× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
খেলাপি ঋণ পাকিস্তানের চেয়ে কম ভারতের চেয়ে বেশি
google_news print-icon

খেলাপি ঋণ: পাকিস্তানের চেয়ে কম, ভারতের চেয়ে বেশি

খেলাপি-ঋণ-পাকিস্তানের-চেয়ে-কম-ভারতের-চেয়ে-বেশি
বিভিন্ন দেশে মোট বিতরণকৃত ঋণের খেলাপির পরিমাণ। ছবি: নিউজবাংলা
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের অনুপাত মোট বিতরণ করা ঋণের ২ শতাংশের মধ্যে রাখতে হয়, যা বাংলাদেশ কখনই অর্জন করতে পারেনি। চলতি বছরের মার্চ শেষে যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ০৭ ভাগ খেলাপি। ভারতে এই হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ, আর পাকিস্তানে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। উপমহাদেশের মধ্যে নেপালের অবস্থান সবচেয়ে ভালো, ১ দশমিক ৭ শতাংশ, আর শ্রীলঙ্কায় খেলাপির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ।

উপমহাদেশে প্রধান দেশগুলোর তুলনায় খেলাপি ঋণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ খুব একটা খারাপ অবস্থানে নেই। তবে আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেশ নিচে।

মন্দ ঋণ নিয়ে বাংলাদেশে বরাবর আলোচনা তুমুল। এ জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতি বছর সঞ্চিতি হিসেবে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এতে সরকারি-বেসরকারি কিংবা বিশেষায়িত প্রতিটি ব্যাংকেরই বড় অংকের বিনিয়োগ আটকে পড়েছে। ব্যাংক খাতে মূলধন ঘাটতি বাড়ছে; কোনো কোনো ব্যাংক পড়েছে লোকসানে।

চলতি বছরের মার্চ শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ০৭ ভাগ।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

একই সময়ে ব্যাংকগুলো অবলোপন করেছে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা। এগুলো আদায়ও অনেকটাই অনিশ্চিত।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের অনুপাত মোট বিতরণ করা ঋণের ২ শতাংশের মধ্যে রাখতে হয়, যা বাংলাদেশ কখনই অর্জন করতে পারেনি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে শুধু নেপাল। দেশটির খেলাপি ঋণ মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কায়ও এই হার বেশ কম, ২ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত খেলাপি ঋণে বাংলাদেশের কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

আর দুর্বল অর্থনীতির দেশ পাকিস্তানের খেলাপি ঋণ ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২ দশমিক ২ শতাংশ।

বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি বেশি খারাপ দেখাচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলোর কারণে। ছয়টি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকে খেলাপির হার বিতরণ করা ঋণের ২০ শতাংশের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বিতরণ করা ঋণের পাঁচ শতাংশের আশেপাশে। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোতে এই হার ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

খেলাপি ঋণ: পাকিস্তানের চেয়ে কম, ভারতের চেয়ে বেশি
বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ

৪ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে খেলাপি ঋণ রয়েছে এমন উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে, কলম্বিয়া ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ইটালি ৫ দশমিক ২ শতাংশ, আজারবাইজান ৫ দশমিক ৯, ক্রোয়েশিয়া ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

৩ শতাংশের নিচে খেলাপি ঋণ রয়েছে এমন উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

চীনে খেলাপি ঋণের হার কমে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ আর ফিলিপাইনে ১ দশমিক ৯ শতাংশের মধ্যে।

খেলাপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্যবস্থা

খেলাপি ঋণের অনুপাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বা এর কাছাকাছি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দেশগুলো মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ গ্রাহকরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পান না।

থাইল্যান্ড সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (এএমসি) গঠন করে খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে সফলতা পেয়েছে। আইন ও নীতির কঠোর বাস্তবায়ন করে দ্রুত খেলাপি ঋণ কমিয়েছে শ্রীলঙ্কাও।

চীনে খেলাপিদের ওপর উড়োজাহাজ ও উচ্চগতির ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। করপোরেট সংস্থার নির্বাহী বা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতে পারেন না খেলাপিরা। এমনকি খেলাপিরা ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কোনো হোটেল সুবিধা নিতে পারেন না, রিয়েল এস্টেট কিনতে পারেন না।

নেপালে ঋণখেলাপিদের পাসপোর্ট সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

