× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
সম্ভাবনার ওষুধ শিল্প স্বস্তির মধ্যেও শঙ্কা
google_news print-icon

সম্ভাবনার ওষুধশিল্প: স্বস্তির মধ্যেও শঙ্কা

সম্ভাবনার-ওষুধশিল্প-স্বস্তির-মধ্যেও-শঙ্কা
ফাইল ছবি
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন যে সুবিধা পাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। তখন বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের অবস্থা কী হবে?

বাংলাদেশের ওষুধশিল্প হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেক দূর এগিয়েছে। দেশের ওষুধ এখন বিশ্ববাজারেও সমাদৃত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ বর্তমানে ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি এই শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

এত সাফল্যের পরও সম্ভাবনাময় এ শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন যে সুবিধা পাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। তখন বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের অবস্থা কী হবে, কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে।

উত্তরণকালীন বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশের। বাজারসুবিধা, কম সুদে ঋণসহ নানান বিষয়ে আলোচনা শুরু হলেও ওষুধশিল্পের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি মহলে তেমন কোনো আলোচনা হয় না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে এলডিসি হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কপিরাইট আইন বা ‘মেধাস্বত্ব ছাড়ের’ সুবিধা ভোগ করছে বাংলাদেশ, যার মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত দেয়া আছে।

এই সুবিধার আওতায় ওষুধ উৎপাদনে বিদেশি পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে কোনো রয়্যালিটি বা কোনো ধরনের ফি দিতে হয় না। যে কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সস্তায় ওষুধ উৎপাদন করতে পারছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘বাণিজ্য-সংক্রান্ত মেধাস্বত্ব’(ট্রিপস) আইনে বাংলাদেশকে পেটেন্ট করার অধিকার দেয়া রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাঁচ বছর পর ২০২৬ সালে যখন বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে, তখন এ সুবিধা আর থাকবে না। এতে করে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কেননা, ওষুধ উৎপাদনে বিদেশি পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে রয়্যালটি বা ফি দিতে হবে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে ওষুধের। যার প্রভাব পড়তে পারে ওষুধের দামের ওপর। কিছু ওষুধের দাম এমন অবস্থায় যেতে পারে যে, সব মানুষের পক্ষে সব ওষুধ কেনা সম্ভব না-ও হতে পারে, এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি ওষুধ উদ্ভাবন বা ফর্মুলা আবিষ্কারের জন্য সার্বিক গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বিপুল অর্থ ও সময় প্রয়োজন। তাই, সরকার কিংবা বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারীরা এ ব্যাপারে আগ্রহী নন।

এ অবস্থায় দেশীয় ওষুধশিল্পের সুরক্ষায় এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্ততি নিতে হবে। সক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের ওষুধশিল্পকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।

বর্তমানে অন্য দেশে থেকে পেটেন্ট (ফর্মুলা) নিয়ে এসে বাংলাদেশ যে ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে, তার কাঁচামালও আসছে বিদেশ থেকে।

বাংলাদেশে ওষুধের কাঁচামালের ৮৫ শতাংশ আমদানিনির্ভর।

পরিসংখ্যান বলে, বাংলাদেশ যদি ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদন করতে পারে, তবে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) রপ্তানি আয় করা সম্ভব।

এক যুগেও হয়নি এপিআই পার্ক

দেশীয় ওষুধশিল্পের প্রসার, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, ওষুধের মান উন্নয়নে গবেষণা করা এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেন বাংলাদেশেই উৎপাদন করা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০০৮ সালে দেশে একটি পৃথক ওষুধশিল্প পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে একটি প্রকল্প ‘একনেকে’ অনুমোদন দেয়া হয়।

পোশাকি ভাষায় এই পার্কের নাম ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট’ বা এপিআই নামে পরিচিতি। যেখানে ৪২টি ওষুধ কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এত বছর পরও এ পার্কের কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আ ব ম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলো এপিআই-এর অবকাঠামো ঠিকমতো তৈরি করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর বাস্তবায়ন দ্রুত সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এপিআই হলে ওষুধশিল্পের কাঁচামালের আমদানি নির্ভরতা কমবে। শুধু তা-ই নয়, কাঁচামাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন, সময়মতো এপিআই পার্ক না হওয়াটাই ওষুধশিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্য দেশ থেকে জেনেরিক বা ফমুর্লা কপি করে ওষধু উৎপাদন করে। ‘ট্রিপসের’ আওতায় বাংলাদেশকে এ অধিকার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ যখন এলডিসি থাকবে না, তখন এই সুবিধা বাতিল হবে। এতে করে দেশের ওষুধশিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ফলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া দরকার বলে জানান তিনি।

