রাজধানীর বনশ্রী থেকে রিকশায় প্রাইম ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখায় এসেছেন শফিকুল ইসলাম। জরুরি প্রয়োজনে টাকা তোলা দরকার। কিন্তু ১১টার দিকে এসে দেখেন, ব্যাংকে তালা। ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী জানান, শাটডাউনের কারণে এই শাখার কার্যক্রম বন্ধ।
শাডটাউনের মধ্যে রাজধানীতে মাত্র ৯টি শাখা খোলা রেখেছে প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু এই তথ্য জানেন না অধিকাংশ গ্রাহক। ব্যাংকের গেটে তালিকা দেয়া হলেও, খুদেবার্তা বা অন্য কোনো উপায়ে বিষয়টি গ্রাহককে অবহিত করা হয়নি।
গ্রাহক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শাটডাউনে বনশ্রীর মেরাদিয়া থেকে ৭০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে টাকা তুলতে এসে দেখি, নোটিশ দিয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই শাখা। টাকা প্রয়োজন, তাই এখন গুলশান যেতে হবে।’
একই ব্যাংকে চেক জমা দিতে এসেছেন রিপন মিয়া। বলেন, ব্যস্ততম শাখা সত্ত্বেও এই শাখা বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি। এখন কারওয়ান বাজার শাখায় গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে। তারপরও আজ চেক জমা দেয়া যাবে কি না শঙ্কা আছে।
শুধু প্রাইম ব্যাংকই নয়, সব ব্যাংকেরই সব শাখা খোলা নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ শাখার সামনে গ্রাহকের ভিড় বাড়তে দেখা যায়। অনেকে ব্যাংক বন্ধ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, কোন কোন শাখা খোলা আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। এভাবে ভোগান্তির কোনো মানে হয় না।
ব্যাংক এশিয়ার প্রগতি সরণি শাখা। সেখানেও গ্রাহকের জটলা, কারণ শাখাটি বন্ধ। এই শাখাটির গেটে বন্ধ বা খোলা শাখাগুলোর তালিকাও দেয়া হয়নি। নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে গ্রাহকরা জানতে পারেন, গুলশান শাখা খোলা। তাৎক্ষণিক তারা গুলশানের দিকে যান।
টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর, সকাল থেকে আবারও খুলছে ব্যাংক। তবে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে লেনদেন হচ্ছে সীমিত পরিসরে। অর্থাৎ লেনদেনের সময় কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে করা হয়েছে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
শাটডাউনের সময়টায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারের সঙ্গে রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার ছিল ব্যাংক হলিডে। ফলে সোমবার প্রতিটি শাখার সামনে ছিল ভিড়।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের যেসব শাখা খোলা, সেসব শাখায় গ্রাহকের ভিড়। তবে, স্বাভাবিক দিনের চেয়ে ভিড় ছিল কম।
খোলা শাখায় মানা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
লেনদেনের সময় সীমিত এবং অল্পসংখ্যক শাখা খোলা থাকায় এক সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহক। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। সম্ভব হয়নি সামাজিক দূরত্ব মানাও। এ পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন গ্রাহকদের পাশাপাশি ব্যাংককর্মীরাও।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের। এ জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় সবার স্বার্থে সীমিত নয়, স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখা উচিত বলছেন গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা।
মতিঝিলের ডাচ বাংলা ব্যাংকের নজরুল ইসলাম নামে একজন গ্রাহক বললেন, ‘রাস্তায় কয়েক দফায় জবাবদিহি করার পর এই ব্যাংকে এসেছি। জরুরি ভিত্তিতে টাকা পাঠানো প্রয়োজন তাই আসা।’
মতিঝিলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রধান শাখাগুলোর লেনদেনও ছিল স্বাভাবিক। এসব শাখায় গ্রাহকের চাপ ছিল। ব্যাংকাররা জানান, অন্য দিনের চেয়ে চাপ কম। তবে, জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকরা আসছেন। টাকা উত্তোলন, জমা এবং বৈদেশিক লেনদেন সারতেও ব্যাংকমুখী হচ্ছেন গ্রাহকেরা।
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে দেখা গেছে, প্রতিটি কাউন্টারের সামনে গ্রাহকদের লাইন। ব্যবসায়িক খরচ, বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়েছে। লেনদেনের সময় কম থাকার কারণে এই চাপ।
দিলকুশা এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রবিউল ইসলাম জানান, রামপুরা, বাড্ডা এলাকার ব্যাংকের শাখা খোলা নেই। তাই বাধ্য হয়ে দিলকুশা এসেছেন।
রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে টাকা তুলতে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ব্যাংকের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকের ভেতর থেকে বলছে লোক কম তাই সময় বেশি লাগছে।’
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানালেন, রোস্টার করে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। আগে ৪০ জন কর্মী কাজ করত। এখন কাজ করছে ২০ জন। গ্রাহকের চাপ বেশি থাকায় সেবা দিতে একটু সময় লাগছে।
বন্ধ শাখার সামনে গ্রাহকের ক্ষোভ
চার দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার বাড্ডা, রামপুরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে ভিড় করেন গ্রাহক। কিন্তু বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা বন্ধ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
প্রাইম ব্যাংক প্রগতি সরণি শাখায় আসা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, সামনে ঈদ। কর্মীদের বেতন-বোনাস দেবেন কিন্তু এই সপ্তাহেও শাখা খোলা হবে না। এখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না। সেলারি হিসাব হওয়ায় অন্য ব্যাংকেও যাওয়া যাচ্ছে না।
কোন কোন শাখা খোলা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।
অন্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে।
তবে রাজধানী ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো অন্য বড় শহরগুলোতে ব্যাংকের কয়টি শাখা খোলা থাকবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে খোদ ব্যাংকগুলোও।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেবল বলেছে, যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহকদের সেবা দেবে খোলা অন্য শাখা। আর বন্ধ শাখায় দৃশ্যমান স্থানে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানাতে হবে কোন কোন শাখা খোলা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিংয়ে উৎসাহী করছে। কিন্তু বিশেষ করে প্রবীণরা এই ধরনের ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ত নন। আর প্রযুক্তি জ্ঞান যাদের নেই তারাও ব্যাংকে গিয়েই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বিশেষ করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফাসহ বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, রেমিট্যান্স, বেতনভাতা উত্তোলন, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল পরিশোধ বা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এখনও বহু মানুষ ব্যাংকে সশরীরে গিয়েই লেনদেন করেন।
আবার একটি জেলায় যদি বেসরকারি ব্যাংকের সব মিলিয়ে তিনটি শাখা খোলা থাকে, তাহলে কাউকে ব্যাংকে যেতে হলে দূরের উপজেলা থেকে বহু পথ পাড়ি দিতে হতে পারে।
বেসরকারি সিটি ব্যাংক ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে বিধিনিষেধের সময় তাদের কোন কোন শাখা খোলা খাকবে।
ব্র্যাক ব্যাংক ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সারা দেশে তাদের ৮০টি শাখা খোলা আছে। কোন কোন শাখা সেটা বিস্তারিত দেয়া আছে।
ট্রাস্ট ব্যাংকের সব শাখা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যাংক ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে সারা দেশে জোনাল অফিস প্রধানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে।
যা বলছেন ব্যাংকাররা
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার কঠোর লকডাউন ৭ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। গ্রাহকদের স্বার্থে জরুরি সেবার আওতায় সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। ঈদের আগে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে গ্রাহকদের। তারপরও অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম বুথ এবং মোবাইল ব্যাংকিং স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। যাতে গ্রাহকদের কোনো সমস্যা না হয়।
কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রাধানিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সব শাখা অনলাইন সেবা চালু আছে। বিধিনিষেধে মানুষের চলাচলও তেমন থাকবে না। বর্তমানে বেশির ভাগ গ্রাহকই টাকা জমা ও উত্তোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে এটিএম বুথগুলোতে পর্যন্ত টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। এতে গ্রাহকের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার এফ এম মাসুম বলেন, ‘আমাদের লোকাল অফিসে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। আর চার দিন বন্ধের পর সোমবার খুলছে। ফের গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে মানতেও চান না। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।’
জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার কর্মকর্তা এস এম সাদেকুর রহমান বলেন, ‘শাখা খোলা রাখার অর্থ ব্যাংকারদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকও ঝুঁকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে কিছু দিনের জন্য হলেও ব্যাংক বন্ধ রাখাই ভালো ছিল।’
আরও পড়ুন:রাজশাহীর বাগমারায় ভাড়া বাসায় আটকে রেখে এক মাস ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার রাতে উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার হরিফলার মোড়ের একটি বাসা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার ও এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রাজু হোসেন (২৫) পেশায় চা দোকানি। তিনি তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লার আবদুর রাজ্জাক শাহের ছেলে।
পুলিশ জানায়, অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই তরুণীর বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। ফোনে রাজুর সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ মার্চ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোনে ভুক্তভোগী তরুণীকে তাহেরপুরে নিয়ে আসেন রাজু। পরে তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন রাজু। সেখানে আটকে রেখে এক মাস ধরে রাজু ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে ধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। তিনি থানায় খবর দিলে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকা থেকে রাজুকে আটক করে পুলিশ। রাতেই তরুণী বাদী হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, মেয়েটার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আটক তরুণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারক শপথ গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান। খবর বাসসের
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, শপথ পাঠকারী তিন বিচারপতির পরিবারের সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক ১) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ২) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ৩) বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুরের গাংনীতে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবদুল হান্নান (৭৫) নামের কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিণপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রাণ হারানো আবদুল হান্নান দেবীপুর দক্ষিণপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হিরোক আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে আবদুল হান্নান নিজ গ্রামের মাঠে অবস্থিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি দেবীপুরে নিয়ে আসে।’
বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিদুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি। বতর্মানে মরদেহটি পরিবারের কাছে রয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আগ্রান ঈদগাহ মাঠ এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই ভ্যানের এক যাত্রী।
নিহত মোজাহার আলী একই উপজেলার পারকোল গ্রামের মৃত শাহাদত আলীর ছেলে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলীমুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মোজাহার মারা যান। সেই সাথে ভানযাত্রী মিজান শেখ আহত হন।
তিনি বলেন, পরে স্থানীয়রা আহত মিজানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধকে ‘না’ বলতে বৃহস্পতিবার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”
ভাষণে সব ধরনের যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুধু হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, বিশেষত নারী ও শিশুরা এর বলি হচ্ছে। অথচ আলোচনায় আসতে পারে শান্তি।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে। এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য