× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
চামড়ার দাম কমাতে আড়তদাররা একজোট
google_news print-icon

চামড়ার দাম কমাতে আড়তদাররা ‘একজোট’

চামড়ার-দাম-কমাতে-আড়তদাররা-একজোট
রাজধানীর পোস্তা এলাকার একটি আড়তে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন পাইকাররা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
আড়তদারদের বিরুদ্ধে এবার সারা দেশেই চামড়ার দাম কৌশলে ফেলে দেয়া এবং আড়তে চামড়া নিয়ে আসা সত্ত্বেও না কেনার মতো অসংখ্য অভিযোগ ওঠেছে। এই নিয়ে সারা দেশেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে চাপা অসন্তোষ।

কোরবানির পশুর চামড়া মানেই যেন সস্তায় কেনা। মাঠ পর্যায়ের সংগ্রহ দাম কম হবে, আড়তে তা কম আরও।

গত কয়েক বছর ধরে দেশে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয়ে এই অনিয়মটাই রীতিমত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও মাঠপর্যায় থেকে ওই চামড়ার সংগ্রহ হয়েছে ভালো। কিন্তু আড়তে বিক্রি করতে গিয়ে মেলেনি ন্যায্য দাম।

মৌসুমী ব্যবসায়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দাম ফেলতে পোস্তা, অমিনবাজার, সাভারের হেমায়েতপুর, নাটোর, দিনাজপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় চামড়ার আড়তদারদের এক একজোট হওয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। কম দামে চামড়া কেনায় তাদের সমানতালে চলেছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা।

উপায় না দেখে কম দামেই তারা বাধ্য হয়েছে চামড়া ছাড়তে।

আড়তদারদের চামড়া কেনায় অনীহার কারণে সারাদেশে ৫০ শতাংশ খাসির চামড়া নষ্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও গরুর চামড়াও বিক্রি করা যায়নি। শেষে ওই চামড়ার ঠিকানা হয়েছে রাস্তায় বা সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে।

সরকার জাতীয় সম্পদ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত বছরের চেয়ে বর্গফুট প্রতি দাম গরুতে ৫ টাকা ও খাসিতে ২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে দেয়।

‘আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা এই দাম বিবেচনায় রেখে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করবেন’- মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা অনুষ্ঠানে চামড়াসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এভাবেই আকুতি জানিয়েছিলেন।

কিন্তু কথা রাখেনি চামড়া ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর অস্থায়ী হাট ছাড়া বাড়তি দাম মেলেনি দেশের বেশিরভাগ জায়গায়।

বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এই চামড়ার ৬০ ভাগের বেশি সরবরাহ মেলে কোরবানির মৌসুমে। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া।

চট্টগ্রামে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে। সিলেটেও একই অবস্থা। কুমিল্লার বেশ কিছু গ্রামের কোরবানিদাতা এক লাখের বেশি দামে কিনেছিলেন কোরবানির পশু। কিন্তু বুধবার ঈদের দিন ওইসব পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়।

চামড়ার দাম কমাতে আড়তদাররা ‘একজোট’
পোস্তার একটি আড়তে চামড়া কিনে সেগুলোতে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে

নাটোর শহরের বড়হরিশপুর বাইপাস এলাকায় আড়তদাররা গরুর চামড়া দাম দিয়েছেন ২০০ টাকা ও খাসির চামড়ায় ১০ টাকা। খুলনায় গরুর চামড়ার মান ও আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

বরিশালে গরুর চামড়ার সর্বোচ্চ দর মিলেছে ৪০০ টাকা। আর ছাগলের চামড়া তো বিনা মূল্যেও কেউ নিচ্ছে না। গাজীপুরে চামড়ার দাম না পেয়ে অনেকে ফেলেছেন রাস্তায়।

বিক্রি করতে না পারায় দিনাজপুরে রামনগর এলাকায় চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের অফিসের সামনে রাস্তায় কয়েক হাজার ছাগলের চামড়া ফেলা হয়েছে রাস্তায়।

বৃহস্পতিবার বগুড়ায়ও পড়েছিল ছাগলের ১০ হাজার চামড়া। বিক্রি করতে না পেরে ওই চামড়াও ফেলে রেখে গেছেন রাস্তায়। পরে ওইসব চামড়া সিটি করপোরেশনের লোকজন তুলে নিয়ে যায়।

আড়তদারদের বিরুদ্ধে এবার সারা দেশেই চামড়ার দাম কৌশলে ফেলে দেয়া এবং আড়তে চামড়া নিয়ে আসা সত্ত্বেও না কেনার মতো অসংখ্য অভিযোগ ওঠেছে। এই নিয়ে সারা দেশেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে চাপা অসন্তোষ।