কী ধরনের প্রস্ততি নিতে হবে জানতে চাইলে এই গবেষক বলেন, শিল্পের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। কাঁচামালের সিংহভাগ যাতে দেশেই উৎপন্ন হয়, সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ওষুধশিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) খুবই কম। এ খাতে প্রচুর এফডিআই আনতে হবে।

তবে এটিকে অত বড় শঙ্কার বিষয় বলে মনে করেন না বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতিরি সভাপতি শফিউজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘ভয়ের কোনো কারণ দেখছি না। এলডিসি-উত্তর দেশের ওষুধশিল্পকে বড় ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাাবিলা করতে হবে না।

‘আমাদের ওষুধ এখন বিশ্বমানে পৌঁছে গেছে। যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ বড় বড় বাজারে ওষুধ যাচ্ছে।’

উন্নয়নশীল দেশ হলে এ শিল্পে কিছুটা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ওষুধের দাম বাড়লেও তা বাড়বে সামান্য। তাতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।

সিপিডির গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের দাবি হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও যাতে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ট্রিপস ছাড়ের সুবিধা বহাল রাখা হয়। ভবিষ্যতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈঠকে যে দরকষাকষি হবে, সেখানে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ সভা

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৬ ও ২৭ জুলাই জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় বাণিজ্য-সংক্রান্ত মেধাস্বত্ব আইন বা ট্রিপস নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ও জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সদস্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু জেনেভাভিত্তিক আলোচনা করে দাবি আদায় করা যাবে না। এর জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক তদবির লাগবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বড় বড় মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের উন্নয়ন সহযোগিদের সমর্থন আদায় করতে হবে।

তিনি মনে করেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিণত হতে হলে প্রস্তুতিপর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মেধাস্বত্বের অনুষঙ্গ। এটি আগামী দিনের অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেবে। ফলে জেনেভায় দরকষাকষিতে বাংলাদেশকে এ বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

ড. দেবপ্রিয় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে, ট্রিপস বা বাণিজ্য-সংক্রান্ত মেধাস্বত্ব আলোচনায় ওষুধশিল্প নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে আরও সুবিধা দাও, এটা চাই ওটা চাই- এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এ শিল্পকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কার্যকর কোনো কিছু আলোচনা করতে দেখা যায়নি।’

তিনি প্রশ্ন করেন, এ শিল্প প্রায় ৪০ বছর ধরে সুবিধা পেয়ে আসছে, অথচ এখন পর্যন্ত নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?

রপ্তানি বাড়ছে

বর্তমানে দেশীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে ওষুধ রপ্তানি হয় বিশ্বের প্রায় ১৬০ দেশে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলে এ শিল্পের বার্ষিক বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ মুহূর্তে ওষুধশিল্পের প্রধান চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। তাহলে আরও এগিয়ে যাবে এ খাত।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা সমপরিমাণ ১ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। আলোচ্য অর্থবছরে ওষুধে আয় বেড়েছে বা প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৪ শতাংশ।

এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Various branches of zonal offices and departmental offices were recognized for making significant contributions to the business success of the silver bank

রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন‍্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।

এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন‍্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব‍্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব‍্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Under the Young Leaders Program the newly passed talented graduate was appointed by BRAC Bank

ইয়াং লিডারস প্রোগ্রামের অধীনে সদ্য পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটকে নিয়োগ দিল ব্র্যাক ব্যাংক

ইয়াং লিডারস প্রোগ্রামের অধীনে সদ্য পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটকে নিয়োগ দিল ব্র্যাক ব্যাংক

ব্যাংকের সিগনেচার অনবোর্ডিং প্রোগ্রাম -- ইয়াং লিডারস প্রোগ্রাম (ওয়াইএলপি)- এর আওতায় ৫৩ জন সদ্য পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটকে নিয়োগ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়াইএলপি প্রোগ্রামের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্তরা এক বছর ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এবং ফাংশনে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই ৩৬০-ডিগ্রি লার্নিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাঁরা উদ্ভাবন, পরিবর্তন ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।

ইয়াং লিডারদের লার্নিং পিরিয়ড সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁদের আগ্রহ ও সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকটির বিভিন্ন ডিভিশনে স্থায়ী দায়িত্বে নিযুক্ত করা হবে। এর ফলে তাঁরা ব্যাংকের ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় অর্থপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন।

ওয়াইএলপি অনবোর্ডিং প্রসেসে ইয়াং লিডারদের একটি বিস্তৃত এবং সুশৃঙ্খল নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ছিল সাইকোমেট্রিক অ্যাসেসমেন্ট, পারসোনালিটি প্রোফাইলিং এবং পেশাদার ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কম্পিটেন্সি-বেসড ইন্টারভিউ। এর ফলে নিশ্চিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানে সেরা এবং সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থীর নিয়োগ।

৭ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের উপস্থিতিতে ইয়াং লিডারদের নতুন এই ব্যাচকে স্বাগত জানানো হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ লিডারদের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে এমন পরবর্তী প্রজন্মের লিডারদের প্রস্তুত করতে ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তরুণ মেধাবীদের বিনিয়োগ শুধু আমাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে না, বরং একটি প্রাণবন্ত ও অগ্রসর চিন্তার কর্মপরিবেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিকেও পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ বছরের ইয়াং লিডারস আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসবে শক্তি, উদ্ভাবনী চিন্তা আর বড় লক্ষ্য অর্জনের আকাঙ্ক্ষা।”

ব্র্যাক ব্যাংকের ইয়াং লিডারস প্রোগ্রাম প্রতি বছরই দেশের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে ক্যারিয়ার শুরুর অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত প্রোগামে পরিণত হয়েছে। এ বছরের নিয়োগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক আবারও প্রমাণ করেছে যে, এটি লক্ষ্য ও কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক ট্যালেন্ট-চালিত প্রতিষ্ঠান।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Various branches of zonal offices and departmental offices were recognized for making significant contributions to the business success of the silver bank

রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন‍্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।


এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন‍্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব‍্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব‍্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Will be commissioned to increase trade with Pakistan Trade Advisor

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কমিশন করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কমিশন করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য বাড়াতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমিশন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান থেকে যাতে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানি করতে পারি সেজন্য এ কমিশন করা হবে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশকিছু সমঝোতা স্বাক্ষর হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষ খুব খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে একমত হয়েছি। খাদ্য ও কৃষি উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই। কিছু কিছু মধ্যবর্তী পণ্য যৌথভাবে উৎপাদনে যেতে পারলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। খাদ্য ও কৃষি পণ্যে জোর দেওয়া হয়েছে। আমাদের ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা আনারস রপ্তানির কথা বলেছি। স্থানীয়ভাবে চিনি উৎপাদনে পাকিস্তানের সাহায্য চেয়েছি। তারা সব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এন্টি-ডাম্পিং বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বাহিরেও আমাদের পাকিস্তান হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড আমদানির ওপর এন্টি-ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ করেছিল আমরা সেটা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছি। তারা এটা রাখবে আশা করি। আমরা পাকিস্তান বাজারে ডিউটি ফ্রি ১ কোটি কেজি চা রপ্তানির কথা জানিয়েছি। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরো তিনদিন থাকবেন, এটা নিয়ে আরো আলোচনা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের বেশকিছু সমঝোতা স্বাক্ষর হবে। এরমধ্যে জয়েন্ট ট্রেড কমিশন গঠন, কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি। এই ট্রেড কমিশন বন্ধ ছিল না। সেখানে কিছু আলোচনা হতো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই দেশের মধ্যে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন করতে চাই। আমাদের দুই দেশে ব্যবসার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ালে ভারতের সঙ্গে আরো বৈরিতা বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে বাণিজ্যে সক্ষমতা তৈরি করা। এ বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করুন। এটা আমার কনসার্ন নয়। আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করছি। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেশের স্বার্থে অন্য যে যে দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন হয় আমরা সেটা করব।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই। আমার কাছে সবার আগে দেশের স্বার্থ। দেশের স্বার্থে আমাদের যা যা করণীয় সেটা আমরা করব। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের যে পাওনা-দেনা ছিল সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বাণিজ্যের কোনো বিষয় না। আর এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘প্রায় দেড় দশক বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। তারা আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরাও বাণিজ্য বাড়াতে অসুবিধা দেখি না। আমাদের উভয় দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে এ বাণিজ্য বাড়ানো যায়। আমাদের উপদেষ্টা ধারণা দিয়েছেন পাকিস্থানে কি কি বিষয় রপ্তানি করতে পারে। আমরা পাকিস্তান থেকে বেশি আমদানি করি কিন্তু রপ্তানি করি কম। আমরা চাই এটা পরিবর্তন হোক। আমরাও যাতে বেশি রপ্তানি করতে পারি। এতে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

বাংলাদেশ পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে কিনা এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবার দিকে ঝুঁকছি।, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছি। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আনছি। সর্বাগ্রে বাংলাদেশের স্বার্থ, যেখানে দেশের স্বার্থ আছে, সেখানেই ঝুঁকছি।’

বাণিজ্যসচিব মাহবুবর রহমান বলেন, ‘গত দেড় দশক পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য তেমন ছিল না বললেই চলে। খাদ্য ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমরা নানা দেশ থেকে আমদানি করি, প্রতিযোগিতা দরে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আনা গেলে সমস্যা নেই। একই সঙ্গে আমাদের রপ্তানি বাড়ানোর গুরুত্ব দিয়েছি। বর্তমানে পাকিস্তান থেকে ইম্পোর্ট করি বেশি, রপ্তানি কম করি। আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। গত অর্থবছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৭৮৭ মিলিয়ন ডলার এবং পাকিস্তানে রপ্তানি করেছে ৭৮ মিলিয়ন ডলার।’

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্থানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, বাংলাদেশে পাকিস্থানের হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর কামরান ধাংগাল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক প্রতিনিধি জাইন আজিজ এবং বাণিজ্য সহকারী ওয়াকাস ইয়াসিন।

মন্তব্য

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী পাকিস্তান

বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান আজ রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের দিক দিয়ে দুদেশের মানুষের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আর পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষ করে জুয়েলারি পণ্য এদেশের মানুষের মাঝে বেশ চাহিদা রয়েছে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য এদেশের বেসরকারি খাত সবসময়ই সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।

তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশই রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোষাক এবং টেক্সটাইল খাতের ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীল। দুদেশেরই রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে দুদেশের পোষাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনোনিবেশ করা আবশ্যক। যার মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দুদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে একযোগে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া প্রভৃতি খাতে পাকিস্তান বেশ ভালো করছে এবং বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান থেকে এ পণ্যগুলো আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি ঔষধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য বেশ কার্যকর হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, দুদেশের কৃষি কাজ এবং পণ্যের উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা গেলে এখাতে বৈশ্বিক বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

জাম কামাল খান জানান, পাকিস্তানের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শিগগিরই বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’-এর আয়োজন করা হবে। যার মাধ্যমে দুদেশের বেসরকারি খাতের সম্পর্ক আরও জোরাদারের সুযোগ তৈরি হবে।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নতুন ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার উদ্যোগ

নতুন ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার উদ্যোগ

নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২৭ আগস্ট পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর আগে গত ১৩ আগস্টের এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হলেও ব্যাংকখাতের বর্তমান বাস্তবতায় কয়েকজন পরিচালক নতুন কোনো ব্যাংকের অনুমোদনের বিপক্ষে মত দেন।

২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুমোদন পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি এবং কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি।

সূত্র জানায়, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনো বাংলাদেশে পুরোপুরি তৈরি হয়নি। একই সময়ে কয়েকটি প্রচলিত ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনেকেই নতুন লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।

তবে পরিকল্পনা থেমে নেই। আগ্রহীদের কাছ থেকে নতুন ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন চাওয়া হতে পারে শিগগির। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদন আহ্বান করে। তখন ৫২টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৯টি প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিচালনা পর্ষদের সভায়।

এর মধ্যে নগদ ও কড়ি ছাড়াও স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওএল) দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিকাশ, ডিজি টেন এবং ডিজিটাল ব্যাংককে পৃথক লাইসেন্স না দিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আবেদন বাতিল করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগেরবার রাজনৈতিক বিবেচনায় যে প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, এবার তার চেয়ে অনেক স্বচ্ছ ও কঠোর মানদণ্ডে নতুন আবেদনগুলো যাচাই করা হবে।

মন্তব্য

সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ

সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ

২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশের ব্যাংক খাতের দুর্দশাগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত ‘ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’-এ এসব তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। ১ বছরে তা ৪৪.২১ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় অর্ধেক। আইএমএফের সংজ্ঞা অনুযায়ী, খেলাপি, পুনঃতফসিল এবং অবলোপনকৃত (রাইট-অফ) ঋণকে সম্মিলিতভাবে ‘দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা এবং রাইট-অফ করা ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি ও তদবিরের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ এখন খেলাপিতে রূপ নিচ্ছে। আগে এসব তথ্য গোপন থাকলেও এখন আইএমএফের চাপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করছে।

প্রতিবেদনে আরও ওঠে এসেছে, ২০২৪ সালে দেশের ব্যাংক খাত চরম চাপের মুখে পড়ে, বিশেষ করে মূলধন পর্যাপ্ততার ক্ষেত্রে। সিআরএআর (ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েইটেড অ্যাসেট রেসিও) মাত্র ৩.০৮ শতাংশে নেমে আসে, যেখানে তা কমপক্ষে ১০ শতাংশ থাকার কথা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও বেশকিছু ইসলামী ব্যাংক।

মূলধন অনুপাত ও লিভারেজ অনুপাত যথাক্রমে ০.৩০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গোটা ব্যাংক খাতের কাঠামোগত দুর্বলতা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অভাব স্পষ্ট করে।

তবে ব্যাংক খাতের তারল্য পরিস্থিতি এখনো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। অ্যাডভান্স-ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) ৮১.৫৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সীমার মধ্যে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, দেশের আর্থিক খাত সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও খেলাপি ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ এবং সুশাসনের অভাব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সময়োপযোগী নীতিমালা, কঠোর তদারকি এবং প্রযুক্তিনির্ভর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই খাতকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

মন্তব্য

p
উপরে