মাইক্রোট্রেড গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালিত একটি ই-কমার্স সাইট ধামাকা শপিং ডটকম। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পণ্য সরবরাহকারী সেলার বা মার্চেন্টের ভূমিকায় থেকে ব্যবসা করত ৬৫০ এসএমই উদ্যোক্তা।
চলতি বছর মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ধামাকায় পণ্য সরবরাহ করে মার্চেন্টদের পাওনা হয়েছে মোট ২০০ কোটি টাকা। বারবার ধর্ণা দিয়েও মার্চেন্টরা পাচ্ছেন না এই টাকা।
ভুক্তভোগী মার্চেন্টদের আশঙ্কা দেশে ই-কমার্স খাতে অরাজকতার সুযোগ নিয়ে ধামাকা শপিং ডটকম কর্তৃপক্ষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। এমনকি তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে এমন আশংকাও রয়েছে।
কেউ যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে, সে জন্য মাইক্রোট্রেড গ্রুপ ও ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান ডা. এম আলী ওরফে ডা. মোজতবা আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জসীম উদ্দিন চিশতির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন মার্চেন্টরা।
গত ১৬ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে ৬৫০ মার্চেন্টদের পক্ষ থেকে এমন আবেদনের একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে চেয়ারম্যান ও এমডি ছাড়াও ধামাকা শপিং ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা দেবকর দে শুভ, ডিএমডি নাজিম উদ্দিন আসিফ, পরিচালক অপারেশন সাফোয়ান আহমেদ, এজিএম ও হেড অফ অ্যাকাউন্টস আমিরুল হোসাইন, ডেপুটি ম্যানেজার ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আসিফ চিশতি, ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম স্বপন ওরফে মিঠু খান এবং মাইক্রোট্রেড গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বরণ রায় এফসিএ-এরও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আদেশ চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সবার ব্যা্ংক হিসাব জব্দ করা এবং তারা যাতে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে না পারেন, সে জন্যে নির্দেশনা জারি করতে অনুরোধ করেছেন মার্চেন্টরা। তারা আরও অনুরোধ করেছেন, তাদের পাওনা টাকা আদায়ে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, দাপ্তরিক কাজে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ধামাকা শপিং ডটকমের সঙ্গে পণ্য সরবরাহের ব্যবসা করত এমন কিছু মার্চেন্টের একটা আবেদন পাওয়া গেছে।
তবে এ ইস্যুতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলে সমন্বিত আলোচনার বিষয় আছে। সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতারও দরকার আছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে দেখব, কী করা যায়।
২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ধামাকা শপিং ডটকমের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছিল ৬৫০ মার্চেন্ট।
ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ধামাকা শপিং ডটকম থেকে পণ্য সরবরাহের অর্ডার কপি পাওয়ার পর পণ্য সরবরাহ করা হতো। একই সঙ্গে তাদের নির্দেশিত গ্রাহকদের পণ্য দিয়ে বিল সাবমিট করা হতো।
বিল সাবমিটের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা প্রত্যেক মার্চেন্টকে পরিশোধের কথা রয়েছে, কিন্তু চলতি বছর মার্চ থেকে হঠাৎ ধামাকা চুক্তি লঙ্ঘন শুরু করে। এর ফলে সব মার্চেন্টের ২০০ কোটি টাকা পাওনা জমা হয়েছে।
১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রত্যেক মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও সেটি এখন ১৫০ কার্যদিবস ছাড়িয়ে গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পাওনা টাকা আদায়ে মার্চেন্টরা সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাতে কোনো সুফল আসেনি। প্রথম দিকে আশ্বাস মিলেছে টাকা পরিশোধের। একাধিকবার সময়সীমা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে অন্তত আংশিক টাকা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কোনো পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। এখন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে কোনো কর্মকর্তারই হদিস পাচ্ছেন না মার্চেন্টরা। এমনকি ধামাকা শপিং ডটকমের ৪৩ মহাখালী আকুয়া টাওয়ার (লেভেল ৮) ঢাকার অফিস কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
চিঠিতে দাবি করা হয়, মাইক্রোট্রেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এম আলী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন চিশতি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা, উপদেষ্টা, ব্যবস্থাপনা টিম, পরিচালনা পর্ষদ পরস্পর যোগসাজশ করে প্রতিষ্ঠানের বিপুল অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পাওনা অর্থ উদ্ধারের জন্যে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পরিচালন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ জুলাই ১২টা ২১ মিনিটে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে তারা ভার্চুয়ালি কথা বলার সুযোগ পান। তখন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন চিশতি প্রতিশ্রুতি দেন, কোরবানির ঈদের আগে পাওনা টাকার অংশবিশেষ প্রদান করবেন। কিন্তু ভার্চুয়্যাল সভার পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা কোম্পানির মালিকপক্ষের কাউকে মার্চেন্টরা আর খুঁজে পাননি।
