× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বিবিএসের আলস্যে বঞ্চিত নতুন আড়াই কোটি দরিদ্র
google_news print-icon

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র

বিবিএসের-আলস্যে-বঞ্চিত-নতুন-আড়াই-কোটি-দরিদ্র
করোনাকালে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমায় ঢুকেছে বলে সীমিত আকারে গবেষণার ভিত্তিতে জানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে অর্থমন্ত্রী এই তথ্য আমলে না নিয়ে করোনা আসার আগে পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সহায়তার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। এতে বঞ্চিত হয়েছে ‘নতুন দরিদ্ররা’। এদের বিষয়ে তথ্য পরিসংখ্যান দেয়ার দায়িত্ব ছিল বিবিএসের। কিন্তু তারা এই জরিপ করেইনি।

নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য চেয়ে ফোন করে যে হয়রানির মুখে পড়েছেন, তাতে করোনার কারণে মানুষ কীভাবে বিপাকে পড়েছে তার একটি চিত্র উঠে এসেছে।

মানুষটির সহায়তা চাওয়ার কোনো কারণ ছিল না, কিন্তু মহামারিতে আয়ের সুযোগ হারিয়ে তিনি বাধ্য হয়েছেন হাত পাততে।

করোনাকালে এই ফরিদ আহমেদের মতো কত লাখ বা কোটি মানুষের সরকারি সহায়তা প্রয়োজন, আসলে সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই। কারণ, পরিসংখ্যান ব্যুরো সেটি সরকারকে জানাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আর করোনাকালে সহায়তা বা ত্রাণের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার পুরোটাই করা হয়েছে করোনা আসার আগের পরিসংখ্যানের ওপর ভর করে। এতে সামাজিক নিরাপত্তা বা সহায়তার যে হাত বাড়িয়েছে, তাতে এই নতুন দরিদ্ররা বাদ পড়েছেন।

সরকার এই তালিকা কোথায় পাবে, এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, জনগণের করের টাকায় একটি সংস্থা আছে, যাদের দায়িত্ব ছিল এই পরিসংখ্যান বের করা, নতুন করে কাদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর সহায়তায় আনা দরকার, সেই তালিকা দেয়া।

কিন্তু সেই সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরো করোনার সোয়া এক বছরেও তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। ফলে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা যে নতুন আড়াই কোটি দরিদ্রের কথা তুলছে, সেটি সঠিক নাকি সংখ্যাটি আরও বেশি বা কম, তা জানাই গেল না।

এরই মধ্যে করোনার প্রকোপ বাড়ায় নতুন করে আবারও দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার গবেষণা বলছে, এই সংখ্যাটি কয়েক কোটি, যারা নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় ঢুকেছেন। তবে অর্থমন্ত্রী আবার সেই পরিসংখ্যান নিতে নারাজ।

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
নারায়ণগঞ্জের এই ফরিদ আহমেদের জীবনের কাহিনি না জেনেই তাকে সম্পদশালী ভেবে ১০০ জনকে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য করেছেন ইউএনও। ফাইল ছবি

কী করেছে বিবিএস

করোনার শুরুতে গত বছর মাত্র ২০০০ ব্যক্তির ফোনকলের জরিপেই দায়িত্ব শেষ করেছে সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

২০২০ সালের ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর এই জরিপ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়, করোনার কারণে নেয়া লকডাউনের শুরুতে মানুষের আয় কমেছিল ২০ শতাংশ।

কিন্তু একেবারে সীমিত পরিসরে সেই জরিপ ছাড়া বড় ধরনের আর কোনো গবেষণাই করেনি বিবিএস। অথচ এই গবেষণাটি করোনাকালে বাজেট প্রণয়ন, সহায়তা পরিকল্পনা, ত্রাণ তৎপরতার জন্য ছিল জরুরি।

সরকার এসব সহায়তার জন্য যে পরিকল্পনা করেছে, তা বিবিএসের করোনা আসার আগের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এতে করে বাদ পড়ে গেছেন নতুন করে বিপাকে পড়া কোটি মানুষ।

অথচ বিবিএসের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ করার দায়িত্ব। কেবল করোনার সোয়া এক বছরে নয়, গত পাঁচ বছরেই তারা এই দায়িত্বটি পালন করেনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালীন নতুন দরিদ্র বা কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো ডাটা নেই। কোনো সার্ভে করা হয়নি। তবে সামনে শুরু করব।’

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
রাজধানীর মিরপুরে ত্রাণ বিতরণের সময়। ফাইল ছবি

অন্য দেশে এ ধরনের জরিপ করা হলেও বিবিএস কেন করেনি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘করি নাই কেন এ প্রশ্নের জবাব দেয়া তো মুশকিল। যেটা করা হয়নি সেটা বড় কথা না। সরকারি প্রতিষ্ঠান চাইলেই যখন তখন কোনো একটা সার্ভে করতে পারে না।’

তার দাবি, জরিপ করলেও নতুন দরিদ্রদের বিষয়টি সেভাবে ফুটে উঠত না গবেষণায়। তিনি বলেন, ‘নতুন দরিদ্র কোনো স্টেবল বিষয় না। কোনো জরিপে ফল প্রকাশ পেতে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে। এক মাস যদি লকডাউন বাড়ে, তবে দেখা যাবে আজ কোনো জরিপ করলাম, রেজাল্ট বের হতে এক মাস সময় লাগে, তা ইনভেলিড হয়ে গেছে।’

বিভিন্ন গবেষণা যা বলছে

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) গত ২০ এপ্রিল একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দাবি করে, করোনায় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। ফলে দেশে এখন দারিদ্র্যের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখনও বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ওই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছিল। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন সেই ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।

তবে এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এর নমুনার আকার আর জরিপপদ্ধতি। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে তিন পর্বে টেলিফোনে কেবল ছয় হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছে সংস্থা দুটি।

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবন

এর আগে গত জানুয়ারিতে গবেষণা সংস্থা সানেমের দারিদ্র্য ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব শীর্ষক জরিপে বলা হয়, করোনার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার পোভার্টি রেট) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে অতি দরিদ্র ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দেশব্যাপী খানা পর্যায়ের জরিপের উপর ভিত্তি করে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

অপর গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে গত এপ্রিলে বলা হয়, মহামারিতে দেশে মোট শ্রমশক্তির তিন শতাংশেরও বেশি লোক কর্ম হারিয়েছেন এবং প্রায় দেড় কোটি লোক মহামারির প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। সস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সাল শেষ হতে হতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তবে বেসরকারি কোনো সংস্থার তথ্যই মানতে নারাজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ৯ জুন অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আড়াই কোটি মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার যে দাবি করেছে দুটি সংস্থা, তা অযৌক্তিক। এই পরিসংখ্যান তিনি স্বীকার করি না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় নতুন গরিবদের নিয়ে সরকারি সংস্থা বিআইডিএস ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কাজ করছে। এসব সংস্থার কাজ শেষে জানা যাবে সঠিক তথ্য। এর বাইরে অন্য সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্য আমি গ্রহণ করতে পারি না।’

সরকারি একটি সংস্থাও জেনেছে বহুমাত্রিক দরিদ্র সাড়ে ৬ কোটি

সরকারি সংস্থা পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ-জিইডি একটি গবেষণা করেছে, যেটির ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে একটি গণমাধ্যম সেই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশের ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার।

২০২১ সালে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখে। এ হিসাবে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সংখ্যা ৬ কোটি ৫১ লাখে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), ইউনিসেফ এবং অক্সফোর্ড প্রভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ওপিএইচআই) গবেষণায় সহযোগী হিসাবে ছিল।

সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠান করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা ছিল। তা আর প্রকাশ করা হয়নি।

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
খুলনায় করোনার মধ্যে বিতরণ করা হয় ত্রাণ

এ বিষয়ে জিইডির সদস্য (সিনিয়র) সচিব ড. শামসুল আলম নিউজ বাংলাকে বলেন, এ গবেষণার ফল প্রাকশ করা হয়নি। ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। এখনি এটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না, বলাটা ঠিক নয়। এটা এখনো শেষ হয়নি। এটা গৃহীত হয়নি সরকার কর্তৃক।’

কী বলছেন সংশ্লিষ্টরা

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার জরিপে হয়ত কিছু ভুল থাকতে পারে। তবে সরকারের উচিত ছিল এ নিয়ে বড় ধরনের কাজ করা। যেহেতু তারা করেনি, তাই যারা করেছে তা মেনে নিতে হবে।

