গত বছর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর আর ৫ এপ্রিল এক সপ্তাহের লকডাউন চলাকালে ক্রেডিট কার্ডধারীদের বিল পরিশোধে ভোগান্তির বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিবেচনায় রাখলেও এবার শাটডাউনে সেটি নিয়ে ভাবা হয়নি। সময়মতো বিল পরিশোধ না করা হলে জরিমানা না নেয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
এবার ব্যাংকের সব শাখাও খোলা থাকবে না। সব ব্যাংকের বুথে টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতিও নেই। ফলে এবার সময়মতো বিল পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দেয়ার কোনো একক তারিখ নেই। একেকজনের ক্ষেত্রে এটি একেক রকম। তবে নির্ধারিত সময়ে বিল দিতে না পারলে সেখানে বিলম্ব ফি ছাড়াও উচ্চ হারে সুদ গুনতে হয়। এ কারণে গ্রাহকরা কার্ডের বিল সময়মতো পরিশোধে জোর দিয়ে থাকেন।
বেসরকারি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন জয়নাল হোসেন। থাকেন মিরপুরে। সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই তার বিলিং ডেট।
এর মধ্যে চার দিন টানা ব্যাংক বন্ধ। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে কোন শাখা খোলা, সেটা জানেন না জয়নাল। এখন বিল কীভাবে দেবেন, সেটা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না তিনি।
ক্রেডিট কার্ডের বিল অনলাইনেও জমা দেয়া যায়। তবে সবাই অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করেন না। তারা ব্যাংকে গিয়েই টাকা পরিশোধ করেন।
নিউজবাংলাকে জয়নাল বলেন, ‘বছরের প্রথম দিকে লকডাউনে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছিল কেউ বিল না দিলেও জরিমানা বা বাড়তি কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এবার কেন সেই সুবিধা দেয়া হয়নি, সেটা বুঝতে পারলাম না।’
২০২০ সালের ২৬ মার্চ যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, তখন টানা দুই মাস কেউ বিল দিতে না পারলেও জরিমানা দিতে হয়নি। গত ৫ থেকে ১২ এপ্রিল যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দেয়, বিধিনিষেধের মধ্যে কেউ যদি বিল পরিশোধ করতে না পারে, তাহলে তাকে জরিমানা করা যাবে না।
এবার শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধে সরকার অনেক কঠোর। মানুষকে ঘরে রাখতে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া বের হওয়ায় বিধিনিষেধের প্রথম দিন দুই শরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
আগের দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে, বিধিনিষেধ চলাকালে শুক্র ও শনিবারের পাশাপাশি ব্যাংক বন্ধ থাকবে রোববারও। বাকি দিন সবগুলো শাখা খুলবে না। জেলা শহরে প্রধান শাখা আর একটি জেলায় একটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ তিনটি শাখা খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক নিয়ে সিদ্ধান্তে ভোগান্তির শঙ্কা
রাজধানী বা চট্টগ্রামের মতো শহরে কী ব্যবস্থাপনা থাকবে, সেটি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ নেই। কেবল বলা আছে, ব্যাংকের কোন শাখা খোলা থাকবে, সেটি বন্ধ শাখায় টানিয়ে রাখতে হবে।
একাধিক ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকের সব শাখা খোলা নেই। বাইরে চলাফেরায় বিধিনিষেধ থাকায় তারা সঠিক সময়ে বিল জমা দিতে পারছেন না। কিন্তু ক্রেডিট কার্ডে যথাসময়ে বিল পরিশোধ না করলে সুদের খড়্গ আছে। কারণ, ব্যাংকগুলো সরল সুদ ও বিলম্ব ফি আরোপ করে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো দিতে না পারলে জরিমানার পাশাপাশি অনেক বেশি হারে সুদ দিতে হয়। ব্যাংকে সুদহার ৯ শতাংশ হলেও কার্ডের সুদ ২০ শতাংশ পর্যন্ত আছে।
এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন ব্যাংকাররাও। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্যোগ না নিলে তাদের নিজে থেকে কিছু করার সুযোগ নেই।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা শতভাগ পরিপালন করা হয়েছে। কোনো গ্রাহক কিস্তি না দেয়ার কারণে ঋণসীমা অতিক্রম করলেও বাড়তি চার্জ আরোপ করা হয়নি। কিন্তু সেই সার্কুলারের সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে কোনো নির্দেশনা জারিও করেনি। ফলে এখন আগের নিয়মে গ্রাহককে ক্রেডিট কার্ডের বিল শোধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবার ছাড় দিলে আমরা সেটা পরিপালন করব।’
করোনা দুর্যোগে লকডাউন পরিস্থিতিতেও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের এই জরিমানার মুখে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা। মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামকে ফোন দিলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশে গত এক দশকে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। করোনাকালে নগদ অর্থের বদলে কার্ডে ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা পরিশোধের চল আরও বেড়েছে। এখন পাড়া-মহল্লায় বড় মুদির দোকানেও কার্ডে কেনাকাটা করা যায়।
২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক ছিলেন ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ১২৯ জন, যা চলতি মার্চে বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৪ জন। ফলে এক বছরে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫ জন।
গত মার্চে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। এ বছর মার্চে সেটা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার সময়ে গ্রাহকদের নতুন নতুন সেবা দেয়া হয়েছে, যাতে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ে। যার সার্বিক প্রভাব কার্ডের ব্যবহার ও লেনদেনে পড়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে গ্রাহক কিস্তি না দিলেও বাড়তি চার্জ আরোপ করা হয়নি। এমন নির্দেশ আবার এলে সেটা পরিপালন করা হবে।’
২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ঋণে সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মানে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ সুদ হওয়ার কথা ১৪ শতাংশ। তবে এই নির্দেশনাও অমান্য করে অনেক ব্যাংকই বিভিন্নভাবে এর চেয়ে বেশি টাকা আদায় করত।
ফলে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ২০ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না বলে নতুন নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি ওই বছর ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।
ক্রেডিট কার্ডে সুদ আরোপ শুরু হবে ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময়ের পর। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ৪৫ দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়।
আর ক্রেডিট কার্ডে ঋণসীমার বিপরীতে ৫০ শতাংশের বেশি নগদ উত্তোলন করা যাবে না।
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটায় ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে বিল পরিশোধের সুযোগ থাকে। অর্থাৎ প্রতি ৩০ দিনের খরচের ওপর বিল তৈরি করে ওই বিল পরিশোধের জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে কোনো সুদ আরোপ করা হয় না। আর এই সময় পার হয়ে গেলে ওই বিলের ওপর সরল হারে সুদ আরোপ করে ব্যাংক। বিল পরিশোধে বিলম্ব হলে এই সুদহার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অপহরণকৃত শিশু আইয়ান (৩) কে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।
আইয়ান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ণবতী গ্রামের মো. হাইয়ুল মিয়া ও পাকিজা দম্পত্তির একমাত্র সন্তান।
আত্মীয় পরিচয়ে বেড়াতে এসে গত বৃহস্পতিবার দোকান থেকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে আইয়ানকে অপহরণ করে ৩লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমিরুল হোসেন বাপ্পি নামের এক যুবক।
ওই ঘটনায় রাতে শিশু রাইয়ানের মা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর শিশু আইয়ানকে উদ্ধারে রাতেই কোটালীপাড়া থানার এস আই সাদ্দাম হোসেন খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে।
এসআই সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা ১২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ধুপইল এলাকা থেকে অপহরণকারী আমিরুল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে শিশু আইয়ানকে উদ্ধার করি।
অপহরণকারী আমিরুল ইসলাম ধুপইল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এদিকে শিশু আইয়ানকে উদ্ধারের খবরে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ভাসছে প্রশংসার জোয়ারে।
শিশু আইয়ানের মা পাকিজা বেগম বলেন, আমিরুল ইসলাম আমার স্বামীর খালাতে ভাইয়ের বন্ধু। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে ১দিন থেকে চলে যায়।
গত মঙ্গলবার রাতে সে আবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে চিপস, চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে আইয়ানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সকাল ১১ টার দিকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিলে ছেলেকে ফিরিয়ে দিবে বলে জানায় আমিরুল। থানা পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে। পরে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান খন্দকার বলেন, অপহরনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিতে অভিযানে নামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতেই ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার দুপরে নাটোরের লালপুর থেকে শিশুকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনীর ‘আমরা আমরাইতো সমাজসেবা সংগঠন’ ও আমরা আমরাইতো ব্লাড ডোনেটিং ক্লাবের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন প্রতিযোগিতা ও এক বেলা আহারের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী ফেনীর শর্শদি ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসা হাফেজিয়া ও এতিমখানায় ওই আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার হেফজখানার ৬০জন ছাত্রের মধ্যে ২০জন কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রথম থেকে ১০ পর্যন্ত বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মাওলানা কামরুল ইসলামের উপস্থাপনায় ওই সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসা ও হাফিজিয়া এতিমখানা এর নায়েবে মুহতামিম মাওলানা মুফতি আজিজুর রহমান, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ইউনুস, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনীর ইতিহাস ঐতিহ্যভিত্তিক সংগঠন ‘নরননীয়া’ এর সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইমন উল হক।
সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী আফতাবুল ইসলাম, সভাপতি আবদুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হৃদয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সর্বোচ্চ দাতা সদস্য ইমাম মেটালের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম হোসেনকে সম্মাননা জানানো হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীদের নিয়ে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষকে ‘একবেলার আহার’ এ আপ্যায়ন করা হয়।
বাগেরহাটে নতুন করে সংসদীয় আসন বিভাজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনের কারণে পিরোজপুর থেকে ঢাকা এবং খুলনার মধ্যে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ দেওয়া হয়। পরে তার সময়সীমা বাড়িয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েন খুলনায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা। খুলনা-সাতক্ষীরা- যশোরগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। যাত্রীদের কেউ কেউ ব্যাটারিচালিত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে যাত্রীদের।
পরিবহন শ্রমিক আলিম সিকদার বলেন, ‘বাগেরহাটের সংসদীয় আসনকে কেন্দ্র করে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। পিরোজপুর থেকে ঢাকা এবং খুলনাসহ বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন।’
রফিক শেখ নামের আরেক পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘বাগেরহাটে অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে পিরোজপুরের বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। গাড়ি চলাচল না করায় আমাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আরও বেশি সমস্যায় পড়বো। আমরা চাই এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান হোক।’
অফিসের কাজে ঢাকায় যাবেন শাহরিয়ার আলম। তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তিনিও পড়েছেন ভোগান্তিতে। তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় যাবো কিন্তু এসে দেখি এখানে কোনো পরিবহন ঢাকায় যাচ্ছে না। সঠিক সময় ঢাকা না যেতে পারলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানো উচিত।’
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গাজী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাগেরহাট সংসদীয় আসনকে কেন্দ্র করে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পেশার কয়েক হাজার মানুষ। এই সমস্যার সমাধান না করলে বাস মালিকেরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’
এর আগে গত বুধবার বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে শুরু হওয়া সর্বাত্মক ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধে অচল হয়ে পড়ে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলা।
সেদিনের বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা এই কর্মসূচির কারণে জেলার জীবনযাত্রা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল। সেদিন সকাল থেকে বাগেরহাট হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের সব দূরপাল্লা ও আন্ত জেলা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর সেদিন শহরের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
হরতালকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কর্মকর্তারাও অফিসে ঢুকতে পারেননি। জেলার মোরেলগঞ্জের পানগুছি ও মোংলা নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
সেদিন বুধবারে জেলার শতাধিক স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে ও মাছ ধরার জাল টানিয়ে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে পালন করেন নেতাকর্মীরা। ফলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন ছিল।
হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ দূরপাল্লার যাত্রীদের অনেকেই বাস টার্মিনাল বা সড়কের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যানবাহন পাননি। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া রোগীরা পড়েছিলেন বিপাকে।
গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেয়। বিরোধিতা সত্ত্বেও গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসি চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত জানায়। এতে জেলার রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামে।
৪০০ বছরের পুরানো নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের মসজিদ। মুন্সিবাড়ির মসজিদ নামেই এটি সমধিক পরিচিত। জনশ্রুতি আছে মোগল শাসনামলে এক রাতে নির্মাণ করা হয় ওই মসজিদ। মসজিদের সামনে রয়েছে একটি পুকুর। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে অজু করার জন্য আছে বাধানো ঘাট।
সরেজমিন দেখা গেছে, মসজিদের ছাদের চারপাশে রয়েছে ছোট ছোট চারটি মিনার এবং মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। ছোট সাইজের ইট আর চুন-সুড়কির গাথুনির মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি। জনশ্রুতি আছে এটি জ্বীনদের দিয়ে নির্মাণ করা হয় মসজিদটি। এখানে ওই সব জ্বীনেরাও এক সময়ে নামাজ আদায় করতো।
গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি ইস্রাফিল মোল্লা যার বয়স বর্তমানে ১০৭ বছর। তিনি বলেন, আমি বাপ-দাদার মুখে শুনেছি এক রাতেই এখানে পুকুর এবং মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আগে এই গ্রাম ঘণ বনজঙ্গলে ভরা ছিল। নানা ধরণের জীবজন্তুর আমদানী ছিল এই বাগানে । ছিল বাঘেরও পদচারণা। ভয়ে কেউই এখানে আসতো না। ঘণ বনজঙ্গলের কারণে দিনের বেলায় কিছুই দেখা যেত না।
তিনি বলেন হঠাৎ একদিন মুন্সি হৈবৎউল্লাহ নামে এক ব্যক্তির আগমণ ঘটে। এখানকার জীবজন্তুর সঙ্গে তিনি বটগাছের নিচে বাস করতে লাগলেন। কিছুদিন পর কাকতালিয়ভাবে এক রাতে মসজিদ এবং একটি পুকুর খনন করেন। মাঝে মধ্যে কাদের যেন তিনি ডাকতেন। অদৃশ্য সেই জীবগুলো তার কথা শুনতো। তিনি বলেন, এ সবই আমার দাদা ইবাদত মোল্লা মুখে শুনেছি। তিনিও তার দাদা রহমত মোল্লার কাছে শুনেছেন। ওই বাগানের কাছে যেও না। হিংস্র জীবজন্তুর পাশাপাশি জ্বীন পরীর ভয় আছে। তিনি বলেন, কালের পরিক্রমায় সবকিছু বদলাতে থাকে। এখন আর কেউই এ সব কথা বিশ্বাস করতে চায় না। আস্তে আস্তে মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। নানা সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বসবাস করতে থাকেন। আশপাশের এলাকার মুসল্লি সম্প্রদায়ের মানুষ মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে আসেন।
তিনি দাবি করেন, ওই সময় অন্য কোন মসজিদ না থাকায় বিভিন্ন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে নামাজ আদায় করতে আসতেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এটি নড়াইলের সর্বপ্রথম প্রাচীনতম মসজিদ। নামাজির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২৫ বছর আগে মসজিদের সামনের অংশ বাড়ানো হয়েছে। মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা মুন্সি হৈবতউল্লাহর বংশধরেরা আজও গোয়ালবাথান গ্রামে বসবাস করছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষ মসজিদটি দেখার জন্য এই গ্রামে এসে থাকেন।
চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আজিজুর রহমান ভূইয়া বলেন, এলাকায় মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। মসজিদে নামাজিদের ধারণ ক্ষমতা সংকুলাণ না হওয়ায় মসজিদ সংলগ্ন সম্প্রসারণ কাজ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নড়াইলে এই মসজিদই হচ্ছে সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে খেলনা গাড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে ওমর ফারুক (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের প্যারিআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু ওমর ফারুক একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
