× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব
google_news print-icon

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

হোম-টেক্সটাইল-রপ্তানিতে-নীরব-বিপ্লব
হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করে বিদায়ি অর্থবছরে ১১৩ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার (১.১৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের চেয়ে ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে কখনোই এ খাতের রপ্তানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি। এটি এখন তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত।

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বলতেই সবার আগে চলে আসে তৈরি পোশাক শিল্প। কখনো কখনো পাট, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়। সরকারের কাছ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে দেন-দরবারও করেন এসব খাতের উদ্যোক্তারা।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির মহাসংকটের সময় ১০ হাজার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা এনেছে যে খাত, সেটি থেকে গেছে অগোচরে। সেই খাতটি হচ্ছে হোম টেক্সটাইল। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে খাতটি।

করোনাকালে চীন ও ভারতের বাজার বাংলাদেশে চলে আসায় এই ‘নীরব বিপ্লব’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ।

পোশাক খাতের মতো সরকারের সুনজর পেলে এই খাত থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা ঘেঁটে দেখা যায়, হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করে এই অর্থবছরে ১১৩ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার (১.১৩ বিলিলয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের চেয়ে ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে কখনোই এ খাতের রপ্তানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি।

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা) এই অর্থের পরিমাণ ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ি অর্থবছরে ১১৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার রপ্তানি আয় করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য। বরাবরের মতোই ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে প্রথম স্থানে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত।

এতদিন পাট, চামড়া ও হিমায়িত মাছ রপ্তানি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকত। এবার হোম টেক্সটাইল পাট খাতের প্রায় সমান ডলার দেশে এনে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

করোনায় কম-বেশি প্রায় সব খাতের অবস্থা নাজুক। রপ্তানি ছাড়াও স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম হোম টেক্সটাইল। অনেকটা অগোচরে থেকে দেখাচ্ছে আশার আলো।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বছরে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি আয়ের আরেকটি খাত যোগ হলো।

দীর্ঘদিন শীর্ষ ১০ রপ্তানি খাতের তালিকায় আছে এ খাত। বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে বাণিজ্য প্রায় নাস্তানাবুদ। এমন পরিস্থিতিতেও হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ।

রপ্তানি তালিকার সব পণ্যের মধ্যে এ হার সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি দেশের চাহিদার প্রায় পুরোটা জোগান দিচ্ছে এ খাত।

উদ্যোক্তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতভাগ স্থানীয়ভাবে জোগান দেওয়া সম্ভব। তারা সরকারের নীতি-সমর্থনের অভাব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ট্রেন্ড বা ফ্যাশনপ্রবাহ না বোঝা কিংবা কম বোঝাকে দায়ী করছেন।

এসব সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের আরও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বাজার গবেষণা বাড়ানোর কথাও বলেছেন তারা।

দেশে হোম টেক্সটাইল উৎপাদন করে এ রকম উল্লেখযোগ্য বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, নোমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফ্যাব্রিকস, সাদ গ্রুপ, অলটেক্স, এসিএস টেক্সটাইল, জে কে গ্রুপ, ক্লাসিক্যাল হোম, ইউনিলাইন ইত্যাদি।

হোম টেক্সটাইল আসলে কী

হোম টেক্সটাইল বলতে বোঝায় ঘরের অন্দরের শোভাবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা বস্ত্রপণ্য। এ কারণে এ ধরনের পণ্যকে হোমটেক্স বা ঘরোয়া টেক্সটাইলও বলা হয়ে থাকে।

বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কাভার, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ফ্লোর ম্যাট, কার্পেট, জিকজাক গালিচা, ফার্নিচারে ব্যবহার করা ফ্যাব্রিকস, তোশক, পাপস, খাবার টেবিলের রানার, কৃত্রিম ফুল, নকশিকাঁথা, খেলনা, কম্বলের বিকল্প কমফোর্টার, বাথরুম টাওয়েল, রান্নাঘর ও গৃহসজ্জায় ব্যবহার হয় এমন সব ধরনের পণ্য এ খাতের আওতাভুক্ত।