ঈদের দিন (২১ জুলাই) রাত ৮টায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেসবুক লাইভে এসে তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পাওনার ১০ শতাংশ আগস্ট মাসে পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এখনও পাওনা পরিশোধ হয়নি।
মার্চেন্টরা দাবি করেন, নগদ অর্থ ধামাকা শপিং ডটকমে ফেলে রেখে এখন তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। আত্মীয়-স্বজন ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নগদ অর্থ খাটিয়েছেন ধামাকার পণ্য সরবরাহের ব্যবসায়। এখন টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের ব্যবসা। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের এখন রাস্তায় দাঁড়ানোর উপক্রম।
এমন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে চিঠিতে পাওনা উদ্ধারে তারা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ধামাকা শপিং ডটকম কী বলছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় চেয়ারম্যান ডা. এম মোজতবা আলী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দীন চিশতির সঙ্গে। বারবার চেষ্টা করে এবং ম্যাসেজ পাঠিয়ে পরিচয় দিয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে একই পদ্ধতিতে চেষ্টা করে ধামাকা শপিং ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানাকে পাওয়া যায়।
কেন মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে না, তাদের সমস্যা কোথায়, জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম রানা বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ই-কমার্স খাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারির পর তাদের হাতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়েছে। আগে ৪৫ দিনে পণ্য পাঠানোর সুযোগ ছিল। টাকাও অগ্রিম পাওয়া যেত। এখন তার কোনোটিই হচ্ছে না। এ কারণে আর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা।
‘তবে এই সংকট দূর করে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন নতুন বিনিয়োগ ভেড়ানোর। একই সঙ্গে মার্চেন্টদের পাওনাও যতটা সম্ভব পরিশোধ করার। এ উদ্দেশ্যে আমাদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গত শনিবারও মার্চেন্টদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক করেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কেন মার্চেন্টরা এতো অসহিষ্ণু হয়ে পড়ল, সেটি আমি বলতে পারব না।’
ধামাকায় কারা বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটি আমি বলতে পারব না। তা শুধু চেয়ারম্যান স্যারই জানেন।’
আরও পড়ুন:গাড়ির দামসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে অনেকেই সার্চ ইঞ্জিন কিংবা পরিচিত লোকজনের আশ্রয় নেন। এ প্রক্রিয়ায় সবসময় সব তথ্য একসঙ্গে পাওয়া যায় না। বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করেছে টুইনকার ডটকম ডটবিডি।
উদ্যোক্তার ভাষ্য, আধুনিক ও ব্যবহারকারীবান্ধব ওয়েবসাইট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে টুইনকার। গাড়ির ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের জন্য এটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হবে।
সাইটটিতে বাংলাদেশে গাড়ির দাম, বৈশিষ্ট্য ও সর্বশেষ তথ্যগুলো পরিবেশন করা হবে।
যেসব সেবা মিলবে টুইনকারে
১. বাজারমূল্য: বাজারের সব গাড়ির বর্তমান আনুমানিক মূল্য।
২. ডিটেইলড ফিচার: গাড়ির ইঞ্জিন, মাইলেজ, জ্বালানি খরচ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য।
৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড (এসইও) কনটেন্ট: গাড়ি সম্পর্কে খোঁজাখুঁজির ক্ষেত্রে সহজেই প্রাসঙ্গিক তথ্য পেতে সহায়ক হবে সাইটটি।
৪. বাংলাদেশি বাজারমুখী: স্থানীয় গাড়ি বাজারের তথ্য,পরামর্শ ও খবর মিলবে এ প্ল্যাটফর্মে।
৫. অফার: ক্রেতাদের গাড়ি অনুযায়ী অফারের সুযোগ থাকবে।
গাড়িপ্রেমীদের জন্য কমিউনিটি
উদ্যোক্তার ভাষ্য, বাংলাদেশে গাড়ি কেনা এখন বড় বিনিয়োগ, কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক সময় ক্রেতারা বিভ্রান্ত হন। টুইনকার ডটকম ডটবিডি ক্রেতাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি শুধু একটি ওয়েবসাইট হিসেবে নয়, গাড়িপ্রেমীদের জন্য একটি কমিউনিটি হিসেবে বিকশিত হতে চায়।
সাইটটি শুধু গাড়ির দাম সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে না, বরং বাজারের সর্বশেষ প্রবণতা, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের পরামর্শ ও উপযুক্ত গাড়ি নির্বাচনেও সহায়তা করবে।
টুইনকার ডটকম ডটবিডির বিষয়ে উদ্যোক্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে গাড়ির ক্রেতারা প্রায়ই সঠিক তথ্যের অভাবে সমস্যায় পড়েন। আমরা চেয়েছি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে, যা ক্রেতাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে এবং তাদের অভিজ্ঞতাকে সহজ ও ঝামেলাহীন করবে।’
