× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Collection of VAT dependent on only 10 sectors
google_news print-icon

মাত্র ১০ খাতের ওপর নির্ভরশীল ভ্যাট আদায়

মাত্র-১০-খাতের-ওপর-নির্ভরশীল-ভ্যাট-আদায়
সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয় সিগারেট কোম্পানি, মোবাইল সেবা ও ওষুধ খাত থেকে। অন্যদিকে, সেবা খাতের আদায়যোগ্য ভ্যাটের ৭০ শতাংশই ফাঁকি হয়।

প্রত্যেক বাজেটে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) আওতা বাড়লেও নির্দিষ্ট কয়েকটি খাতের উপর আদায় নির্ভরশীল এখনও। সিগারেট, মোবাইল টেলিযোগাযোগসহ ১০টি খাত থেকে মোট ভ্যাটের ৮০ শতাংশ আদায় হয়।

আবার এমন অনেক খাত রয়েছে, যেসব খাত থেকে আদায় হয় মোট ভ্যাটের ১ শতাংশের কম।

ভ্যাট আহরণের দিক থেকে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে তামাকজাত পণ্য খাত বা সিগারেট। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মোবাইল ফোন। তার পর রয়েছে ওষুধ।

এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে আগাম কর, যোগানদার বা সরবরাহকারী, ওষুধ, বিদ্যুৎ বিতরণ, ব্যাংকিং সেবা, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা, নির্মাণখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য ভ্যাট আদায় হয় ।

গত অর্থবছরে (২০২০-২১) এনবিআরের মাধ্যমে মোট ভ্যাট আহরণ হয় ৯৭ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে উল্লেখিত দশ খাতের অবদান ৮০ শতাংশ। এর বাইরে উৎপাদন, সেবা, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার শতাধিক খাত থেকে অবশিষ্ট ২০ শতাংশ আদায় হয়।

এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে সংগৃহীত রাজস্বের ৩৯ শতাংশ আসে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের অন্যতম উৎস ভ্যাট থেকে। এর পর রয়েছে আয়কর খাত, ৩৫ শতাংশ। বাকি অংশ আয় হয় আমদানি শুল্ক থেকে। এই তিন উৎস থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে এনবিআর।

সরকারি রাজস্ব আহরণ করা এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় বাজেটে ৮৫ শতাংশ অর্থের যোগান দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আদায়যোগ্য ভ্যাটের অর্ধেকেই ফাঁকি হয়। বিশেষে করে সেবা খাতে। বর্তমানে সেবার ৬৮টি খাত আছে, যেগুলোর বেশির ভাগ থেকে নামমাত্র ভ্যাট আহরণ হয়।

দুই বছর আগে করা এনবিআরের এক সমীক্ষায় বলা হয়, সেবা খাতের আদায়যোগ্য ভ্যাটের ৭০ শতাংশই ফাঁকি হয়। মিষ্টির দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল-রেস্তোরাঁ, প্যাকেজিং সামগ্রী, ইটভাটা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয় এবং মোট ভ্যাটের ১ শতাংশের কম আহরণ হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. ফরিদউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন,‘ভ্যাট বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধি, আদায় প্রক্রিয়া সহজ করা, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ পুরো ভ্যাট বিভাগকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে কঠোর নজরদারি আনতে পারলে ভ্যাট আদায় বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়বে।’

প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দিয়েছে

গত অর্থবছরে ভ্যাটদাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে বরাবরের মতোই শীর্ষে ছিল সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ও রবি।

ভ্যাট ভোক্তা দিয়ে থাকে। তাই একে ভোক্তা করও বলা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি ভোক্তার কাছ থেকে সেই ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।

বিএটিবি গত অর্থবছরে ২৪ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে, যা আগের বারের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

করোনাকালে যে কয়টি খাত থেকে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে, তার মধ্যে টোবাকো বা তামাকজাত পণ্য অন্যতম।

করোনায় সেবার অন্যতম খাত মোবাইল ফোনে কথা বলা বেড়েছে। আবার ভিডিও কল, অনলাইন ক্লাস, জুম মিটিংসহ দৈনন্দিন নানা কাজে এখন মোবাইল সেবার ব্যবহার হচ্ছে বেশি। ফলে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আগের চেয়ে ভ্যাট আদায় বেড়েছে।

