× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
রাজস্ব বাড়াতে রোডম্যাপের দাবি
google_news print-icon

রাজস্ব বাড়াতে রোডম্যাপের দাবি

রাজস্ব-বাড়াতে-রোডম্যাপের-দাবি
প্রবন্ধে বলা হয়, এনবিআর এখন পর্যন্ত করযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কোনো জরিপ বা সমীক্ষা করে নি। জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলা করতে হলে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

দেশের রাজস্ব আদায় বাড়াতে আলাদা একটি রোডম্যাপ তৈরির দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে করদাতাদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে ‘ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে কর নীতি প্রনয়ণের কথাও বলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ‘রেভিনিউ মোবিলাইজেশন ফর রেজাল্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব দাবি জানানো হয়।

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করেছিল সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযান (সুপ্র) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফার্ম ।

এতে আলাদাভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযানের নির্বাহী পরিচালক মো. শহীদুল্লা এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন।

নির্বাহী পরিচালক মো. শহীদুল্লা তার মূল প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশে রাজস্ব ব্যবস্থা খুবই দুর্বল এবং সেবার মানও ভালো নয়। মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ কর দেন। অথচ কর দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে অনেকেরই।

প্রবন্ধে বলা হয়, এনবিআর এখন পর্যন্ত করযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কোনো জরিপ বা সমীক্ষা করে নি। জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলা করতে হলে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া আরও সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমের ডেপলপমেন্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে ভারতে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে ভ্যাট আদায় করা হয় সেটি অনুসরণ করা যেতে পারে।’

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘এটি সত্য আমাদের জিডিপির তুলনায় কর আদায় খুবই কম। তাই দেশের উন্নয়নে কর আদায় বাড়াতেই হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই কর দিতে চান। কিন্ত এদের সবাইকে নেটে আনা যাচ্ছে না। কর সংস্কৃতির দুর্বলতা রয়েছে। এর উন্নতি করা অপরিহার্য।’

এনবিআরে একটি গবেষণা সেল গঠন এবং করনীতি ও ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করার পরামর্শও দেন ড. আতিউর।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইন কেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না, তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’

রাজস্ব প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত এবং তদারকি কর্মকাণ্ড আরও জোরদারের পরামর্শও দেন তিনি।

গবেষণা সংস্থা সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এনবিআর অনেকগুলো সংস্কার কর্মসূচি নিলেও বাস্তবায়নে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায় নি। সেবার মান বাড়াতে হলে ভবিষতে সংস্কার এজেন্ডার ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।’

এনবিআরে প্রথম সচিব (ভ্যাট নীতি) কাজী ফরিদ উদ্দিন ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত কম হওয়ার ব্যাখা করে বলেন, ‘বাংলাদেশে কর অব্যাহতি অনেক বেশি। এই সুবিধা কমানো গেলে রাজস্ব আরও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির যে কাঠামো তাতে সবার জন্য অভিন্ন অর্থাৎ ১৫ শতাংশ ভ্যাট গ্রহণযোগ্য নয়।

‘আমাদের ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ আছেন, যারা হিসাব ঠিকমতো সংরক্ষণ করেন না। সরকার ভ্যাটের রেট বা হার কমানোর পক্ষে ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা হিসাব পদ্ধতি আধুনিক না করার কারণে তা করা সম্ভব হয় নি।’

সুপ্রর নির্বাহী পরিচালক শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে হলে একটি রোডম্যাপ তৈরি জরুরি। দেশ থেকে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি বন্ধ করতে হবে।

সেমিনারে অক্সফার্মের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর বলেন, ‘বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হলে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।’

আরও পড়ুন:
করোনার মধ্যেও রাজস্ব আদায়ে চমক
সম্পদ বণ্টনে সরকারকে আরও বিচক্ষণ হওয়ার পরামর্শ
রাজস্ব আদায় মন্থর, চাপে সরকার
রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণের তাগিদ
রাজস্ব আয়ে ৯ শতাংশ কাটছাঁট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The bank accounts of Shakib and his wife have been subpoenaed

সাকিব ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

সাকিব ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। ছবি: সংগৃহীত
হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।

মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বুধবার দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।

বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য তলব করার এই নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা-সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের তথ্য দেয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী চিঠি দেয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে কারসাজির দায়ে গত ২৪ সেপ্টেস্বর তারকা এই ক্রিকেটারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আরও পড়ুন:
মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
রাতে ফিরছে টাইগাররা, সাকিব যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে
‘সাকিবকে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার করা হবে না’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
LPG price increased by Tk 35 per 12 kg cylinder

এলপিজির দাম ১২ কেজি সিলিন্ডারে বাড়ল ৩৫ টাকা

এলপিজির দাম ১২ কেজি সিলিন্ডারে বাড়ল ৩৫ টাকা
এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪৫৬ টাকা। আর অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি প্রায় দেড় টাকা বৃদ্ধি করে ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হচ্ছে।

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজির সিলিন্ডারে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা। একইসঙ্গে লিটার প্রতি অটো গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রায় দেড় টাকা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে দাম বৃদ্ধির এই ঘোষণা দেন।

দাম বৃদ্ধির কারণে এখন থেকে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হবে এক হাজার ৪৫৬ টাকা। আর অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

আমদানিনির্ভর এলপিজির আন্তর্জাতিক বাজার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিইআরসি।

গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ছিল এক হাজার ৪২১ টাকা। অন্যদিকে অটোগ্যাস লিটার প্রতি দাম ছিল ৬৫ টাকা ২৬ পয়সা। আগের মাস আগস্টে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ছিল এক হাজার ৩৭৭ টাকা।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল বিইআরসি কর্তৃক দর ঘোষণার সময় বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য হিসেবে ধরা হবে।

আরামকো নির্ধারিত দর উঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠা-নামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। টানা তিন মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাংলাদেশেও এলপিজির দাম বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
এলপিজির দাম বেড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডার ১৪২১ টাকা
এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে এক হাজার ৩৬৬ টাকা
এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমল ৩০ টাকা
এলপিজি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমল ৪০ টাকা
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৮ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh paid more than borrowed in July August ERD

জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ
ইআরডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশ ৪৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে। একই সময়ে ঋণের কিস্তি বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫৮৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার। পরিশোধ করতে হয়েছে।

বাংলাদেশ চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বৈদেশিক ঋণপ্রাপ্তির চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইআরডি। তাতে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে। তবে একই সময়ে দেশটিকে ঋণের কিস্তি বাবদ ৫৮৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে ঘাটতি ছিল ১৩১ মিলিয়ন ডলার।

ঋণ পরিশোধের হিসাব বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলধনের ৪১৫ দশমকি ৬ মিলিয়ন ডলার এবং সুদ বাবদ ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সুদ পরিশোধে ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ১৯ মিলিয়ন ডলার।

এই মাসগুলোতে দেশটির বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ব্যাপক কমায় এই চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তুলেছে। কেননা নতুন প্রতিশ্রুতির রেকর্ড মাত্র ২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Beximco share manipulation Nine investors fined Tk 42852 million

বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা

বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
বিএসইসি’র কমিশন সভায় মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে চার কোটি এক লাখ, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার ব্যবসাকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, অ্যাপোলো ট্রেডিংকে ১৫ কোটি ১০ লাখ, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, আবদুর রউফকে ৩১ কোটি এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ার কারসাজির দায়ে নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কোনো কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে এতো বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা এর আগে আর করা হয়নি।

উল্লিখিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে চার কোটি এক লাখ, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার ব্যবসাকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, অ্যাপোলো ট্রেডিংকে ১৫ কোটি ১০ লাখ, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, আবদুর রউফকে ৩১ কোটি এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও কমিশন সভায় নয়টি কোম্পানির আইপিও/আরপিওর তহবিলের ব্যবহার পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।

কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেস্ট হোল্ডিং, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ২০ জনের বিও হিসাব জব্দ
পুঁজিবাজারে ক্রমশই নিম্নগতি, হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মাশরুর রিয়াজ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Remittances rose to more than a billion dollars in September

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি ও তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ। গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া আগের মাস আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৮০ মিলিয়ন ডলার।