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

এ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল তুলা, পাট, শন, রেশম, ভেড়া-ছাগলের পশম, অন্যান্য পশম। এ ছাড়া সম্প্রতি কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহারেরও হোম টেক্সটাইল উৎপাদন হচ্ছে দেশে।

চীন ও ভারতের বাজার যেভাবে দখল করছে বাংলাদেশ

তৈরি পোশাকের মতো হোম টেক্সটাইলেরও প্রধান গন্তব্য ইউরোপ-আমেরিকা। রপ্তানিকারকরা বলছেন, এই দুই বাজারে এতদিন একচেটিয়া ব্যবসা করত ইসরায়েল, চীন ও ভারত।

ইসরায়েল মূলত খুব দামি পণ্য রপ্তানি করে। চীন ও ভারত দামি-মাঝারি দুই ধরনের পণ্যই রপ্তানি করে। আর বাংলাদেশ করে মাঝারি ও কম দামি পণ্য রপ্তানি।

অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীন ও ভারতের কম ও মাঝারি দামি পণ্যের বাজারের কিছু অংশই আসলে আমাদের এখানে এসেছে। সে কারণে হঠাৎ করে রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

‘ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ওই সব দেশে বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কাভার, টেবিল ক্লথ, পর্দাসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। তারা তো এসব পণ্য একবারের বেশি ব্যবহার করে না। সে কারণেই একটু ভালো হয়েছে আমাদের জন্য।

‘করোনার পর চীন আর এখন মাঝারি দামের পণ্য তৈরি করছে না। দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে ভারতেও উৎপাদন বন্ধ ছিল। সেই বাজারটাই আমরা এখন পাচ্ছি।’

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

বাংলাদেশের পণ্য ও অন্য দেশের পণ্যের দামের পার্থক্য কেমন জানতে চাইলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ধরেন, ইসরায়েল একটি ৪০০ ডলারের বিছানার চাদর রপ্তানি করে; চীন-ভারত করে ১০০-১২৫ ডলারের। আর আমরা করি ২৫-৩০ ডলারের।’

তিনি বলেন, হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয় বছরজুড়ে। এ ছাড়া করোনাকালে গৃহবন্দি মানুষ হোম টেক্সটাইলের পণ্য তুলনামূলক বেশি ব্যবহার করেছেন। এতে চাহিদা বেড়েছে।

বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বাজারও

রপ্তানি বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারও বাড়ছে। বিশেষ করে আবাসন ব্যবসার উন্নয়নের সঙ্গে হোম টেক্সটাইল খাতেও নতুন করে চাহিদা তৈরি হয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। একটি ফ্ল্যাটে দরজা-জানালার পর্দা, একাধিক বিছানার চাদর, কিচেন আইটেম, ডাইনিং আইটেমসহ বিভিন্ন রকমের হোম টেক্সটাইল পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়েছে। এতে হোম টেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার অনেক বড় আকার নিয়েছে।

হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, এ বাজার আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকার। দেশের ২৪-২৫টি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য উৎপাদন করে থাকে।

প্রধান বাজার বড় ব্র্যান্ড

বৈশ্বিক হোম টেক্সটাইলের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা। মোটের ৬০ শতাংশ ব্যবহার হয় দুই মহাদেশের দেশগুলোতে।

বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইলের ৮০ শতাংশ যায় এ দুই বাজারে। বিশ্বখ্যাত ক্যারফোর, ওয়ালমার্ট, আইকিয়া, আলদি, এইচঅ্যান্ডএম, মরিস ফিলিপস, হ্যামার মতো বড় ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশের হোম টেক্সের বড় ক্রেতা। অন্যান্য খুচরা ক্রেতার সংখ্যাও কম নয় বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

রপ্তানি খাতের অন্যান্য পণ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্র বাদে সব বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে হোম টেক্সটাইল।

বাজার গবেষণা ও অ্যাডভাইজরি ফার্ম মরডর ইন্টেলিজেন্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয় হোম টেক্সটাইল ব্যবসায়। মোট বিশ্ববাজার এখন ১৩১ বিলিয়ন ডলারের। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ ১৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের এ প্রতিবেদনে।

