করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলা শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সাইবার আক্রমণ যেন চালাতে না পারে সে জন্য বিশেষভাবে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সতর্কবার্তা আসার পর ব্যাংকগুলোও নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।
এমনিতে ব্যাংক খাতে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হলেও শাটডাউনে রোববারও বন্ধ থাকতে প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে তিন দিনের ছুঁটির সুযোগ নিয়ে কেউ যেন অপকর্ম করতে না পারে সে জন্যই সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সবসময় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে এসব বিষয় তদারকি করে। আবার অন্য ব্যাংককে নির্দেশনাও দেয়া হয়। প্রতিটি ব্যাংক নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যাপারে আগের থেকে আরও সতর্ক হয়েছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, সাইবার ঝুঁকি সবসময়ই রয়েছে। ফলে আইটি ব্যবস্থাপনায় কর্মরতদের আরো সতর্ক করতে হবে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো নির্দেশনা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়। এছাড়াও ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা যেন পরিপালন করে সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
‘বিভিন্ন পয়েন্ট যেসব দিয়ে ম্যালওয়ার ঢুকতে পারে, যেসব পয়েন্টে সাইবার হামলা হতে পারে সেসব পয়েন্টে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার চেষ্টা চলছে।’
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক আদেশে বলা হয়, ‘করোনার বিধি নিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এই সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের অনলাইন সিস্টেমস ও ডাটাবেইজের ওপর সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্ক নজরদারি রাখতে হবে।
একই সঙ্গে ই-মেইল, ভুয়া ই-মেইল, র্যানসমওয়্যারের মতো ভাইরাস যাতে কোনো হামলা চালাতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি পরিচালনা করতে হবে।’
এতে আরও বলা হয়, সব পক্ষকে লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণা, সোশ্যাল মিডিয়া, ই-মেইল, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করোনাভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৬২টি ব্যাংক। তার মধ্যে ছোট ও মাঝারি মানের ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক।সাইবার ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বা এই খাতে বিনিয়োগে ছোট এবং মাঝারি মানের ব্যাংকগুলোর তেমন নেই বললেই চলে।
ভয়ংকর ম্যালওয়্যার র্যানসমওয়্যার। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি দপ্তর- সবখানেই এই ম্যালওয়্যার নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক। কখন যেন নিয়ন্ত্রণ চলে যায়, হয়ে যায় সর্বনাশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সতর্ক করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সতর্ক না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিপদ।
ক্ষতিকারক এই ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পেতে করণীয় ঠিক করেছে সার্ট। ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা ৯ পাতার ওই নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, র্যানসমওয়্যার আক্রমণকারীরা আরও অগ্রসর হয়ে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ডাটাকে এমন ভাবে লক্ষ্যবস্তু করে যে, ডাটার তথ্যও এনক্রিপ্ট করে ফেলে, যার ফলে আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ডাটা পুনরুদ্ধার ও সেবা সচল করাও অসম্ভব হয়। এর ফলে বাড়ে আর্থিক ক্ষতি।
সার্ট প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, ‘সারা বিশ্বের লাখ লাখ সার্ভারে হামলা হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান। অন্য হামলার তুলনায় এই হামলায় আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা। এখন তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে আর্থিক ক্ষতির চেষ্টা করবে। ফলে সামনে অর্থ চুরির শঙ্কা রয়েছে’।
রিজার্ভ চুরিতে র্যানসমওয়্যার
বারবার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু কেন্দ্রীয় এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সতর্কতার কারণে তেমন কোনো ক্ষতি সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে যে ম্যালওয়্যার ভাইরাসটি ব্যবহৃত হয়েছিল তার চেয়ে শক্তিশালী ভাইরাস র্যানসমওয়্যার। বাংলাদেশে এর অবস্থান ও সাইবার হামলার চেষ্টা নিয়ে আলোচনাও চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যানসমওয়্যারের আক্রমণের ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক বেশি। এতে প্রতিষ্ঠানের অতি প্রয়োজনীয় ডাটা বা ফাইল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আক্রমণের শিকার প্রতিষ্ঠান হ্যাকারদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ না দিলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। গেল বছর আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় ইউনিভার্সাল হেলথ সার্ভিসে আলোচ্য ভাইরাস দিয়ে হামলা চালানোর ফলে ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়।
