× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Monetary policy not conducive to GDP growth CPD
google_news print-icon

মুদ্রানীতি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক নয় : সিপিডি

মুদ্রানীতি-জিডিপি-প্রবৃদ্ধিতে-সহায়ক-নয়--সিপিডি
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নে প্রান্তিক খামারিদের বদলে স্বচ্ছলদের প্রণোদনার অর্থ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছবি: নিউজবাংলা
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০১৪ এর পরবর্তী তিন বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বেশ কম ছিল। ২০১৯ সালের পর থেকে সেই গতি ১০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। ফলে সম্প্রতি ঘোষণা করা মুদ্রানীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ ঋণ প্রদানের লক্ষ্য বাস্তবসম্মত নয়। ঋণের বাজারে চাহিদাও কমেছে। করোনামুক্ত বা কমে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন বেশিরভাগ উদ্যোক্তা। এর ফলে গত কয়েকবছরে ব্যাংকের তারল্য অনেক বেড়েছে।

করোনাকালে বিপর্যস্ত অর্থনীতির চাকা সচল করতে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবিত মুদ্রানীতি খুব বেশি সহায়ক হবে না। কারণ, মহামারির এসময়ে, চলতি অর্থবছরে কি এমন চাহিদার সৃষ্টি হবে, যাতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বাড়তে পারে? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশে এমন প্রশ্নই তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

‘সাম্প্রতিক মুদ্রানীতি কি অর্থনীতির বর্তমান চাহিদা মেটাতে পারবে? সিপিডির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ কথা জানায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময়ে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থাটি জানায়, করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বিপর্যস্ত দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা। যার প্রভাব পড়েছে পুরো অর্থনীতির খাত-উপখাতে। আর এ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সম্প্রতি আগামী অর্থবছরের জন্য বাজারে মুদ্রা সরবরাহ নীতি অব্যাহত রেখেই সম্প্রসারণশীল মুদ্রানীতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুদ্রানীতি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক নয় : সিপিডি

সিপিডির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময়ে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষক তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা

সিপিডি বলছে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ পর্যাপ্ত নয়। করোনার আগে একাধিক বছরে এ অর্থায়ন নিম্নমুখী ছিল। যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক বিনিয়োগে। লাগামহীন খেলাপি ঋণ, ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাবের পাশাপাশি বিনিয়োগে স্থবিরতা, উদ্বৃত্ত তারল্য বাড়ছে ব্যাংকগুলোতে। যা জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দেয়ার শংকার পাশাপাশি পুঁজিবাজারসহ অন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগেরও শংকা বাড়াচ্ছে।

তারা বলছে, বেসরকারি বিনিয়োগ, ব্যাপক মুদ্রার যোগান কিংবা মূল্যস্ফীতি, চলতি অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া মুদ্রানীতিতে বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অপূর্ণই থেকে যাবে। মুদ্রানীতির আলোচনায় ব্যাংক খাতে অধিক তারল্য, প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকারের দেয়া ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনার অপব্যবহার আর নগদ প্রণোদনা প্যাকেজের সঠিক বন্টন না হবার মতো বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে আসে।

এ অবস্থায়, করোনার এই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মুদ্রানীতির গুণগত বাস্তবায়ন নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নতুন পথ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

সংস্থাটি বলছে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জীবন ও জীবিকার মেলবন্ধনের জন্য অন্তত ৭০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। আর এ জন্য সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মূল প্রবন্ধে দেশে করোনা শুরু আগের অর্থনীতির সূচকগুলোর চালচিত্র ও পরের দিনগুলোতে ব্যাংক খাতের সংকটের ওপর আলোকপাত করেন ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, ২০১৪ এর পরবর্তী তিন বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বেশ কম ছিল। ২০১৯ সালের পর থেকে সেই গতি ১০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। ফলে সম্প্রতি ঘোষণা করা মুদ্রানীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ ঋণ প্রদানের লক্ষ্য বাস্তবসম্মত নয়। ঋণের বাজারে চাহিদাও কমেছে। করোনামুক্ত বা কমে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন বেশিরভাগ উদ্যোক্তা। এর ফলে গত কয়েকবছরে ব্যাংকের তারল্য অনেক বেড়েছে।

মহামারিতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিডি। তারা দাবি করেন, করোনায় নিম্নবিত্তের আয় আরও কমেছে। বেড়েছে অনেক পণ্যের দাম। তাই এ লক্ষ্য বাস্তবতা বিবর্জিত।

সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী কয়েক মাস অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে বিশাল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে পারলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত নতুন মুদ্রানীতিতে তাদের সম্প্রসারণমূলক অবস্থান পুনর্বিবেচনা করা। বেসরকারিখাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জন কঠিন হবে। এ পরিস্থিতিতে, ঋণ প্রবাহ ১২ শতাংশ পর্যন্ত সংশোধন করা যেতে পার।

প্রণোদনার টাকা ফেরত আসা নিয়ে শঙ্কা

সিপিডি বলছে, প্রণোদনার ঋণের টাকা ফেরত আসবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ব্যাংকগুলো। কারণ, ইচ্ছা করে ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতা এ দেশে আছে। করোনার মতো সংকটের সুযোগে অনেকে ইচ্ছা করে ঋণখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে সম্প্রতি ঘোষিত মুদ্রানীতিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রণোদনার টাকা বড় উদ্যোক্তারা ব্যবহার করতে পারছেন। কিন্তু ছোট উদ্যোক্তারা প্রণোদনার অর্থ তেমন পাচ্ছেন না। ফলে ছোটরা ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না, তারা পেছনে পড়ে যাচ্ছেন। মহামারির সময় এতে বৈষম্য বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কা আছে।

অতিরিক্ত তারল্য তুলে নেয়া

সিপিডি মনে করে, বাজারে এখন অধিক তারল্য আছে। উৎপাদনশীল খাতে অর্থ না গিয়ে পুঁজিবাজারে যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছে সিপিডি।

তারা বলছে, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রণোদনার অর্থ শেয়ারবাজারে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, করোনার কারণে অর্থনীতির এই অবস্থায় শেয়ারবাজার চাঙা হওয়ার কারণ নেই।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ইদানীং সন্দেহজনক স্টকে বিনিয়োগ বাড়ছে। এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, নাকি শেয়ারের দাম বাড়িয়ে টাকা বানানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কাজ করতে পারে।’

ফাহমিদা খাতুন তার উপস্থাপনায় বলেন, গত এক বছরে অতিরিক্ত তারল্য দ্বিগুণ হয়েছে। বেসরকারিখাতের ঋণের চাহিদা না থাকায় তারল্য বেড়েছে।

তিনি বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার হার শিথিল রেখেছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে চিন্তা করার। অতিরিক্ত তরলতা সংগ্রহের জন্য সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও) প্রয়োজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

রেমিট্যান্স প্রণোদনা

প্রবাসী আয় অধিক তারল্য সৃষ্টি করছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার সময়ে বিভিন্ন পরিবারের আয় কমেছে, তাদের সহায়তায় বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসছে। ২ শতাংশ প্রণোদনাও এতে কাজ করছে। রেমিট্যান্সের টাকা বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন রেমিট্যান্স থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা উঠিয়ে নিতে পারে। তিনি রেমিটেন্সের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ৫ হাজার ডলার রেমিট্যান্সে কোনো যাচাই–বাছাই ছাড়া ২ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

আরও পড়ুন:
প্রণোদনার ঋণ কোথায় গেল, জানতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ নেই
প্রণোদনা: যারা ঋণ পেয়েছেন তাদের আর নয়
প্রণোদনার টাকা আ. লীগ নেতারা নিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল
প্রণোদনার ঋণ অপব্যবহার, সতর্ক করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Robbery arrested by calling elder brother and saying hello 7