প্রধান সমস্যা তুলা

হোম টেক্সটাইল খাতের বড় সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রধান কাঁচামাল তুলার সংকট এখনও বড় প্রতিবন্ধকতা। দেশে তুলা উৎপাদন বলতে গেলে হয় না। প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া ডাইং কেমিক্যালসহ অন্যান্য রাসায়নিক কাঁচামালের পুরোটা আমদানিনির্ভর।

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

‘এতে সময় ও ব্যয় দুটোই বাড়ছে। অথচ প্রতিযোগী প্রায় সব দেশের নিজস্ব তুলা আছে। তারপরও আমরা একেবারেই নিজেদের উদ্যোগে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে অবদান রেখে চলেছি’, বলেন হারুন-অর-রশিদ।

সবাই ব্যস্ত পোশাক খাত নিয়ে

দুঃখ করে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমাদের প্রতি কারও নজর নেই। না সরকার, না মিডিয়া। সবাই ব্যস্ত পোশাক খাত নিয়ে। সবকিছু ওদের জন্য।

‘আমরা যেন কেউ নই; কিছুই করছি না দেশের জন্য। অথচ সরকার যদি আমাদের দিকে একটু তাকাত, তাহলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে দিতে পারতাম আমরা।’

একই সঙ্গে অবকাঠামো, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারের সমস্যাগুলো কাটানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

১০ বছরের রপ্তানির চিত্র

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়ের অঙ্ক ছিল একটিু বেশি ৮৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

২০১৭-১৯, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এসেছিল যথাক্রমে ৮৭ কোটি ৮৬ লাখ, ৭৯ কোটি ৯১ লাখ ও ৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

আগের তিন বছর ২০১২-১৩, ২০১১-১২ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে এই খাত থেকে বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ১৫ লাখ, ৯০ কোটি ৬০ লাখ এবং ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছিল।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Devi Durga will be worshiped in 4 mandapas in Srimangal 

শ্রীমঙ্গলে ১৫৭ টি মন্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা 

শ্রীমঙ্গলে ১৫৭ টি মন্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পূজার ঘণ্টাধ্বনি। উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীমঙ্গলের মৃৎশিল্পীরা। কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ ফুটিয়ে তুলতে দিন-রাত সমান তালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এবছর উপজেলার ১৫৭ টি মন্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা।

নিখুঁত কারুকার্যে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পীরা। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বাড়াতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ততই ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে।

শিল্পীরা বলছেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ তারা খুব একটা দেখছেন না। অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পূজা আয়োজকদের ব্যয়ও বেড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা গেছে— শহর থেকে পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মন্দিরে শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় প্রতিমা। বাঁশ, কাঠ, সুতলি, খড় আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ইতোমধ্যে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙতুলি। কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ মাটি লাগাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ করছেন— সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ।

প্রতিমা শিল্পী হনু পাল বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাদামাটির কাজ চলছে। এরপর রঙের কাজ হবে। সব কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আমাদের প্রতিমা পাঠানো হয়। আশা করছি এবার লাভও ভালো হবে।”

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুজিত রায় বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসব জাঁকজমকভাবে উদ্‌যাপন করা হবে। শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১৫৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রেণি বা উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে মিলনমেলার রূপ নেয় বলেই এ পূজাকে সার্বজনীন পূজা বলা হয়।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়েও ব্যবস্থা থাকবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।”

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।”

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, “আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রশাসনিকভাবে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের তালিকা সংগ্রহ, পরিদর্শন এবং রোডম্যাপ প্রস্তুতের কাজ চলছে। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে।

মন্তব্য

নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় এক কিশোরের দুই আঙুল কর্তন

নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় এক কিশোরের দুই আঙুল কর্তন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন সারোয়ার হোসেন (১৫) নামে এক কিশোর । রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আহত সারোয়ার ওই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ঘটনায় একই গ্রামের শ্রাবণ মিয়া প্রধান হামলাকারী হিসেবে জড়িত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সারোয়ার ও শ্রাবণের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্রাবণ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হঠাৎ সে হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সারোয়ারের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে তার বাম হাতের দুটি আঙুল শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত হামলাকারী শ্রাবণ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, "ঘটনাটি তদন্তাধীন। দোষী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।"

মন্তব্য

মেহেরপুরে জালনোট সহ আবাসনের বাসিন্দা আটক

মেহেরপুরে জালনোট সহ আবাসনের বাসিন্দা আটক

৪২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোটসহ আমিরুল ইসলাম খোকন (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব—১২) গাংনী ক্যাম্পের সদস্যরা।
আটককৃত আমিরুল ইসলাম খোকন মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার শিশির পাড়া গ্রামের নিজামুদ্দীনের ছেলে। সে বর্তমানে ভাটপাড়া ইকোপার্কের আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা।
গত রবিবার মধ্যেরাতে ভাটপাড়া আবাসন এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার ঘরের ভিতর ফ্রিজের উপর একটি পার্সের মধ্যে থেকে ৪২ টি এক হাজার জাল নোট টাকা জব্দ করার দাবী র‌্যাবের। তবে, পরিবারের লোকজনের দাবী তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
র‌্যাব-১২ সিপিসি মেহেরপুরের গাংনী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খোকনের বাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের ৪২টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আটক আমিরুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়েরপূর্বক গাংনী থানায় হস্তান্তের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আমিরুল ইসলাম খোকনকে আটক করে থানায় দেওয়ার পর ভাটপাড়া আবাসন এলাকার কয়েক শ লোকজন থানায় আসেন তার পক্ষে সার্পোট করতে। তারা জানান, খোকন একজন নিরীহ মানুষ। তাকে কেউ শত্রুতা করে ফাঁসাতে পারে। বিষয়টি তদন্ত্র করার দাবী জানান তারা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Weekly holidays will reduce the primary holidays in two days Advisor

সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই, প্রাথমিকের অন্যান্য ছুটি কমবে: উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই, প্রাথমিকের অন্যান্য ছুটি কমবে: উপদেষ্টা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন বহাল রেখেই শিক্ষাপঞ্জির অন্যান্য ছুটি কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে স্বাক্ষরতা। স্কুল স্তরে যদি স্বাক্ষরতা করতে হয়, কতগুলো প্রতিবন্ধকতা আমাদের পার হতে হচ্ছে। কেন আমরা সহজে এগোতে পারছি না। এই বিষয়গুলো আমি আপনাদের সামনে প্রকাশ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘স্কুলে যদি পড়াশোনা হতে হয় তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, অর্থাৎ একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন। এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমত নির্ভর করছে কত দিন স্কুল খোলা থাকে। আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার স্কুল খোলা থাকে মাত্র ১৮০ দিন। খেয়াল করেছেন ব্যাপারটা? পড়াশোনাটা যে হবে, স্কুল কত দিন খোলা পাচ্ছি? এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।’

‘আমরা চেষ্টা করছি ছুটি যদি কিছু কমিয়ে আনা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে এটা করছি, কারণ বিচ্ছিন্নভাবে করলে হবে না।’

ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন থেকে কমিয়ে এক দিন করার চিন্তা আছে কিনা— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপাতত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ক্যালেন্ডারে ছুটি কিছুটা কমানো। আমরা যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনকে এক দিন করতে চাই, সেটা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু একই রকম তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে করা কঠিন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক ধরনের দাবি আছে, শিক্ষকরা হচ্ছেন ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্টে, নন-ভ্যাকেশন হতে চাইলে এটা সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংশ্লেষের প্রসঙ্গ আছে। ফলে এ ধরনের একটা চিন্তা আছে, তবে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে আমাকে কিছুটা কমিয়ে আনব।’

কোন কোন দিন ছুটি কমাবেন সেটা ঠিক হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেব।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Jhenaidah held workshops on Health and Nutrition

ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করে গর্ভকালীন মাতৃ মৃত্যুহার, অপুষ্টি জনিত শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ সংক্রামক রোগের সংক্রমন প্রতিরোধে ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)। এতে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আলমগীর হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাছরীনসহ এসডিএফ'র জেলা ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান, জেলা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা ডা. অনুদীপা রানী, আইটি এন্ড এসআইএস মো. সাদ আহম্মেদ, ক্লাস্টার অফিসার বাণী বৈরাগীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি প্রতিনিধি ও এসডিএফ-এর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ কর্মশালায় পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় এসডিএফ-এর পক্ষ থেকে খাদ্য ও পুষ্টি, অপুষ্টিজনিত সমস্যার প্রতিকার, কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টির গুরুত্ব, ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস এবং বসতভিটায় পুষ্টিবাগান স্থাপনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালাটি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
After 5 years in Thakurgaon the leaders of the district BNP conference surrounded 

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘীরে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা 

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘীরে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা 

দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বাষিক সম্মেলন। এই সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস, উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন বাঁধার মুখে আর হতে পাড়েনি কোন সম্মেলন। এবারে অভ্যুত্থানে পরে অনেকটাই আন্দন ও উৎসাহ নিয়েই প্রস্তুতী চলছে এই সম্মেলনের। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরীর কাজ চলছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। তবে প্রার্থী,কাউন্সিলর ও বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতারা বলছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, সম্মেলনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেছেন। সবশেষ সভাপতি পদে রয়েছেন ১জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন ৪জন প্রার্থী। এছাড়া সম্মেলনে কাউন্সিলর রয়েছেন ৮০৮জন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও রংপুর বিএনপির তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা থাকবেন।

সম্মেলনের প্রার্থীরা বলছেন বিএনপির এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোড়ালো ভূমিকা রাখবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেই আসুক না কেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নির্দেশেই এগিয়ে যাবে দলটি।

এদিকে সম্মেলনের কাউন্সিলর ও বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতা-কর্মীরা বলছেন,এই সম্মেলনের মাধ্যমেই জেলায় আরো বেশি শক্তিশালী হবে বিএনপি। আমরা প্রত্যাশা করছি কর্মীবান্ধব নেতৃত্বই আসবে এই সম্মেলন থেকে। তবে মহাসবিচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যা বলছেন তাই মাথা পেতে নেবে সকলে। তঢাগীদের দলে পদ পদবিতে জায়গা হবে এটাই প্রত্যাশা দলের নেতাকর্মীদের।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশন অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী বলেন,সম্মেলন নিয়ে সকল প্রস্তুতী সম্পূর্ণ রয়েছে বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার। আমরা আশা করছি একটি সুষ্ঠু সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পাড়বো।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থরের নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকবে আমাদের সাথে।

মন্তব্য

কেরানীগঞ্জে মায়ের হাতে সন্তানের করুণ মৃত্যু

কেরানীগঞ্জে মায়ের হাতে সন্তানের করুণ মৃত্যু

ঢাকা কেরানীগঞ্জে ঘটে গলো এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের কোনো এক সময়ে মাত্র দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমানকে প্রাণ হারাতে হয়েছে তার নিজের মায়ের হাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ৪:০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৭:০০ ঘটিকার মধ্যে আব্দুর রহমানকে তার মা মোছাম্মৎ আতিয়া শারমিন নিজের বাসায় প্রাণঘাতী আঘাত করেন এবং টুকরো করে খাটের নিচে রেখে দেন। পরে স্থানীয়রা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ নিরু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, এবং লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতালে) প্রেরণ করে।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, শিশুটির মা মানসিক অসুস্থ ছিলেন। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির মা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, সন্তানের নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কোলে হলেও এ ঘটনা মানবিকতার সীমা ছাপিয়ে গেছে।

নিহত শিশুর বাবা টুটুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি কখনো ভাবিনি এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে। আমার ছেলে আর ফিরে পাব না। আশা করি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং ভবিষ্যতে কেউ এভাবে সন্তানকে হারাবে না।

মন্তব্য

p
উপরে