× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
How long can the port of Chittagong be kept active?
google_news print-icon

কত দিন সচল রাখা যাবে চট্টগ্রাম বন্দর?

কত-দিন-সচল-রাখা-যাবে-চট্টগ্রাম-বন্দর?
করোনায় ১৪ জনের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বন্দরে কর্মরত ৭ হাজার কর্মীর মাঝে। পাশাপাশি গতিও কমেছে কাজের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের খাদ্য সরবরাহ এবং জীবন রক্ষাকারী কাঁচামাল ও সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বন্দর সচল রাখা জরুরি।

২০২০ সালের এপ্রিলে করোনার ছোবলে গুদামে পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। প্রায় ১১ লাখ বর্গমিটার চত্বরে কোনো জায়গা খালি ছিল না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর এবারও সংকট বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী। আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০-এর বেশি।

বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন যে পরিস্থিতি, তাতে বন্দরের কার্যক্রম আরও কিছুদিন চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তবে কত দিন এভাবে চলবে সেটিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘করোনার সংকট মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা বিভিন্ন নিয়মনীতির পরিবর্তন আনছি।

‘তবে প্রতিটি জেটিতে আমাদের জাহাজ রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সক্রিয় রয়েছেন। তারা কাজ করছেন। আমরা শিফটের ব্যবস্থা করেছি। অপারেশন এবং সিকিউরিটির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমরা ব্যবহার করছি। ন্যূনতম জনবল দিয়ে আমরা অফিস চালু রেখেছি।’

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংকট আছে, সংকট থাকবে। কিন্তু তাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেমে নেই। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে সাত দিন চট্টগ্রাম বন্দর সচল আছে। জাহাজের আনাগোনা স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের মোট আমদানি পণ্যের প্রায় ৮২ শতাংশ এবং রপ্তানি পণ্যের ৯১ শতাংশই আনা-নেয়া হয়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার এই সময়ে নিত্যপণ্য ও ওষুধের কাঁচামাল আসছে এই বন্দর দিয়ে। ফলে দেশের খাদ্য সরবরাহ এবং জীবন রক্ষাকারী কাঁচামাল ও সরঞ্জাম সরবরাহ রাখতে বন্দর সচল রাখা সবচেয়ে জরুরি।

বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভোগপণ্য থেকে শুরু করে ওষুধের কাঁচামাল, পোশাক তৈরির কাঁচামাল সবকিছুই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসে। এই বন্দরের বিকল্প নেই। তাই দ্রুত বন্দরের কর্মীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। নয়তো বিপর্যয় ঘটতে পারে।

বন্দরের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ৮০০ একক কনটেইনার খালাস হয়। করোনাকালে এখন হচ্ছে গড়ে আড়াই হাজার একক কনটেইনার। আগে একটি জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোতে সময় লাগত গড়ে আড়াই থেকে তিন দিন। এখন লাগছে চার থেকে পাঁচ দিন।

বন্দরের একজন পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) নিউজবাংলাকে বলেন, দেশের অর্থনীতির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর জড়িত বলে যতই দুর্যোগ আসুক, বন্দর সচল থাকে। করোনার ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটছে। তবে করোনার প্রথম ঢেউয়ে বন্দরের কর্মীরা তেমন আতঙ্কিত ছিলেন না। কিন্তু এবার বেশির ভাগই আতঙ্কিত। তারা ভয়ে ভয়ে কাজ করছেন। এ জন্য কাজ কম হচ্ছে।

টিকার আওতায় আনার দাবি

করোনায় ১৪ জনের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বন্দরে কর্মরত ৭ হাজার কর্মীর মধ্যে। পাশাপাশি গতিও কমেছে কাজের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) একজন নেতা বলেন, ‘বন্দরে কর্মরত ৭ হাজার কর্মীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা বন্দরের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। সবাইকে টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’

