ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন (ব্রেক্সিট কার্যকর) হয়েছে গত ১ জানুয়ারি। ইইউতে যুক্ত থাকার সময় দেশটির বাজারে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানিতে এভরিথিং বাট আর্মস (ইভিএ) সুবিধা পেত বাংলাদেশ। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এই বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেগুলো বহাল থাকবে, না নতুন কোনো উপায়ে যুক্তরাজ্য কোনো জিএসপি স্কিম চালু করবে, তা নিয়ে বাংলাদেশের ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।
অবশেষে এর অবসান হয়েছে। গত জুলাই মাসে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও চিঠি দিয়ে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারাও ইইউর মতো জিএসপি স্কিম চালু করতে যাচ্ছে। শর্ত পূরণের চাহিদাপত্র দিয়ে সক্ষমতা জানাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে এ চিঠি। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক এ সুবিধা কার্যকর করবে যুক্তরাজ্য।
তবে যুক্তরাজ্যের এই জিএসপি স্কিমের কাঠামো হবে ইইউ থেকে কিছুটা ভিন্ন। তারা ব্রেক্সিট-পরবর্তী নিজস্ব জিএসপি স্কিম প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তিন ক্যাটাগরিতে জিএসপি স্কিম চালু করবে যুক্তরাজ্য। এগুলো হলো লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ফ্রেমওয়ার্ক, জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক ও ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্ক।
লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ফ্রেমওয়ার্ক ক্যাটাগরির আওতায় থাকা দেশগুলোর জন্য ইভিএর মতো অস্ত্র বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক ক্যাটাগরির আওতায় থাকবে নিম্ন আয়ের এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলো, যারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ২৭ শর্ত পূরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ক্যাটাগরিকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপির সঙ্গে তুলনা করা হবে।
জিএসপি প্লাসের সুবিধা দিয়ে চালু করা হবে ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্ক স্কিম। এ ক্যাটাগরির আওতায় যেসব দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে, তারা তাদের প্রোডাক্ট লাইনের তিন ভাগের দুই ভাগ পাবে শুল্কমুক্ত সুবিধায়।
অবশ্য এই সুবিধা পেতে থাকছে বাধ্যবাধকতা। কারণ, ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় কোনো পণ্য নির্দিষ্ট হারের অতিরিক্ত রপ্তানি করলে শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে ‘প্রোডাক্ট গ্রেজুয়েশন’-এর বিধান রাখতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
যদি কোনো দেশ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করে, অ্যান্টি টেররিজম ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশন লঙ্ঘন করে এবং ইউএন সিঙ্গেল কনভেনশন অন নেরোটিক ড্রাগস ভায়লেশন ও ইলিসিট ট্রেড প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই দেশ যুক্তরাজ্যের এ সুবিধা আর পাবে না। পুনরায় এ পেতে হলে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে ইউকে জিএসপির সুযোগ পেতে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পর্যায়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্ক ক্যাটাগরিতেই পড়বে।
অবশ্য এই ক্যাটাগরিতে পড়লেও ইউকের যেসব শর্ত আছে বাংলাদেশের জন্য সেসব সঠিকভাবে মেনে চলা খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরের তিন বছর জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে ঢাকাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে লন্ডন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারও এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এখন সেটাই একমাত্র আশা ও দর-কষাকষির সুযোগ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের পাঠানো এ চিঠির ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অবস্থানপত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। অবশ্য সভা থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। আরেকটি সভা করে তৈরি করা হবে বাংলাদেশের অবস্থানপত্র, যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চিঠি দিয়ে জানানো হবে যুক্তরাজ্যকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অবস্থানপত্র পাঠাবে। সেখানে কিছু বিষয় শিথিল করতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানানো হবে।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। আমাদের উচিত হবে ইউকে জিএসপি ফ্রেমওয়ার্কের সুযোগ নেয়া। কিন্তু এ সুযোগ পেতে হলে তাদের যে রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন আছে, তা অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। সেটি মানতে হলে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।’
