রাজধানীর বনশ্রী থেকে রিকশায় প্রাইম ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখায় এসেছেন শফিকুল ইসলাম। জরুরি প্রয়োজনে টাকা তোলা দরকার। কিন্তু ১১টার দিকে এসে দেখেন, ব্যাংকে তালা। ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী জানান, শাটডাউনের কারণে এই শাখার কার্যক্রম বন্ধ।
শাডটাউনের মধ্যে রাজধানীতে মাত্র ৯টি শাখা খোলা রেখেছে প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু এই তথ্য জানেন না অধিকাংশ গ্রাহক। ব্যাংকের গেটে তালিকা দেয়া হলেও, খুদেবার্তা বা অন্য কোনো উপায়ে বিষয়টি গ্রাহককে অবহিত করা হয়নি।
গ্রাহক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শাটডাউনে বনশ্রীর মেরাদিয়া থেকে ৭০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে টাকা তুলতে এসে দেখি, নোটিশ দিয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই শাখা। টাকা প্রয়োজন, তাই এখন গুলশান যেতে হবে।’
একই ব্যাংকে চেক জমা দিতে এসেছেন রিপন মিয়া। বলেন, ব্যস্ততম শাখা সত্ত্বেও এই শাখা বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি। এখন কারওয়ান বাজার শাখায় গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে। তারপরও আজ চেক জমা দেয়া যাবে কি না শঙ্কা আছে।
শুধু প্রাইম ব্যাংকই নয়, সব ব্যাংকেরই সব শাখা খোলা নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ শাখার সামনে গ্রাহকের ভিড় বাড়তে দেখা যায়। অনেকে ব্যাংক বন্ধ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, কোন কোন শাখা খোলা আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। এভাবে ভোগান্তির কোনো মানে হয় না।
ব্যাংক এশিয়ার প্রগতি সরণি শাখা। সেখানেও গ্রাহকের জটলা, কারণ শাখাটি বন্ধ। এই শাখাটির গেটে বন্ধ বা খোলা শাখাগুলোর তালিকাও দেয়া হয়নি। নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে গ্রাহকরা জানতে পারেন, গুলশান শাখা খোলা। তাৎক্ষণিক তারা গুলশানের দিকে যান।
টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর, সকাল থেকে আবারও খুলছে ব্যাংক। তবে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে লেনদেন হচ্ছে সীমিত পরিসরে। অর্থাৎ লেনদেনের সময় কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে করা হয়েছে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
শাটডাউনের সময়টায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারের সঙ্গে রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার ছিল ব্যাংক হলিডে। ফলে সোমবার প্রতিটি শাখার সামনে ছিল ভিড়।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের যেসব শাখা খোলা, সেসব শাখায় গ্রাহকের ভিড়। তবে, স্বাভাবিক দিনের চেয়ে ভিড় ছিল কম।
খোলা শাখায় মানা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
লেনদেনের সময় সীমিত এবং অল্পসংখ্যক শাখা খোলা থাকায় এক সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহক। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। সম্ভব হয়নি সামাজিক দূরত্ব মানাও। এ পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন গ্রাহকদের পাশাপাশি ব্যাংককর্মীরাও।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের। এ জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় সবার স্বার্থে সীমিত নয়, স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখা উচিত বলছেন গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা।
মতিঝিলের ডাচ বাংলা ব্যাংকের নজরুল ইসলাম নামে একজন গ্রাহক বললেন, ‘রাস্তায় কয়েক দফায় জবাবদিহি করার পর এই ব্যাংকে এসেছি। জরুরি ভিত্তিতে টাকা পাঠানো প্রয়োজন তাই আসা।’
মতিঝিলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রধান শাখাগুলোর লেনদেনও ছিল স্বাভাবিক। এসব শাখায় গ্রাহকের চাপ ছিল। ব্যাংকাররা জানান, অন্য দিনের চেয়ে চাপ কম। তবে, জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকরা আসছেন। টাকা উত্তোলন, জমা এবং বৈদেশিক লেনদেন সারতেও ব্যাংকমুখী হচ্ছেন গ্রাহকেরা।
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে দেখা গেছে, প্রতিটি কাউন্টারের সামনে গ্রাহকদের লাইন। ব্যবসায়িক খরচ, বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়েছে। লেনদেনের সময় কম থাকার কারণে এই চাপ।
দিলকুশা এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রবিউল ইসলাম জানান, রামপুরা, বাড্ডা এলাকার ব্যাংকের শাখা খোলা নেই। তাই বাধ্য হয়ে দিলকুশা এসেছেন।
রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে টাকা তুলতে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ব্যাংকের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকের ভেতর থেকে বলছে লোক কম তাই সময় বেশি লাগছে।’
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানালেন, রোস্টার করে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। আগে ৪০ জন কর্মী কাজ করত। এখন কাজ করছে ২০ জন। গ্রাহকের চাপ বেশি থাকায় সেবা দিতে একটু সময় লাগছে।
বন্ধ শাখার সামনে গ্রাহকের ক্ষোভ