বার্থ অপারেটরস, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরস অ্যান্ড টার্মিনাল অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী বলেন, বন্দরের মূল জেটি, ইয়ার্ড, অফডক ও বহির্নোঙরে যেসব শ্রমিক-কর্মকর্তা যাতায়াত করেন, তাদের শতভাগ টিকার আওতায় আনতে হবে। যেহেতু তারা প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন, তাই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাৎক্ষণিক নিবন্ধন করে টিকা দেয়া সুনিশ্চিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের নিজস্ব শ্রমিকদের পাশাপাশি বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের অধীন শ্রমিকদের করোনা টিকা নিশ্চিত করতে নিবন্ধনের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ বুথের ব্যবস্থা করেছে। তারা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এলেই হচ্ছে। নিবন্ধন করে দেয়া হচ্ছে। বন্দর হাসপাতালে সরকারি কোভিড টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে।

মহামরি মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবৃদ্ধি

বৈশ্বিক মহামারি করেনার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২১-২১ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ টিইইউ (২০ ফুটের একক) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩০ টিইইউ আমদানি পণ্যের ও ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৬ টিইইউ রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে।

আগের অর্থবছরে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৬ টিইইউ আমদানির ও ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৬ টিইইউ রপ্তানি কনটেইনার মিলে মোট ৩০ লাখ ৪ হাজার ১৪২ টিইইউস হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল।

বন্দর এবার কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৩ টন। আগের অর্থবছরে ছিল ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ টন। প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দর জেটি ও বহির্নোঙর মিলে জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে ৪ হাজার ৬২টি। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩ হাজার ৭৬৪টি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘নিয়মিত জাহাজ আসছে। কনটেইনার ওঠানামা স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে যা যা পদক্ষেপ নেয়ার দরকার সবকিছু আমরা গ্রহণ করেছি।’

আরও পড়ুন:
ডিসেম্বরে জাহাজ ভিড়বে পতেঙ্গায়
চট্টগ্রাম বন্দরে উৎসাহ বোনাস ১৬ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট, দ্বিগুণ হলো ভাড়া
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে নতুন চেয়ারম্যান
করোনায় জাহাজ আসা কমেছে ২ শতাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
No hospital in Chittagong

চট্টগ্রামের কোনো হাসপাতালে নেই করোনার বিশেষ প্রস্তুতি

চট্টগ্রামের কোনো হাসপাতালে নেই করোনার বিশেষ প্রস্তুতি

চট্টগ্রামে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ছয় দিনে মোট ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। যেকোনো সময় রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অথচ ঘোষিত দুই করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা ছাড়া আর কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তবে হাসপাতালসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে কোনো বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। টিকিট কাউন্টার, ল্যাব, জরুরি বিভাগ, ডাক্তারের কক্ষ, ঔষধাগার সব জায়গায় রোগীদের ভিড়। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। তা ছাড়া কারও কারও মুখে মাস্কও নেই।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ১৮টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ১৭টির ভেন্টিলেটর নষ্ট। মাত্র একটি সচল থাকলেও মাঝে মধ্যে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। অথচ ২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুতে এখানে প্রথমে ১০টি, পরে আরও ৮টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হয়। মোট ১৮টি নিবিড় পরিচর্যা বেড স্থাপন করলেও এখন সেগুলোর যন্ত্রপাতি অচল হয়ে পড়ে আছে। এগুলো মেরামতের জন্য ঢাকা থেকে লোক আসবে। সেগুলো দ্রুত মেরামতের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ১৮টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ৮টিতে রোগী ভর্তি করা হলেও মাত্র একটির ভেন্টিলেটর চালু আছে। বেশির ভাগ মনিটর নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সেবা চালু থাকলে হাইফ্লো নজেল অক্সিজেন ও অন্য যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। হাসপাতালে সরকার অনুমোদিত পদের সংখ্যা সব মিলিয়ে ২৪২টি। বর্তমানে সংযুক্তি, ওএসডি, নিয়মিতসহ ১২৬ জন ডাক্তার আছেন। নার্স আছেন ১৩৪ জন। চিকিৎসক, নার্স, স্টাফসহ মোট জনবল আছে ৩৫৬ জন। তবে সবাই নিয়মিত নয়। ২০২০ সালে করোনা রোগীদের জন্য এখানে ২২ জন চিকিৎসককে আনা হলেও বর্তমানে তারা কেউই নেই। সবাইকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে। ২০২৪ সালের কাঠামো অনুযায়ী হাসপাতালে ১৭৭ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৪২ জন। এর মধ্যে ২০ জন চিকিৎসক বিভিন্ন বিভাগে প্রশাসনিক পালন করছেন। সে জন্য রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিতে পারেন না।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. একরাম হোসেন বলেন, ‘মেডিসিন ওয়ার্ডে ২০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য ৫টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি সব আইসিইউ শিগগিরই প্রস্তুত হয়ে যাবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই ডাক্তার, নার্সসহ জনবল বাড়ানোর জন্য অধিদপ্তরে বলেছি। করোনা পরীক্ষার জন্য ২ হাজার কিটের জন্য আমরা চাহিদা পাঠিয়েছিলাম। সেগুলো আসা শুরু হয়েছে। শিগগিরই আমরা করোনা পরীক্ষা শুরু করতে পারব।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের ৪০ হাজার কিটের চাহিদা দেওয়া আছে। আপাতত ১ হাজার কিট এসেছে। আমরা যেখানে যত প্রয়োজন কিট দেব। বেশি প্রয়োজন হলেও আনা যাবে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন, সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করছি।’