নাটোরের বড় হরিশপুর এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী ওহায়েদ মোল্লা জানান, সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তার মতো অনেকেই।

রাজধানীর শান্তিনগর উম্মে হাবীবা হাফেজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ১২০ পিস চামড়া নিয়ে আসে পোস্তা এলাকায়। মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুল আজিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭৪টিই ছিল বড় গরুর চামড়া। শুনেছি বড় গরুর চামড়া কোথাও কোথাও ৭০০-৮০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু পোস্তায় চামড়া এনে আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে গড়ে ৬০০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির বাকি ৪৬ পিস চামড়া গড়ে বিক্রি করতে ৪০০ টাকা হারে।‘

চামড়া পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ফতেপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী নিউজবাংলাকে জানান, ‘দেশে তো চামড়ার দাম নাই। গত বছরও পাই নাই। এ বছরও না। আমরা মোট ১৩শ’ চামড়া সংগ্রহ করেছি। ওই চামড়াগুলো ঈদের দিন তিন দফায় বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি পিস ২৩০, ২০০ ও ১৭০ টাকা হারে পেয়েছি।

‘বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে আরও নতুন সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করেছি, যেগুলোর দাম দেয়া হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা করে।’

চামড়ার দাম নিয়ে তাদের এতটাই বেদনা যে এই নিয়ে তিনি কাউকে বলতেও চান না, দোষারোপও করতে চান না। শুধু বলেন, ‘এতে গরিবের হকই নষ্ট করা হচ্ছে।’

চামড়ার দাম কমাতে আড়তদাররা ‘একজোট’
এই চামড়াগুলোর একটি অংশ বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দেয়া হয়েছে, একটি অংশ কেনার পর রাস্তায় রেখেছে আড়তদাররা

যশোর মনিরামপুর উপজেলার জামিয়ো ইমদাদিয়া বালক-বালিকা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রশিদ আহমেদ বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে চামড়া সংগ্রহের বিষয়টি এখন মূল্য বিবেচনায় নিয়ম রক্ষার দায়ে পরিণত হয়েছে। না গেলে বলবে মাদ্রাসার কি টাকার দরকার নেই? শিক্ষার্থীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহে চামড়া ও এর থেকে পাওয়া টাকা তো দরকারই। না হলে চলবে কী করে?

‘কিন্তু এর থেকে যে দাম পাওয়া যায়, যে পরিবহন খরচ আছে এবং এর সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের মূল্য ধরলে বিনা পয়সার চামড়াতেও লাভ-লোকসানের প্রশ্নটি সামনে চলে আসে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে মাদ্রাসাগুলো একটা সময় বিনা পয়সার চামড়া নিতেও আর মাঠে নামবে না।’

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবিউল আলম বলেন, ‘সারা দেশে অন্তত ৫০ শতাংশ ছাগলের চামড়া বিক্রি করা যায়নি। ওই চামড়া নষ্ট হয়েছে। একইভাবে গরুর চামড়ার দামও শোচনীয়। এর জন্য আড়তদার, ট্যানারি মালিক ও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারকদের যৌথ শক্তিশালী সিন্ডিকেটই দায়ী। এদের অপতৎপরতার কারণেই প্রতিবছর কোরবানি এলে চামড়ার দাম নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।’

তবে বলতেই হবে সরকার এবার চামড়ার বর্গফুট প্রতি দাম ৫ টাকা বাড়ানোয় কোথাও কোথাও কিছু চামড়া গতবারের তুলনায় বেশি দাম পেয়েছে। কিন্তু মূল্য নির্ধারণেও শুভঙ্করের ফাঁকি থাকায় বেশিরভাগ জায়গাতেই মিলেনি ন্যায্যদাম।

এর ব্যাখা দিয়ে রবিউল বলেন, ‘লবণজাত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ বা দায়িত্ব নেয়া হয়নি। উচিত ছিল সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দরও ঠিক করে দেয়ার। সেটি না হয়নি বলেই এবার দাম বাড়িয়েও কোনো সুফল আসেনি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আড়তদারদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান নিউজবাংলাকে জানান, ‘সিলেট ও চট্টগ্রামসহ কিছু জায়গায় চামড়ার দরটা কম ছিল। ওইসব জায়গায় দর পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বাকি জায়গায় চামড়ার দাম খারাপ হয়নি। বরং গতবারের তুলনায় ১০০-২০০ টাকা বেশি পেয়েছে।’

