কোরবানির পশুর চামড়া মানেই যেন সস্তায় কেনা। মাঠ পর্যায়ের সংগ্রহ দাম কম হবে, আড়তে তা কম আরও।
গত কয়েক বছর ধরে দেশে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয়ে এই অনিয়মটাই রীতিমত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও মাঠপর্যায় থেকে ওই চামড়ার সংগ্রহ হয়েছে ভালো। কিন্তু আড়তে বিক্রি করতে গিয়ে মেলেনি ন্যায্য দাম।
মৌসুমী ব্যবসায়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দাম ফেলতে পোস্তা, অমিনবাজার, সাভারের হেমায়েতপুর, নাটোর, দিনাজপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় চামড়ার আড়তদারদের এক একজোট হওয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। কম দামে চামড়া কেনায় তাদের সমানতালে চলেছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
উপায় না দেখে কম দামেই তারা বাধ্য হয়েছে চামড়া ছাড়তে।
আড়তদারদের চামড়া কেনায় অনীহার কারণে সারাদেশে ৫০ শতাংশ খাসির চামড়া নষ্ট হয়েছে। কোথাও কোথাও গরুর চামড়াও বিক্রি করা যায়নি। শেষে ওই চামড়ার ঠিকানা হয়েছে রাস্তায় বা সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে।
সরকার জাতীয় সম্পদ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত বছরের চেয়ে বর্গফুট প্রতি দাম গরুতে ৫ টাকা ও খাসিতে ২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে দেয়।
‘আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা এই দাম বিবেচনায় রেখে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করবেন’- মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা অনুষ্ঠানে চামড়াসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এভাবেই আকুতি জানিয়েছিলেন।
কিন্তু কথা রাখেনি চামড়া ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর অস্থায়ী হাট ছাড়া বাড়তি দাম মেলেনি দেশের বেশিরভাগ জায়গায়।
বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এই চামড়ার ৬০ ভাগের বেশি সরবরাহ মেলে কোরবানির মৌসুমে। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া।
চট্টগ্রামে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে। সিলেটেও একই অবস্থা। কুমিল্লার বেশ কিছু গ্রামের কোরবানিদাতা এক লাখের বেশি দামে কিনেছিলেন কোরবানির পশু। কিন্তু বুধবার ঈদের দিন ওইসব পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়।
নাটোর শহরের বড়হরিশপুর বাইপাস এলাকায় আড়তদাররা গরুর চামড়া দাম দিয়েছেন ২০০ টাকা ও খাসির চামড়ায় ১০ টাকা। খুলনায় গরুর চামড়ার মান ও আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
বরিশালে গরুর চামড়ার সর্বোচ্চ দর মিলেছে ৪০০ টাকা। আর ছাগলের চামড়া তো বিনা মূল্যেও কেউ নিচ্ছে না। গাজীপুরে চামড়ার দাম না পেয়ে অনেকে ফেলেছেন রাস্তায়।
বিক্রি করতে না পারায় দিনাজপুরে রামনগর এলাকায় চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের অফিসের সামনে রাস্তায় কয়েক হাজার ছাগলের চামড়া ফেলা হয়েছে রাস্তায়।
বৃহস্পতিবার বগুড়ায়ও পড়েছিল ছাগলের ১০ হাজার চামড়া। বিক্রি করতে না পেরে ওই চামড়াও ফেলে রেখে গেছেন রাস্তায়। পরে ওইসব চামড়া সিটি করপোরেশনের লোকজন তুলে নিয়ে যায়।
আড়তদারদের বিরুদ্ধে এবার সারা দেশেই চামড়ার দাম কৌশলে ফেলে দেয়া এবং আড়তে চামড়া নিয়ে আসা সত্ত্বেও না কেনার মতো অসংখ্য অভিযোগ ওঠেছে। এই নিয়ে সারা দেশেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে চাপা অসন্তোষ।
নাটোরের বড় হরিশপুর এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী ওহায়েদ মোল্লা জানান, সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তার মতো অনেকেই।
রাজধানীর শান্তিনগর উম্মে হাবীবা হাফেজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ১২০ পিস চামড়া নিয়ে আসে পোস্তা এলাকায়। মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুল আজিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭৪টিই ছিল বড় গরুর চামড়া। শুনেছি বড় গরুর চামড়া কোথাও কোথাও ৭০০-৮০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু পোস্তায় চামড়া এনে আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে গড়ে ৬০০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির বাকি ৪৬ পিস চামড়া গড়ে বিক্রি করতে ৪০০ টাকা হারে।‘
চামড়া পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ফতেপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী নিউজবাংলাকে জানান, ‘দেশে তো চামড়ার দাম নাই। গত বছরও পাই নাই। এ বছরও না। আমরা মোট ১৩শ’ চামড়া সংগ্রহ করেছি। ওই চামড়াগুলো ঈদের দিন তিন দফায় বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি পিস ২৩০, ২০০ ও ১৭০ টাকা হারে পেয়েছি।
‘বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে আরও নতুন সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করেছি, যেগুলোর দাম দেয়া হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা করে।’
চামড়ার দাম নিয়ে তাদের এতটাই বেদনা যে এই নিয়ে তিনি কাউকে বলতেও চান না, দোষারোপও করতে চান না। শুধু বলেন, ‘এতে গরিবের হকই নষ্ট করা হচ্ছে।’
যশোর মনিরামপুর উপজেলার জামিয়ো ইমদাদিয়া বালক-বালিকা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রশিদ আহমেদ বলেন, ‘মাঠ পর্যায় থেকে চামড়া সংগ্রহের বিষয়টি এখন মূল্য বিবেচনায় নিয়ম রক্ষার দায়ে পরিণত হয়েছে। না গেলে বলবে মাদ্রাসার কি টাকার দরকার নেই? শিক্ষার্থীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহে চামড়া ও এর থেকে পাওয়া টাকা তো দরকারই। না হলে চলবে কী করে?
‘কিন্তু এর থেকে যে দাম পাওয়া যায়, যে পরিবহন খরচ আছে এবং এর সঙ্গে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের মূল্য ধরলে বিনা পয়সার চামড়াতেও লাভ-লোকসানের প্রশ্নটি সামনে চলে আসে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে মাদ্রাসাগুলো একটা সময় বিনা পয়সার চামড়া নিতেও আর মাঠে নামবে না।’
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবিউল আলম বলেন, ‘সারা দেশে অন্তত ৫০ শতাংশ ছাগলের চামড়া বিক্রি করা যায়নি। ওই চামড়া নষ্ট হয়েছে। একইভাবে গরুর চামড়ার দামও শোচনীয়। এর জন্য আড়তদার, ট্যানারি মালিক ও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারকদের যৌথ শক্তিশালী সিন্ডিকেটই দায়ী। এদের অপতৎপরতার কারণেই প্রতিবছর কোরবানি এলে চামড়ার দাম নিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।’
তবে বলতেই হবে সরকার এবার চামড়ার বর্গফুট প্রতি দাম ৫ টাকা বাড়ানোয় কোথাও কোথাও কিছু চামড়া গতবারের তুলনায় বেশি দাম পেয়েছে। কিন্তু মূল্য নির্ধারণেও শুভঙ্করের ফাঁকি থাকায় বেশিরভাগ জায়গাতেই মিলেনি ন্যায্যদাম।
এর ব্যাখা দিয়ে রবিউল বলেন, ‘লবণজাত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ বা দায়িত্ব নেয়া হয়নি। উচিত ছিল সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দরও ঠিক করে দেয়ার। সেটি না হয়নি বলেই এবার দাম বাড়িয়েও কোনো সুফল আসেনি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আড়তদারদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান নিউজবাংলাকে জানান, ‘সিলেট ও চট্টগ্রামসহ কিছু জায়গায় চামড়ার দরটা কম ছিল। ওইসব জায়গায় দর পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বাকি জায়গায় চামড়ার দাম খারাপ হয়নি। বরং গতবারের তুলনায় ১০০-২০০ টাকা বেশি পেয়েছে।’
তবে সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করতে রাজি হননি।
দর পেলে চামড়া কেন বিক্রি হবে না বা আড়তদারদের চামড়া না কেনার কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে আফতাব খান বলেন, ‘ছাগলের চামড়ার দাম বৈশ্বিকভাবেই কম। দেশেও কম হওয়ায় এর সংগ্রহ, ক্রয় এবং সংরক্ষণ খুবই ব্যয়বহুল। এসব কারণে ছাগলের চামড়ায় কিছু নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক।
‘আর গরুর চামড়া যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আনতে আনতেই লাইফটাইম ফুরিয়ে গেছে। এতে ওইসব চামড়া গুণগতমান হারিয়ে যায়। ওই চামড়া কিনে কোনো লাভ হবে না। বরং প্রক্রিয়াজাতে বাড়তি ব্যয় হবে। এর ফলে কিছু গরুর চামড়াও নষ্ট হতে পারে। কিন্তু এর পরিমাণ খুবই সামান্য এবং তা শতাংশে উল্লেখ করার মতো নয়।’
আফতাব খানের সমিতির তথ্যমতে, এবার কোরবানিতে সব মিলিয়ে ৭০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ সম্ভব হবে। এর মধ্যে ৪৪ লাখ পিস গরুর চামড়া। বাকি ২৬ লাখ চামড়ার যোগান মিলবে ছাগল-ভেড়া, খাসি থেকে।
আরও পড়ুন:অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি অনুমোদন ও গ্রহণ করে ২০১৮ সালের আপিল বিভাগের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে যে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ, সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এই আদেশের ফলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টে যে রিট শুনানি চলছে, তা নিষ্পত্তি করতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে, গত ২৬ জুন নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির বহুল আলোচিত গেজেট গ্রহণ করে ২০১৮ সালে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে সেদিন রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রিভিউ শুনানির পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আজ শুনানিকালে বলেছি যে বিচার বিভাগকে ‘অ্যাসল্ট করে’ এই শৃঙ্খলাবিধি গ্রহণ করা হয়েছিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। কারণ, তার আগে নয়জন বিচারপতি এ বিষয়ে ভিন্ন আদেশ দিয়েছিলেন। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তৎকালীন সরকার বাধ্য করেছিল নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের গেজেট-সংক্রান্ত আদেশ দিতে। এটি দ্রুত রিভিউ করা প্রয়োজন বলেই আদালতের অনুমতি নিয়ে রিভিউটি করা হয়।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে ছিল
১. সংবিধানের ১৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সব বিভাগের কাজ সার্ভিস অব রিপাবলিকের ভেতরে পড়বে। তবে বিচার বিভাগের কাজ ও অবকাঠামোর সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সিভিল সার্ভিসের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। বিচার বিভাগকে অন্যান্য সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে একত্রিত করা যাবে না।
২. বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা এবং নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারিক কাজ করতে পারবেন না।
৩. সিভিল সার্ভিস অর্ডার ১৯৮০ অনুযায়ী সব ম্যাজিস্ট্রেটকে পিএসসির অধীনে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়। একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া সংবিধান পরিপন্থি।
৪. এই রায় পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা এবং কমিশন গঠন করতে হবে।
৫. সংবিধানের ১১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়ারির সবার চাকরির বিধিমালা (নিয়োগ, পদায়ন, বদলি পদোন্নতি ও ছুটিসহ অন্যান্য) প্রণয়ন করবেন।
৬. রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশন বিধিমালা প্রণয়ন করবে।
৭. সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে।
৮. বিচার বিভাগ জাতীয় সংসদ বা নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকবে না এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব বিচারক স্বাধীনভাবে কাজ করবেন।
৯. জুডিশিয়ারির (নিম্ন আদালত) বার্ষিক বাজেট প্রণয়নের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো হাত থাকবে না। এই বাজেট সুপ্রিম কোর্ট প্রণয়ন এবং বরাদ্দ করবে।
১০. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা প্রশাসনিক আদালতের আওতাভুক্ত থাকবেন।
১১. এই রায় অনুযায়ী বিচার বিভাগ পৃথককরণের জন্য সংবিধানে কোনো সংশোধন করার প্রয়োজন নেই। তবে পৃথককরণ আরও অর্থবহ করতে যদি সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তবে তা করা যাবে।
১২. জুডিশিয়াল পে-কমিশন জুডিশিয়ারির সদস্যদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত বর্তমান অবকাঠামো অনুযায়ী তার সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
২০০৫ সালে এই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রাজধানীর উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে ‘হোটেল মিলিনা’ নামের একটি আবাসিক হোটেল দখলের চেষ্টা করা হয়। এমন অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
রোববার র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার দুপুরে শফিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে হোটেল মিলিনিার মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পূর্বের ব্যবসায়িক সূত্র ধরে ‘মব’ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। সেসময় ১০টি মোটরসাইকেলে করে কমপক্ষে ২৪ জন জোরপূর্বক হোটেলটি দখল করতে যায়।
এ সময় দূর থেকে ওই ঘটনার কিছু ছবি ধারণ করেন র্যাব-১ এর এক গোয়েন্দা সদস্য। ছবি ধারণের সময় ‘মব’ সৃষ্টিকারীরা র্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে এবং ছবি তুলতে বাধা দেয়। এ ঘটনার পর র্যাব-১ এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া এবং ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে মোট ৯ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৮), মো. শফিক মোল্লা (৩০), মো. আরিফুল ইসলাম (৩০), মো. তন্ময় হোসেন শাওন (২৭), মো. রবিউল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন আশিক (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম সাগর (২৭), মো. জালাল খান (৩০) ও মো. আমির (২১)।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (২৮ জুন) ভোরে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের বেপারীসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের একটি নির্জন জঙ্গলে মাটির গর্তে ১৫ থেকে ২০টি শিয়ালের একটি বাসা রয়েছে। সেখান থেকে শনিবার ভোরের দিকে দুটি শিয়াল বেরিয়ে এসে পাশের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে কামড়াতে শুরু করে। এতে ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর ধারণা, শিয়াল দুটি ক্ষুধার্ত ছিল বলেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালাম বেপারী ও কবির হোসেন মোল্লা ইউএনবিকে জানান, ভোরে লোকজন ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসার পর, রাস্তায় থাকা দুটি শিয়াল একত্র হয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই হঠাৎ করে কামড়ে দিয়েছে। অনেকে হাতে পাওয়া লাঠিসোটা দিয়ে প্রতিহত করে রক্ষা পান।
কালাম বেপারীর দেওয়া তথ্যমতে আহতদের মধ্যে আছেন— বেপারী বাড়ির মৃত গফুর বেপারীর ছেলে বারেক বেপারী (৬০), মহসিনের ছেলে রনি (২০), কালাম বেপারীর ছেলে জসিম বেপারী (৩০), মৃত শাহালমের ছেলে রেহান (২০), রাজ্জাক বেপারীর ছেলে হাছান বেপারী (১৫), পণ্ডিত বাড়ির মিজির ছেলে রুবেল (৪০), মৃত লতিফ বেপারীর ছেলে আবু তাহের (৪০), আবু মিয়ার ছেলে লতিফ, রুহুল আমিনের ছেলে রুবেলসহ আরও কয়েকজন।
আরেক ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘শিয়ালের কামড়ে বারেক বেপারীর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। বন্যপ্রাণী আইন রক্ষা করে কীভাবে শিয়াল প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে আমরা গ্রামবাসী মিলে চিন্তা করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিয়াল ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া আমাদের কাজ। কিন্তু জনবল না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা শিয়াল ধরে দিলে আমরা বনে অবমুক্ত করে দেব।’
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তিনজন মাদকসেবীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন। অভিযানে তাকে সহযোগিতা করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান। তিনি জানান, মাদক সেবনের অপরাধে লস্করপুর এলাকার মাছাদ আহম্মদ (৩০), মাগুরা এলাকার জুলহাস (৩৫) ও জয়পাশা এলাকার শিমুল হোসেন আক্তারকে (৩৫) বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। পরে মাছাদ ও জুলহাসকে তিনদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং শিমুলকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সিগন্যাল না মেনে অটোরিকশাটি রেললাইনে উঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে ফেনী শহরের গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের হাফেজুল ইসলাম (৪০) ও তার মা ফাতেমাতুজ্জোহরা (৬৩)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী রেলস্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে উঠে পড়ে। এ সময় ট্রেনটি এসে অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাদের ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাফেজুল ইসলামকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে নেওয়ার পথে ফাতেমাতুজ্জোহরাও মারা যান বলে জানান তাদের আত্মীয় মাসুম বিল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শী দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশাটি হাসপাতাল থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে উঠলে ট্রেন এসে ধাক্কা দেয়।’
তিনি আরও জানান, অটোরিকশায় চালকসহ পাঁচজন ছিলেন। দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনজন নেমে পড়ায় তারা রক্ষা পান।
ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মো. হারুন জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনীর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগমুহূর্তে, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার পরও রেল চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
এ বিষয়ে ফেনী রেলস্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
এনবিআর সংস্কার ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের 'শাটডাউন' কর্মসূচির কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গতকালের আন্দোলনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে কর্মকর্তারা রাজধানীতে 'মার্চ টু এনববিআর' কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। তবে ১২টি ব্যবসায়ী সংগঠন চেয়ারম্যানের অপসারণের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস ও শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগে নিবন্ধন হওয়া জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা চললেও নতুন জাহাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
মোংলা, সোনামসজিদ, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা বন্দরেও একই অবস্থা। তবে আখাউড়া বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গেছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ জুন) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজর আলী (৩৮) কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পুর্বপাড়ার বাসিন্দা।
ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান তাদের আজ সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এই ধর্ষণকাণ্ড ঘটে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার জন্ম দেয়। নেটিজেনরা ব্যাপক সমালোচনা করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এরপর ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের দায়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। পরে আজ ভোরে সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হন ফজর আলী।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ফজর আলীকে প্রধান আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন করেন। তবে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে আরও চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক হন ফজর আলী। পরে তাকে মারধরও করে বিক্ষুব্ধরা। তবে আহত অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই উপস্থিত কয়েকজন ধর্ষণের শিকার নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। সেই সময়ই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মূল আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভুক্তভোগী নারী ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
মন্তব্য