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আওতাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মাতৃসদন ও শিশু হাসপাতাল (মেমন-২) এর পরিস্থিতিও একই। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ডাক্তার আছেন মাত্র ৪ জন ও নার্স আছেন ১৪ জন। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানতে চাইলে চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হুসনে আরা বলেন, ‘আমাদের ১০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়া আমাদের অন্য কোনো প্রস্তুতি নেই। ঈদের ছুটি থাকায় আপাতত রোগীর সংখ্যা কম। চসিক মেয়র বলেছেন করোনা পরীক্ষার জন্য আমাদের কিট কিনে দেওয়া হবে। এরপর আমরা পরীক্ষা শুরু করব। আমাদের হাসপাতালে অক্সিজেন আছে; কিন্তু সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, আইসিইউ ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে করোনা পরীক্ষা করে আমাদের এখানে আইসোলেট করা যাবে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Traders do not follow the rules of mango mind administration at 12 kg in Naogaon

নওগাঁয় ৫২ কেজিতে আমের মন, প্রশাসনের নিয়ম মানছে না ব্যবসায়িরা

নওগাঁয় ৫২ কেজিতে আমের মন, প্রশাসনের নিয়ম মানছে না ব্যবসায়িরা নওগাঁর আমের বাজার। ছবি: নিউজবাংলা

নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে আম। বাজারে ক্ষীরসাপাত/হিমসাগর, নাক ফজলি, ল্যাংড়া/হাড়িভাঙ্গা ও আম্রপালি আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রশাসনের নিয়ম মানতে চান না ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িদের আগমন কম হওয়ায় ও সিন্ডিকেটের কারণে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ আম চাষীরা। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে চাষীদের। প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবী চাষীদের।

জেলার সাপাহার উপজেলা সদরে বৃহৎ আমের বাজারে প্রায় ৩৫০টি আড়ৎ রয়েছে। এখন পর্যন্ত চালু হয়েছে ৮০-৯০ টি। যেখানে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- এ বছর জেলায় আম বাগানের পরিমাণ ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর। যা থেকে প্রায় ৪ লাখ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অধিক বাণিজ্যের আশা।

বরেন্দ্র এলাকা হওয়ায় এ জেলার আম অত্যন্ত সুস্বাদু । ফলে দেশজুড়ে আমের বেশ কদর রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাজারে আসতে শুরু করেছে আম। সাপাহার উপজেলা সদরে জিরো পয়েন্টে আমের বৃহৎ বাজার। আমের ভরা মৌসুমে জিরো পয়েন্ট থেকে গোডাউনপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের এক পাশে বসে আমের বাজার। তবে মৌসুমের শুরুতে এক কিলোমিটার জুড়ে বাজার বসেছে। বাজারে ল্যাংড়া, খিরসা/ হিমসাগর, নাকফজলি, হাড়ি ভাংগা, আম্রপালি ও ব্যানানা ম্যাংগো পাওয়া যাচ্ছে।