আরও পড়ুন:নগদ অর্থের সংকটে পড়া দেশের কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেন ড. মনসুর।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য সাময়িকভাবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর ড. মনসুর বলেন, ‘বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতের পুনরাবৃত্তি নয়। সে সময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
ড. মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’
ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন গভর্নর। একইসঙ্গে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন:দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলে কর সংগ্রহে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিতে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আমরা দুর্নীতির পাহাড় থেকে জনগণের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে না পারি তবে আমরা কেমন বিপ্লব করেছি?’
‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ওপেন বাজেট সার্ভে ২০২৩-এর ফলাফল’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই সেমিনারের আয়োজন করে ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া হবে। আর প্রতিবেদনটির ফলাফল ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হবে।’
দাতা সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের সন্দেহের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক বড় প্রকল্পে দাতা সংস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থায়ন করেছেন। তারা উদ্বিগ্ন যে এই প্রকল্পগুলো চলবে কি না। আগামী দিনে বাংলাদেশ কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে- এমন জিজ্ঞাসা তাদের।’
জানুয়ারিতে দাতা সংস্থা ও সরকারের মধ্যে একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে দেবপ্রিয় আগামী দু’মাসের মধ্যে ‘ফোরাম ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই ফোরাম তৈরি করে দাতা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাঁচটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যার প্রথমটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্য বিষয়গুলো হলো– ব্যক্তিগত বিনিয়োগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, জ্বালানি সংকটের সমাধান, সরকারি অর্থায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দ্রুত প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং সঠিকভাবে কর সংগ্রহ নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।’
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সরকারের লক্ষ্য পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্টে সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে আকিজ বশির গ্রুপের ছয় দিনব্যাপী বিজনেস কনফারেন্স ‘ইভলভ বিয়ন্ড ২০২৪’।
এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড— আকিজ সিরামিকস, অরা, রোসা, আকিজ বোর্ড ও আকিজ ডোরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ হাজার দুই শর বেশি ব্যবসায়িক সহযোগী একত্রিত হয়েছিলেন।
কোম্পানির বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের সব কর্মকর্তাসহ আয়োজনটিতে উপস্থিত ছিলেন আকিজ বশির গ্রুপের নবনিযুক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর তসলিম মো. খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুদ্দিন আহমেদ এফসিএ ও চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল বিভিন্ন সেশন, ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী এবং জমকালো ‘গালা নাইট’।
কোম্পানির সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি আসন্ন বছরের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে কনফারেন্সটি।
এসব আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আরও পড়ুন:দীর্ঘদিন ধরেই স্মার্টফোনের বাজারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কে সেরা, তা নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, যার দৌড়ে আছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এ প্রতিযোগিতায় তারা হাঁটছে একটু ভিন্ন পথে।
সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্সের হট ৫০ সিরিজ জেনজিদের মন জয় করতে স্টাইল, সৃজনশীলতা ও বিনোদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ এ প্রজন্মের পছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমন সব স্মার্টফোন ডিজাইন করেছে, যাতে তারা ফ্যাশন ও প্রোডাকটিভিটির সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পায়।
সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ মডেল ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বোল্ড ডিজাইন ও হাই পারফরম্যান্সের একটি দারুণ কম্বিনেশন। এর ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা থ্রিডি কার্ভড স্ক্রিন এটিকে শুধু একটি ফোনের চেয়েও বেশি একটি উচ্চমানের ফ্যাশন অনুষঙ্গে পরিণত করেছে।
ড্রিমি পার্পল, টাইটানিয়াম গ্রে এবং স্লিক ব্ল্যাকের মতো আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসা ডিভাইসটি ক্যাজুয়াল, স্পোর্টি বা এলিগ্যান্ট, যেকোনো লুককেই পরিপূর্ণ করে তোলে,
