× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বিবিএসের আলস্যে বঞ্চিত নতুন আড়াই কোটি দরিদ্র
google_news print-icon

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র

বিবিএসের-আলস্যে-বঞ্চিত-নতুন-আড়াই-কোটি-দরিদ্র
করোনাকালে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমায় ঢুকেছে বলে সীমিত আকারে গবেষণার ভিত্তিতে জানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে অর্থমন্ত্রী এই তথ্য আমলে না নিয়ে করোনা আসার আগে পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সহায়তার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। এতে বঞ্চিত হয়েছে ‘নতুন দরিদ্ররা’। এদের বিষয়ে তথ্য পরিসংখ্যান দেয়ার দায়িত্ব ছিল বিবিএসের। কিন্তু তারা এই জরিপ করেইনি।

নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য চেয়ে ফোন করে যে হয়রানির মুখে পড়েছেন, তাতে করোনার কারণে মানুষ কীভাবে বিপাকে পড়েছে তার একটি চিত্র উঠে এসেছে।

মানুষটির সহায়তা চাওয়ার কোনো কারণ ছিল না, কিন্তু মহামারিতে আয়ের সুযোগ হারিয়ে তিনি বাধ্য হয়েছেন হাত পাততে।

করোনাকালে এই ফরিদ আহমেদের মতো কত লাখ বা কোটি মানুষের সরকারি সহায়তা প্রয়োজন, আসলে সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই। কারণ, পরিসংখ্যান ব্যুরো সেটি সরকারকে জানাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আর করোনাকালে সহায়তা বা ত্রাণের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার পুরোটাই করা হয়েছে করোনা আসার আগের পরিসংখ্যানের ওপর ভর করে। এতে সামাজিক নিরাপত্তা বা সহায়তার যে হাত বাড়িয়েছে, তাতে এই নতুন দরিদ্ররা বাদ পড়েছেন।

সরকার এই তালিকা কোথায় পাবে, এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, জনগণের করের টাকায় একটি সংস্থা আছে, যাদের দায়িত্ব ছিল এই পরিসংখ্যান বের করা, নতুন করে কাদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর সহায়তায় আনা দরকার, সেই তালিকা দেয়া।

কিন্তু সেই সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরো করোনার সোয়া এক বছরেও তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। ফলে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা যে নতুন আড়াই কোটি দরিদ্রের কথা তুলছে, সেটি সঠিক নাকি সংখ্যাটি আরও বেশি বা কম, তা জানাই গেল না।

এরই মধ্যে করোনার প্রকোপ বাড়ায় নতুন করে আবারও দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার গবেষণা বলছে, এই সংখ্যাটি কয়েক কোটি, যারা নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় ঢুকেছেন। তবে অর্থমন্ত্রী আবার সেই পরিসংখ্যান নিতে নারাজ।

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
নারায়ণগঞ্জের এই ফরিদ আহমেদের জীবনের কাহিনি না জেনেই তাকে সম্পদশালী ভেবে ১০০ জনকে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য করেছেন ইউএনও। ফাইল ছবি

কী করেছে বিবিএস

করোনার শুরুতে গত বছর মাত্র ২০০০ ব্যক্তির ফোনকলের জরিপেই দায়িত্ব শেষ করেছে সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

২০২০ সালের ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর এই জরিপ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়, করোনার কারণে নেয়া লকডাউনের শুরুতে মানুষের আয় কমেছিল ২০ শতাংশ।

কিন্তু একেবারে সীমিত পরিসরে সেই জরিপ ছাড়া বড় ধরনের আর কোনো গবেষণাই করেনি বিবিএস। অথচ এই গবেষণাটি করোনাকালে বাজেট প্রণয়ন, সহায়তা পরিকল্পনা, ত্রাণ তৎপরতার জন্য ছিল জরুরি।

সরকার এসব সহায়তার জন্য যে পরিকল্পনা করেছে, তা বিবিএসের করোনা আসার আগের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এতে করে বাদ পড়ে গেছেন নতুন করে বিপাকে পড়া কোটি মানুষ।