‘সরকারের বিবিএসও তো শুরুতে ছোট সার্ভে করে বলেছিল দারিদ্র্য বেড়েছে। করোনায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক চিত্রে বড় কোনো পরিবর্তন তো আসেনি। তাই দরিদ্রের অবস্থা আবার ভালো হয়েছে সে রকম বলার কোনো কারণ নেই।’

জিইডি সদস্য শামসুল আলম বলেন, ‘নতুন দরিদ্রদের নিয়ে সরকারি কোনো ফাইন্ডিংস না থাকলেও সরকার এটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এবার হয়ত কোভিডের নতুন বাস্তবতায় বেশি সংখ্যক গরিব হয়েছে। তবে গরিব যখন হয় তা গরিবই। সব গরিবের ব্যাথা ও যন্ত্রণা একই রকম।’

তবে দরিদ্র্যসীমার নিচে মেনে যাওয়াকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের সংকটকালে হঠাৎ করে নিচে নেমে যাওয়া, এটা তো নতুন কোনো ব্যাপার না। যেমন আইলার মতো বন্যা বা ঘুর্ণিঝড় হয় হয় যে বছর, যে বছর খরা হয়, সে বছর নতুন করে কিছু মানুষ দরিদ্র হয়। দরিদ্র একটি নির্দিষ্ট বা স্থির সংখ্যা নয়, এটি গতিশীল সংখ্যা। প্রত্যেক বছর কিছু নতুন দরিদ্র হয়, কিছু নতুন ধনী হয়।’

আরও পড়ুন:
বিশুদ্ধ বিবিএস চায় সরকার
ভর্তির রেকর্ড বুঝিয়ে না দেয়া সেই দুই কর্মচারীকে নোটিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
There will be no discrimination between the nation and the tribe in Bangladesh the army chief

বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্যে উৎসবে আমন্ত্রণের জন্য সেনাপ্রধান আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। শত বছর ধরে এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি, উপজাতি সবাই মিলে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এই দেশ সবার। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। এখানে কোনো ধর্ম, জাতি বা গোত্রের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশের প্রতিটি বিষয়ে আমাদের সমান অধিকার। সেইভাবেই আমরা সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।’

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে— আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখব এবং সবাই মিলে শান্তিতে বসবাস করব। সারা বাংলাদেশে স্বশস্ত্র বাহিনী মোতায়েত রয়েছে। আমরা সব সময় জনগণের পাশে থাকব এবং এক হয়ে আপনাদের সাথে কাজ করে যাব।’

তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন এবং আপনারা আপনারা ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করব।’

সেনাপ্রধান আশাপ্রকাশ করেন, ‘জন্মাষ্টমীর এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এই আদর্শের ভিত্তিতেই আমরা একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব।’

মন্তব্য

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের কালোর ও জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন সীমান্তবর্তি ভন্দুরচর গ্রামে পরিকল্পিত ভাবে একই পরিবারের তিনজনক হত্যা করা হয় গত ২৪জুলাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬জুলাই শনিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে এই কর্মসূচি করা হয়। রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করে স্বজন ও এলাকাবাসী। এসময় বক্তব্য রাখেন, ওয়াজেদ আলী,ইকতার হোসেন, আনোয়ার হোসেন,নিহত বুলু মিয়ার স্ত্রী আসকেতারা বেওয়া,কন্যা শাপলা বেগম,ফুলবাবুর স্ত্রী ফুলোরানী বেওয়া এবং নুরুল আমিনের স্ত্রী আনজু আরা বেওয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য,গত ১৯ জুলাই ভন্দুর চরের রাজু আহমেদের গরু প্রতিবেশি শাহজামালের বীজতলার ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজামালের লোকজন গরু বেঁধে রাখতে বলে। এরই জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ২০/২৫জনের একটি দল শাহজামালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মহিলাদেরকে মারধর করে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ২০জুলাই আহত নুরজাহান বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে বাদীপক্ষকে মীমাংসা করে নিতে বলে পুলিশ। থানায় অভিযোগ দেবার জের ধরে গত ২৪জুলাই আবারও রাজু আহমেদের গ্রপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ শাহজামালদের উপর। দিনদুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করে। নিহতরা হলেন,শাহজামালের দুই ভাই ফুলবাবু,বুলু মিয়া এবং ভাতিজা নুরুল আমিন। উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়। এই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী রৌমারী থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।