তবে নকশার ওপর জোর দিলেও ফোনটি স্থায়িত্বের সঙ্গে আপস করেনি।
টাইটান উইং আর্কিটেকচার ফোনটিকে হালকা ও মজবুত করেছে। কর্নিং গরিলা গ্লাস দিয়ে তৈরি স্ক্রিন স্ক্র্যাচ-প্রতিরোধী ও শক-প্রুফ।
জেনজির অ্যাকটিভ ও কনটেন্ট বেইজড লাইফস্টাইলের চাহিদা পূরণের জন্য ফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।
এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।
এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
সিরিজটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্যও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশনের মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের কাছে ব্র্যান্ডটির নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনটিকে কার্যকর অপশনে পরিণত করে তুলেছে।
একই সঙ্গে এর টাইটান আর্মার প্রোটেকশন ও বিশ্বের প্রথম ৫ বছরের TÜV SÜD ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে এটি জেনজির সক্রিয় ও চলমান জীবনধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম।
হট ৫০ প্রো প্লাসের সাফল্য হট ৫০ সিরিজের বাকি মডেলগুলোর প্রতিও আগ্রহ বাড়িয়েছে।
ফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো ।
বিভিন্ন দামে উন্নত ফিচার নিয়ে আসা সিরিজটি স্মার্টফোনকে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তোলার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
হট ৫০ প্রো প্লাসের দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো বাজারে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে মাসাতো কান্ডাকে এডিবির ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে।
ম্যানিলাভিক্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
মাসাতসুগু আসাকাওয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ৫৯ বছর বয়সী কান্ডা বর্তমানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কান্ডা ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০২৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট আসাকাওয়ার ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অসমাপ্ত মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করবেন কান্ডা।
এডিবির বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ব্যাংক অফ ইতালির গভর্নর ফ্যাবিও প্যানেট্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে কান্ডার ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং বহুপাক্ষিক পরিবেশে দক্ষ নেতৃত্ব এডিবিকে জটিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এডিবির বোর্ড অফ গভর্নরস কান্ডার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।’
প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কান্ডা জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আর্থিক খাতের নীতি এবং ম্যাক্রো-রাজস্ব নীতিতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি আর্থিক পরিষেবা সংস্থার ডেপুটি কমিশনার, বাজেট ব্যুরোর উপমহাপরিচালক এবং নীতি পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের উপসহকারী মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি শিক্ষা ও বিজ্ঞান নীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।
বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের (এমডিবি) বিবর্তন, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং ঋণের স্থায়িত্ব এবং স্বচ্ছতার মতো মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কান্ডা জি-৭, জি-২০ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপমন্ত্রী থাকাকালীন জাপান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ১৩তম পুনঃপূরণে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি রেকর্ড অবদান রেখেছিল।
কান্ডা ২০১৬ সাল থেকে ওইসিডি করপোরেট গভর্ন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালে করপোরেট গভর্ন্যান্সের জি২০/ওইসিডি নীতিমালা পর্যালোচনার তত্ত্বাবধান করেন তিনি।
এমডিবিতে কৌশলগত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংকে জাপানের অল্টারনেট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কান্ডা ১৯৮৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে কে হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এই দর মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার সমিতির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পরিবীক্ষণ সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাজুস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন দাম অনুযায়ী ভালো মানের ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে এক লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকায়, যা আগে ছিল এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ৩২৬ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ক্যাটাগরি অনুসারে বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৭ টাকা, ২১ ক্যারেট দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য