চার দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার বাড্ডা, রামপুরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে ভিড় করেন গ্রাহক। কিন্তু বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা বন্ধ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
প্রাইম ব্যাংক প্রগতি সরণি শাখায় আসা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, সামনে ঈদ। কর্মীদের বেতন-বোনাস দেবেন কিন্তু এই সপ্তাহেও শাখা খোলা হবে না। এখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না। সেলারি হিসাব হওয়ায় অন্য ব্যাংকেও যাওয়া যাচ্ছে না।
কোন কোন শাখা খোলা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।
অন্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে।
তবে রাজধানী ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো অন্য বড় শহরগুলোতে ব্যাংকের কয়টি শাখা খোলা থাকবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে খোদ ব্যাংকগুলোও।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বলেছে, যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহকদের সেবা দেবে খোলা অন্য শাখা। আর বন্ধ শাখায় দৃশ্যমান স্থানে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানাতে হবে কোন কোন শাখা খোলা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিংয়ে উৎসাহী করছে। কিন্তু বিশেষ করে প্রবীণরা এই ধরনের ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ত নন। আর প্রযুক্তি জ্ঞান যাদের নেই তারাও ব্যাংকে গিয়েই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বিশেষ করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফাসহ বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, রেমিট্যান্স, বেতনভাতা উত্তোলন, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল পরিশোধ বা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এখনও বহু মানুষ ব্যাংকে সশরীরে গিয়েই লেনদেন করেন।
আবার একটি জেলায় যদি বেসরকারি ব্যাংকের সব মিলিয়ে তিনটি শাখা খোলা থাকে, তাহলে কাউকে ব্যাংকে যেতে হলে দূরের উপজেলা থেকে বহু পথ পাড়ি দিতে হতে পারে।
বেসরকারি সিটি ব্যাংক ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে বিধিনিষেধের সময় তাদের কোন কোন শাখা খোলা খাকবে।
ব্র্যাক ব্যাংক ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সারা দেশে তাদের ৮০টি শাখা খোলা আছে। কোন কোন শাখা সেটা বিস্তারিত দেয়া আছে।
ট্রাস্ট ব্যাংকের সব শাখা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যাংক ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে সারা দেশে জোনাল অফিস প্রধানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে।
যা বলছেন ব্যাংকাররা
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার কঠোর লকডাউন ৭ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। গ্রাহকদের স্বার্থে জরুরি সেবার আওতায় সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। ঈদের আগে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে গ্রাহকদের। তারপরও অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম বুথ এবং মোবাইল ব্যাংকিং স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। যাতে গ্রাহকদের কোনো সমস্যা না হয়।
কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রাধানিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সব শাখা অনলাইন সেবা চালু আছে। বিধিনিষেধে মানুষের চলাচলও তেমন থাকবে না। বর্তমানে বেশির ভাগ গ্রাহকই টাকা জমা ও উত্তোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে এটিএম বুথগুলোতে পর্যন্ত টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। এতে গ্রাহকের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার এফ এম মাসুম বলেন, ‘আমাদের লোকাল অফিসে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। আর চার দিন বন্ধের পর সোমবার খুলছে। ফের গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে মানতেও চান না। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।’
জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার কর্মকর্তা এস এম সাদেকুর রহমান বলেন, ‘শাখা খোলা রাখার অর্থ ব্যাংকারদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকও ঝুঁকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে কিছু দিনের জন্য হলেও ব্যাংক বন্ধ রাখাই ভালো ছিল।’
আরও পড়ুন:নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।
বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, সিপিসি-২, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।
এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।
বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।
সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।
প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'
উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।
মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য