সদ্যসমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহে গত চার বছরের মধ্যে একক মাসে প্রবাসী আয়ের দিক থেকে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে জুনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৫৪ কোটি ডলার এবং তার আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। এটা আগের অর্থবছরের একই মাসে ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া আগের মাস আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৮০ মিলিয়ন ডলার। আগস্টে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে আট কোটি ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই অংকটা ছেল চার কোটি ৪৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

একক মাস হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৮০.২ শতাংশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। তার আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৬৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬২ লাখ ডলার।

আলোচিত সময়ে সরকারি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পু‌লি‌শের ক‌মিউ‌নি‌টি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিটেন্স আ‌সে‌নি।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ব্যাপক রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১.০৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন, এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলেন, নতুন সরকারের শুরু থেকে প্রবাসীরা হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। এখন তারা লাইনে দাঁড়িয়ে হলেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সে সুবাদে দেশের প্রবাসী আয় ব্যাপক পরিমাণে বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
২৮ দিনেই দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
আগস্টের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলারের বেশি
রেমিট্যান্স প্রবাহে চমক দেখাচ্ছেন প্রবাসীরা
আন্দোলন-সহিংসতার জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধস
জুলাইয়ের ২৪ দিনে রেমিট্যান্স ১৫০ কোটি ডলার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import export closed on October 9 12 in Benapole during Durga Puja

দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘শারদীয় দূর্গাপূজার সরকারি ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ১২ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই এ সময় বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে ইলিশের চালান গ্রহণ করা হবে। ১৩ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির কারণে চারদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পত্র দিয়ে আমাদেরকে অবহিত করেছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজীব নাজির বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির বিষয়টি ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এপারের বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস ও পণ্যের শুল্কায়ন কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাক দেশে ফিরে যেতে পারবে।’

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুইয়া বলেন, ‘পূজার ছুটিতে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় দুদেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।’

আরও পড়ুন:
৫ অর্থবছর পর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
‘অতিরিক্ত শুল্ক আদায়’, বেনাপোলে আটকা পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক
ভাঙা কাঁচে কেটেছে হাত, বেনাপোলে যাত্রীদের পেটাল পুলিশ
বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদের ছুটিতে বেনাপোলে যাত্রীর ভিড়, পেট্রাপোলে ভোগান্তি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
World Bank and IFC will support reforms in three sectors
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে প্রতিনিধিদের বৈঠক

বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি তিন খাতে সংস্কারে সহায়তা দেবে

বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি তিন খাতে সংস্কারে সহায়তা দেবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে রোববার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংক ও আইএফসির প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত
উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজ বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। আর্থিক খাত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের সব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে কিছু শর্ত আছে। সেগুলো পালন করতে হবে।’

বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) তিন খাতের সংস্কারে সহায়তা করবে। খাতগুলো হলো- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), জ্বালানি ও ব্যাংক।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংক ও আইএফসির প্রতিনিধিরা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ (রোববার) বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। বিশ্বব্যাংক কী কী কাজে সহায়তা দেবে তা নিয়ে এর আগেও আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের আর্থিক খাত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কারের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

আইএফসির বিনিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করবে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আগামী অক্টোবরে আমি যখন তাদের সভায় যাব তখন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

‘মোট কথা তারা আমাদের সব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। কিছু শর্ত আছে সেগুলো পালন করতে হবে।’

কোন কোন খাতে তারা সহায়তা দেবে সে বিষয়ে কিছু জানিয়েছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যাংক খাত ও এনবিআর সংস্কারের ক্ষেত্রে তারা আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। এছাড়া এনার্জি (জ্বালানি) খাতেও কিছু আছে। সার্বিকভাবে আমাদের আর্থিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তারা সহায়তা করবে।’

সহায়তার পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অ্যামাউন্টের বিষয়ে এখন বলব না। প্রতিটি ডোনার কী দেবে সেটা জেনে পরে আপনাদের জানানো হবে। যথাসময়ে জানাব যে কোন ডোনার কী দিয়েছে, তবে এখন নয়।’

আরও পড়ুন:
ব্যাংক খাত সংস্কার ও অর্থপাচার রোধে আইএমএফের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ভারতের এলওসি প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো চলবে: অর্থ উপদেষ্টা
চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে