আগে পণ্য পরে অর্থ ছাড়। সেই সঙ্গে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই গ্রাহককে দিতে হবে পণ্য ডেলিভারি। ই-কমার্সে লেনদেন নিয়ে এই নীতিমালায় অনড় থাকা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। ব্যবসার ধরন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমন অবস্থায় এই ব্যবসায় পণ্য ডেলিভারিতে ভোক্তাদের স্বার্থে সময় বেঁধে দিয়ে এবং অর্থ ছাড় নিয়ে শর্ত বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
শর্তের মধ্যে রয়েছে পণ্য ডেলিভারির পর পরিশোধ করা হবে অর্থ। আর অর্ডারের পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে পণ্য।
এই নীতিমালা নিয়ে এরই মধ্যে উঠেছে বিতর্ক। এত কম সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যাবে সেই শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে নীতিমালায় দেয়া শর্তেই অনড় থাকছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ই-কমার্স নিয়ে নীতিমালাটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ। এই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ই-কমার্স পেমেন্টের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা দেয়া হয়েছে সেটি বহাল থাকবে। গ্রাহকের অর্ডার পাওয়ার পর সময়মতো ডেলিভারি করলে ব্যবসায় সমস্যা হওয়ার কথা না।’
তিনি বলেন, ‘পণ্য ডেলিভারির সঙ্গে সঙ্গে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা হয়েছে। তবে, সময়মতো ডেলিভারি না করলে, কত দিন পরে পেমেন্ট হবে সেই প্রশ্ন আসছে। সুতরাং, আমরা এমনভাবে নীতিমালা করেছি যারা ডেলিভারি রেগুলার করে যাচ্ছে তাদের ব্যবসায় সমস্যা হবে না।’
অনলাইন ব্যবসায় ক্ষোভ
দেশে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তবে ওয়েবসাইটে একটি পেইজ খুলে অবিশ্বাস্য ছাড়ে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখাচ্ছে অনেকেই। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আগেই দিতে হয় টাকা, তারপর দেয়া হয় পণ্য। কিন্তু টাকা পরিশোধের দুই থেকে চার মাসও চলে যায়, অনেক ক্ষেত্রেই পণ্যের ডেলিভারি দেয়া হয় না। এ নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভের শেষ নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে গত ২৫ জুন ই-কমার্স নিয়ে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত হয়, কোনো প্রতিষ্ঠান পণ্য পৌঁছে দেয়ার আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না। ক্রেতার অর্ডার করা পণ্য হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ওই পণ্যের পেমেন্টসংশ্লিষ্ট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হবে না। এ জন্য পণ্য অর্ডারের বিপরীতে পরিশোধিত টাকা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মিডলম্যান প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা জমা থাকবে।
অর্ডার করা পণ্য ক্রেতা হাতে পাওয়ার পর ডেলিভারিম্যানের কাছে দেয়া স্বাক্ষরযুক্ত রিসিভ কপি জমা দিলেই পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টাকা ছাড় হবে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে করা হবে।
নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গেল ৩০ জুন জারি করা ওই নীতিমালায় বলা হয়, অন্যের উৎপাদিত পণ্য বা সেবা ই-কমার্সের আওতায় বিনিময় হলে ৫ দিনের মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে হবে। নিজস্বভাবে উৎপাদিত পণ্য বা সেবা ই-কমার্সের আওতায় বিনিময় হলে ৭ দিনের মধ্যে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে হবে।
দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, পণ্য বা সেবা নেয়ার বিবরণ এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সংরক্ষণ করবে। সেবা বা পণ্য পাওয়ার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে অর্থ ছাড় করবে। পণ্য বা সেবা কোনো কারণে প্রদান করতে না পারলে মূল্য ফেরত দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো চার্জ নেয়া যাবে না।
লেনদেন নিষ্পত্তি হতে হলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট পরিশোধ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কারণ পণ্য বিক্রির টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা হবে এবং গ্রাহক পণ্য বুঝে পেয়েছে এমন ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে অর্থ ছাড় করবে পরিশোধ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক, এমএফএস ও ই-ওয়ালেট প্রতিষ্ঠান।
অনড় বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতিমালা জারি করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ-এর মহাব্যবস্থাপক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা এমনভাবে নীতিমালা করেছি যারা ডেলিভারি রেগুলার করে যাচ্ছে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সপ্তাহে দুদিন সেটেলমেন্ট হলে তারা টাকা পেয়ে যাবে। এক দিন পরপর সেটেলমেন্ট হলে ওভাবেই পাবে।
‘কিন্তু যারা গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি করত না বা অনেক দেরি করত তাদের জন্য এটা ক্রিটিক্যাল হবে। তারা চাপে পড়বে। কিন্তু তারা যখনই ডেলিভারি করবে ওই ডকুমেন্ট দিলেই টাকা রিলিজ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো নীতিমালা জারির পর প্রয়োগে শুরুর দিকে একটু সমস্যা হয়। এক বা দুই সপ্তাহ পেমেন্টের এ পদ্ধতির জন্য খাপ খাওয়াতে একটু সমস্যা হবে। কিন্তু আমরাও খোঁজ নিচ্ছি, এখন অনেকে বলছে তারা পণ্য ডেলিভারি রেগুলার করে ফেলছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
পেমেন্ট সিস্টেমের এ নীতিমালার ফলে ই-কমার্স ব্যবসায়ে কোনো সমস্যা হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। গ্রাহককে পণ্য সময়মতো দেয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে তারা টাকা পেয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠান জানালেই হবে, গ্রাহকের জানানো লাগবে না। ব্যাংক হয়তো তাদের স্বার্থে দুই-তিনটি ভ্যারিফাই করবে যে গ্রাহক কাঙ্ক্ষিত পণ্য পেয়েছেন কি না। এখানে যারা ব্যবসা করবে তাদের পলিসিগত ত্রুটি না থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।’
নীতিমালায় দৃশ্যমান আপত্তি নেই
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের প্রধান রিপন মিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও দেশে ই-কমার্সের ব্যবসা নতুন হওয়ায় এতে এ খাত কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘মিডলম্যান লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। এর ফলে গ্রাহক, বিক্রেতা, ই-কমার্সসহ পুরো ইকো সিস্টেমই উপকৃত হবে। কিন্তু ই-কমার্স ধারণা এখনো সেভাবে প্রসার পায়নি।’
নীতিমালা জারি হলেও এখনও সেটির বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। ফলে আগের মতোই অগ্রিম অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত আছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-ক্যাব জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার বিষয়ে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগিদ দিয়ে চলতি সপ্তাহেই চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে ই-কমার্স লেনদেন নিষ্পত্তিতে দায়িত্ব পালনকারী ব্যাংক, এমএফএস ও ই-ওয়ালেট প্রতিষ্ঠানগুলোও নীতিমালা বাস্তবায়ন শুরু করতে পারেনি। এ ছাড়া, যে ব্যাংকগুলো ইভ্যালিসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্ডে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিল, সেই ব্যাংকগুলো এখনো সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি।
বিভিন্ন ব্যাংক, এমএফএস ও ই-ওয়ালেট প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা এখনও বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ই-কমার্স নীতিমালায় কী বলা আছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে ই-কমার্সের সঙ্গে লেনদেন কতটুকু কাভার করে সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছি।’
আরও পড়ুন:ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাঁটা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, কিন্তু এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ।
সড়কে গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
সংশ্লিষ্টরাও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ওই সব স্থানে রাত-দিন কাজ করছে।
তারা জানান, বছরের দুইটি ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পারাপারে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট, কিন্তু এবার সে চিত্র হবে অন্যরকম।
সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।
চালক ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নীতকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজের অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।
এসআই এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না।
শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতী থেকে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। দ্রুত এ স্থান সংস্কার ও মহাসড়কে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না।
সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতি বছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করা যাচ্ছে, এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সব তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেয়ার কথা দিয়েছেন।
তিনি জানান, ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।
আরও পড়ুন:নীলফামারী সদরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদরের সোনারায় ইউনিয়নের আরাজি কুখাপাড়া বাবুরহাট গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শোভা রাণী রায় নামের ওই নারীর স্বামী দীপু রায়কে পুলিশ আটক করেছে।
প্রাণ হারানো শোভা রানী রায় সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহববত বাজিতপাড়া এলাকার হরিপদ রায়ের মেয়ে। তার স্বামী দীপুর বাড়ি দিনাজপুরের চিরির বন্দরের ফেরসাডাঙ্গা এলাকায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে শোভার স্বামীর মৃত্যু হয়। শোভা ও দীপু উভয়েই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করতেন। ইপিজেডে চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পুলিশ আরও জানায়, দীপু রায় তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে গত ৪ মার্চ শোভা রায়কে বিয়ে করেন। ঘটনার আগে নীলফামারী সদরের নারায়ণ মাস্টারের ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রী নমিতা রাণী রায় দীপুর খোঁজ নিতে এলে প্রথম বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন শোভা। এর পর থেকে এ নিয়ে দীপুর সঙ্গে তার বিবাদ সৃষ্টি হয়।
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীপু রায় বাসায় এসে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তখন পাশের জানালা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শোভাকে দেখতে পান। পরে অন্য ভাড়াটিয়ারা দীপুকে ধরে পুলিশে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা এ ব্যক্তিকে আটকের পাশাপাশি মরদেহটি উদ্ধার করেন।
ওসি আরও জানান, দীপুর প্রথম বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শোভা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী দীপুকে আটক করা হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে শোভার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশর এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করেনি অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলটি কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শুক্রবার ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।
‘আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।’
বিএনপির সমালোচনা করে করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানবতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি এ অন্ধকার থেকে আর বের হতে পারছে না।
নির্বাচনের আগে বিএনপি বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি কীভাবে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে? কীভাবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছে?’