বড় ভাই ডেকে সালাম দিয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৭

বড় ভাই ডেকে সালাম দিয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৭ বড় ভাই ডেকে সালাম দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মতিঝিল থেকে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রিকশা দিয়ে ওয়ারী এলাকায় যাওয়ার সময় সালাম দিয়ে তার গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

জিএম শাখাওয়াত হোসেন রাজধানীর মতিঝিল এলাকার একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে অফিসের কাজে রিকশায় ওয়ারী থানার র‍্যাংকিন স্ট্রিট দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে কয়েকটি রিকশায় কয়েকজন লোক এসে বড় ভাই বলে ডেকে সালাম দিয়ে তার গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পকেটে থাকা ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্রটি।

এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিএম শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। মামলার ছায়া তদন্তে নেমে চক্রের হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ।

রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

‌গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন চক্রের হোতা সজল সিদ্দিক (৪৭), আবুল হোসেন (৪৭), রফিকুল ইসলাম সবুজ (২৬), মো. আরেফিন (৪৩), মো. আমির আলী (৫৫), মোমিন প্রামাণিক (৫৬) ও মো. শাহিন (৩২)।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘মতিঝিল থেকে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রিকশা দিয়ে ওয়ারী এলাকায় যাওয়ার সময় সালাম দিয়ে তার গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘ওয়ারীর ঘটনার পরেও চক্রটি ধারাবাহিকভাবে একইভাবে ছিনতাই করে আসছিল। ছিনতাই করা অবস্থায় চক্রের তিনজনকে মগবাজার থেকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, ‘সালাম দিয়ে ছিনতাই করা এই চক্রে আটজন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে ‌গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সালাম দিয়ে ছিনতাই করে আসছিল।

‘চক্রের হোতা সজলের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৯ মামলা, আবুলের বিরুদ্ধে ৮টি, সবুজের বিরুদ্ধে ৭টি, আরেফিনের বিরুদ্ধে ৫টি ছিনতাই মামলা, আমির আলীর বিরুদ্ধে ৩টি ছিনতাই মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।’

গ্রেপ্তার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা একই কায়দায় প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬টি ছিনতাই করত।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন বলেন, ‘ওয়ারীর মামলায় ‌গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৬
বউ-শাশুড়ির গাঁজার ব্যবসা
সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা
দুই নারীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৭
নাশকতার মামলায় বিএনপির তিন নেতা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mumtaz gave the details of wealth in the affidavit

হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিলেন মমতাজ

হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিলেন মমতাজ গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
নিজের পেশা ‘কণ্ঠশিল্পী’ উল্লেখ করলেও পেশা থেকে গত পাঁচ বছরে কোনো আয় দেখাননি মমতাজ। এ ছাড়া এই পাঁচ বছরে তার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বাড়েনি নগদ অর্থের পরিমাণও, তবে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম হলফনামায় পেশায় নিজেকে কণ্ঠশিল্পী ও ব্যবসায়ী উল্লেখ্য করেছেন। কিন্তু পেশা থেকে কোনো আয়ের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। অথচ গত পাঁচ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে ভারতের আদালতে দুটি প্রতারণার মামলা হয়েছে এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

কণ্ঠশিল্পী এ সংসদ সদস্যের ২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমানে মমতাজ বেগমের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, বাসাভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও কৃষিসহ অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। আর ২০১৮ সালে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা; তার মধ্যে গান গেয়ে আয় করেছিলেন ৭ লাখ টাকা। সেই হিসেবে গত পাঁচ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ লাখ টাকা।

তবে এই পাঁচ বছরে তার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বাড়েনি নগদ অর্থের পরিমাণও, তবে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