তবে সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করতে রাজি হননি।

চামড়ার দাম কমাতে আড়তদাররা ‘একজোট’
চামড়া কেনার পর শ্রমিক দিয়ে সেগুলোতে গুদামে পাঠাচ্ছেন আড়তদাররা

দর পেলে চামড়া কেন বিক্রি হবে না বা আড়তদারদের চামড়া না কেনার কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে আফতাব খান বলেন, ‘ছাগলের চামড়ার দাম বৈশ্বিকভাবেই কম। দেশেও কম হওয়ায় এর সংগ্রহ, ক্রয় এবং সংরক্ষণ খুবই ব্যয়বহুল। এসব কারণে ছাগলের চামড়ায় কিছু নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক।

‘আর গরুর চামড়া যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আনতে আনতেই লাইফটাইম ফুরিয়ে গেছে। এতে ওইসব চামড়া গুণগতমান হারিয়ে যায়। ওই চামড়া কিনে কোনো লাভ হবে না। বরং প্রক্রিয়াজাতে বাড়তি ব্যয় হবে। এর ফলে কিছু গরুর চামড়াও নষ্ট হতে পারে। কিন্তু এর পরিমাণ খুবই সামান্য এবং তা শতাংশে উল্লেখ করার মতো নয়।’

আফতাব খানের সমিতির তথ্যমতে, এবার কোরবানিতে সব মিলিয়ে ৭০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ সম্ভব হবে। এর মধ্যে ৪৪ লাখ পিস গরুর চামড়া। বাকি ২৬ লাখ চামড়ার যোগান মিলবে ছাগল-ভেড়া, খাসি থেকে।

আরও পড়ুন:
দুই লাখের গরুর চামড়া ৫০০ টাকা
চামড়ার ‘ন্যায্যমূল্য’ পাচ্ছেন না বিক্রেতা
এবারও চামড়া কিনে লোকসানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
সিলেট সিটি করপোরেশনের টাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত
দাম না পেয়ে হতাশ মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Trying to occupy the center will be stopped CEC

কেন্দ্র দখলের চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে: সিইসি

কেন্দ্র দখলের চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে: সিইসি

আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

রাজশাহীর আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আজ শনিবার তিনি বলেন ‘যারা ভোটকেন্দ্র দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সেই স্বপ্ন এবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত’।

নির্বাচনী প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, পবিত্র রমজানের আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন,‘ নির্বাচন বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের বিষয়ে আমরা কিছু বলছি না। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করছি’।

নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিইসি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমানে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রচলিত আইন মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আইনের পরিবর্তন হলে কমিশন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে। এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত প্রশিক্ষিত কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ জন। এদের অনেকেরই নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে আগের নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তাদের এবারের নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।

‘নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘কোনো হস্তক্ষেপ করা হলে, আমি পদত্যাগ করব, দায়িত্বে থাকব না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সস্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার ওপর।

রাজশাহী অঞ্চলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সিইসি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে সভা শেষ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
All preparations are being taken for the next national election Home Advisor

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ শনিবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র হিমাগার, কেন্দ্রীয় বীজ পরীক্ষাগার ও সবজি বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া দরকার, আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি নিতে কোন অসুবিধা হবে না। এখন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম সবাই নির্বাচনমুখী। এটি বাধাগ্রস্ত করতে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।

বাজারে সবজির দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। আবার বাজারে আলুর দাম কিন্তু কম। আমাদের দেশে গবেষণার কাজ আরো জোরালো হলে বিদেশ থেকে বীজ আলু আর আনতে হবে না, তখন আলুর উৎপাদন খরচ আরো কমে আসবে।

তিনি বলেন, সরকারি মাধ্যমে আলু ক্রয় করা হবে, দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যেন কৃষক ন্যায্যমূল্য পান।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, এটি চলমান প্রক্রিয়া।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগের তুলনায় এখন সীমান্ত অনেক বেশি সুরক্ষিত আছে এবং সীমান্ত এলাকায় যারা বসবাস করেন তারাও অনেক সচেতন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে মানুষ মত প্রকাশ করতে পারতো না কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেক কিছুই লিখতে পারছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Overnight discrimination will not end Mirza Fakhrul

রাতারাতি বৈষম্যের অবসান হবে না: মির্জা ফখরুল

রাতারাতি বৈষম্যের অবসান হবে না: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠোমোতে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য চলে আসছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সেখানে রাতারাতি এগুলোর সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এই রাষ্ট্রকাঠামো বদলাতে হবে।

তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারর চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা এখনো আসতে পরিনি। এমনকি নির্বাচন নিয়েও একই বিষয় আছে, যদিও জাতি এখন সেই দিকেই মনোনিবেশ করেছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম ও লড়াই করেছি, এটা মুহূর্তের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে— এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটুকু সু-রক্ষিত’ শিরোনামের এই সেমিনারের আয়োজন করে অর্পণ আলোক সংঘ নামের একটি সংগঠন।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু ও পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ। সেমিনারটির সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখন রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের কথা বলছি, একইসঙ্গে অর্থনৈতিক কাঠামোর কথাও বলছি। কিন্তু দীর্ঘদিনের সব অনাচার, অবিচার, নৈরাজ্য, দুর্নীতি ও স্বৈরাচার— সবকিছু কাটিয়ে একদিনে সুন্দর করে একটি রাষ্ট্র আমরা তৈরি করব, এটা মনে করার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। যে ৫২ বছরে একটা নিয়মিত ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিধান আমরা তৈরি করতে পারিনি, সেখানে আজ হঠাৎ করে মুহূর্তের মধ্যে আমরা সবকিছু ঠিক করতে পারব না। আমরা যারা রাজনীতি করছি, তারা চেষ্টা করছি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিংবা জোড়াতালি দিয়ে কোনোকিছু করা যায় না। এর জন্য সুনির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা ও লক্ষ্য প্রয়োজন। পাশাপাশি, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আন্তরিকতা থাকতে হবে।’

এ সময়ে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এই কাঠামো বদলাতে হবে। কারণ, বেগুন গাছ লাগিয়ে আমরা কমলালেবু আশা করতে পারি না। কাজেই আমাদের সামনে একটা সুযোগ এসেছে, সেটা যদি কাজে লাগাতে পারি, বৈষম্যহীন একটা সমাজব্যবস্থার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারি, তাহলে হয়তো-বা অভ্যুত্থানের কিছুটা মূল্য আমরা পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবকিছু নির্ধারণ করে আমলারা। সেখান থেকে সবকিছু নেমে আসে। একজন স্কুলশিক্ষককেও নিজের সমস্যা সমাধান করতে ঢাকায় আসতে হয়, যেটার কোনো প্রয়োজন নেই। এর জন্য তো জেলা পরিষদই যথেষ্ট হওয়ার কথা।’

‘কিন্তু ওই যে সিস্টেম। কারণ, তারা যদি ঢাকায় না আসেন, তাহলে ঘুষ আসবে কোথা থেকে? এখন স্কুলশিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক— সব নিয়োগ হয় ঘুষের বিনিময়ে। যেই রাষ্ট্রকাঠামোতে এমন বৈষম্য চলতে থাকে, সেখানে রাতারাতি কিছু করে ফেলতে পারব না।’

অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মেহনিত মানুষের আন্দোলনের দাবি-দাওয়ার মঞ্চ হিসেবে আমরা নিজেদের গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। ২০১৫ সালে গণসংহতি আন্দোলনকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করি। এ সময়ে বাংলাদেশের মানুষের লড়াই-সংগ্রামে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’

‘রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ রাখা; আমাদের লক্ষ্যও তাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে শ্রেণিগত পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে বড় পার্থক্য ধনসম্পদে। গত ৫৪ বছরে যে দলগুলো ক্ষমতায় ছিল, তারা যে নীতি তৈরি করেছে, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ খেটে খাওয়া মানুষ, নিপীড়িত জনগোষ্ঠী কিংবা লিঙ্গীয় পরিচয়ের মানুষ, তাদের জন্য সাম্য তো দূরের কথা, ন্যূনতম ভারসাম্যও তৈরি করতে পারেনি।’

‘এতে লুটপাট-নির্ভর একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ধরে নেওয়া হয়, ক্ষমতা দিয়ে টাকা-পয়সা বানাবে।’

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে ব্যাংক লুট হয়ে সাফা হয়ে গেছে। কিন্তু গত পরশুদিন দেখলাম, ৯টি নন-ব্যাংকি ফিন্যানশিয়াল ইনস্টিটিউশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা বিশাল ব্যাপার। কিন্তু হাসিনা চলে যাওয়ার পরও লুটপাট বন্ধ হয়ে যায়নি। গেল ১২ মাসে প্রায় একইভাবে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট হয়েছে। এটি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয়, যেগুলো হাসিনার আমলে বেশি হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এজন্য কোনো জবাবদিহিতা নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ব্যাংক থেকে একটি টাকা লুট হলেও বাংলাদেশের ব্যাংকের নজরদারি থাকে। লুট হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক জানবে না— এটা হয় না। হাসিনার আমলে যে লুট হয়েছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংক জানত। কিন্তু সেখানে যে কর্মকর্তাদের এই নজরদারি করার কথা ছিল, তাদের নামে কোনো নিউজ হয়নি, মামলা হয়নি। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The body of journalist Biburjan is going to Siddheshwaris house

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মরদেহ যাচ্ছে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায়

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, মরদেহ যাচ্ছে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায়

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সেটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভাই চিরঞ্জন সরকার তা তা গ্রহণ করেছেন।

এরপর ফ্রিজিং গাড়িতে করে এখন তার মরদেহটি ঢাকার বাসভবনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে গাড়িটি রওনা হয়।

সাংবাদিক চিররঞ্জন সরকার জানান, ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সটি তার মরদেহ নিয়ে প্রথমে যাবে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবনে। পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শেষ শ্রদ্ধা শেষে তাকে নেওয়া হবে সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালী মন্দিরে। সেইখানেই হবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান।

আজ মুন্সীগঞ্জের সাংবাদিকরা তাকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এই সময় কান্নার ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ফরেনসিক বিভাগের রিপোর্টের পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।

বৃহস্পতিবার অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। পরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরবলাকি-সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে শুক্রবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ৫ দশক ধরে সাংবাদিকতা করছিলেন তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The import of raw pepper in the port of Hilli has decreased prices

হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে, কমেছে দাম

হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানি বেড়েছে, কমেছে দাম

টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মরিচ আমদানির করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে গত দুইদিনে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচে দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

আজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, গত কয়েক দিনে এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ১৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ দেশে প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কয়েক ট্রাক এই বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকবে।

হিলি বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, দেশে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার এক দিনে রেকর্ড পরিমাণ ২৯টি ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের বেশ কয়েকটি ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, টানা বৃষ্টি আর বন্যার কারণে কৃষকের মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মরিচের সঙ্কট দেখা দেয়। তাই চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।

হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহেও মরিচের কেজি পাইকারি বাজারে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এসব মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আমদানিকারকরা ভারত থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছেন ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে। যা দেশে ৯৭ থেকে ১০৮ টাকা। এর উপর কেজি প্রতি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ৩৭ টাকা। শুল্ক কমানো গেলে আমদানি ব্যয়ও কমে আসবে। তখন বাজারেও দাম কমবে। ক্রেতারা কম মূল্যে কাঁচা মরিচ কিনতে পারবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এএসএম আকরম হোসেন সম্রাট জানায়, গত এক সপ্তাহের এই বন্দর দিয়ে ৭২ ট্রাকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে ৬১৮ টন। শনিবার সকাল থেকেই কাঁচা মরিচের ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছেন। কাস্টমস বিভাগ তাৎক্ষণিক ট্রাকগুলো খালাসের ব্যবস্থা করছে। এতে প্রতিদিনের আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ দ্রুত দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
If people want we will form the government Dr Taher

যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব: ডা. তাহের

যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব: ডা. তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সাধারণ মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমি নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। যদি জনগণ চায় তবে আমরাই সরকার গঠন করব।

তিনি বলেছেন, ইসলামী সমমনাদের এক মঞ্চে আনার বিষয়ে সবাই একমত। বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় পিআর বুঝেন না, কিন্তু সাধারণ মানুষ বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝে। কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন ও বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই সুখবর আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী কুমিল্লা ফানটাউনে জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালুর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ/না ভোটের মতো পদ্ধতিও গ্রহণ করা হতে পারে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- কুমিল্লা মহানগরীর আমির ও কুমিল্লা ৬ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।

কুমিল্লা মহানগরীর দুরবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ড. তাহের বলেন, আমি কান্দিরপাড় থেকে ডুলিপাড়া ফানটাউনে আসতে ৪৫ মিনিট সময় নিয়েছি। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ৫ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালুর বিষয়ে জামায়াত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। প্রয়োজনে বিকল্প ফরম্যাটেও কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো দল যদি মনে করে আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ী হবে তাহলে বোঝা যায় জেতার জন্য তারা কোনো একটা মেকানিজম করছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে সংকট থেকে বের করে আনতে পারবে। জনগণ যাকে চাইবে তারাই জয়ী হবে।

মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগরীর নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, যুব বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন মোল্লা, মোতাহার আলী দিলাল, ভিপি মুজিবুর রহমান, কুসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক এ জি এস শহিদুল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ প্রমুখ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
New minus to formula enables the country to enable the country Mirza Abbas

দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস

দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের পলায়নের পর বিএনপিকেও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে রাজনীতি শূন্য করতে দেশি-বিদেশি মহলের প্ররোচনায় আবারও একটি নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয় হয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্বাস বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, খাগড়াছড়ির সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে কেন্দ্র করে ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ সাধনে সচেষ্ট মহলগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন অজুহাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার মাধ্যমে এমন চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ঘোষিত ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না হলে দেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে বলেও সতর্ক করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন নতুন এক মাইনাস-টু ফর্মুলা চালু হয়েছে, যা ১/১১ সময়কার মাইনাস-টু ফর্মুলার মতোই। আগেরবার সেটি এসেছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে। আর এবার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ভিন্ন আকারে একই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

তিনি বলেন, এসব অপচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠী সমন্বিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিএনপিকে ‘খারাপ’ বা ‘অবিশ্বস্ত’ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এখনো প্রশাসনের ভেতরের আওয়ামীপন্থি ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক ও আদর্শিক গোষ্ঠীর একাংশ বিএনপিকে দুর্বল করতে সক্রিয় রয়েছে। ‘তারা মনে করছে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় বিএনপিকে সরিয়ে দিতে পারলেই দেশের শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে চলে যাবে।’

আব্বাস বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়, তারাই নিজেদের স্বার্থে নতুন করে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ১/১১–তে এটি এক রূপে এসেছিল, তখন একটি সেনাসমর্থিত সরকার ছিল। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকায় ভিন্ন ধরনের ‘মাইনাস-বিএনপি ফর্মুলা’ চালানো হচ্ছে।

কারা এর পেছনে রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্বাস বলেন, ‘শয়তান নানা ছদ্মবেশে আসে। একই দেশি-বিদেশি মাস্টারমাইন্ডরা নতুনভাবে মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।’

তার মতে, এই প্রচেষ্ঠার উদ্দেশ্য একমাত্র বিএনপিকে দুর্বল বা সরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনীতি নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করা। এই পরিকল্পনায় পিছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়।

আব্বাস দাবি করেন, অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক আমলা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ তারা মনে করছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিলে তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল হবে। ‘প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব থেকে তারা বিএনপিকে বাদ দিতে চায়।’

তিনি বলেন, এমনকি কিছু রাজনৈতিক দলও এই সুরে সুর মিলিয়ে বলছে, বিএনপি এখন সেই একই পথে এগোচ্ছে, যা একসময় আওয়ামী লীগ অনুসরণ করেছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ইসলামী দলসহ কয়েকটি রাজনৈতিক শক্তি নানা ইস্যু উত্থাপন করছে, যাতে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়।

‘একটি দল তো বলছে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেবে না। তারা ফ্যাসিবাদীদের মতো আচরণ করছে’ যোগ করেন আব্বাস।

এই পরিস্থিতিতে আব্বাস দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি, নিজ দেশের মাটি অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়।’ তার মতে, নতুন মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা এবং সেন্ট মার্টিন, সাজেক ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনাও আসলে একই সূত্রে গাঁথা, ভিন্ন কোনো বিষয় নয়।

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হবে। বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তা থাকায় কিছু মহল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ‘কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে, মিথ্যা প্রচারণায় কেউ দলের জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করতে পারবে না,’ বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের সরাতে হবে। ‘অন্যথায়, সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হবে।’ বিএনপি সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং ফেব্রুয়ারিতে ভোটের প্রত্যাশায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্ভাব্য জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আব্বাসের ধারণা, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, যা সফল হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের ফেব্রুয়ারিতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আব্বাস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না—এ বিষয়ে আব্বাস বলেন, এটি তার ইচ্ছা ও শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ‘খালেদা জিয়া নিজেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়ার কোনো ভূমিকা থাকবে কি না—এমন প্রশ্নে আব্বাস বলেন, সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

ইসলামী দলগুলোর জোট গঠনের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এতে চিন্তিত নয়। ‘বাংলাদেশের জনগণ উদারপন্থি মুসলিম, তারা সাম্প্রদায়িকতাকে নয়, গণতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থি দলকেই পছন্দ করে।’

মন্তব্য

p
উপরে