গত অর্থবছরে ভ্যাটদাতা শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে তিনটিই মোবাইল ফোন অপারেটর। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে গ্রামীণফোন। এই কোম্পানি গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।

এর পর রয়েছে মোবাইল অপারেটর রবি। এই কোম্পানি আগের বারের চেয়ে প্রায় ৪৮ শতাংশ বেশি ভ্যাট দিয়েছে। রবি সব মিলিয়ে ভ্যাট দিয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা।

ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি মোট ভ্যাট দিয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার মতো।

বাংলালিংক দিয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা আগের চেয়ে প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া ইউনিলিভার ৬৫৫ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ৫৭৯ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলা ৫৭৮ কোটি টাকা, পিডিবি ৫৪০ কোটি টাকা এবং স্কয়ার ফার্মা ৫১০ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে সমাপ্ত হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরে ভ্যাট বিভাগের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন,‘করোনার বছরে সার্বিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা থাকলেও কর্মকর্তারা তদারকি বাড়িয়েছেন। এ জন্য শুল্ক-কর আদায় আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও তুলনামূলক ভালো ছিল।’

দেশের বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের বৃহৎ করদাতা ইউনিট বা এলটিইউ। এলটিইউতে ১১০টি কোম্পানি নিবন্ধিত।

গত অর্থবছরে মোট ৯৭ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা আদায় করেছে ভ্যাট বিভাগ। এর মধ্যে এলটিইউর ওই ১১০টি কোম্পানিই অর্ধেকের বেশি ভ্যাট দিয়েছে। তাদের দেয়া ভ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।

সার্বিকভাবে সিগারেট খাত থেকে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা, মোবাইল ফোন খাতে ৮ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা এবং ওষুধ খাত থেকে এসেছে ৩ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশকে প্রথম ভ্যাট দিল গুগল
অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে
ভ্যাট পরামর্শক লাইসেন্স পেতে আবেদন আহ্বান
ভ্যাট পরিশোধ করেছে বনানীর সেই রেস্টুরেন্ট
৩৯ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়ে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
If the plane of the vote is constructed the election will be possible according to the roadmap Jamaat Amir

ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর

ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর

বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব‌্য করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে নিজ গ্রাম তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে নামাজ আদায় শেষে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে। পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে তারা সহযোগিতা করবেন বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের সংকট দূর করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে, ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগ, কুরবানি ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এই মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক অন্যায়, জুলুম-নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

নামাজ শেষে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন তিনি।

তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The chief adviser offered Eid prayers at the National Eidgah

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় নামাজ শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও নামাজ আদায় করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ অনেকে।

নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। জামাতে অংশ নিতে সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ঈদগাহ মাঠে আসেন।

এর আগে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা ধারণ করি এবং জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’

এ সময় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে তাঁর দেশবাসী এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের ধারাবাহিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Holy Eid al Azha today

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা

আজ ৭ জুন শনিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। আজ সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।

ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে ঈদের জামাতে নামাজ পড়বেন। সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।

এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।

ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আজহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করেছেন।

স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজিরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্য কার্যাদি সম্পাদন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ গতকাল ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে।

ঈদুল আজহা হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হযরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবাই সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।

সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিধারণ করেই হযরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

এর আগে গত ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী দুই শনিবার (১৭ ও ২৪ মে) অফিস খোলা ছিল। নির্বাহী আদেশে দু’দিন ছুটির ফলে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সবমিলিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটিতে আছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সংবাদ মাধ্যমেও ঈদ উপলক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঈদুল আজহার যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। ঈদের ছুটিতে দেশের সব সিএনজি এবং ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাত্রী হয়রানিসহ যে কোন ভোগান্তির খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Any day in the first half of April will be elected Chief Advisor

এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ভাষণের শুরুতে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাইকে সালাম জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সবাইকে হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানান।

পরে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে।

তিনি বলেন, এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।

‘এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।’

‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা কিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব। এতে আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব। সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।’

তিনি বলেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tareq Rahman greeted the countrymen Eidul Azhar

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। আমি তাদের সুখ-সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদুল আজহা সবার জীবনে শান্তি, আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। তিনি লেখেন, ‘এই উৎসব যেন সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি জাগিয়ে তোলে। আমি এই বিষয়ে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করি।’

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকের পক্ষেই এবারের ঈদ পুরোপুরি উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, খাদ্যদ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট সাধারণ মানুষের জীবনকে গভীর দুর্ভোগে ফেলেছে। “সীমিত আয়ের মানুষ টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।’

তিনি ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ঈদের দিনে নিশ্চিত করতে হবে যেন কেউ না খেয়ে না থাকে। ঈদের আনন্দ হোক সমষ্টিগত, যেন সবাই একই কাতারে আসতে পারে।’

ঈদুল আজহার ত্যাগের আদর্শ তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগের উৎসব। এর মূল শিক্ষা হলো আত্মোৎসর্গ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—আল্লাহর কাছে পশুর মাংস বা রক্ত পৌঁছায় না, পৌঁছে কেবল তোমাদের অন্তরের তাকওয়া।’

তিনি বলেন, মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় পশু কোরবানি করে। ‘পবিত্র ঈদুল আজহা প্রতি বছর ফিরে আসে আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি ও আত্মত্যাগের মহাসন্দেশ নিয়ে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও দেশের মুসলিম জনগণের হৃদয়ে ঈদের অফুরন্ত আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দেড় দশক ধরে এক কঠিন ফ্যাসিবাদী সময় পার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট চক্রের পতনের পর এবার ঈদুল আজহা কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।’

তারেক রহমান জনগণকে সমাজ গঠনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শান্তি, ঐক্য, সম্প্রীতি ও উচ্চ নৈতিকতার ভিত্তিতে নতুন করে সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যাতে করে চরম বৈষম্য দূর হয় এবং দুনীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের মতো অপরাধ আর কোনোদিন না ঘটে।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে তারেক রহমান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।

মন্তব্য

দাম বেড়েছে শসা-কাঁচা মরিচের

দাম বেড়েছে শসা-কাঁচা মরিচের

কোরবানিঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শসা ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। শসার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আর কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। তবে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজি ও মুরগির দাম অপরিবর্তত রয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা শসা বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি। দুদিন আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে শসা। এছাড়া কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। তবে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম কমে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা হয়েছে আজ।

‘কোরবানির ঈদের সময় শসার চাহিদা বেশি থাকে, তাই দামও বেড়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে। আড়তে গিয়ে তো আমরা শসা খুঁজেই পাচ্ছিলাম না’— শসার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে রামপুরার এক ব্যবসায়ী এমন মন্তব্য করেন।

রামপুরার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদিন আগেও আমরা শসার কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ আড়তেই দেশি শসার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। হাইব্রিড শসার দাম একটু কম আছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি কিনে তো আর ৯০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না। তাই ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’

একই বাজারের ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, ‘কোরবানির ঈদের সময় সব বাড়িতেই মাংস রান্না হয়। মাংসের সঙ্গে সালাদ সবার প্রিয়। তাই কোরবানির ঈদের সময় কাঁচা মরিচ, শসা, লেবু ও টমেটোর চাহিদা বেশি থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে লেবু ও টমেটোর সরবরাহ ভালো। তাই এ দুটি পণ্যের দাম বাড়েনি। তবে কাঁচা মরিচ ও শসার সরবরাহ কম। তাই দামও বেড়েছে। গতকাল শসার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করেছি, আজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা কাঁচা মরিচ আজ ১২০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, আমাদেরই কিনতে হয়েছে অনেক বেশি দামে।’

খিলগাঁওয়ে শসা কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত মঙ্গলবার শসা কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে, আজ এক লাফে ৯০ টাকা হয়ে গেছে। হুট করে এভাবে দাম বাড়া ঠিক না। যারা বাজার তদারকির দায়িত্বে আছেন তাদের বিষয়টা দেখা উচিত।’

এদিকে দুদিন আগে ১৩০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি হলেও আজ ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আলু, রসুন, পেঁয়াজ, আদা আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দুদিনে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। ডিমের চাহিদা কম থকায় এই দাম কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিমের দাম আরও একটু কমতে পারে। কারণ শনিবার কোরবানি হওয়ার পর সবার ঘরে ঘরেই মাংস থাকবে। দুই-তিনদিন মানুষ মাংস খাবে বেশি। এ সময় অন্য খাবারের চাহিদা কম থাকবে। তবে ঈদের দুই-তিনদিন পর ডিম এবং কাঁচা সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। কাঁকরোল, বরবটি, কচুর লতি, করলা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

মন্তব্য

p
উপরে