ভারতও খেলাপির হার কমিয়ে আনতে ‘ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেন্ডারস বিল’ নামে একটি আইন অনুমোদন করেছে। আইনটির আওতায় কোনো ঋণখেলাপি দেশ ত্যাগ করলে তার সম্পদ জব্দ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির পাসপোর্টও প্রত্যাহার করেছে দেশটি।

ঋণ আদায়ে বিকল্প ব্যবস্থা

স্বাধীনতা-পরবর্তীসময়ে ব্যাংকিং খাতের তেমন কোনো আইন-কানুন না থাকায় ১৯৮৩ সালে ব্যাংকগুলোর ঋণ মন্দঋণে পরিণত হওয়া শুরু হয়।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ব্যাংকিং নীতিমালা চালু করে।

তবে ব্যাংকারদের অনভিজ্ঞতা, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার দুর্বলতাসহ নানা কারণেই দেশে খেলাপি ঋণ তৈরি হওয়া শুরু হয়। কিন্তু আইনি কাঠামোর অভাবে ঋণখেলাপিদের কিছু বলাও যেত না।

খেলাপি হওয়া অর্থ আদায়ে ১৯৯৬ সালে কাজ শুরু করে ‘ডেট রিকভারি এজেন্ট’। ২০০৩ সাল থেকে জোরেশোরেই মাঠে নামে অন্তত চারটি প্রতিষ্ঠান। উদ্দেশ্য ছিল, অনাদায়ী মন্দ ও কু ঋণ এবং মামলায় আটকে থাকা খেলাপি ঋণ উত্তোলন।

এমন ব্যবস্থায় আদায়ও হয় বড় অংকের অর্থ। কিন্তু ঋণের অর্থ তুলে দেয়ার পর কোম্পানিকে কমিশন দেয়া নিয়ে নানান জটিলতা তৈরি হয়। পরে ভেস্তে যায় সেই উদ্যোগ।

এরপর ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। যার নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে, ‘সিকিউরিজেশন অফ নন পারফরমিং লোন’।

এই আইন বলে ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ঋণ খেলাপির প্রতিষ্ঠান দখলে নিতে পারবে। তবে এই উদ্যোগটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মন্দ ঋণ বেসরকারি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। বেসরকারি কোম্পানিগুলো ব্যাংকের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অর্ধেক বা এর চেয়ে কম মূল্যে কিনে নেয়। এতে ব্যাংকের খাতায় খেলাপি ঋণ কমে যায়।

আর বেসরকারি কোম্পানি ঋণখেলাপির জামানত হিসেবে দেয়া সম্পদ বিক্রি করে অর্থ আদায় করে।

কার্যকর ব্যবস্থার তাগিদ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় আমানত সংগ্রহ ও ঋণ দেয়ায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে।’

তিনি বলেন, আর্থিক কেলেঙ্কারি, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপানার কারণে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। সরকার কঠোর হলে খেলাপি ঋণ দ্রুত কমে আসব।’

ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বেশ দুর্বল বলেও মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণ আদায়ে ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ্যে দেয়। অন্যান্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু আমাদের দেশে এই বিশাল অর্থ উদ্ধারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংক খাতে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের নিয়ে। এদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এই ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারায় অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছেন। এই খেলাপিদের আইনগতভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্যে যদি আনা যায়, তাহলে খেলাপি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন:
দুই বছরে ৬৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নিয়মিত
ঋণ পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চায় এফবিসিসিআই
খেলাপি ঋণ আদায়ে নজির ব্যাংক এশিয়ার
খেলাপি ঋণে ভালো অবস্থানে পুঁজিবাজারের ব্যাংক
মামলা করে আদায় খেলাপি ঋণের ১৮ হাজার কোটি টাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Another very intense heat wave in Chuadanga the temperature is 422

ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২

ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ চুয়াডাঙ্গায় আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গাছেন ছায়ায় স্বস্তি খুঁজছে মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
বুধবারও এখানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। ওইদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই তীব্র তাপপ্রবাহ বৃহস্পতিবার এসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকেই উচ্চ তাপমাত্রায় আলোচনায় রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। মৃদু, মাঝারি, তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা দেখছে জেলাবাসী। মাঝে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও ফের অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের পশ্চিমের এই জেলা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মানে জেলায় আবারও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে এই জেলা।

আগের দিন বুধবারও এখানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। ওইদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই তীব্র তাপপ্রবাহ বৃহস্পতিবার এসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

