× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
সরকারের খরচ কমাচ্ছে নগদ
google_news print-icon

সরকারের খরচ কমাচ্ছে ‘নগদ’

সরকারের-খরচ-কমাচ্ছে-নগদ
তিন মাসে চার প্রান্তিকের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা ‘নগদ’এর মাধ্যমে বিতরণ সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ৩০০ কারিগরি ও মাদ্রাসা এবং আট হাজার শিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্রকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার সরকারি সহায়তাও দেয়া হয়েছে ‘নগদ’ এর মাধ্যমে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪০ লাখ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ করছে বেসরকারি এমএফএস অপারেটর বিকাশ। নগদ আসার আগে এ ধরনের উপবৃত্তির টাকা পাঠাতে সরকারের খরচ হতো প্রতি হাজারে ২২ টাকা, এখন সেখানে খরচ হচ্ছে মাত্র ৭ টাকা।

শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি অর্থ প্রদান, শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা বা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি- ভিজিএফ এর মতো জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্যক্রম এখন মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রের এ ধরনের জনকল্যাণমুখী আর্থিক সেবা (​এমএফএস) কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসায় একদিকে সরকারের ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে, অন্যদিকে সার্বিক কার্যক্রমে লেগেছে স্বচ্ছতার ছোঁয়া। যা আগে ভাবাও যেতো না।

‘ভাতা বিতরণে ডিজিটাল প্রযুক্তি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ এই দাবি করা হয়েছে।

শনিবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সরকারের ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক কর্মকাণ্ডে এখন যুক্ত হয়েছে ডাক বিভাগের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এমএফএস অপারেটর ‘নগদ’। এই সার্ভিসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের মায়ের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হয়েছে। এতে প্রাথমিকের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা বিতরণ করা হয়েছে নগদের মাধ্যমে।

এ প্রক্রিয়ায় মাত্র তিন মাসে চার প্রান্তিকের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা ‘নগদ’এর মাধ্যমে বিতরণ সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ৩০০ কারিগরি ও মাদ্রাসা এবং আট হাজার শিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্রকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার সরকারি সহায়তাও দেয়া হয়েছে ‘নগদ’ এর মাধ্যমে।

মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪০ লাখ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ করছে বেসরকারি এমএফএস অপারেটর বিকাশ।

নগদ আসার আগে এ ধরনের উপবৃত্তির টাকা পাঠাতে সরকারের খরচ হতো প্রতি হাজারে ২২ টাকা, এখন সেখানে খরচ হচ্ছে মাত্র ৭ টাকা।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি- ভিজিএফ বিতরণের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমেও যুক্ত হয়েও সরকারকে সফলতার মুখ দেখিয়েছে ‘নগদ’।

উদাহরণ টেনে বলা হয়, গত বছর প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবারকে ঈদ উপহার পাঠাতে চাইলেও এই উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৪ লাখ। এক্ষেত্রে উপহার না পাওয়া অবশিষ্ট ১৬ লাখ মানুষের নাম-ঠিকানার হিসাব পাওয়া গেছে ভুয়া। এতে সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৩৮৫ কোটি টাকা।

সরকারের সেবা কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশনের কারণেই এই ভুয়া হিসাব শনাক্ত এবং সরকারের অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

সরকারের খরচ কমাচ্ছে ‘নগদ’
‘ভাতা বিতরণে ডিজিটাল প্রযুক্তি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ‘নগদ’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবীর।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল দেশ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এটা সহজ হয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবা (এমএফএস) পৌঁছে দিতে পারার কারণে।

‘এমনকি যারা হতদরিদ্র ও ডিজিটাল শব্দও বুঝে না এমএফএস সেবাদাতারা তাদের কাছেও সেবা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে। বিশ্বের অনেক দেশই এই সার্ভিসটিকে এতটা জনপ্রিয় করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সফল, এখন আমাদের লক্ষ্য হলো পুরো আর্থিক সিস্টেমটাকে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে নিয়ে যাওয়া।

‘মানুষের জীবনকে আরও সহজলভ্য করতে প্রকৃত এমএফএসদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতাও দরকার হবে।’

মন্ত্রী উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘এমএফএসসহ সেবা সহ সার্বিক আর্থিক কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশন আনতে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার দরকার হবে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন চলতি বছরের মধ্যেই এই উচ্চগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসবে।’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে খ্যাতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এই করোনার মধ্যেও ডিজিটালাইজেশনের সুফল পাচ্ছে দেশ।

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বয়ষ্কভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রদানসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রায় এক কোটি ভাতাভোগীকে ভাতা প্রদানে সক্ষম হয়েছে।’

স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভাতা দেয়া হয়েছে জানিয়ে ‘নগদ’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘এমএফএসে ভাতা দেয়ার মাধ্যমে সঠিক ব্যক্তির কাছে ভাতা দেয়া সম্ভব হয়েছে। এর ফলে সরকারের অনেক টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি জানান, গত এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’ সরকারের হয়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে ৭ কোটিবার বিভিন্ন ভাতা ও সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।

এক্ষেত্রে যাদের ভুয়া ঠিকানা ছিল বা এনআইডি ম্যাচ করেনি তারা পায়নি। নগদ প্রতিটি মানুষের ডেটা যাচাই করে সঠিক মানুষকে টাকা পৌঁছে দিয়েছে। এতে প্রকৃত লোক যেমন ভাতা পেয়েছে, একইভাবে এতে সরকারেরও সাশ্রয় হয়েছে বিরাট অঙ্কের টাকা।

বিশ্বের অনেক দেশই ক্যাশলেস সোসাইটিতে পরিণত হয়েছে জানিয়ে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘আমরাও তেমনটিই হতে চাই। এর জন্য দরকার ইন্টার-​অপারেবিলিটি নিশ্চিত করা। এটা করা গেলে বাংলাদেশকেও ডিজিটাল ক্যাশলেস সোসাইটিতে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন:
‘নগদ’-এ আড়াই কোটি মানুষকে ৭ কোটিবার ভাতা
আরও ৩ মাস সময় পেল নগদ
‘নগদ’-এর লাইসেন্স: আরও সময় চায় ডাক বিভাগ
মোবাইল ব্যাংকিং: আঞ্চলিক রোল মডেল ‘নগদ’
‘নগদ’ এর অভিযোগে তিন ‘প্রতারক’ গ্রেপ্তার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The High Court wants the names of the Rohingyas in the voter list

ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের নাম চায় হাইকোর্ট

ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের নাম চায় হাইকোর্ট ফাইল ছবি
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

তদন্তে প্রমাণিত ৩৫ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে- তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। খবর বাসসের

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কিছু ক্ষমতাধর কথিত জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাদেরকে জাল ঠিকানা, ভুয়া বাবা-মা সাজিয়ে ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডিসহ দেশের নাগরিকত্ব দিতে সরাসরি সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ওই ইউনিয়নে অন্তত ৩৭০ জন রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি দেয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে বিবাদীদের প্রতি অভিযোগ দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।

আইনজীবী আরও জানান, এতে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িতদের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দেয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র বাতিল করে তাদের নাম ভোটার তালিকে থেকে বাদ দেয়ার জন্য জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এসব রোহিঙ্গাদের ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাইকোর্টে রিট করেন।

শুনানি শেষে বিবাদীদের প্রতি চার সপ্তাহের রুল জারি করে ভোটার তালিকা থেকে তদন্তে প্রমাণিত রোহিঙ্গাদের নাম বাদ এবং আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে- তা তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আজ উচ্চ আদালত।

রিটে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Appointment of 3 Judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারক নিয়োগ

আপিল বিভাগে ৩ বিচারক নিয়োগ ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করা হয়েছে। খবর বাসসের

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ হলেন-বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Munshiganj district administration in the field with water umbrella in summer

গরমে পানি ছাতা নিয়ে মাঠে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন

গরমে পানি ছাতা নিয়ে মাঠে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন মুন্সীগঞ্জের জনবহুল স্থানগুলোতে খোলা হয়েছে সুপেয় পানির বুথ, যেখান থেকে পথচারীসহ সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে পানি ও স্যালাইন পান করতে পারছেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিসি আবু জাফর রিপন জানান, জেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভাসহ শতাধিক স্থানে জনসচেতনতার অংশ হিসেবে বসানো হচ্ছে বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ও ছাতা নেয়া যাবে।

তীব্র গরমে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে মাঠে নেমেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

জেলার জনবহুল স্থানগুলোতে খোলা হয়েছে সুপেয় পানির বুথ, যেখান থেকে পথচারীসহ সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে পানি ও স্যালাইন পান করতে পারছেন। একই সঙ্গে বুথ থেকে নিম্ন আয়ের শ্রমিক-কর্মজীবীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে ছাতা।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর রিপন বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগের সুফল পাওয়া লোকজন জানিয়েছেন তাদের স্বস্তির কথা।

এ বিষয়ে ডিসি আবু জাফর রিপন জানান, জেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভাসহ শতাধিক স্থানে জনসচেতনতার অংশ হিসেবে বসানো হচ্ছে বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ও ছাতা নেয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য সচেতনতায় জেলার সর্বত্র করা হচ্ছে মাইকিং। যতদিন অসহ্য দাবদাহ থাকবে, এ কার্যক্রম ততদিন চলবে।

কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিফা খানসহ জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

একই দিন মুন্সীগঞ্জ সেবা কেন্দ্র নামের একটি বেসরকারি সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পুরাতন কাচারি এলাকায় বিনা মূল্যে শরবত বিতরণ করে পথচারীদের কাছে।

আরও পড়ুন:
এইচএসসি পরীক্ষা: ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ
ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি  
মুন্সীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত পথচারী
শ্রীনগরে আগুনে পুড়ল পাঁচ ঘর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Myanmar bullets fell in Teknaf

মিয়ানমারের গুলির খোসা পড়ল টেকনাফে

মিয়ানমারের গুলির খোসা পড়ল টেকনাফে ফাইল ছবি
হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, রাতে মিয়ানমারের ওপারে চলা গোলাগুলির শব্দে ভয়ে লবণচাষিরা ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘরে থাকতে পারিনি। রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।

মিয়ানমারে জান্তাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার কক্সবাজারের টেকনাফে একটি গুলির খোসা এসে পড়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার জাদিমুড়া সিআইসি অফিসের জানালায় এসে পড়ে ওই গুলির খোসা। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি আহমদ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি থেকে এপারের ক্যাম্প-২৭ সিআইসি অফিসের জানালায় একটি গুলির খোসা এসে পড়ে ছিদ্র হয়ে যায়।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, রাতে মিয়ানমারের ওপারে চলা গোলাগুলির শব্দে ভয়ে লবণচাষিরা ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘরে থাকতে পারিনি। রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তার সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ঘুমধুম-উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসে পড়ে মর্টারশেল ও গুলি। এ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে।

বেশ কিছুদিন মিয়ানমার থেকে কোনো গুলি বা মর্টারশেল দেশে না এসে পড়লেও ওপারের শব্দ আসছে এপারে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে আশ্রয় নেন বাংলাদেশে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Relatives of Minister MPs do not simplify the system from the upazila elections Kader

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে  নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।’

উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।

‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’

চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’

বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।

‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Water is not rising in the tubewell in Meherpur amid the fire

দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না মেহেরপুরে

দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না মেহেরপুরে ১৫ থেকে ১৬ বার টিউবওয়েল চাপার পরেও মিলছে না এক গ্লাস পানি। ছবি: নিউজবাংলা
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির স্তর প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া যেত। অথচ এখন পানির জন্য যেতে হয় ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে।

ছিয়াত্তর বছর বয়সী আবদুর রহিম স্ত্রীকে হারিয়েছেন দেড় যুগ আগে। পরিবারের সদস্য বলতে এক ছেলে, তাও থাকেন প্রবাসে। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর অন্য ঘরে চলে গেছেন ছেলের বৌও। তাই রান্না-বান্না থেকে শুরু করে সব কিছুই করতে হয় নিজেকে।

জীবন যুদ্ধে তিনি কখনও দমে যাননি, তবে এবার হার মেনেছেন টিউবওয়েলের পানির কাছে। ১৫ থেকে ১৬ বার টিউবওয়েল চাপার পরেও মিলছে না এক গ্লাস পানি। তাই পানি সংকটের কারণে গোসল থেকে শুরু করে গৃহস্থালির সব কাজ হচ্ছে ব্যাহত।

তাই অধিকাংশ সময় বাড়ির পাশে থাকা মসজিদে গিয়ে পানির চাহিদা পূরণ করছেন আবদুর রহিম।

এদিকে গৃহবধূ ছানোয়ারা খাতুন গৃহস্থালির সব কাজ করেন একাই। বাড়িতে রয়েছে তিনটি গাভি ও চারটি ছাগল। এর মধ্যেই আজ সপ্তাহ দুয়েক ধরে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। খাওয়া থেকে ওজু, গোসল সব কিছুতেই বেগ পেতে হচ্ছে পানি সংকটের কারণে।

ছানোয়ারা খাতুন জানান, তীব্র তাপদাহের মধ্যে আজ সপ্তাহখানেক ধরে বাড়িতে থাকা গরুর গোসল করাতে পারেননি তিনি, তবে নিজে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে গোসল করে আসেন।

মেহেরপুরের গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের হস্তচালিত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে পানির সংকট এখন চরমে পৌঁছেছে। একদিকে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বোরো চাষে পানির সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা সুপেয় পানির সংকটের কথা জানান। বিশেষ করে মুজিবনগর উপজেলার, জয়পুর, আমদহ, তারানগর, বিশ্বনাথপুর; সদর উপজেলার শালিকা, আশরাফপুর, আমদাহ, বুড়িপোতা, আলমপুর এবং গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল, মানিকদিয়া, কেশবনগর, শিমুলতলা, রইয়েরকান্দি, সহড়াবাড়িয়া, মিনাপাড়া, ভোলাডাঙ্গা, কুমারীডাঙ্গা কাথুলি ইউনিয়নের গাঁড়াবাড়িয়া, ধলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চলতি শুষ্ক মৌসুম শুরু থেকেই সুপেয় পানির সংকট প্রকট হচ্ছে।

দীর্ঘ সময় ধরে অনাবৃষ্টি, ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা, এবং পুকুর-খাল-বিল ভরাটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। আগামীতে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলেও জানান তারা।

গ্রামবাসীরা বলছেন, গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই এবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অথচ গ্রামে সুপেয় পানির জন্য নলকূপই শেষ ভরসা।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির স্তর প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া যেত। অথচ এখন পানির জন্য যেতে হয় ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক বছরে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর ১০ থেকে ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে হস্তচালিত অনেক টিউবওয়েল। যেখানে আগে ভূগর্ভের ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীরতা থেকেই পাওয়া যেত সুপেয় পানি। গত এক দশকে ক্রমেই পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।

জেলায় গভীর-অগভীর মিলিয়ে ৯ হাজার ৯১৩টি নলকূপ আছে। এর মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ২ হাজার ২৩৯টি।

গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মতিন বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা দিয়ে বেড়াই। আজ ১০ দিন ধরে আমার বাড়ির নলকূপে পানি উঠছে না। রোদের মধ‍্যে সারা দিন গ্রাম গ্রাম ঘুরে বাড়ি এসে যদি পানি না পাই তাহলে কেমন লাগে? আমি তাই মসজিদের নলকূপে গিয়ে গোসল সেরে আসি।’

একই এলাকার দিনমজুর সিরাজ বলেন, ‘আমি সারা দিন মাঠে কাজ করি। বাড়িতে দুটি গরুও পালন করি অথচ গরু দুটি আজ কয়দিন গা ধোয়াতে পারিনি। আবার মাঠে এক বিঘা ধানের আবাদ আছে, তাতে সেচ দিতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে। যেখানে দুই ঘণ্টা মেশিনে পানি দিলে হয়ে যেতো। সেখানে এখন চারটা ঘণ্টা পানি দিয়েও হচ্ছে না।’

এ অঞ্চলের আবহাওয়া নির্ণয়কারী চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গাসহ এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এখানে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে আপাতত আজকে বৃষ্টির সম্ভবনা নেই।’

মেহেরপুরের জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন জানান, সুপেয় পানির সমস্যা নিরূপণে যেসব এলাকায় সংকট সেখানে ১০টি বাড়িকে কেন্দ্র করে একটি ৯০০ ফুট গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এসব এলাকায় ৫০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে, তবে অতিবৃষ্টি ও পানির অপচয় রোধ করা না গেলে পানি সংকটের সমাধান মিলবে না।

আরও পড়ুন:
লিচুর গায়ে তাপের ক্ষত
তীব্র তাপদাহে নওগাঁয় আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা
তীব্র তাপদাহে ইউরোপ
নলকূপে পানি নেই, বরিশাল নগরীতে হাহাকার
রানী পেলেন নলকূপ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tribute to memorial on 11th anniversary of Rana Plaza tragedy

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।

ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।

একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ
সাভারে গোডাউন খুলতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ তিন
টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

p
উপরে