চাষীরা বাগান থেকে আম পেড়ে সকাল থেকে ভ্যান, ভটভটি সহ বিভিন্ন যানবাহনে করে এ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে। তবে ব্যবসায়িদের আনাগোনা কম থাকায় বেচাকেনা কম। বিক্রির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে চাষীদের। আবার দামও তুলনামুলক কম। প্রতিমণ আম ল্যাংড়া ৮০০-১৫০০ টাকা, নাকফজলি ও খিরসা/ হিমসাগর ১২০০-১৬০০ টাকা, হাড়ি ভাংগা ১৫০০-২৫০০ টাকা, আম্রপালি ২২০০-২৮০০ টাকা এবং ব্যানানা ম্যাংগো ২৫০০-২৮০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আম সংগ্রহের যে সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে তা কাজে আসছে না। প্রচন্ড গরমে আম পেঁকে ঝরে পড়ছে। এ কারণে সব ধরনের আম প্রায় ১০ দিন আগেই বাজারে চলে আসছে।

আম চাষীদের দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল কেজি দরে আম বেচা-কেনা। দাবীর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে কেজি দরে আম বেচাকেনা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, ব্যবসায়ী, আড়ৎদার ও আম চাষীদের নিয়ে আলোচনা হয়। কেজিদরে আম বেচাকেনার কথা থাকলেও বাস্তবে তার উল্টোচিত্র। ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটের কাছে হার মানছে চাষীরা। তারা ক্যারেট সহ ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে আম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কেজি দরে আম বেচা-কেনা করতে সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমের বাজারে সচেতনতামুলক মাইকিং করা হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। প্রশাসনের দায়সারা ভাব মনে করছেন আম চাষীরা।

আম চাষীরা বলছেন, ‘মৌসুমের শুরু থেকে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড খরা বিরাজ করছিল। গাছে মুকুলের পরিমান বেশি দেখা দিলেও আম আসার পরিমাণ ছিল কম। ভাল দাম পাওয়ার কথা থাকলেও তার উল্টোচিত্র। আম চাষীদের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে কেজি দরে আম বেচা-কেনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তবে কেজি দরে আম বেচাকেনা চালু হলে লাভবান হবেন চাষীরা।

উপজেলার কোরালডাঙ্গা গ্রামের আম চাষী আব্দুল মতিন বলেন, তিনবিঘা জমিতে আম্রপালি জাতের আমবাগান রয়েছে। প্রচন্ড গরমের কারণে গাছ থেকে আম ঝরে পড়ছে। বাধ্য হয়ে আম নামাতে হচ্ছে। কিন্তু বাজারে আমের দাম ভাল পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর মৌসুমের শুরুতে তিন হাজার টাকার ওপরে মণ বিক্রি হয়েছে। আর এ বছর ‍দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ। আবার ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়িরা কেজি দরে কিনতে চাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আগের নিয়মে দিতে হচ্ছে।

সাপাহার গোডাউন পাড়ায় বরেন্দ্র এগ্রো পার্ক এর উদ্যোক্তা আম চাষী সোহেল রানা বলেন- কেজি দরে আম বেচাকেনা নিয়ে আম চাষীদের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে সবার সম্মতিক্রমে এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কেজি দরে আম বেচাকেনার কথা থাকলেও বাস্তবে তার উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। তারা কেজি দরে আম কিনতে চাচ্ছেন না। আড়ৎদার ও ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে আম বেচা-কেনা বন্ধ করে দেয়। প্রশাসন শুধু মাইকিং করে দায় সারতে চাচ্ছেন। কেজি-দরে আম বেচাকেনা বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। এটা বাস্তবায়ন হলে আম চাষীরা লাভবান হবে।

সাপাহার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা বলেন, ‘প্রশাসনের নিয়ম মানতে চান না ব্যবসায়িরা। কেজি দরে আম না কিনে ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে কিনছেন তারা। ওজন বিভ্রান্ত হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ি এখনো এ বাজারে আসছে না। এতে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। আমের মণের ওজন নির্ধারণ করা না হলে ব্যবসায়িরা আসতে চাচ্ছে না। অন্য জেলাগুলোতে আগের নিয়মে আম বেচা-কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন- কেজি দরে আম কেনা হলে বাছাই করে ভালগুলো কেনা হচ্ছে। এতে করে আম চাষীরা চিল্লাপাল্লা করছে। তারাও এ ঝামেলা চাননা বলেন গড় ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে বিক্রি করছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে কেজি দরে আম বেচা-কেনা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, ব্যবসায়ী, আড়ৎদার ও আম চাষীদের সাথে আলোচনা হয়। ইতোমধ্যে জেলায় আম বেচাকেনা শুরু হয়েছে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Report of the Traveler Welfare Association killed on the road on 7 days before and after Eid

