× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
36 thousand crore rupees of development was returned
google_news print-icon

ফেরত গেল উন্নয়নের ৩৭ হাজার কোটি টাকা

ফেরত-গেল-উন্নয়নের-৩৭-হাজার-কোটি-টাকা
২০২০-২১ অর্থবছর শেষে এডিপির ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ফেরত গেছে। ছবি: সংগৃহীত
করোনায় ব্যয় কমানোর লক্ষ্য সামনে রেখে শুধু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পগুলোও পুরো অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। বিশাল এডিপি নিয়ে তার পুরোটা খরচ করতে না পারায় সরকারের সক্ষমতার অভাবকে দায়ী করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা।

সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের শুরু থেকেই ধীরগতি ছিল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে। মাঝামাঝিতে এসে কিছুটা কাটছাঁট করে আকার ছোট করা হয় উন্নয়ন বাজেটের। শেষ দুই মাসে ব্যয় কিছুটা বাড়লেও বছরের শেষটাও আশাব্যঞ্জক হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে এডিপির ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ফেরত গেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যদিও বছরের শুরু থেকে বলা হয়েছিল, করোনার সময় সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্য সামনে রেখে শুধু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকেই এডিপিতে স্থান দেয়া হয়েছে। সেগুলোতেই বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোও পুরো অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। এমনকি কাজে বিলম্ব যেন না হয়, তার জন্য শুরু থেকেই পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

আইএমইডির প্রতিবেদন বলছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে উন্নয়নের পেছনে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে বছরের মাঝামাঝিতে এসে তা কমিয়ে সংশোধিত এডিপি ২ লাখ ৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় নামানো হয়। অথচ গত জুন শেষে তা থেকে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫২ কোটি টাকা।

জাতীয়ভাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ২১ শতাংশে। বাকি ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ পেয়েও খরচ করতে পারেনি সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

বিশাল এডিপি নিয়েও তার পুরোটা খরচ করতে না পারায় বাস্তবায়ন সক্ষমতা ও দূরদর্শিতার অভাবকে দায়ী করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এডিপির যে বাস্তবায়ন হার, তাতে কেবল সংখ্যা বা আর্থিক দিক পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু কাজ হয়, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। আবার কাজের মান কেমন, তাও দেখা উচিত। এসব বিবেচনায় নিলে এডিপির বাস্তবায়ন চিত্রে হতাশা ছাড়া কিছুই মিলবে না।

বিশ্লেষকরা বলেন, বছরের শুরুতে বরাদ্দ পেলেও তখন খরচ না করে বছরের শেষের জন্য রেখে দেয়া হয়। এতে শেষ সময়ে যেনতেনভাবে অর্থ খরচ করা হয়। এতে শুধু সরকারের অর্থেরই অপচয় হয় না, অর্থব্যয়ের পর তা কোনো কাজেই আসে না। তবে এডিপির কম ব্যয়ের পেছনে করোনার কিছুটা প্রভাবও রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বছরের শুরুতে এডিপির আকার কত বাড়ানো যায় তার একটা প্রবণতা থাকে। কিন্তু আকার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন হার এবং কোয়ালিটি, এই দুটি যদি বৃদ্ধি না হয়, তাহলে টাকার অঙ্কে এডিপি কত বড় হলো তাতে অর্থনীতির কিছু আসে-যায় না। বরাবরই আমরা বলে আসছি, বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়াতে হবে, অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে, কোনগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোতে নজর দিতে হবে।’

অর্থ ব্যয় কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর প্রকল্পের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই আকার ও প্রকল্প সংখ্যায় এডিপি যতটা ভারী হচ্ছে, সেই তুলনায় বাস্তবায়নকারীরা তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। যদিও প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন থেকে শুরু করে কী কাজ করা হবে, কী কেনাকাটা হবে, কীভাবে কেনাকাটা হবে, কী ধরনের লোকবল লাগবে- সবই ঠিক করা থাকে। কিন্তু কাজ শুরুর পর দেখা যায়, সব ক্ষেত্রে অস্পূর্ণতা। মাঝপথে লোকবলের পরিবর্তন হয়, সংশোধন করতে হয়, কাজে দেরি হয়। প্রতিবছরই এ ধরনের একটা চিত্র দেখা যায়। সরকার এ থেকে বের হবে কবে?’

সক্ষমতা কম থাকার পাশাপাশি করোনাও এডিপিতে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর বড় এডিপি নেয় সরকার, কিন্তু ব্যয় করতে পারে না। সক্ষমতার অভাব তো রয়েছেই, এবার করোনার কারণে খরচ একটু কম হয়েছে। তবে এর মধ্যেও কিছু কিছু প্রকল্পে কাজ হচ্ছে।’

কোন অংশে কত ফেরত গেল

গত অর্থবছরে সংশোধিত এডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। বছর শেষে এ খাত থেকে অব্যয়িত থেকে যায় ২২ হাজার ৬৬২ কোটি টাকার মতো। খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা।

বৈদেশিক সহায়তা থেকে নেয়ার জন্য ধার্য করা হয়েছিল ৬৩ হাজার কোটি টাকা। তা থেকে রয়ে গেছে ১০ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। খরচ হয়েছে ৫২ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা।

বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ১১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। জুন শেষের হিসাবে তা থেকে ব্যয় হয়নি ৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।

শেষ দুই মাসে ব্যয়

বরাবরই দেখা যায়, বছরের শুরুতে কাজের তেমন গতি থাকে না। শেষ দিকে অর্থব্যয় লাফিয়ে বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু জুনে এডিপির খরচ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বা মোট এডিপির প্রায় ২৪ শতাংশ। এর আগে মে মাসে খরচ হয়েছিল ১৯ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বা ৯.২৭ শতাংশ। এতে শেষ দুই মাসেই খরচ হয়েছে ৭০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা বা ৩৩ শতাংশ। আর বাকি ১০ মাসে খরচ হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছর তা থেকে কিছুটা উন্নতি হলেও তা গত বছর বাদে ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, এডিপি বাস্তবায়নে বড় দুর্বলতা হচ্ছে মন্ত্রণালয়গুলোর গাফিলতি। বছরের শুরুতে কাজ না করলেও দেখা যায়, শেষ মাসে প্রচুর টাকা ছাড় করে মন্ত্রণালয়গুলো হিসাব দেখায় বাস্তবায়ন বেড়েছে। এতে কাজ মানসম্মত হয় না। এটা কোনো সিস্টেম হতে পারে না। এ জায়গায় মনিটরিং ও জবাবদিহি জোরদার করতে হবে।’

বাস্তবায়ন হারে শীর্ষে যারা

আইএমইডির প্রতিবেদন বলছে, এডিপি বাস্তবায়নে সবার চেয়ে এগিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। বিভাগটি মোট বরাদ্দের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করেছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন হারও ১০১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া, কৃষি মন্ত্রণালয় ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ৮৮ শতাংশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় ৮৯ শতাংশ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৮৯ শতাংশ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ৯৭ শতাংশ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রায় ৮৭ শতাংশ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৮৫ শতাংশ এবং সেতু বিভাগ প্রায় ৮৪ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে।

ব্যয়ের হারে তলানিতে যারা

ব্যয়ের দিক দিয়ে সবার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৪১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৪৭ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৪৮ শতাংশ, আইন ও বিচার বিভাগ ৫০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।

আরও পড়ুন:
করোনার মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: এডিবি
মহামারিতে বাংলাদেশকে এডিবির ২০০ কোটি ডলার সহায়তা
খরচে লাগাম, ধীর হবে উন্নয়ন প্রকল্প
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজবে এডিবি সম্মেলন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Two passengers of an autorickshaw were killed after being hit by a truck in Sylhet

সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গৌরীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গৌরীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিলেটগামী পাথরবাহী একটি ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ৬ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্রে নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার লুবিয়া গ্রামের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী নয়ন মিয়া।

এ ঘটনায় নয়ন মিয়ার ভাই ৪০ বছর বয়সী হারুন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নয়াগাঙ্গের পাড় গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী শাহ আলম, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রঞ্জিত সাহার ছেলে ২৩ বছর বয়সী পার্থ সাহাসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Savar residents want metro rail up to the memorial

স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মেট্রোরেল চান সাভারবাসী

স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মেট্রোরেল চান সাভারবাসী ছবি: নিউজবাংলা
সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পটি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেট্রোরেলের এমআরাটি-৫ ও এমআরটি-৬-এর চলমান প্রকল্পটি হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ অথবা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান তারা।

কর্মসূচিতে সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজামান খান।

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Master missing in cargo sinking in Meghna rescued 11

মেঘনায় কার্গো ডুবে মাস্টার নিখোঁজ, উদ্ধার ১১

মেঘনায় কার্গো ডুবে মাস্টার নিখোঁজ, উদ্ধার ১১ বৃহস্পতিবার দুপুরেহাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পশ্চিমে মেঘনা নদীতে ডুবে যায় এমভি মৌমনি। ছবি: নিউজবাংলা
হাতিয়া কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুনর রশিদ বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে ভাসানচরের পশ্চিমে ইসলাম চরের কাছে সাগর মোহনায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলেদের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জাহাজের মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পশ্চিমে মেঘনা নদীতে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাসানচরের পশ্চিমে ইসলাম চরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল।

সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলেদের সহযোগিতায় জাহাজের ১১ নাবিককে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তবে জাহাজের মাস্টার নিখোঁজ রয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান। পরে ৯৯৯-থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়।