প্রতিরোধে করণীয়
সার্ট থেকে তৈরি করা নির্দেশনায় বলা হচ্ছে, ইন্টারনেটের দুর্বলতা ও ভুল কনফিগারেশন, ফিশিং বা ভুয়া মেইল বা ওয়েবসাইট, আগের ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এই ভাইরাসটি সাইবার হামলা চালাতে পারে।
এক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে এ আক্রমণ সম্পর্কে ধারণা তৈরি ও সাইবার সুরক্ষা সচেতনতা প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কোনে তথ্য সংবেদনশীর সেটা চিহ্নিত করতে হবে। কখন, কোথায়, কেন এবং কীভাবে সংবেদনশীল তথ্য বিনিময় করা যাবে সে সম্পর্কে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সাইবার আক্রমণকারীরা তাদের টার্গেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ফিশিং ই-মেইল ক্যাম্পেইন এবং সোশ্যালি ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল প্রয়োগ করে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে তাদের ফিশিং ইমেইলে ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন বা লিংক এ ক্লিক করতে প্ররোচিত করে।
ব্যবহারকারী যেন অযাচিত বা সন্দেহজনক ঠিকানা থেকে পাঠানো ই-মেইল লিংক, ফাইল বা সংযুক্তিতে ক্লিক না করে এবং এ ধরনের ফিশিং চেষ্টা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষা টিমকে অবহিত করতে পারে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা
অপ্রয়োজনীয় ওএস সেবা ও নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সার্ট। বলা হচ্ছে, অ্যন্টি ভাইরাস বা অ্যান্টি ম্যালওয়্যার ব্যবহার করতে হবে এবং সর্বদা এগুলো হালনাগাদ করতে হবে। নিয়মিত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও নিরাপত্তা হালনাগাদ করতে হবে।
সাইবার সুরক্ষা উন্নয়নে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা উচিত। সংবেদনশীল এবং ক্রিটিকাল নেটওয়ার্ক আলাদা করতে হবে। যাতে এক নেটওয়ার্কে সমস্যা হলে অন্য নেটওয়ার্কে পরিচালনা করা যায়। স্প্যাম এবং ফিশিং ই-মেইল ব্লক করার জন্য নেটওয়ার্কে শক্তিশালী ই-মেইল ফিল্টারিং সিস্টেম ইনস্টল করতে হবে।
সাইবার অডিট জরুরি
সার্ট বলছে, তৃতীয় পক্ষ সেবাদানকারী যাতে প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জালিয়াতি না করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কে সেবাদানকারী তৃতীয় পক্ষের অ্যাকাউন্টস, রোলস ও প্রিভিলেজ নিয়মিত অডিট করতে হবে। কোনো শেয়ার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে না। তৃতীয় পক্ষ যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবা দান করে সেক্ষেত্রে যতটুকু সময দরকার ঠিক ততটুকু অ্যাক্সেস দিতে হবে।
ব্যাকআপ পর্যায়ে প্রতিরোধ
ডেটা প্রতিদিন ব্যাকআপ নেবার বিকল্প নেই। কমপক্ষে তিনটি ব্যাকআপ কপি রাখতে পরামর্শ দিয়েছে সার্ট। এর মধ্যে দুইটি ব্যাকআপ কপি দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্টোরেজে মিডিয়ায় থাকতে পারে। তৃতীয় ব্যাকআপ কপি অফ-লাইন আ অফ-সাইটে থাকতে পারে।
সংক্রমিত কম্পিউটার অবিলম্বে বন্ধ, নেটওয়ার্ক সংযোগ বিছিন্ন, প্রতিষ্ঠানের কার্যকরি নেটওয়ার্ক সাময়িক বিছিন্ন, শেয়ার ডিভাইস ডিজেবল করা উচিত। সংক্রণের প্রকার ও সংখ্যা নির্ধারণ করে ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। যাতে সংক্রমিত ডিভাইসগুলোর পাশাপাশি কী ধরণের ডেটা এনক্রিপ্ট হয়েছে সেটি নির্ধারণ করা যায়। ব্যাকআপ থেকে প্রতিষ্ঠানের ফাইল বা নথি পুনুরুদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কাজ ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে সব পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার পরামর্শ দিচ্ছে সার্ট।
হাফনিয়ামের ও ক্যাসাব্লাংকা
চলতি বছরের ২ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালায় হাফনিয়াম নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয় এই হ্যাকার গোষ্ঠী। নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম থেকে মনিটর করার সময় এই হামলার বিষয়টি শনাক্ত হয়।
১৭ ফ্রেব্রুয়ারি বিজিডি ই গভ সার্ট ওয়েবসাইটে ‘ক্যাসাব্লাংকা’ নামে একটি থ্রেট অ্যাকটর গ্রুপের কাছ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল। তখন সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
গত বছরের আগস্টেও একই রকম একটি সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা করছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখনও সতর্ক করে দেয়া হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।
নভেম্বর মাসে আবার একটি হামলার আশঙ্কা করা হয়।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য