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন ঈদের আগে-পরে ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন ঈদের আগে-পরে ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০

ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৫ দিনে সারা দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত এবং ১১৮২ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

প্রতিবেদনে তিনি বলেন, একই সময়ে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত এবং ১১৯৪ জন আহত হয়েছেন।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা ও যাতায়াতের ভোগান্তি কমিয়ে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হলে ঈদের আগে কমপক্ষে ৪ দিনের সরকারি ছুটি থাকা দরকার। ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সবার আগে আমাদের গণপরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। প্রশিক্ষিত দক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বাতিল, মানসম্মত সড়কের পাশাপাশি আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কে বৃষ্টির কারণে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে কিছু যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। ঈদের পরে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালাতে গিয়ে হয়েছে। ফলে এসব দুর্ঘটনায় সিংহভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় খাদে পড়ে ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে লেগে দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি এবারের ঈদেও চরমে ছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের বাড়ি যেতে হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Lowering again The rain is coming out of the rains in 4 districts

ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস মে মাসের শেষ ও জুনের প্রথম দিকেও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও পরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। সে সময় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সারা দেশে বৃষ্টিপাত হয়। ছবি: নিউজবাংলা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকায় আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয়, অন্যান্য অঞ্চলে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।

এ ছাড়া আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের সই করা পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে বলেও নিয়মিত আবহাওয়া বুলেটিনে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা কমার এই ধারা আগামীকালও অব্যাহত থাকতে পারে এবং তার পরের অন্তত তিন দিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বৃষ্টিপাত নিয়ে আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে। অর্থাৎ রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি দেশের কিছু স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা শনিবার, এমনকি তার পরের পাঁচ দিনও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The chief adviser to form a committee to investigate the role of those involved in organizing controversial three national elections

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Partner Congress in Phulbaria in cultivating pesticides and poisonous fruits vegetables and crops

কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদে ফুলবাড়িয়ায় পার্টনার কংগ্রেস

কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদে ফুলবাড়িয়ায় পার্টনার কংগ্রেস

কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার (১৬ জুন) উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক ড. মোছাঃ নাছরিন আক্তার বানু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ফসলি জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পিপিই ও মাস্ক পড়ে কীটনাশক স্প্রে করার বিষয়ে গুরুত্বরোপ ও নির্দেশনা প্রদান করেন।

ড. মোছাঃ নাছরিন আক্তার বানু বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলার মাটি অনেক ভালো। ফসলি জমিতে আগাছা সরাতে হবে, তাহলে আবাদ আরও বেশি ভালো হবে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মানবদেহে মারাত্মক প্রভাব পড়ে।

এসময় তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল উৎপাদনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম ইতিমধ্যেই ভালো সাড়া ফেলেছে।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আ র ম আতিকুর রহমান, বাকতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন, কালাদহ ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম মাস্টার, কৃষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষানী আকলিমা আক্তার প্রমুখ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Provided briefing to the members of the Central Africa Republic of Contingent by the Chief of Air Force

বিমান বাহিনী প্রধান কর্তৃক মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান

বিমান বাহিনী প্রধান কর্তৃক মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে (Central African Republic) নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (MINUSCA), Bangladesh Armed Military Utility Helicopter Unit-5 (BANAMUHU-5) কন্টিনজেন্ট এর মোট ১২৫ জন সদস্য প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি সোমবার (১৬-৬-২০২৫) বিমান বাহিনী সদর দপ্তর-এ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট (BANAMUHU-6) এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। পরিশেষে তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ, ঢাকাস্থ বিমান ঘাঁটি দ্বয়ের এয়ার অধিনায়ক এবং বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমরাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং নাইটভিশন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ০৩ টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ও বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে MINUSCA জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত রয়েছে। BANAMUHU-6 কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান, বিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। আগামী ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ঢাকা হতে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

মন্তব্য

p
উপরে