অথচ বিবিএসের ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ করার দায়িত্ব। কেবল করোনার সোয়া এক বছরে নয়, গত পাঁচ বছরেই তারা এই দায়িত্বটি পালন করেনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালীন নতুন দরিদ্র বা কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো ডাটা নেই। কোনো সার্ভে করা হয়নি। তবে সামনে শুরু করব।’

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
রাজধানীর মিরপুরে ত্রাণ বিতরণের সময়। ফাইল ছবি

অন্য দেশে এ ধরনের জরিপ করা হলেও বিবিএস কেন করেনি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘করি নাই কেন এ প্রশ্নের জবাব দেয়া তো মুশকিল। যেটা করা হয়নি সেটা বড় কথা না। সরকারি প্রতিষ্ঠান চাইলেই যখন তখন কোনো একটা সার্ভে করতে পারে না।’

তার দাবি, জরিপ করলেও নতুন দরিদ্রদের বিষয়টি সেভাবে ফুটে উঠত না গবেষণায়। তিনি বলেন, ‘নতুন দরিদ্র কোনো স্টেবল বিষয় না। কোনো জরিপে ফল প্রকাশ পেতে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগে। এক মাস যদি লকডাউন বাড়ে, তবে দেখা যাবে আজ কোনো জরিপ করলাম, রেজাল্ট বের হতে এক মাস সময় লাগে, তা ইনভেলিড হয়ে গেছে।’

বিভিন্ন গবেষণা যা বলছে

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) গত ২০ এপ্রিল একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দাবি করে, করোনায় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। ফলে দেশে এখন দারিদ্র্যের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখনও বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ওই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছিল। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন সেই ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।

তবে এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এর নমুনার আকার আর জরিপপদ্ধতি। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে তিন পর্বে টেলিফোনে কেবল ছয় হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছে সংস্থা দুটি।

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবন

এর আগে গত জানুয়ারিতে গবেষণা সংস্থা সানেমের দারিদ্র্য ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব শীর্ষক জরিপে বলা হয়, করোনার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার পোভার্টি রেট) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে অতি দরিদ্র ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দেশব্যাপী খানা পর্যায়ের জরিপের উপর ভিত্তি করে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

অপর গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে গত এপ্রিলে বলা হয়, মহামারিতে দেশে মোট শ্রমশক্তির তিন শতাংশেরও বেশি লোক কর্ম হারিয়েছেন এবং প্রায় দেড় কোটি লোক মহামারির প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। সস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সাল শেষ হতে হতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তবে বেসরকারি কোনো সংস্থার তথ্যই মানতে নারাজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ৯ জুন অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আড়াই কোটি মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার যে দাবি করেছে দুটি সংস্থা, তা অযৌক্তিক। এই পরিসংখ্যান তিনি স্বীকার করি না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় নতুন গরিবদের নিয়ে সরকারি সংস্থা বিআইডিএস ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কাজ করছে। এসব সংস্থার কাজ শেষে জানা যাবে সঠিক তথ্য। এর বাইরে অন্য সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্য আমি গ্রহণ করতে পারি না।’

সরকারি একটি সংস্থাও জেনেছে বহুমাত্রিক দরিদ্র সাড়ে ৬ কোটি

সরকারি সংস্থা পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ-জিইডি একটি গবেষণা করেছে, যেটির ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে একটি গণমাধ্যম সেই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশের ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার।

২০২১ সালে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখে। এ হিসাবে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সংখ্যা ৬ কোটি ৫১ লাখে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), ইউনিসেফ এবং অক্সফোর্ড প্রভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (ওপিএইচআই) গবেষণায় সহযোগী হিসাবে ছিল।

সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠান করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা ছিল। তা আর প্রকাশ করা হয়নি।

বিবিএসের ‘আলস্যে’ বঞ্চিত নতুন ‘আড়াই কোটি’ দরিদ্র
খুলনায় করোনার মধ্যে বিতরণ করা হয় ত্রাণ

এ বিষয়ে জিইডির সদস্য (সিনিয়র) সচিব ড. শামসুল আলম নিউজ বাংলাকে বলেন, এ গবেষণার ফল প্রাকশ করা হয়নি। ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। এখনি এটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না, বলাটা ঠিক নয়। এটা এখনো শেষ হয়নি। এটা গৃহীত হয়নি সরকার কর্তৃক।’