অপরদিকে ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগম ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, কৃষি ও পেশাসহ অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৪ টাকা। তবে ওই হলফনামায় বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকানসহ এইসব খাত থেকে কোনো আয় ছিল না তার।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা ও আনুসঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মমতাজ বেগমের হাতে নগদ ৫ লাখ এবং স্বামীর কাছেও নগদ ৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার, ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, নিজ নামে ২৮ লাখ টাকা, ৪৬ লাখ ২০ হাজার এবং ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের তিনটি দামি গাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি নির্ভরশীল ব্যক্তি অর্থাৎ তিন সন্তানের নামে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

২০১৮ সালের হলফনামায় তার কাছে নগদার্থের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ এবং স্বামীর কাছে ছিল ২ লাখ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নগদার্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে স্বামীর নামে কোনো টাকা ছিল না।

২০২৩ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা এবং স্বামীর নামে জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা। অপরদিকে ২০১৮ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে ছিল ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৭ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় ছিল ৩০ লাখ টাকা।

২০২৩ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৯০০ শতাংশ। যার অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৪৪ লাখ ২ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং অকৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৫০০ শতাংশ যার অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭০ টাকা। এ ছাড়াও ঢাকার মাহাখালীতে ৫ তলা একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সিংগাইরের জয়মন্টপ এলাকায় ২ তলা একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা। তবে ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে কোনো বাড়ি ছিল না। কিন্তু মমতাজ বেগমের নামে একটি কোল্ড স্টোরেজ ছিল যার মূল্য ছিল ৯০ লাখ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রমমতাজ বেগম তিনবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একবার সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত হন তিনি। এবার দিয়ে টানা তিনবার তিনি নৌকার টিকিট পেলেন।

আরও পড়ুন:
আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A schoolgirl died after being hit by a bike in Comilla

কুমিল্লায় বাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর 

কুমিল্লায় বাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর  স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমজাদের বাজার চিওড়া পাম্পের উত্তর পাশে শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমজাদের বাজার চিওড়া পাম্পের উত্তর পাশে শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৮ বছর বয়সী জান্নাতুল ফেরদৌস সদর উপজলার দুর্গাপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার মেয়ে। সে দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের খালাতো ভাই হৃদয়সহ স্থানীয়রা জানান, শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমজাদের বাজার চিওড়া পাম্পের উত্তর পাশে সড়ক পার হওয়ার সময় জান্নাতুল ফেরদৌসকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম তাকে মৃত বলে জানান।

আরও পড়ুন:
নভেম্বরে সড়কে ঝরল ৪৬৭ প্রাণ, প্রাণহানি বেশি ঢাকা বিভাগে
গাছে বাইকের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে আহত ৩০
মাইক্রোতে বাসের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত, আহত ৪
বরিশালে পৃথক দুই বাসের সঙ্গে দুই থ্রি হুইলারের সংঘর্ষ, নিহত ৫

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Barrister Moinul Hossain passed away

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ফাইল ছবি
মইনুল হোসেনের প্রথম নামাজে জানাজা রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী সাজু হোসেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ নেশন-এর চেয়ারপারসন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রাজু আহমেদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৬টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে স্যার মারা যান। তার প্রথম নামাজে জানাজা রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।

প্রখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সন্তান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপরে মিডল টেম্পল-এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

১৯৬৫ সালের ২৬ নভেম্বর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মইনুল। এরপর ১৯৬৬ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি তৎকালীন হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মইনুল হোসেন।

২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে এক টিভির টকশোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামায়াতের এজেন্ট বললে তিনি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ মন্তব্য নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর- এমন অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

রংপুরের এক মামলায় ওই বছরের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরার এক বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In November 467 lives were lost on the road in Dhaka division

নভেম্বরে সড়কে ঝরল ৪৬৭ প্রাণ, প্রাণহানি বেশি ঢাকা বিভাগে

নভেম্বরে সড়কে ঝরল ৪৬৭ প্রাণ, প্রাণহানি বেশি ঢাকা বিভাগে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৪১টি। এসব দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত ও ৬৭২ জন আহত হয়েছেন।

এর আগের মাস অক্টোবরে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২১ জন নিহত হয়েছিল। এই হিসাবে নভেম্বর মাসে দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি প্রাণ গেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।

শনিবার বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে সবচেয়ে বেশি প্রাণ গেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ২০৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮১ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮ জন, যা ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময়ে পাঁচটি নৌ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে। ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১৩৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১৯ জন। আর সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে খাগড়াছড়ি জেলায়। দুটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু
ধামরাইয়ে ‘সেলফি’ পরিবহনের রেষারেষিতে নিহত ২
ট্রেন দেখতে গিয়ে সড়কে বাসচাপায় ভাই-বোন নিহত
লাস ভেগাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ৩
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, এক দিনে নিহত ৪

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A total of 561 appeals to the EC for reinstatement of candidature

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত অস্থায়ী বুথে প্রার্থী-সমর্থকের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিন ৪২, দ্বিতীয় দিন ১৪১, তৃতীয় দিন ১৫৫, চতুর্থ দিন ৯৩ ও সবশেষ শনিবার ১৩০ জন আপিল করেছেন। তাদের মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বাতিল হওয়া ৭৩১ জনের মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেতে মোট ৫৬১ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। এর মধ্যে অবশ্য কিছু প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদনও রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল পড়েনি ১৭০ প্রার্থীর।

ইসির বেঁধে দেয়ার পাঁচদিন সময়সীমার শেষ দিনে শনিবার ১৩০ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য আপিল করেছেন। ইসির অস্থায়ী ক্যাম্পে গত ৫ দিনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে।

শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।

তিনি জানান, প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং সবশেষ শনিবার ১৩০ জন আপিল করেছেন। পাঁচদিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেননি ১৭০ জন

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।

আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন:
প্রার্থিতা ফেরাতে চার দিনে ইসিতে ৪৩১ জনের আপিল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Arrested during the preparation of the robbery in the capital 6

রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৬ রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৬। ছবি: সংগৃহীত
ডিবি গুলশান বিভা‌গের এডিসি এস এম রেজাউল হক বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম জানতে পারে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র গুলিস্তানে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

রাজধানীর গুলিস্তানে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় এক‌টি ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন মো. সুজন হাওলাদার (৩৬), আবুল কালাম মাঝি (৪০), শহিদ খান (২১), ইব্রাহিম মৃধা (৬৩), মো. অনিক (২৭) ও মো. লাভলু (৩৬)।

গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এস এম রেজাউল হক বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম জানতে পারে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র গুলিস্তানে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে গ্রিল কাটার বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ ধারালো ছুরি ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‌গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া ত‌থ্যের ভিত্তিতে এডিসি রেজাউল আরও বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে এই চক্রটি ঢাকা মহানগরীর সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলোতে বসবাস করে এবং ঢাকা মহানগরীর ভেতরে গ্রিল কেটে চুরি ও ডাকাতি করে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার ১১ জন একত্রে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। সংঘবদ্ধ চক্রের বাকি সদস্যরা গাবতলী থেকে ট্রাকে উঠে বিভিন্ন এলাকা রেকি করে সুবিধামতো বাসায় ডাকাতি করতো বলে জানায়।’

ডিবি গুলশান বিভা‌গের এডিসি এস এম রেজাউল হক বলেন, ‘এ ছাড়াও রাতের বেলা পরিবহন করা নির্মাণ সামগ্রী কিংবা খাদ্যদ্রব্যের ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভারকে মারধর করে নামিয়ে দিয়ে পণ্য সামগ্রীর ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের নামে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক ডাকাতির প্রস্তুতি ও গ্রিল কেটে চুরির মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়।’

আরও পড়ুন:
বউ-শাশুড়ির গাঁজার ব্যবসা
সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা
দুই নারীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৭
নাশকতার মামলায় বিএনপির তিন নেতা গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় নাশকতার মামলায় জামায়াত নেতা কারাগারে

মন্তব্য

p
উপরে