বাংলাদেশের এই মুহূর্তে করণীয় কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য যদি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রুলস-রেগুলেশনের বাইরে অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেয়, তাহলে দর-কষাকষির সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশের উচিত দর-কষাকষি করে তা কিছুটা শিথিলের চেষ্টা করা।
‘কিন্তু মনে রাখা দরকার, শুধু ইউকে জিএসপি নয়, ভবিষ্যতে ইইউ জিএসপিও রিফর্ম হবে। সেখানেও জিএসপি প্লাসের ক্লাবে ঢুকতে হবে বাংলাদেশকে। অর্থাৎ যেখানেই যাক না কেন, বাণিজ্য করতে হলে তাদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সক্ষমতা বাড়াতেই হবে।’
ইউকে জিএসপি স্কিমের পাবলিক ডকুমেন্ট প্রোডাক্ট বা গুডস গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকার প্রতি তিন বছর পর গ্র্যাজুয়েশন পণ্যের তালিকা পর্যালোচনা করবে।
এ ক্ষেত্রে আমদানির অনুপাত ৪৭.২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে টেক্সটাইল, পোশাক এবং পোশাকসামগ্রীর জন্য গ্র্যাজুয়েশন প্রযোজ্য। অন্যান্য সব পণ্যের ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েশনের সাধারণ সীমা ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত প্রযোজ্য। জীবিত উদ্ভিদ এবং কৃষিকাজের পণ্য, উদ্ভিজ্জ পণ্য, প্রাণী বা উদ্ভিজ্জ তেল, চর্বি ও মোম এবং খনিজদ্রব্যে গ্র্যাজুয়েশন প্রযোজ্য হবে যখন আমদানি অনুপাত ১৭.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
পণ্য গ্র্যাজুয়েশন মূল্যায়ন করার পরে নির্দিষ্ট আমদানিতে শুল্কের অগ্রাধিকার হার স্থগিত করা হবে। এ আমদানি পণ্যগুলো অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বলে মনে করা হবে, যা যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আর প্রযোজ্য হবে না।
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তার এই পদক্ষেপে সংহতি জানিয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। শনিবার কলেজ প্রাঙ্গণে অনশন করেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, কেবি কলেজে বোমা হামলার হুমকি, শিক্ষকদের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তারা এই আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বি. এম. আব্দুল্লাহ রনি জানান, দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন, কলেজ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চলমান হুমকি এবং বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমরা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেব।’
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দিনদুপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় নগদ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আরকান চৌধুরী (২৫)। তিনি কাঞ্চনা ইউনিয়নের মনুফকিরহাট জাফর চৌধুরীবাড়ি এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মনুফকিরহাট জাফর চৌধুরীবাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আরকান চৌধুরী ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাঞ্চনা মনুফকিরহাট হাটের জলদাশপাড়া ব্রিজের ওপর গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা অভি চৌধুরীর কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন ছিনতাইকারীরা। অভি কাঞ্চনা শাখার কেন্দ্র ব্যবস্থাপক। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ব্যাংক কর্মকর্তা।
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় ধনু নদে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিডবোট উল্টে শিশুসহ ৪ জন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর উষা মনির (৪) তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। শনিবার ধনু নদের চরপাড়া এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল অন্যদের লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিখোঁজ রয়েছেন, গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের নবাব মিয়ার মেয়ে শিরিন আক্তার (১৮), আন্ধাইর গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে লায়লা (৭) ও সামসু মিয়ার মেয়ে সামিয়া (১১)।