গত কয়েক বছর ধরেই দেশের বিনিয়োগে মন্দা চলছে। জাতীয় বিনিয়োগ (বর্তমান মূল্যে) জিডিপির ৩০ থেকে সাড়ে ৩১ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। করোনাভাইরাস মহামারিতে সেটি ৩০ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে ‘মহামন্দার’ দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এই বিনিয়োগ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় বিনিয়োগ জিডিপির ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশে ওঠে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশে ওঠে; যা ছিল জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ।
করোনাভাইরাস মহামারির ছোবলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ কমে জিডিপির ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে আসে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরও কমে ২৯ দশমিক ৯২ শতাংশে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে বিনিয়োগের করুণ এ চিত্র পাওয়া যায়।
অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটা এগিয়েছে; রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভসহ অর্থনীতির অন্যান্য সূচক ভালো অবস্থায় আছে। বিনিয়োগে কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি। চার-পাঁচ বছর জিডিপির ৩০ থেকে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে ছিল বিনিয়োগ। কোভিডের ধাক্কায় এখন তা ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।’
‘এ সময়ে সরকারি বিনিয়োগ কিছুটা বাড়লেও বেসরকারি বিনিয়োগ বেশ কমেছে। মহামারির আগে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ ছিল। এখন তা ২ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট কমে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’
‘আমাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে বেসরকারি খাত। এই খাতে বিনিয়োগ না বাড়াতে পারলে কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারব না।’
আহসান মনসুর বলেন, ‘অর্থনীতিকে মহামারির প্রভাব থেকে বের করে আনার জন্য সরকারের একমাত্র পথ হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানো। যেহেতু লকডাউন আমরা সফল করতে পারি না; সেহেতু সেটা নিয়ে আর সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। এখন টিকাতেই সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে সরকারকে।’
‘ভ্যাকসিনের বিষয়টি অবজ্ঞা করে বিনিয়োগ বা প্রবৃদ্ধির কথা বলে লাভ নেই,’ বলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান মনসুর।
আরেক অর্থনীতিবিদ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের হার কমে যাওয়ার পেছনে নিশ্চিতভাবেই কাজ করেছে কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট নজিরবিহীন মন্দা।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের হার কমে যাওয়ার পরিমাণটি বিবিএসের হিসাবের চেয়েও বেশি হতে পারে। কেননা, বিবিএস যে হিসাব দিয়েছে, তা নয় মাসের (২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ) হিসাব কষে দিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ মাস জুলাইয়ের পুরোটা সময় ধরে কড়া লকডাউনের কারণে অর্থনীতির যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে, তা কিন্তু প্রতিফলিত হয়নি।’
‘বিবিএস যখন চূড়ান্ত হিসাব দেবে, তখন হয়তো দেখা যাবে দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে দেশের মোট জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে (বর্তমান বাজারমূল্যে) ৩০ লাখ ১১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিনিয়োগ অঙ্ক হচ্ছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ জিডিপির ২৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে।
আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ২৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ জিডিপির ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ টাকা বিনিয়োগে এসেছে।
বেসরকারি বিনিয়োগ ১৪ বছরে সর্বনিম্ন
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি অনুপাতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে। এ বিনিয়োগের হার দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
২০০৭-০৮ অর্থবছরের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের হার ছিল ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর পরের বছরগুলোতে এই হার ২২ শতাংশের ওপরে ছিল। ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
করোনার ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই বিনিয়োগ ২২ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমে আসে। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরও কমে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের কারণে সবকিছুই কঠিন হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে যাওয়ার অপেক্ষাও বেড়ে যাচ্ছে। যার প্রভাবই দেখা যাচ্ছে সার্বিক বিনিয়োগে।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই করোনার আগে থেকেই বেসরকারি বিনিয়োগের অবস্থা খুব বেশি ভালো ছিল না। উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে জিডিপির ৩০ শতাংশের মতো বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার। অথচ করোনার আগের বছরগুলোতেও বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২২ থেকে ২৩ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল।
‘আর করোনার অনিশ্চয়তার কারণে শুরু হওয়া অনেক বিনিয়োগও ধরে রাখা যায়নি। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে কি না, সেটা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। অনিশ্চয়তার কারণে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিচ্ছেন না অনেকে।’
শিল্পঋণ বিতরণ কম
বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি বোঝার অন্যতম সূচক হচ্ছে শিল্পঋণ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় শিল্পঋণ বিতরণ কমে যায় ৮ শতাংশের বেশি। আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শিল্পঋণ বিতরণ কমেছে প্রায় ৩১ শতাংশ।
অন্যদিকে গত অর্থবছরে বেসরকারি খাত ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানি কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
সরকারি বিনিয়োগে কিছুটা স্বস্তি
মহামারির মধ্যেও সরকারি খাতে বিনিয়োগে খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি; উল্টো কিছুটা বেড়েছে।
বিবিএসের ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে সরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ৮ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে ৮ দশমিক ০৩ শতাংশে ওঠে।
করোনার মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগ বেড়ে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশে দাঁড়ায়। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশে উঠেছে।
আরও পড়ুন:অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২০০৯ হতে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব (প্লট/ফ্ল্যাট হস্তান্তর/বরাদ্দ ইত্যাদিসহ) সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের নিরীক্ষা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের Allocation of Functions এর অনুচ্ছেদ ২ (a) (b) (c) ও (d),অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের Charter of Duties এবং ২৩/০৪/২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি (বিএমসি)'র ৪ (খ) সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনস্বার্থে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরকে নিম্নবর্ণিত কার্যপরিধি/বিষয়সমূহ অনুসরণপূর্বক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর ২০০৯ হতে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব (প্লট/ফ্ল্যাট হস্তান্তর/বরাদ্দ ইত্যাদিসহ) সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের নিরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের নিরীক্ষা পরিচালনার কার্যপরিধি/অনুসরণীয় বিষয়সমূহ হলো: -
(ক) ১. অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নিরীক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। সে মোতাবেক নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করবে;
২. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন এবং এতদসংক্রান্ত বিধি বিধান এর সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে;
৩. নিরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে নিরীক্ষার পূর্বে গঠিত নিরীক্ষা টিমের সদস্যগণের বিস্তারিত তথ্য (নাম, পদবী, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে;
৪. নিরীক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত রাখতে হবে;
৫. তিন মাসের মধ্যে এ নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
(খ) নিরীক্ষা শেষে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর বিস্তারিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বরাবর দাখিল করবে। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।
চীনের বিভিন্ন হাসপাতাল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
ইউনান প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কুনমিং টোংরেন হাসপাতাল ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীর সফল চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে।
গত শুক্রবার কুনমিং টোংরেন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন লিং বাংলাদেশী সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সম্প্রতি একটি বাংলাদেশী পরিবার তাদের কিশোর পুত্রের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে এসেছে।
তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিশেষ ভিডিও বার্তাও শেয়ার করেন। এতে রোগীর বাবা জানান, তিনি প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাননি, আবার কিছু দেশে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।
পরে তিনি চীনে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্ট হন।
রোগীর বাবা আরও জানান, চিকিৎসা শুরু করার আগে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝার পরই পরিবার চিকিৎসার জন্য সম্মত হন।
শেন লিং বলেন, কুনমিং টোংরেন হাসপাতালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক দক্ষ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। এছাড়া, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হাসপাতাল দোভাষী সেবা প্রদান করে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দল ৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত কুনমিং সফর করে ইউনান প্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
শনিবার প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরে এসেছে।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। এতে অচল হয়ে পড়েছে ব্যাংকের সব কার্যক্রম। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। এরপর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পরে তারা পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে না পারায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর চাকরিচ্যুতরা পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান এবং পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানান, যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয়।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা মফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাসহ সারাদেশে সাংবাদিক নিপীড়ণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল হয়েছে।
রোববার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। মুখে কালো কাপড় বেঁেধ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক এম আর রাসেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সদস্য সচিব সাংবাদিক শেখ ইমন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবির, সাংবাদিক সম্রাট হোসেন, সুজন বিপ্লব, এম বুরহান উদ্দীন, এস এ এনাম,এস এম রবি,মর্নিং বেল চিলড্রেন একাডেমীর পরিচালক শাহিনুর রহমান লিটন, রেল আব্দুল্লাহ,জাহান লিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচী থেকে সাংবাদিক হত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। সেই সাথে সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর সব ধরনের হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও নিপীড়ন বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে পোস্ট অফিস মোড় থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মডার্ন মোড়ে দিয়ে শেষ হয়।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বন্যার আগাম সতর্কবার্তা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কনসালটেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে এই কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন। প্রভাতি প্রকল্পের সমন্বয়ক ডিডিএম কম্পোনেন্ট নেতাই দে সরকার এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,গণমাধ্যম কর্মী,ঈমাম,ছাত্রসহ ৩২জন অংশ গ্রহন করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়,অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্প ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পটি ৩টি জেলার ১৯টি উপজেলার ১৭৪টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রামের-৯টি, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার ৫টি করে উপজেলা রয়েছে।
প্রশিক্ষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা, আবহাওয়ার পুর্বাভাস,বন্যার আগাম সতর্কবার্তা এবং মানচিত্র ও প্লাবন মানচিত্র বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়াও বন্যার পূর্বাভাস জানতে মোবাইলে হেল্প লাইন ফ্রিতে ১০৯০ এবং ভয়েস ম্যাসেজ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে।
প্রকল্পের মূল সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে রাইমস। অংশীজন হিসেবে রয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর শিশু টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সি প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই টিকা পাবে। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে।
এক্ষেত্রে মা-বাবার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবস স্কুলে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। স্কুল ক্যাম্পেইন শেষ হলে আট দিন ইপিআই সেন্টারে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।’
নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।
ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর উপসর্গ হলো দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য এবং কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়া। উপসর্গগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে অন্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।
গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটি শতভাগ নিরাপদ।
পৃথিবীর অনেক দেশে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কোভিডের আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর সরকার গ্যাভিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানায়। আগে দেশে এই ভ্যাকসিন বেসরকারি পর্যায়ে কিনে দেওয়া হতো, এবার সরকার বিনা মূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে দেবে।
থরে থরে সাজানো পেঁয়াজ, সরবরাহে কমতি নেই। তবুও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম। তবে কি মজুদ সিন্ডিকেট? নাকি অসাধু উপায়ে দাম বাড়ানোর কৌশল? এমনই-সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে।
খুলনায় দিন যত যাচ্ছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ২৫ টাকা। হাত ঘুরলেই যেন বেড়ে যায় দাম।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, মজুদ সিন্ডিকেট আর ঠুনকো অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে।
নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, নিউ মার্কেট, ময়লাপোতা, জোড়াকল বাজার, নতুন বাজার, বয়রা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বাজারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের আড়তে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা দরে। অর্থাৎ, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দামের ব্যবধান ১২-১৩ টাকা।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে আসা হারুন অর রশীদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘৫০-৬০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা তো কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। এটা মজুদের কারণে, নাকি বন্যার কারণে বাড়ানো হয়েছে?’
ওই বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শুকুর আলী বলেন, ‘আমি সামান্য বেতনে কাজ করি। সীমিত টাকায় পেঁয়াজ কিনব, মাছ কিনব, নাকি তরকারি ও চাল কিনব? বাজারের এমন অবস্থায় গরীব মানুষের খুবই কষ্ট।’
খালিশপুরের খুচরা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘সীমিত লাভ রেখেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি।’
কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা মহাদেব সাহা বলেন, ‘এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। এই সময়ে দাম কিছুটা বাড়ে। তার ওপর ঘন বর্ষা। দীর্ঘদিন মাল ওঠে না, আমদানিও কম। এই কারণে দাম একটু বেশি।’
তবে দাম অতিরিক্ত বাড়বে না। ৮০ টাকা হলেও এখনও তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বিক্রেতা।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বেশি না। আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল, এখন ৮০ টাকা হয়েছে। অস্বাভাবিক নয়। এক মণ কাঁচা পেঁয়াজ কিনলে ৮-১০ কেজি শুকিয়ে যায়। কিছু দাগি-পচা বের হয়। এ জন্য এই সময়ে দাম একটু বেড়ে থাকে।’
বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে এই বিক্রেতা বলেন, ‘দাম কিছুটা বেড়েছে। এলসি করে আনা হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়বে। এখনও এলসি করে না আনা উচিত। পেঁয়াজের দাম এখনও স্বাভাবিক আছে।’
সোনাডাঙ্গা কাঁচা বাজারের আল্লাহর দান-১ আড়তের পাইকারি বিক্রেতা ইয়াদ আলী বলেন, ‘দেশে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া এলসি দেওয়া হয়নি এখনো, আগামী ১৫ তারিখে এলসি দেবে। তখন আবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে যাবে। বর্তমানে আমরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।’
তিনি বলেন, ‘১৫ তারিখে এলসির অনুমোদন দিলেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং তখন দাম ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।’
সোনালী বাণিজ্য ভান্ডারের বিক্রেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সময় পেঁয়াজের বাজার একটু চড়া হয়। বৃষ্টির সিজনে মালের সংকট হয়, কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। বৃষ্টি হলে পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যায়, তাই বাজারে দাম বেড়ে যায়। এখন সরবরাহ বাড়লে বাজার আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
মন্তব্য