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়।

বাদীর আইনজীবী শুভঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুমকি
এস আলম-সংশ্লিষ্টতা: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে
এস আলম পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এস আলম গ্রুপের সব সম্পত্তির তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Setting up Task Force on Air Pollution Control Environment Adviser

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে: পরিবেশ উপদেষ্টা
কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ সমস্যার রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সটি আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ সমস্যার রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদারের মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, বায়ু দূষণ রোধে নির্মাণ কাজের ধুলা, ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার এবং দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা এবং বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরনো গাড়ি অপসারণ করা হবে এবং রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশ বন্ধে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খাল উদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।

আরও পড়ুন:
অর্থায়ন নিয়ে বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়াল কপ২৯ সম্মেলন
‘জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থ পাওয়ার চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা জরুরি’
‘পরিবেশ রক্ষায় রিসাইক্লিং, মনিটরিং ও সার্টিফাইড ব্যবস্থা প্রয়োজন’
পুরনো যানবাহন প্রত্যাহারে বিআরটিএ-কে চিঠি
ঢাকার খালগুলো নিয়ে ব্লু নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা হচ্ছে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tariq Rahman asked to be patient in restoring democracy
লন্ডন থেকে ফিরে বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান শাহজালাল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের (জনগণকে) ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত মহান বিজয়কে সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তারেক রহমানের কাছ থেকে কী বার্তা নিয়ে এসেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের (জনগণকে) ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত মহান বিজয়কে সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ধৈর্য্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম ১২ দিনের সফর শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘লন্ডনে অবস্থানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাদের আয়োজিত মিটিংয়েও যোগ দিয়েছেন।

‘ওখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমার লন্ডন সফর ফলপ্রসূ হয়েছে।’

বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবু মোহাম্মদ আহসান ফিরোজ, সাদী আহমেদ ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সীমান্তের ওপার থেকে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল
ফ্যাসিবাদী শক্তি ফেরার রাস্তা করে দেবেন না: ফখরুল
আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ধ্বংসের অপচেষ্টা চলছে: ফখরুল
দেশে প্রথম ফ্যাসিবাদের অবতারণা করেন শেখ মুজিব: ফখরুল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
47th BCS application starts on December 29

৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর

৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর
আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।

সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরুর একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করে পিএসসি।

আরও পড়ুন:
বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর, আবেদন ফি অর্ধেক কমল
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ১০ ডিসেম্বর, শূন্যপদ ৩৬৮৮
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনঃপ্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭
পাঁচ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Formation of committee to review dearness allowance of government employees

সরকারি চাকুরেদের মহার্ঘ ভাতা পর্যালোচনায় কমিটি গঠন

সরকারি চাকুরেদের মহার্ঘ ভাতা পর্যালোচনায় কমিটি গঠন
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে।

সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করেছে সরকার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের কর্মে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ‘মহার্ঘ ভাতা’ সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-সচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের সই করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India does not support Hasinas criticism of interim government Mishri

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “শেখ হাসিনা তার মতামত প্রকাশের জন্য ‘বেসরকারি যোগাযোগের চ্যানেল’ ব্যবহার করছেন। ভারত তাকে তার মাটি থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুবিধা দেয়নি।”

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনার পক্ষে অবস্থান নেয়নি ভারত। নয়াদিল্লি এটিকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য ছোটখাটো ধাক্কা হিসেবেই দেখছে।

বুধবার কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিশ্রি নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ না হয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ভারতের মনোভাবের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, “শেখ হাসিনা তার মতামত প্রকাশের জন্য ‘বেসরকারি যোগাযোগের চ্যানেল’ ব্যবহার করছেন। ভারত তাকে তার মাটি থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুবিধা দেয়নি।”

অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের নীতির কথাও তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা প্রচারের পরই এই ব্রিফিং করা হয়।

মিশ্রি কমিটিকে জানান, এ সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছেন যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল’ বা নির্দিষ্ট সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকবে।

পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফরেন অফিস কনসালটেশনসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে সোমবার ঢাকায় আসেন বিক্রম মিশ্রি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠক এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর তিনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক লাভজনক’ হিসেবে দেখতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে এই পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক অব্যাহত না রাখার কোনো কারণ নেই।’

এসব বৈঠকে মিশ্রি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা তুলে ধরেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল অংশীদার হলো জনগণ।

তিনি বলেন, ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সংযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমুখী সম্পৃক্ততা সবই বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য।

আরও পড়ুন:
ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া: সিএ প্রেস উইং
ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নেই সরকার: আসিফ 
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠক শেষ, বিবৃতি আসছে

মন্তব্য

p
উপরে