বেলা ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়।

হাতিয়া কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুনর রশিদ বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে ভাসানচরের পশ্চিমে ইসলাম চরের কাছে সাগর মোহনায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলেদের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জাহাজের মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

মোহাম্মদ ওহায়েদুল ইসলাম নামে জাহাজের মালিক পক্ষের একজন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ডুবে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় পরে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিল।

আরও পড়ুন:
ভৈরব নদে ৬৮৫ টন কয়লা বোঝাই কার্গো ডুবে গেছে
সারবোঝাই কার্গো জাহাজে পানি
মোংলায় ৬০০ টন পাথর নিয়ে কার্গোডুবি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Kamal loadshedding in Barrister Sumans attempt
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর

ব্যারিস্টার সুমনের চেষ্টায় কমল লোডশেডিং

ব্যারিস্টার সুমনের চেষ্টায় কমল লোডশেডিং
এমপি সুমন বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ না থাকায় নসরতপুর ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এতোদিন বন্ধ ছিল। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আর আগের মতো অতটা লোডশেডিং হবে না।’

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির প্রচেষ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ। চালু হয়েছে বন্ধ থাকা ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বিষয়টি এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন তিনি।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নসরতপুরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্প্রতি চালু হয়েছে। এতে করে ব্যারিস্টার সুমন এমপির সংসদীয় এলাকায় আগের তুলনায় লোডশেডিং কমেছে। আগে এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকতো না। বর্তমানে দিন-রাত মিলে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং কমে আসায় জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি।

পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতীষ্ঠ হয়ে এমপি সুমনের কাছে এর সমাধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হন চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসী। তিনি নিজ সংসদীয় এলাকার জনগণের বিদ্যুৎ-ভোগান্তির খবর শুনে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় লোডশেডিং কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সমাধান না হলে তিনি মহাসমাবেশের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

পরবর্তীতে ব্যারিস্টার সুমনের ঐকান্তিক চেষ্টায় ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আসে।

ভিডিও বার্তায় এই খবর দিতে গিয়ে এমপি সুমন বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ না থাকায় নসরতপুর ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এতোদিন বন্ধ ছিল। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আর আগের মতো অতটা লোডশেডিং হবে না।

‘যদি আবারও অসহনীয় লোডশেডিং হয়, তবে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে।’

পরিশেষে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
লোডশেডিংয়ে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় শেরপুরের কৃষকরা
এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, গ্রামাঞ্চল বিদ্যুৎবঞ্চিত
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Yellow Bellied Sea Snake at Hatia Beach

হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’

হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ হাতিয়া উপজেলার সাগর সৈকতে উঠে আসা বিরল প্রজাতির বিষধর সাপ ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’। ছবি: সংগৃহীত
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, ‘এটি বিষধর সাপ। তবে এই প্রজাতির সাপ বিরল। এগুলো এই অঞ্চলে তেমন একটা দেখা যায় না। সাপটি সন্ধ্যার দিকে উপকূলে উঠে মানুষের আনাগোনা দেখে আবার সাগরে চলে যায়।’

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন। আগের দিন বুধবার বিকেলে উপজেলার কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখা যায়।

মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, ‘বুধবার বিকেলের দিকে তানিম নামে এক যুবক ঘুরতে যান উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে। ওই সময় তিনি সাপটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয় কিছু লোকজনও সেখানে গিয়ে সাপটি দেখতে পান। আমি বিষয়টি স্থানীয় বনবিভাগকে জানিয়েছি। এরপর ওই সাপের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।’

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এটি একটি বিষধর সাপ। উভচর প্রাণী হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ জলে ও স্থলে প্রায় সময় দেখা যায়। তবে এই প্রজাতির সাপ বিরল। এগুলো এই অঞ্চলে তেমন একটা দেখা যায় না। সাপটি সন্ধ্যার দিকে উপকূলে উঠে মানুষের আনাগোনা দেখে আবার সাগরে চলে যায়।’

আরও পড়ুন:
‘খুলনা বিভাগের মানুষ বেশি সাপের কামড়ের শিকার’
চবির জোবরা গ্রামে ১০ ফুট লম্বা অজগর
বিচ্ছিন্ন হাতিয়া
১৯ ফুট লম্বা অজগর ধরলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
পোষা সাপের ছোবলে ওঝার মৃত্যু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
US human rights report uses baseless facts

‘যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য ব্যবহার হয়েছে’

‘যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য ব্যবহার হয়েছে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বৃহস্পতিবার ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘প্রতিবেদনে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন স্থান পায়নি। অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং নির্দিষ্ট কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি বরং অবমূল্যায়ন করেছে।’

বাংলাদেশকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটি নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য তুলে ধরেন। সূত্র: ইউএনবি

তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেদনটি দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং নির্দিষ্ট কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি বরং অবমূল্যায়ন করেছে, যা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোবল ও কার্যকারিতার জন্য ক্ষতিকর।’

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মুখপাত্র বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন প্রতিবেদনে স্থান পায়নি। অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।

‘প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়লে স্পষ্ট হবে যে এতে পৃথকভাবে রিপোর্ট করা বা কথিত ঘটনাগুলোর পরিপূর্ণ রেফারেন্স দেয়া হয়নি। এটি সরলীকরণ অনুমাননির্ভর তথ্যে ভরপুর।’

ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার বিষয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে আশা প্রকাশ করেছে, ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরপরাধ নারী ও শিশু হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চলমান প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে।

সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘গত বছর অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন অজুহাতে এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে অস্থিরতা, সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়টি প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।

‘বেশিরভাগই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার (বেনামী উৎসসহ) কাছ থেকে পাওয়া অনুমাননির্ভর তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমর্থিত।’

‘প্রতিবেদনটি সহজাত পক্ষপাতদুষ্ট, এটি বেশ স্পষ্ট।’

বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের অব্যাহত আগ্রহের প্রশংসা করেছে।

মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যতই প্রত্যাশা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। মানবাধিকার কোনো শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তবে আর্থ-সামাজিক সীমাবদ্ধতা প্রায়ই এসব অধিকার আদায়ের গতিকে সীমাবদ্ধ করে।’

‘বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

‘যেসব ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হয়ে বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে টানা মেয়াদে মানবাধিকার পরিস্থিতির অর্থবহ অগ্রগতি করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিচক্ষণ পর্যবেক্ষক লক্ষ্য করবেন, এ জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, প্রবীণদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারের সুবিধা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং আরও অনেক কিছুতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এটি বিএনপি এবং তার রাজনৈতিক মিত্রদের সহিংসতা ও ভাঙচুরের বিষয়টি তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ওইসব ঘটনা সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে এবং এর ফলে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

‘এ ধরনের পরিকল্পিত প্রচারণা থেকে জনসাধারণের জীবন, শৃঙ্খলা ও সম্পত্তি রক্ষায় আইনানুগ পদক্ষেপ এবং প্রতিকারের চেষ্টা করার রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপকেও প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে। এটি খুবই হাস্যকর।’

তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত যে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে এবং যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।’

সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনায় সরকারের আন্তরিক সমর্থন ও পেশাদারত্বের ভিত্তিতে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি দল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য দলের নির্বাচন বর্জন সত্ত্বেও ৪২ শতাংশ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।’

মুখপাত্র বলেন, ‘মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেদনে বার বার বেশকিছু অভিযোগ বা অনুযোগ উঠে এসেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

‘উদাহরণস্বরূপ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শরণার্থী বা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করা অব্যাহত রয়েছে, যা মিয়ানমারের নাগরিক বা বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতির বৈধ দাবিকে ক্ষুণ্ন করছে।’

অন্য একটি উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে দেশের সাংবিধানিক বিধানের পরিপন্থী ‘আদিবাসী জনগণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা অব্যাহত রয়েছে, যা অযৌক্তিক উত্তেজনা ও বিভাজনকে উসকে দেয়ার প্রচেষ্টার নামান্তর।

“আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবেদনটি আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিনিময় করা অকাট্য প্রমাণ বা তথ্য বাদ দিয়েছে বা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

“উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শাহীন মিয়া ও মোহাম্মদ রাজু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে, যাতে ঘটনাগুলো আইনের আওতাভুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। জেসমিন সুলতানার ক্ষেত্রে যে বিচারিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রতিবেদনে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি, বিশেষ করে চলমান যথাযথ প্রক্রিয়ার বিষয়টি।”

মুখপাত্র বলেন, ‘একইভাবে শ্রম অধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো, বিশেষত ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধকরণ ও কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে, যা বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’

‘বরাবরের মতোই প্রতিবেদনে আইনগত কর্মকাণ্ডের চিত্র ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারও কারখানা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি সম্পত্তি বা ব্যবস্থাপনা কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের নামে অযাচিত বাধা বা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের গৃহীত আইনানুগ পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

‘প্রতিকার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গৃহীত প্রশাসনিক ও বিচারিক পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে প্রতিবেদনে মানবাধিকারের পদ্ধতিগত অপব্যবহারের অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যক্তি বা সংস্থার দ্বারা সংঘটিত ঘটনাগুলো প্রকাশের প্রবণতা বজায় রাখা হয়েছে।

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সব নাগরিকের মানবাধিকারের পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রত্যাশায় রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
60 year old man arrested for child rape

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের প্রৌঢ় গ্রেপ্তার

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের প্রৌঢ় গ্রেপ্তার ছবি: নিউজবাংলা
শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।

পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।

অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।

এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’

আরও পড়ুন:
তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ
নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি

মন্তব্য

p
উপরে