কী বলছেন সংশ্লিষ্টরা

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার জরিপে হয়ত কিছু ভুল থাকতে পারে। তবে সরকারের উচিত ছিল এ নিয়ে বড় ধরনের কাজ করা। যেহেতু তারা করেনি, তাই যারা করেছে তা মেনে নিতে হবে।

‘সরকারের বিবিএসও তো শুরুতে ছোট সার্ভে করে বলেছিল দারিদ্র্য বেড়েছে। করোনায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক চিত্রে বড় কোনো পরিবর্তন তো আসেনি। তাই দরিদ্রের অবস্থা আবার ভালো হয়েছে সে রকম বলার কোনো কারণ নেই।’

জিইডি সদস্য শামসুল আলম বলেন, ‘নতুন দরিদ্রদের নিয়ে সরকারি কোনো ফাইন্ডিংস না থাকলেও সরকার এটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এবার হয়ত কোভিডের নতুন বাস্তবতায় বেশি সংখ্যক গরিব হয়েছে। তবে গরিব যখন হয় তা গরিবই। সব গরিবের ব্যাথা ও যন্ত্রণা একই রকম।’

তবে দরিদ্র্যসীমার নিচে মেনে যাওয়াকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের সংকটকালে হঠাৎ করে নিচে নেমে যাওয়া, এটা তো নতুন কোনো ব্যাপার না। যেমন আইলার মতো বন্যা বা ঘুর্ণিঝড় হয় হয় যে বছর, যে বছর খরা হয়, সে বছর নতুন করে কিছু মানুষ দরিদ্র হয়। দরিদ্র একটি নির্দিষ্ট বা স্থির সংখ্যা নয়, এটি গতিশীল সংখ্যা। প্রত্যেক বছর কিছু নতুন দরিদ্র হয়, কিছু নতুন ধনী হয়।’

আরও পড়ুন:
বিশুদ্ধ বিবিএস চায় সরকার
ভর্তির রেকর্ড বুঝিয়ে না দেয়া সেই দুই কর্মচারীকে নোটিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

মানবদেহের স্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকি
ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।

তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।

পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।

পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Numbership Election system must pass in Parliament Amir Khasru

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিবর্তনের কথা কথা বলা হচ্ছে, তবে এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির বিষয়ে কোন দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেড নিয়ে সংসদে আসে। যে কোন বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’

সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সবকিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপি'রই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐক্যমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।’

লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন তো দেড় দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোন কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার উপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কীভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদেরকে রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

মন্তব্য

ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

পরকীয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী জেল হাজতে
ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী স্বামী আলমাস খান কে (৪০) হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে খোদ স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩) এর বিরুদ্ধে। গত শনিবার দিবাগত রাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে আরেক আসামী পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখ (৫৫) রয়েছে আত্ম গোপনে ।এ নিয়ে নিহতের পিতা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়ীত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে আটকসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (০২ জুলাই) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এ সময় নিহতের পিতা হাতেম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রবাসীদল ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন ।

তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়ীত থাকার সন্দেহে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম কেআটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রত আলী শেখকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে।

পরে এলাকার কয়েকশত নারীপুরুষ বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Duplex house in Keraniganj

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে ছাদের মাধ্যমে ৬-৮ জনের একটি ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা ঘরের সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বাড়ির চাবি আদায় করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।

ডাকাত দল প্রায় ৬.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা নগদ অর্থ এবং একটি সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা নিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় বাড়ির কোনো সদস্য শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

ভুক্তভোগী ও বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদের দিক থেকে কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই আমাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেল পরে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের চাবি নিয়ে যায়। তারা ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আল্লাহর রহমতে তারা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। তবে পরিবারের সবাই এখন আতঙ্কে আছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু, সিআইডি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, অপরাধীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The bodies of two children were recovered after 22 hours of disappearing in Brahmaputra

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
3 youths killed on the Chuadanga border

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে