× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব
google_news print-icon

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

হোম-টেক্সটাইল-রপ্তানিতে-নীরব-বিপ্লব
হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করে বিদায়ি অর্থবছরে ১১৩ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার (১.১৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের চেয়ে ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে কখনোই এ খাতের রপ্তানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি। এটি এখন তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত।

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বলতেই সবার আগে চলে আসে তৈরি পোশাক শিল্প। কখনো কখনো পাট, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়। সরকারের কাছ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে দেন-দরবারও করেন এসব খাতের উদ্যোক্তারা।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির মহাসংকটের সময় ১০ হাজার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা এনেছে যে খাত, সেটি থেকে গেছে অগোচরে। সেই খাতটি হচ্ছে হোম টেক্সটাইল। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে খাতটি।

করোনাকালে চীন ও ভারতের বাজার বাংলাদেশে চলে আসায় এই ‘নীরব বিপ্লব’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ।

পোশাক খাতের মতো সরকারের সুনজর পেলে এই খাত থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা ঘেঁটে দেখা যায়, হোম টেক্সটাইল রপ্তানি করে এই অর্থবছরে ১১৩ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার (১.১৩ বিলিলয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের চেয়ে ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে কখনোই এ খাতের রপ্তানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি।

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা) এই অর্থের পরিমাণ ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ি অর্থবছরে ১১৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার রপ্তানি আয় করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য। বরাবরের মতোই ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে প্রথম স্থানে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত।

এতদিন পাট, চামড়া ও হিমায়িত মাছ রপ্তানি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকত। এবার হোম টেক্সটাইল পাট খাতের প্রায় সমান ডলার দেশে এনে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

করোনায় কম-বেশি প্রায় সব খাতের অবস্থা নাজুক। রপ্তানি ছাড়াও স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম হোম টেক্সটাইল। অনেকটা অগোচরে থেকে দেখাচ্ছে আশার আলো।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বছরে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি আয়ের আরেকটি খাত যোগ হলো।

দীর্ঘদিন শীর্ষ ১০ রপ্তানি খাতের তালিকায় আছে এ খাত। বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে বাণিজ্য প্রায় নাস্তানাবুদ। এমন পরিস্থিতিতেও হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ।

রপ্তানি তালিকার সব পণ্যের মধ্যে এ হার সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি দেশের চাহিদার প্রায় পুরোটা জোগান দিচ্ছে এ খাত।

উদ্যোক্তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতভাগ স্থানীয়ভাবে জোগান দেওয়া সম্ভব। তারা সরকারের নীতি-সমর্থনের অভাব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ট্রেন্ড বা ফ্যাশনপ্রবাহ না বোঝা কিংবা কম বোঝাকে দায়ী করছেন।

এসব সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের আরও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বাজার গবেষণা বাড়ানোর কথাও বলেছেন তারা।

দেশে হোম টেক্সটাইল উৎপাদন করে এ রকম উল্লেখযোগ্য বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, নোমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফ্যাব্রিকস, সাদ গ্রুপ, অলটেক্স, এসিএস টেক্সটাইল, জে কে গ্রুপ, ক্লাসিক্যাল হোম, ইউনিলাইন ইত্যাদি।

হোম টেক্সটাইল আসলে কী

হোম টেক্সটাইল বলতে বোঝায় ঘরের অন্দরের শোভাবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা বস্ত্রপণ্য। এ কারণে এ ধরনের পণ্যকে হোমটেক্স বা ঘরোয়া টেক্সটাইলও বলা হয়ে থাকে।

বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কাভার, টেবিল ক্লথ, পর্দা, ফ্লোর ম্যাট, কার্পেট, জিকজাক গালিচা, ফার্নিচারে ব্যবহার করা ফ্যাব্রিকস, তোশক, পাপস, খাবার টেবিলের রানার, কৃত্রিম ফুল, নকশিকাঁথা, খেলনা, কম্বলের বিকল্প কমফোর্টার, বাথরুম টাওয়েল, রান্নাঘর ও গৃহসজ্জায় ব্যবহার হয় এমন সব ধরনের পণ্য এ খাতের আওতাভুক্ত।

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

এ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল তুলা, পাট, শন, রেশম, ভেড়া-ছাগলের পশম, অন্যান্য পশম। এ ছাড়া সম্প্রতি কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহারেরও হোম টেক্সটাইল উৎপাদন হচ্ছে দেশে।

চীন ও ভারতের বাজার যেভাবে দখল করছে বাংলাদেশ

তৈরি পোশাকের মতো হোম টেক্সটাইলেরও প্রধান গন্তব্য ইউরোপ-আমেরিকা। রপ্তানিকারকরা বলছেন, এই দুই বাজারে এতদিন একচেটিয়া ব্যবসা করত ইসরায়েল, চীন ও ভারত।

ইসরায়েল মূলত খুব দামি পণ্য রপ্তানি করে। চীন ও ভারত দামি-মাঝারি দুই ধরনের পণ্যই রপ্তানি করে। আর বাংলাদেশ করে মাঝারি ও কম দামি পণ্য রপ্তানি।

অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীন ও ভারতের কম ও মাঝারি দামি পণ্যের বাজারের কিছু অংশই আসলে আমাদের এখানে এসেছে। সে কারণে হঠাৎ করে রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

‘ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ওই সব দেশে বিছানার চাদর, বালিশ, বালিশের কাভার, টেবিল ক্লথ, পর্দাসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। তারা তো এসব পণ্য একবারের বেশি ব্যবহার করে না। সে কারণেই একটু ভালো হয়েছে আমাদের জন্য।

‘করোনার পর চীন আর এখন মাঝারি দামের পণ্য তৈরি করছে না। দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে ভারতেও উৎপাদন বন্ধ ছিল। সেই বাজারটাই আমরা এখন পাচ্ছি।’

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

বাংলাদেশের পণ্য ও অন্য দেশের পণ্যের দামের পার্থক্য কেমন জানতে চাইলে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ধরেন, ইসরায়েল একটি ৪০০ ডলারের বিছানার চাদর রপ্তানি করে; চীন-ভারত করে ১০০-১২৫ ডলারের। আর আমরা করি ২৫-৩০ ডলারের।’

তিনি বলেন, হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয় বছরজুড়ে। এ ছাড়া করোনাকালে গৃহবন্দি মানুষ হোম টেক্সটাইলের পণ্য তুলনামূলক বেশি ব্যবহার করেছেন। এতে চাহিদা বেড়েছে।

বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বাজারও

রপ্তানি বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারও বাড়ছে। বিশেষ করে আবাসন ব্যবসার উন্নয়নের সঙ্গে হোম টেক্সটাইল খাতেও নতুন করে চাহিদা তৈরি হয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। একটি ফ্ল্যাটে দরজা-জানালার পর্দা, একাধিক বিছানার চাদর, কিচেন আইটেম, ডাইনিং আইটেমসহ বিভিন্ন রকমের হোম টেক্সটাইল পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়েছে। এতে হোম টেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার অনেক বড় আকার নিয়েছে।

হোম টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, এ বাজার আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকার। দেশের ২৪-২৫টি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য উৎপাদন করে থাকে।

প্রধান বাজার বড় ব্র্যান্ড

বৈশ্বিক হোম টেক্সটাইলের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা। মোটের ৬০ শতাংশ ব্যবহার হয় দুই মহাদেশের দেশগুলোতে।

বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইলের ৮০ শতাংশ যায় এ দুই বাজারে। বিশ্বখ্যাত ক্যারফোর, ওয়ালমার্ট, আইকিয়া, আলদি, এইচঅ্যান্ডএম, মরিস ফিলিপস, হ্যামার মতো বড় ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশের হোম টেক্সের বড় ক্রেতা। অন্যান্য খুচরা ক্রেতার সংখ্যাও কম নয় বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

রপ্তানি খাতের অন্যান্য পণ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্র বাদে সব বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে হোম টেক্সটাইল।

বাজার গবেষণা ও অ্যাডভাইজরি ফার্ম মরডর ইন্টেলিজেন্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয় হোম টেক্সটাইল ব্যবসায়। মোট বিশ্ববাজার এখন ১৩১ বিলিয়ন ডলারের। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ ১৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের এ প্রতিবেদনে।

প্রধান সমস্যা তুলা

হোম টেক্সটাইল খাতের বড় সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রধান কাঁচামাল তুলার সংকট এখনও বড় প্রতিবন্ধকতা। দেশে তুলা উৎপাদন বলতে গেলে হয় না। প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া ডাইং কেমিক্যালসহ অন্যান্য রাসায়নিক কাঁচামালের পুরোটা আমদানিনির্ভর।

হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে নীরব বিপ্লব

‘এতে সময় ও ব্যয় দুটোই বাড়ছে। অথচ প্রতিযোগী প্রায় সব দেশের নিজস্ব তুলা আছে। তারপরও আমরা একেবারেই নিজেদের উদ্যোগে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে অবদান রেখে চলেছি’, বলেন হারুন-অর-রশিদ।

সবাই ব্যস্ত পোশাক খাত নিয়ে

দুঃখ করে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমাদের প্রতি কারও নজর নেই। না সরকার, না মিডিয়া। সবাই ব্যস্ত পোশাক খাত নিয়ে। সবকিছু ওদের জন্য।

‘আমরা যেন কেউ নই; কিছুই করছি না দেশের জন্য। অথচ সরকার যদি আমাদের দিকে একটু তাকাত, তাহলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে দিতে পারতাম আমরা।’

একই সঙ্গে অবকাঠামো, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারের সমস্যাগুলো কাটানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

১০ বছরের রপ্তানির চিত্র

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়ের অঙ্ক ছিল একটিু বেশি ৮৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

২০১৭-১৯, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এসেছিল যথাক্রমে ৮৭ কোটি ৮৬ লাখ, ৭৯ কোটি ৯১ লাখ ও ৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

আগের তিন বছর ২০১২-১৩, ২০১১-১২ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে এই খাত থেকে বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ১৫ লাখ, ৯০ কোটি ৬০ লাখ এবং ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছিল।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Jhenaidah held workshops on Health and Nutrition

ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করে গর্ভকালীন মাতৃ মৃত্যুহার, অপুষ্টি জনিত শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ সংক্রামক রোগের সংক্রমন প্রতিরোধে ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)। এতে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আলমগীর হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাছরীনসহ এসডিএফ'র জেলা ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান, জেলা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা ডা. অনুদীপা রানী, আইটি এন্ড এসআইএস মো. সাদ আহম্মেদ, ক্লাস্টার অফিসার বাণী বৈরাগীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি প্রতিনিধি ও এসডিএফ-এর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ কর্মশালায় পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় এসডিএফ-এর পক্ষ থেকে খাদ্য ও পুষ্টি, অপুষ্টিজনিত সমস্যার প্রতিকার, কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টির গুরুত্ব, ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস এবং বসতভিটায় পুষ্টিবাগান স্থাপনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালাটি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
After 5 years in Thakurgaon the leaders of the district BNP conference surrounded 

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘীরে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা 

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘীরে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা 

দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বাষিক সম্মেলন। এই সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস, উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন বাঁধার মুখে আর হতে পাড়েনি কোন সম্মেলন। এবারে অভ্যুত্থানে পরে অনেকটাই আন্দন ও উৎসাহ নিয়েই প্রস্তুতী চলছে এই সম্মেলনের। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরীর কাজ চলছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। তবে প্রার্থী,কাউন্সিলর ও বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতারা বলছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, সম্মেলনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেছেন। সবশেষ সভাপতি পদে রয়েছেন ১জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন ৪জন প্রার্থী। এছাড়া সম্মেলনে কাউন্সিলর রয়েছেন ৮০৮জন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও রংপুর বিএনপির তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা থাকবেন।

সম্মেলনের প্রার্থীরা বলছেন বিএনপির এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোড়ালো ভূমিকা রাখবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেই আসুক না কেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নির্দেশেই এগিয়ে যাবে দলটি।

এদিকে সম্মেলনের কাউন্সিলর ও বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতা-কর্মীরা বলছেন,এই সম্মেলনের মাধ্যমেই জেলায় আরো বেশি শক্তিশালী হবে বিএনপি। আমরা প্রত্যাশা করছি কর্মীবান্ধব নেতৃত্বই আসবে এই সম্মেলন থেকে। তবে মহাসবিচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যা বলছেন তাই মাথা পেতে নেবে সকলে। তঢাগীদের দলে পদ পদবিতে জায়গা হবে এটাই প্রত্যাশা দলের নেতাকর্মীদের।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশন অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী বলেন,সম্মেলন নিয়ে সকল প্রস্তুতী সম্পূর্ণ রয়েছে বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার। আমরা আশা করছি একটি সুষ্ঠু সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পাড়বো।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থরের নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকবে আমাদের সাথে।

মন্তব্য

কেরানীগঞ্জে মায়ের হাতে সন্তানের করুণ মৃত্যু

কেরানীগঞ্জে মায়ের হাতে সন্তানের করুণ মৃত্যু

ঢাকা কেরানীগঞ্জে ঘটে গলো এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের কোনো এক সময়ে মাত্র দুই বছর বয়সী শিশু আব্দুর রহমানকে প্রাণ হারাতে হয়েছে তার নিজের মায়ের হাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ৪:০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৭:০০ ঘটিকার মধ্যে আব্দুর রহমানকে তার মা মোছাম্মৎ আতিয়া শারমিন নিজের বাসায় প্রাণঘাতী আঘাত করেন এবং টুকরো করে খাটের নিচে রেখে দেন। পরে স্থানীয়রা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ নিরু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, এবং লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতালে) প্রেরণ করে।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, শিশুটির মা মানসিক অসুস্থ ছিলেন। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির মা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই বলছেন, সন্তানের নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কোলে হলেও এ ঘটনা মানবিকতার সীমা ছাপিয়ে গেছে।

নিহত শিশুর বাবা টুটুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি কখনো ভাবিনি এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে। আমার ছেলে আর ফিরে পাব না। আশা করি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং ভবিষ্যতে কেউ এভাবে সন্তানকে হারাবে না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Fenis Lemua killed in a road accident 2 injured 1

ফেনীর লেমুয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-২, আহত-১

ফেনীর লেমুয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-২, আহত-১

ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন শ্যামলী পরিবহন বাস এর সুপারভাইজার ও হেলপার এবং ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়েছেন।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর বেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ফেনীর দিকে আসছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে দ্রুতগতির শ্যামলী পরিবহনের বাসটি দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে শ্যামলী পরিবহনের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় । ঘটনাস্থলে বাসের হেলপার নিহত হন এবং দুইজন আহত হন। হতাহতদের ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাসের সুপারভাইজারকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বাসের সুপারভাইজার পাবনা সাথীয়া উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম বাবু (৩৮)। অপর নিহত হেলপার সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার গরিয়াপুরের শেখ মোঃ শাহাদাতের ছেলে মো: ইয়াহিয়া রাফি (১৮) ।

গুরুতর আহত হন বাসের ড্রাইভার । তিনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা চাসরা মোবারকপুর গ্রামের মৃত: আবদুল আলী মোল্লার ছেলে মো: রফিক (৬০)। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: আবদুল মজিদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ি থেকে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ি দুটি সরিয়ে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three accused in the rape case in Rajshahi

রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার

রাজশাহী মহানগরীতে ধর্ষণ মামলার মূলহোতাসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫।

আজ রোববার সকাল পৌনে ৬টার দিকে আরএমপির চন্দ্রিমা থানাধীন উজিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চন্দ্রিমা থানাধীন সাজ্জাদ আলীর ছেলে আরিয়ান শাফী ওরফে আরিফ (২৬), ভদ্রা জামালপুর এলাকার আলমের ছেলে শান্ত (২৫), বোয়ালিয়া থানাধীন কাদিরগঞ্জ গ্রেটাররোড এলাকার আসিফ হাসান সোহেলের ছেলে পিয়াম (২৫)।

পরে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, ২২ বছর বয়সী এক নারীর সঙ্গে মূলহোতা আরিয়ান শাফীর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জেরে গত ৩০ আগস্ট বিকেলে আরিয়ান শাফী দেখা করার কথা বলে ওই নারীকে মতিহার থনাধীন ভদ্রা ব্রিজের উপর ডাকে। ভুক্তভোগী দেখা করতে গেলে আরিয়ান বন্ধুর বৌয়ের জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সুযোগে আরিয়ান তাকে রিকশা করে কুমারপাড়া আলুপট্টি মোড়ে পদ্মা মন্দিরের সামনে এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি আজোয়াদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করা আসামি শান্ত ও পিয়ামও ওই নারীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে আসামিরা ভুক্তভোগীকে হুমকি দেয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর আরিয়ান ওই নারীকে আবার দেখা করার কথা বলে। দেখা না করলে তার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বোয়ালিয়া মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এরপর পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আসামিদের বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The boat was held in Kirtinasha in Shariatpur

শরীয়তপুরে কীর্তিনাশায় নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুরে কীর্তিনাশায় নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

আবাহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা নৌকাবাইচ। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাংলার অনেক অতীত হারিয়ে গেলেও বর্ণিল নৌকাবাইচ এখনও টিকে আছে। শনিবার শরীয়তপুরের দাদপুর ভাষানচরের কীর্তিনাশা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।

দুপুরে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা ঘিরে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সের মানুষ নদীর দুই পাড়ে ভিড় করে।

নৌকাবাইচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগে থেকেই নদীর তীর মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, বড় নৌকা, গাছ ও ভবনে উঠে মানুষ নৌকাবাইচ উপভোগ করেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শরীয়তপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলার অসংখ্য মাঝিদল। বিশাল নৌকায় বৈঠা হাতে তরুণ ও অভিজ্ঞ মাঝিরা সমানতালে ছন্দ মিলিয়ে বৈঠা চালান। এ সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বৈঠার মন মাতানো শব্দের সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শনার্থীরা। তারা নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ উপভোগ করেন।

নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে নদীর দুই পাড়ে বসে অস্থায়ী মেলা। স্থানীয় পিঠা-পুলি, ঝালমুড়ি, ফুচকা ও বিভিন্ন খাবারের দোকানে জমে ওঠে মেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য খেলনা ও বেলুন নিয়ে বিক্রেতারাও ভিড় করেন মেলায়।

আয়োজকদের পক্ষে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, নৌকা বাইচ শুধু বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হয়নি, এটি গ্রামীণ ঐতিহ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐক্যের প্রতীক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছরই এ আয়োজন করা হয়। আগামী বছরগুলোতে আরও বড় পরিসরে এই ঐতিহ্য ধরে রাখা হবে।

দিনভর প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Badruddin Umar is no longer

বদরুদ্দীন উমর আর নেই

বদরুদ্দীন উমর আর নেই

লেখক, গবেষক ও বাম ধারার বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর ইন্তেকাল করেছেন। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ১০টা দিকে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত বদরুদ্দীন উমর। রোববার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেছিলেন বদরুদ্দীন উমর। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ছিলেন এই বামধারার বুদ্ধিজীবী।

এক সময় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। ২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন গড়ে সভাপতির দায়িত্ব নেন।

২০২৫ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন, কিন্তু তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

মন্তব্য

p
উপরে