জেলা জুড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি আরও বেড়েছে। স্বস্তি মিলছে না কোথাও। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে দিনের অধিকাংশ সময় মানুষ গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে।

গরমের প্রভাবে বাড়ছে রোগবালাই। গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারছে না। নষ্ট হচ্ছে ধান, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমী ফসল।

গোপালপুর গ্রামের কৃষক হান্নান আলী বলেন, ‘এই তাপে মাটে উঠতি ফসল নষ্ট হয়ি যাচ্চি। আর রোদির তাতে মাটে দাঁড়ানু যাচ্চি না। ধানের ক্ষেতে বেশি সেচ লাগচি। তাও আবার দিনের বেলায় পাম্পে পানি উটচি না। রাতি দিতি হচ্চি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়েছে। জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ রূপ নিয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে। সহসা বৃষ্টি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস নেই। চলতি এপ্রিল মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
এই গরমে কয় কাপ চা পান করবেন
দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
ফের ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা
ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
It is alleged that Teknaf entered the house and beat up the mother and daughter

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে অভিযুক্ত আয়ুব খান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আইয়ুব ও তার লোকজন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷

এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’

থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্ত করে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’

অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা
দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Death of traffic inspector while on duty at Sonamsjid land port

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু
সোনা মসজিদ স্থল বন্দর। ছবি: সংগৃহীত
মাহমুদুর রশিদ বলেন, এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতেও পারে। সেই সাথে তার আগের অন্য কোনো রোগের ইতিহাসও আমাদের জানা নাই। তাই হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া যাবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দ্বায়িত্ব পালনকালে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যাওয়া ওই ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের নাম রুহুল আমিন। যশোরের বেলাপোল পৌরসভার শর্শার কোরবান আলীর ছেলে তিনি।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মধ্যে ট্রাক পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিজ অফিস কক্ষে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল আমিন। এ সময় তাকে তার সহকর্মীরা দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যখন নিয়ে আসা হয়, তার আগেই তার মৃত্য হয়েছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়ে ছিলেন। তবে তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা নিশ্চিত করে এখনই বলা যাবে না।

মাহমুদুর রশিদ বলেন, এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতেও পারে। সেই সাথে তার আগের অন্য কোনো রোগের ইতিহাসও আমাদের জানা নাই। তাই হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া যাবে না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Accused of raping the young woman for a month after keeping her at home

তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতীকী ছবি
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আটক তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহীর বাগমারায় ভাড়া বাসায় আটকে রেখে এক মাস ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার রাতে উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার হরিফলার মোড়ের একটি বাসা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার ও এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক রাজু হোসেন (২৫) পেশায় চা দোকানি। তিনি তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার আবদুর রাজ্জাক শাহের ছেলে।

পুলিশ জানায়, অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই তরুণীর বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। ফোনে রাজুর সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ মার্চ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোনে ভুক্তভোগী তরুণীকে তাহেরপুরে নিয়ে আসেন রাজু। পরে তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন রাজু। সেখানে আটকে রেখে এক মাস ধরে রাজু ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে ধর্ষণ করেন।

এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। তিনি থানায় খবর দিলে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকা থেকে রাজুকে আটক করে পুলিশ। রাতেই তরুণী বাদী হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।

রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আটক তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
3 new judges of the Appellate Division took oath

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারক শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান। খবর বাসসের

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, শপথ পাঠকারী তিন বিচারপতির পরিবারের সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক ১) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ২) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ৩) বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Two dredgers seized in Padma illegally extracting sand in the dark of night

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বুধবার গভীর রাতে দুটি ড্রেজার জব্দ করে নৌ-পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল তুলেছে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে ৮ ঘণ্টায় পৌনে দুই কোটি টাকা টোল আদায়
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের আরও এক ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Farmer dies due to electrocution while switching irrigation pump

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
বামন্দী পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’

মেহেরপুরের গাংনীতে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল হান্নান (৭৫) নামের কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিণপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুল হান্নান দেবীপুর দক্ষিণপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে।

এসব তথ‍্য নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস‍্য হিরোক আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে আবদুল হান্নান নিজ গ্রামের মাঠে অবস্থিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি দেবীপুরে নিয়ে আসে।’

বামন্দী পুলিশ ক‍্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

p
উপরে