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুসময় আসতে সময় লাগে। সারা বিশ্বে সংকটের যে প্রতিক্রিয়া, আমাদের এখানেও ধাক্কা লেগেছে, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে ভালো।’
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা হাজির করুন। ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী এরা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের এবং ছাত্রলীগের একাংশের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
পৌরসভার হলরুমে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী বাজারে রাজমহল রেস্তোরায় দেলোয়ার হোসেন সুজন ও শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অছাত্র, চাঁদাবাজি, দখলবাজ, অছাত্র, বিভিন্ন মামলার আসামি, টেন্ডারবাজি, নানা বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগ নানা অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে। গত বুধবার ছাত্রলীগের কিছু নেতা পরিচয়দানকারী সংবাদ সম্মেলন করেছে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ আরও বলেন, ‘এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক তথ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। বুধবার তাদের করা সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ ওঠা সুখকর নয়। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি পৌর এলাকার পুরাতন কলেজ ও পৌরসভা খেয়াঘাটের উন্মুক্ত ইজারায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করায় মাঝিমাল্লা সম্প্রদায়ের ইজারা পেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শতকরা ১০ ভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে এ সমিতি ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করে আসছে। এ বছর উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করায় উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি। পিটিশনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের আদেশের অ্যাডভোকেট প্রত্যয়ন কপিসহ ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ঝালকাঠি পৌর মেয়র বরাবরে আবেদন করেন মাঝিমাল্লা সমিতির নেতারা। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।
রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠির খেয়াঘাট সমূহের জন্য ঝালকাঠি পৌরসভা একটি উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মাঝিমাল্লা (পাটনি) সম্প্রদায়ের পাওয়ার কথা। উন্মুক্ত ইজারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করেছে।
তিনি আরও জানান, এখন থেকে প্রথমে মাঝিমাল্লা সমিতি ইজারা নেবে। যদি কোনো কারণে সমিতির পক্ষ থেকে ইজারা নিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করতে পারবে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মাঝিমাল্লা সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছে।
পৌর সচিব শাহিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা শুধু আবেদিত দরপত্রসমূহ উন্মুক্ত করে প্রকাশ করছি। বাছাই করে গুছিয়ে রাখছি। আমরা এর বেশি কিছুই করতে পারব না।’
নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝালকাঠির পুরাতন কলেজ ও পৌর খেয়াঘাটের ইজারা বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। এ মুহূর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। দরপত্র আহ্বানের পরে টেক কমিটি আছে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার, পৌর সচিব শাহিন সুলতানাসহ পৌর কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ দুপুরে এসব ঘাট ইজারার দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:নাটোরের নলডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো হিমেল হোসেন (১৫) উপজেলার পিপরুল গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নলডাঙ্গা থানার ওসি মো. মনোয়ারুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে হিমেলকে তার সহপাঠী ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে হিমেলের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার স্বজনরা। পরে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান।
ওসি বলেন, পুলিশ হিমেলকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। অভিযানে হিমেলের বন্ধু পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পার্থের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হিমেলের মাথায় আঘাত, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মেহেদি, শিমুল ও সুজন নামে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্তে পায়ুপথে স্বর্ণের বার পাচারের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে খুলনা-২১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
মসজিদবাড়ী এলাকার বিজিবি চেকপোস্টের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া মনোর উদ্দিনের বাড়ি বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামে।
খুলনা-২১ বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পুটখালী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে সীমান্তের মেইন পিলার ১৭ এর ৭ এস এর ১৬৮ আর পিলার হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোস্ট এলাকায় গোপন অবস্থান করে।
‘স্বর্ণ পাচারকারী মনোর উদ্দিন একটি ইজিবাইকে করে স্বর্ণের চালানটি ভারতে পাচারের উদ্দেশে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। তখন মনোর উদ্দিনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রথমে তার শরীর তল্লাশি করে কোনো স্বর্ণ পাওয়া যায়নি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে তার পায়ুপথে স্বর্ণের বারগুলো আছে।
‘এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস স্বর্ণের বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তারপর তার কাছ থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ৭০০ গ্রাম।’
খুলনা-২১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার স্বর্ণসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের চালানটি যশোর ট্রেজারিতে আছে। আটক ব্যক্তিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য