শাটডাউনের কারণে কনটেইনার জটের আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন ইয়ার্ডে রাখা কনটেইনার ডিপোতে সরাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোকে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর সচিব মোহাম্মদ উমর ফারুক।
তিনি বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোকে বন্দর থেকে তিন দিনের মধ্যে কনটোইনার সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিপোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। বর্তমানে ডিপোগামী কনটেইনার মজুদ আছে ২৯ হাজার ২২৪ টিইইউএস। এ ছাড়াও পাইপলাইনে ২ হাজার ৪৩৭ টিইইউএস কনটেইনার ভর্তি জাহাজ ঘাটে বার্থিংয়ের অপেক্ষায় আছে। তাই বন্দরে কনটেইনার জট এড়াতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোকে আমদানি করা লোড কন্টেইনার সরিয়ে নিতে হবে আগামী তিন দিনের মধ্যে।
উমর ফারুক বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোকে চিঠি দিয়ে শুরু করলাম। বন্দরে জট এড়াতে আমরা প্রত্যেক আমদানিকারককেই চিঠি দেবো।
‘বন্দরে অপারেশনাল কাজে গতি আনতে কনটেইনারগুলো সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর চার দিনের মধ্যে বিএলের অন্তর্ভুক্ত সব কনটেইনার যাতে ডিপোতে নেয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে বন্দরের ভেসেল অপারেশন, ইয়ার্ড অপারেশনসহ কনটেইনার অপারেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কনটেইনারগুলো ডিপোতে দ্রুত স্থানান্তর করা জরুরি।’
২০২০-২১ অর্থবছরে ৩০ লাখেরও বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরে ৪৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে। তবে শাটডাউনের কারণে সীমিত পরিসরে জনবল নিয়ে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। যার কারণে কনটেইনার জটের শঙ্কায় রয়েছে সংস্থাটি।
দুই দিনের সফরে বুধবার ঢাকায় এসেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম সারির উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বব্যাংক।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার বেশির ভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সহায়তায় বড় কর্মসূচি চলমান।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন শুল্কায়নে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এর ফলে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত আটটা নাগাদ নতুন শুল্কায়নে ভারতীয় চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানিমূল্য টনপ্রতি ৫৫০ ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি কাস্টমস সার্ভারে সংযুক্ত না হওয়ায় গত ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ভারতের সার্ভারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সংযুক্ত হওয়ায় সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে দাম কমবে বলে প্রত্যাশা আমদানি-রপ্তানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।
এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর গত মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার।
ভারতের ওই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত সরকার।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমে আসবে বলে তারা আশা করছেন। ফলে পেঁয়াজের দাম বাজারে অনেকাংশে কমে আসবে।
স্থলবন্দর উদ্ভিদ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহ বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার নতুন করে আরও চার ব্যবসায়ী এলসি খুলেছেন। এসব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করলে পণ্যটির বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি) ২০২৪-২৬ সালে তার সদস্য দেশ অংশীদারত্ব কৌশলের (এমসিপিএস) অংশ হিসেবে তিন বছরের জন্য বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সামগ্রিক সহায়তা দেবে।
আইএসডিবির আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান মুহাম্মদ নাসিস সুলাইমান মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠক শেষে প্রশ্নের জবাবে নাসিস সুলাইমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমসিপিএসের অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনার আওতায় আগামী তিন বছরের জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হবে।’
জ্বালানি তেল কেনার জন্য আইএসডিবি গ্রুপের বাণিজ্য অর্থায়নকারী শাখা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সুলাইমান বলেন, ‘অবশ্যই এটি সরকারের সাথে সার্বিক আলোচনার একটি অংশ।’
আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে আইটিএফসির সহায়তাসহ সংস্থাগুলোর সহায়তা ঠিক করার জন্য আইএসডিবির এমসিপিএসকে বিশদ কাঠামো তৈরি করতে হবে। আইএসডিবির আঞ্চলিক হাবের প্রধান বলেন, ‘সুতরাং আমরা প্রকৃতপক্ষেই বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আইএসডিবি গ্রুপের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। সরকারও সার্বিক সম্পৃক্ততার জন্য ব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষ করে, কীভাবে অধিকতর সহায়তা করে এগিয়ে যাওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা আইটিএফসির সঙ্গে আলোচনা করব।’
আইএসডিবি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে সুলাইমান বলেন, ‘আইএসডিবির কৌশল এবং সরকারের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে আমরা আশা করছি, অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও সম্পদ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে সক্ষম হব।’
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যেহেতু আইএসডিবি বাংলাদেশের একটি বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী, তাই তারা বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য খাত, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ ইত্যাদিতে প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামাঞ্চলের সড়ক পুনর্নির্মাণে সহায়তা করার জন্য সরকার তাদের অনুরোধ করেছে। তারা এরই মধ্যে সিলেটে এ বিষয়ে একটি জরিপ করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে তারা (আইএসডিবি) ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তা পুনর্নির্মাণে আমাদের সহায়তা করবে। তারা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য খাত, সেতু নির্মাণ ও ভৌত অবকাঠামোতে আমাদের সহায়তা করছে।’
জ্বালানি তেল ক্রয়ে সহায়তার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আইএসডিবি অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আমাদের তহবিল সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করেছি এবং তারা সম্ভাবনাগুলি মূল্যায়ন করবে। এটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ডিসেম্বরে আইএসডিবি বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে কিছুই বলা যাবে না।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘জেদ্দাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। কারণ তারা প্রকল্পগুলোর জন্য দেশের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে।
‘সামগ্রিকভাবে আইএসডিবি আমাদের সহায়তা দেবে।’
এমসিপিএস সম্পর্কে তিনি জানান, সরকার সম্ভাব্য প্রকল্পগুলো মূল্যায়ন করবে। তারপর আইএসডিবি সেগুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন:দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন (দুই হাজার ৪০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৪.৩ বিলিয়ন ডলার। এটি আইএমএফের বিপিএম-৬ ক্যালকুলেশন স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুযায়ী নেট রিজার্ভ হিসাব করা হয়। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নেট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে।
রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে মুখপাত্র শিখা বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। রিজার্ভে গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগস্ট ও জুলাই মাসের প্রবৃদ্ধি একত্রে বিবেচনা করলে এটি প্রায় ৯০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সচল করা হয়েছে।
‘ব্যাংকগুলো চাইলে নিজেরা নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারে এবং বিনিময় হার হবে বাজারভিত্তিক।’
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে (এক) ডলারের দাম ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামের সাথে খোলা বাজারমূল্যের পার্থক্য এখন মাত্র ১ শতাংশেরও কম।’
শিখা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সক্রিয় আন্তব্যাংক লেনদেন বজায় থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার বা ডলারের দাম স্থিতিশীল হবে।’
আরও পড়ুন:পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক দিনের সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ভারত থেকে পণ্যবোঝাই ৩০০ থেকে ৩৫০টি ট্রাক আসে। বাংলাদেশ থেকেও ২০০ ট্রাকেরও বেশি পণ্য যায় ভারতে।
শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সোমবার সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। বাবা নুরুল হকের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সে সময় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নতুন কিছু করার তাগিদে কফি শপ শুরু করেন, যার নাম দেন ‘বারকোড’।
এ শপের সফলতার পর মনজুরুল সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আরেকটি রেস্তোরাঁ খোলার। নতুন রেস্তোরাঁটির নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘বারকোড সি-ফুড’। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রেস্তোরাঁটির সজ্জা সম্পন্ন করেছিলেন। এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ।
বিধিবাম ছিল মনজুরুলের। উদ্বোধনের এক রাত আগে ২২ মার্চ রাতে ভয়াবহ আগুনে রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ওই দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে প্রচণ্ড আহত হলেও মনোবল নষ্ট হতে দেননি মনজুরুল। তিনি ফের রেস্তোরাঁ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। রেস্তোরাঁর নতুন নাম দেন ‘বারকোড অন ফায়ার’।
বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।
মনজুরুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইউএইতে। পড়াশোনা সিঙ্গাপুরের থেমস বিজনেস স্কুল থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায়।
বাংলাদেশের কাছে ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পদ্মার ইলিশ এপারে এলে খুশি হন মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে তাদের অনেকটাই লাভ হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ আমদানি হয়েছে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং আসামেও বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানি হয়ে এসেছে। বছর ভর এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে তাদের পূজার আয়োজন একেবারে জমে যায়। গত বছরও এক হাজার ৩০০ টন ইলিশ গেছে বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, এমনকি আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
মন্তব্য