× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Agriculture has kept the economy alive
google_news print-icon

অর্থনীতিকে ‘বাঁচিয়ে’ রেখেছে কৃষি

অর্থনীতিকে-বাঁচিয়ে-রেখেছে-কৃষি
করোনা মহামারিতেও জিডিপিতে কৃষির অবদান এতটুকু কমেনি। ছবি: ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
করোনায় শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি তলায় নেমে গেলেও কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। কৃষি খাতে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বেড়েছে।

মহামারি কেরোনাভাইরাসের এই মহাসংকটের সময়ে কৃষিই বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে। এই কঠিন সময়ে কৃষি খাতের কোনো ক্ষতি হয়নি। উল্টো উৎপাদন বেড়েছে, বেড়েছে কর্মসংস্থান।

অন্যদিকে শিল্প ও সেবা খাত করোনার ছোবলে তছনছ হয়ে গেছে। শিল্প খাতের উৎপাদন তলানিতে নেমে এসেছে। চাকরি হারিয়ে দিশেহারা লাখ লাখ পরিবার।

সেবা খাতেরও একই অবস্থা। প্রায় দেড় বছর ধরে ছোট-বড় সব ধরনের হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বিপণিবিতান, পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ। বাস-ট্রেনসহ অন্য পরিবহনও চলছে না ঠিকমতো। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে গ্রামে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া যায়।

এই প্রথমবারের মতো দুই অর্থবছরের জিডিপির হিসাব একসঙ্গে প্রকাশ করল পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০১৯-২০ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রাথমিক হিসাব প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তাতে দেখা যাচ্ছে, চূড়ান্ত হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর প্রাথমিক হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

এই দুই বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। তার আগের দুই অর্থবছর ২০১৮-১৯ এবং ২০১৭-১৯ অর্থবছরে এই হার ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯২ এবং ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্প খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এক ধাক্কায় ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক দশকে সবচেয়ে কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় তিনগুণ ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০১৭-১৯ অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ।

অর্থনীতিকে ‘বাঁচিয়ে’ রেখেছে কৃষি
কৃষি খাতে সরকারও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা

সেবা খাতের অবস্থাও বেশ খারাপ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেবা খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সেবা খাতের এই প্রবৃদ্ধিও এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৭-১৯ অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

তবে, নয় মাসের (২০২০ সালের ১ জুলাই-২০২১ সালের ৩০ মার্চ) হিসাব কষে পরিসংখ্যান ব্যুরো গত ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে হিসাব দিয়েছে, তাতে অবশ্য শিল্প ও সেবা খাতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেশ খানিকটা বেড়েছে।

বিবিএস বলেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প খাতে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আর সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ হয়েছে।

প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরে পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টি হয়ে কত টাকার মূল্য সংযোজন হয়, সেটাই জিডিপির হিসাবে ধরা হয়। মোটাদাগে কৃষি, শিল্প ও সেবা- এই তিন খাত দিয়ে জিডিপি হিসাব করা হয়। এসব খাতকে গণনা করা হয় সব মিলিয়ে ১৫ খাত দিয়ে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করার পর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিল সরকার।

এর মধ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে ছড়াতে শুরু করে নতুন এক করোনাভাইরাস, অল্প সময়ের মধ্যে তা বিশ্বজুড়ে মহামারির রূপ নেয়।

ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউন শুরু হয়, বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, ফলে বিশ্ব বাণিজ্য এক কথায় অচল হওয়ার দশা হয়।

বাংলাদেশে মহামারির ধাক্কা শুরু হয় ২০২০ সালের মার্চে। শনাক্ত রোগী বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশও অন্যান্য দেশের পথ অনুসরণ করে, ২৬ মার্চ থেকে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

সরকারি ভাষায় ওই ‘সাধারণ ছুটি’ চলে টানা দুই মাস, এই সময় অর্থনীতির চাকা একপ্রকার অচল হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের শিল্পোৎপাদনও প্রায় বন্ধই থাকে।

মহামারির প্রথম ধাক্কায় অর্থনীতির ওই পরিস্থিতির মধ্যেও সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সাময়িক হিসাব দিয়েছিল। তবে তাতে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের অনেকে।

অর্থনীতিকে ‘বাঁচিয়ে’ রেখেছে কৃষি
কয়েক বছর ধরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা

এখন পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, ওই অর্থবছর সরকারের ধারণার চেয়েও ১.৭৩ শতাংশ পয়েন্ট কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, মহামারির ওই সংকটে অর্থনীতির চাকা যেটুকু সচল ছিল, তার মূল কৃতিত্ব কৃষিখাতের।

অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর ধরে মহামারির ছোবলে শিল্প ও সেবা খাত তছনছ হয়ে গেছে; এখনও হচ্ছে। যতদিন না পর্যন্ত আমরা দেশের বেশির ভাগ মানুষষকে টিকা দিতে না পারব, ততদিন এই দুই খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

‘তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, এই দেড় বছরে আমাদের কৃষি খাতের কোনো ক্ষতি হয়নি; উল্টো এ খাতের উৎপাদন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। কৃষক ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসলের ভালো দাম পেয়েছে। তার প্রতিফলনই আমরা বিবিএসের হিসাবে দেখতে পাচ্ছি।’

২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে হিসাব পরিসংখ্যান ব্যুরো দিয়েছে, সেটাকে ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় বাস্তবভিত্তিক’ বলে মনে হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান মনসুরের।

তিনি বলেন, ‘মহামারির ওপর কারও হাত নেই। অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে এটা আঘাত এনেছে। এই মহামারির কারণে ভারতে প্রায় ১০ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশে ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি শুনে ভালো লাগছে।’

করোনার ধাক্কা সামলে দেশের অর্থনীতি এখনও যেহেতু পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, তাই প্রবৃদ্ধির দিকে মনোযোগ না দিয়ে চলতি অর্থবছরে ‘সঠিক নীতি সহায়তা’ দিয়ে অর্থনীতিকে সঠিক পথে রাখার ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মহাসংকটের সময়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাটাই সবচেয়ে বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। এই কঠিন সময়ে ৩/৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও যদি হয়, সেটাকেও আমি “অসম্ভব অর্জন” বলে মনে করব।’

বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, কী একটা ভয়াবহ কঠিন সময়ে পার করছে গোটা বিশ্ব। সব দেশের প্রবৃদ্ধিই হোঁচট খেয়েছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতসহ অনেক বড় বড় দেশের প্রবৃদ্ধি কমেছে। এর মধ্যে কৃষি খাত ভালো করায় আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছি।’

মহামারির এই সংকটের সময়ে শিল্প ও সেবা খাতসহ অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থান কমলেও কৃষি খাতে বেড়েছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় দেখা যায়, মহামারিকালে কৃষিতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১৮ শতাংশ।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে বেসরকারি খাতে ৬২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছে। তারা গড়ে ৯৫ দিনের মতো কাজ পায়নি। পরে তাদের অনেকেই কাজ পেয়েছে। তবে আয় কমেছে। এর পরিমাণ গড়ে ১২ শতাংশ। করোনার কারণে শিল্প ও সেবা খাতে চাকরি কমেছে। আর কৃষিতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১৮ শতাংশের বেশি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬ জেলার ২ হাজার ৬০০ খানার (পরিবার) ওপর জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে সিপিডি।

কৃষি খাতে কর্মসংস্থান কেন বেড়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোভিডকালে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরের অনেকেরই চাকরি চলে যাওয়ায় তারা গ্রামে ফিরে গিয়ে কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে। কেউ নিজের জমিতে চাষাবাদ করছে। অনেকে অন্যের জমি লিজ নিয়ে আবাদ করছে। আবার অনেকে দিনমজুরির কাজে যোগ দিয়েছে।’

সে কারণেই শিল্প ও সেবাসহ অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থান কমলেও কৃষিতে বেড়েছে বলে জানান তিনি।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মোট জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে (বর্তমান বাজারমূল্যে) ৩০ লাখ ১১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ২৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

আর মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২৪ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে পৌঁছেছে।

গত অর্থবছর জাতীয় বিনিয়োগ (বর্তমান মূল্যে) জিডিপির ২৯ দশমিক ৯২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

এ সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ২২ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশে। তবে সরকারি বিনিয়োগ জিডিপির ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-২১ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশে।

আরও পড়ুন:
গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.৪৭ শতাংশ
জিডিপির হিসাব পাওয়া যাবে কবে?
উন্নয়নে বাংলাদেশের কাছে শিক্ষা নিতে পারে ভারত-পাকিস্তান
চার দশকে ভারতের সর্বনিম্ন জিডিপি
জিডিপির প্রবৃদ্ধি দিয়ে কি দেশের উন্নয়ন বোঝা যায়?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Bloody corpse of a female garment worker in a deserted bamboo plantation

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ প্রতীকী ছবি
প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্জন বাঁশবাগানের ভেতর থেকে এক নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার বাঁশবাগান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

পুলিশের ভাষ্য, বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাকশ্রমিকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, ওই নারীর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায়, তিনি হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর।

হা-মীম গ্রুপের টিআইএসডব্লিএল-১ কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আনজু খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পরে কারখানা থেকে বাসায় যায়, কিন্তু আজ সকালে তিনি আর কারখানায় আসেননি।

‘পরে লাইনের সুপারভাইজার আনজুকে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কেউ তাকে (পোশাকশ্রমিক) হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ গাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০
মুহুরী নদীতে মিলল নিখোঁজ নৌ সৈনিকের মরদেহ
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshi shepherd killed in BSF firing at Lalmonirhat border

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। ফাইল ছবি
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।

উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Two vegetable traders were killed by a covered van

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত প্রতীকী ছবি
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিন চাকার ভ্যানের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুস সালাম (৫০) ও ছানোয়ার হোসেন (৪৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় কাটিগ্রাম বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর বন্দর আড়ত থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন, কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই আবদুস সালাম নিহত হন এবং গুরুত্ব অবস্থায় ছানোয়ার হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, নিহতদের একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এবং অপরজনের মরদেহ গোলড়া থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গোলড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
নাটোরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ৮

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Prime Minister wants Thailands investment in hospital economic zone of Bangladesh

বাংলাদেশের হাসপাতাল, অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাই বিনিয়োগ চান শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের হাসপাতাল, অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাই বিনিয়োগ চান শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুক্রবার গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণেরও প্রস্তাবও দিয়েছি।’

বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কেও থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ কামনা করেছেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুক্রবার গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণেরও প্রস্তাবও দিয়েছি।’

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি, একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অফ ইনটেন্টে (এলওআই) সই করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত।

‘সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।’

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান পরিসর বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধু থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ন্যাপ এক্সপো উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
137th Port Day celebration in a festive atmosphere

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সারি। ফাইল ছবি
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।

কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।

১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।

১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় বন্ধ পচনশীল পণ্য আমদানি
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A farmer died after being crushed by an elephant in Sherpur

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৬০ বছর বয়সী হাজী উমর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

একপর্যায়ে বন্যহাতির পালটি একটু পিছিয়ে যায়। পরে বাড়িতে যাওয়া সময় পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা হাতির পালটি উমর আলিকে ঘিরে ফেলে ও পা দিয়ে পিষ্ট করে।

বন বিভাগের ময়মনসিংহ মধুটিলা ফরেস্টের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত উমর আলির পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
বন্যহাতির তাড়া খেয়ে যুবকের মৃত্যু
চকরিয়ায় দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ভারতীয় হাতির আক্রমণে একজন নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The body of the computer in charge of Uttarpurba newspaper was recovered at midnight

মধ্যরাতে উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার

মধ্যরাতে উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার প্রাণ হারানো অমিত দাস শিবু। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার বলেন, ‘রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন অমিত। তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।’

সিলেটে মধ্যরাতে খোলা মাঠ থেকে একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নগরের হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো অমিত দাস শিবু স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্বর কম্পিউটার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিবুর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরের বাগবাড়ি নরসিংটিলা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন অমিত। তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রাখা ছিল।’

তিনি জানান, রাত ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল, তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে।’

আজবাহার বলেন, ‘অমিতের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির মরদেহ, টেবিলে চিরকুট
মাতামুহুরি নদীতে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার
চা বাগানে শ্রমিকের ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ
গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার
জুতায় লুকানো ছিল স্বর্ণের ৬ বার

মন্তব্য

p
উপরে