শিশুর বাবা মনির হোসেন জানান, ওমর ফারুক তার ৩য় ছেলে। সে সকাল বেলা খেলনা গাড়ি (ছোট রিক্সা) নিয়ে বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। এসময় খেলতে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে সবার অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকেরা পাশ্ববর্তী বাড়ীতে খুজতে থাকে ফারুককে। এসময় প্রতিবেশীরা ওমর ফারুকের খেলনা গাড়ীটি পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি পরিবারের লোকদের জানালে তারা পুকুরে নেমে শিশু ওমর ফারুকের দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পারিবারিক সমস্যার কারনে ওমর ফারুক তার দাদীর কাছেই সব সময় থাকতেন।
ঝাড়ু হাতে কয়েকজন তরুণ। কারও আবার কাঁধে বস্তা, কারও হাতে দা বা কোদাল। কেউ ময়লা কুড়োচ্ছে, কেউ আবার বস্তায় ভরছে। হাসি-আড্ডার মধ্যেই চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ। দেখে মনে হয়, যেন উৎসব চলছে পরিচ্ছন্নতার উৎসব। এরা সবাই স্থানীয় বালিয়াটি স্পোটিং ক্লাব ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। ৯০ জন পাঁচ ভাগে ভাগ হয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। উদ্দেশ্য একটাই ঐতিহাসিক বালিয়াটি জমিদারবাড়ি ও চারপাশ এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা। নাম দিয়েছে এই কর্মসূচির ‘ক্লিন বালিয়াটি’।
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ জমিদারবাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদারবাড়ি। প্রতিদিন শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে ভিড় জমান। জমিদারবাড়ির অনন্য স্থাপত্য সবাইকে মুগ্ধ করে। তবে চারপাশে জমে থাকা আবর্জনা তাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াত। সেই ভাবনা থেকেই তরুণরা উদ্যোগ নিয়েছেন পরিচ্ছন্নতার।
ক্লাবের সদস্যরা জানান, দেশের সর্ববৃহৎ জমিদারবাড়ি চারপাশের সৌন্দর্য রক্ষায় ‘ক্লিন বালিয়াটি’ উদ্যোগ নিয়েছেন। সপ্তাহে একদিন নিয়মিতভাবে জমিদারবাড়ি ও উপজেলা পরিষদ চত্বর পরিষ্কার রাখার পরিকল্পনাও করেছেন তারা।
বালিয়াটি স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, জমিদারবাড়ির সৌন্দর্য ধরে রাখতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ জরুরি। আমরা চাই এখানে আসা পর্যটকরা যেন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে যান। পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকলে পর্যটন আরও বাড়বে এবং স্থানীয় পরিবেশও ভালো থাকবে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলে পর্যটকরা আরও বেশি আকৃষ্ট হবেন। এতে বালিয়াটি শুধু ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবেই নয়, পরিচ্ছন্ন পর্যটন এলাকা হিসেবেও পরিচিতি পাবে।
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর ২ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক ও জিম্মি থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। শুক্রবার কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের আদাছগি এলাকায় কিছু জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে, এমন প্রাপ্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা কর্তৃক ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আভিযানিক দলটি ধাওয়া করে ২ টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৮ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৩ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি এবং ১ টি দেশীয় অস্ত্রসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত রাঙ্গা বাহিনীর ২ সহযোগীকে আটক করে। এসময় তাদের নিকট জিম্মি থাকা ৯ জেলেকে ও উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত জেলেরা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর মাছ ও কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে গেলে রাতে রাঙ্গা বাহিনী তাদের আটক করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। উদ্ধারকৃত জেলেরা সকলেই খুলনার দাকোপ থানার বাসিন্দা।
আটককৃত ডাকাত সহযোগী নাসির মোল্লা এবং মিন্টু সরদার বাগেরহাট এবং খুলনা জেলার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাঙ্গা বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো।
উদ্ধারকৃত জেলে, আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য