পরে শাহজামাল বাদী হয়ে ২৪জুলাই ৩৪জনের নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮জনকে গ্রেফতার করেছে।

এই বিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
People go abroad to seek treatment with disturbance and innocent Asif Nazrul

মানুষ বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল

মানুষ বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল

প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনাদের মতে চিকিৎসা খাতে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটা বাজার আছে। এই বাজার আপনারা নিতে পারেন না? কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনও ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। তাদের যাওয়া বন্ধ করেন। এখানে সেবা দিলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না। যাওয়ার কোনও কারণই নাই। এই বাজার দখল করলে আপনাদের লাভ, দেশেরও লাভ।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। আমার বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, গরিব ছেলে, ঢাকার একটি হাসপাতালে ১৪টি টেস্ট দিয়েছে। সে রাগ করে বাড়ি চলে গেছে। সেখান থেকে টেস্ট ছাড়া ভালো হয়ে ফেরত এসেছে। ওখানে তার পরিচিত ডাক্তার ছিল। এই অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টা টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। আরেকটা বিষয় হলো, নির্দিষ্ট ওষুধ কিনতে হবে, কেন? পৃথিবীতে কোন জায়গায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে ডাক্তারের। আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, এ দেশের বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যসত্ত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের!

আইন উপদেষ্টা বলেন, আরেকটা অভিযোগ করা হয়, টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অনেক জায়গায় অনেক ভালো রেজাল্ট হয়, আমি খারাপ জায়গার কথা বলছি। একটা জেনারেল কমপ্লেইন যেটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক লাগে, নার্সদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের মন খারাপ থাকে, হাসপাতালের কর্মচারীদের মন খারাপ থাকে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, ভালো সেবা দিতে চায় না। কেন চায় না– নার্সদের বেতন ১২ হাজার টাকা, আপনারা কি কম টাকা লাভ করেন? আপনারা যারা অনেকে হাসপাতালের মালিক আছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, আপনাদের কোটি টাকার বাগানবাড়ি থাকতে পারে, নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারেন না? নার্স যদি ১২ হাজার টাকা বেতন পায়, তাহলে কি ভালো সেবা দেবে? সে তো বিরক্ত হয়ে থাকবে। আপনারা লাভ করেন কিন্তু ন্যায্যভাবে করেন।

তিনি বলেন, আজ মানুষ ভারত-থাইল্যান্ড যেতে চায় না। আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আপনারা করোনাকালে প্রমাণ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেবা দিয়েছেন। কর্মীর যদি বেতন বাড়িয়ে দেন সামান্য লাভ থেকে কতো টাকা চলে যাবে? যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন, তাহলে ১০ শতাংশ কম লাভ হয়। ১০ শতাংশ কম লাভের বিনিময় সেই কর্মী যে সেবা দেবে সেটা দিয়ে পূরণ হয়ে যায়। আপনারা এদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mirza Fakhruls best wishes on the occasion of Janmastami

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাতে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি শুধু আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহামিলন ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত উৎসবের প্রাঙ্গণ সৃষ্টি করে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব এ সময় দেশবাসীর প্রতি সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Four drug dealers arrested with yaba in bear

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিশেষ অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জামিরদিয়ার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব মিয়া (২৬), একই এলাকার মোঃ নাবিল হোসেন নবীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ওরফে নাজমুল (২৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের উদয়খালী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৭) এবং ডুমবারিরচালা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাঈম খান (২৫)।

এসময় সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।

মন্তব্য

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানি বন্দী হয়ে পড়েন কয়েকশ পরিবার।

স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছর ভেঙ্গে যায়। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।

বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Home Advisor visited Mohammadpur Agricultural Market

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মার্কেট পরিদর্শন করেন ।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে যান। এরপর তিনি কৃষিমার্কেটের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দোকানিদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন এবং পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরেন ।

মন্তব্য

p
উপরে