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুলুয়া নদীর তীব্র ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছে কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ও কয়েক একর কৃষি জমি। ভাঙন রোদে ভূলুয়া নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ভূলুয়া নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন- চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হুমায়ুন কবির, মীর সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ, স্থানীয় বাসিন্দা জহির উদ্দীন, শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম, আজিমা বেগম, কুলছুম ও রাবেয়া বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সিমান্তের চররমিজ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মীর সমাজের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ভূলুয়া নদী। নদীটির সুবর্ণচর অংশে চর জেগে ওঠায় রামগতির অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মীর সমাজের কয়েক হাজার পরিবার নদীভাঙনের মুখে পড়ে। ইতোমধ্যে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো ৪০টির মতো বসতবাড়ি হুমকির মুখে আছে। এছাড়া কয়েক একর কৃষি জমি ভূলুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাশেই রয়েছে, উত্তর চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরআফজল মীর সমাজ নুরানী মাদ্রাসা, চরআফজল মীর সমাজ জামে মসজিদসহ অন্তত ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এসব মানুষগুলো রয়েছে চরম উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায়। বক্তারা আরও বলেন, ভুলুয়া নদীর ওই স্থানে দ্রুত ব্লক বাঁধ নির্মাণ না করলে অল্প সময়ের মধ্যে মীর সমাজটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তারা দ্রুত নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ওই স্থানে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যান চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলী।
নবনির্বাচিত ডাকসু নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর মধুমিতা রোডের শিবলীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা মৃতের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তরিকুল শিবলীর পরিবারের হাতে নগদ দুই লাখ টাকা তুলে দেন।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ডাকসুর নব-নির্বাচিত ভিপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ ও শিবিরের গাজীপুর মহানগর সভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ লেখেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের দিন সংবাদ কাভার করতে গিয়ে ইন্তেকাল করেছেন তরিকুল শিবলী ভাই। তিনি রেখে গেছেন দুই সন্তান। বড় সন্তান আয়াতের বয়স চার বছর এবং ছোট সন্তান আজমীনের বয়স দেড় বছর।’
ফরহাদ আরও লেখেন, চার বছর বয়সী আয়াত দীর্ঘ আলাপের ফাঁকে আমাকে বলছে- ‘আমার বাবাকে আল্লাহ নিয়ে গেছেন এবং আল্লাহ বাবাকে সুন্দর একটা জায়গায় রেখেছেন। যেহেতু বাবা আসবেন না, তাই আমি ও আমার মা ছোট বোন আজমীনের খোঁজখবর রাখবো, আদর করবো।’ অবুঝ শিশুর মুখে এমন ভারি কথা!
তিনি জানান, আমরা পরিবারের সঙ্গে প্রাথমিক সাক্ষাতে ছোট্ট দুই শিশুর খরচের জন্য ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আপাতত দুই লাখ টাকা পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব প্রয়োজনে সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে থাকবো। বাবা হারানো ছোট শিশুদের জন্য দোয়া চাই।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. দুলাল মিয়া (২৭), গোলাম রাব্বি ওরফে বাপ্পি (১৯), মো. শাকিল হাওলাদার (২৫), মো. বাপ্পি (৩০), মো. হৃদয় হোসেন (৩০), মো. বিজয় (১৮), মো. ইজাজুল হোসেন (১৮), মো. কামাল হোসেন (৩২), মো. বাবু ওরফে ছোট বাবু (৩০) ও মো. সুমন (৩২)।
এতে বলা হয়, গত শুক্রবার দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থাকা দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত মামলার আসামি, দস্যুতা মামলার আসামি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে চুরি যাওয়া ২৪ লাখ সাড়ে ৮৪ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল এবং দুইটি মোবাইল ফোনসহ মো. কাউছার আহমেদ (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত শুক্রবার রাত পৌঁনে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির বনানী থানা পুলিশ।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মুস্তাজিরুল শোভন ইসলামের বনানীর বাসায় চুরি হয়। হ্যান্ড সুটকেসে থাকা ব্যবসায়িক কাজের জন্য রাখা ৩০ লাখ টাকা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ভিক্টিম মুস্তাজিরুল বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
এতে আরও বলা হয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারী দল দ্রুত চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে কাউছারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্তব্য