এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনে পুঁজিবাজার চালু থাকার পরেও শাটডাউন আতঙ্কে রোববার পতন ১০০ পয়েন্ট। তবে ‘সীমিত লকডাউনে’ পুঁজিবাজার চালু থাকার নিশ্চয়তা পাওয়ার দুই দিনে উদ্ধার ১০০ পয়েন্ট। আর ‘শাটডাউন’ নামে পরিচিতি পাওয়া ‘কঠোর বিধিনিষেধেও’ বাজার চালু থাকা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর সূচকে যোগ ১০৮ পয়েন্ট।
দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা বারবার যে অস্থিরতায় ভুগে পুঁজি হারান, তার নমুনা এপ্রিলের শুরুতে দেখা গিয়েছিল। লকডাউনে লেনদেন চালু থাকবে ইঙ্গিত থাকার পরেও বাজারে নামে ধস। আর লকডাউনের শুরুর দিন থেকে শুরু হয় উত্থান। তিন মাসেরও কম সময়ে পুঁজিবাজারে যোগ হয় এক হাজার পয়েন্টেরও বেশি। তারপরের বিনিয়োগকারীদের ‘মনের বাঘের ভয়’ যায়নি।
লকডাউন, শাটডাউন যাই হোক না কেন, পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে, এমন ইঙ্গিত ছিল আগেই। কিন্তু চলমান বিধিনিষেধেও পুঁজিবাজার চালু থাকার পরও ‘মনের বাঘে’র ভয়ে ভীত বিনিয়োগকারীরা ছিল অস্থিরতায়।
সোমবার থেকে সীমিত লকডাউনের আগে রোববার ১০০ পয়েন্ট সূচকের পতনেই বোঝা যায় আতঙ্ক ভর করেছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। আর সেদিনই আসে প্রজ্ঞাপন। জানানো হয়, খোলা থাকবে ব্যাংক। আর পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও জানায়, লেনদেন চলবে পুঁজিবাজারেও।
তবে সেই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ ছিল যে, বৃহস্পতিবার থেকে আসবে কঠোর বিধিনিষেধ, যেটি এবার পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে।
শাটডাউনে সেনাবাহিনী নামবে, জরুরি ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান খুলবে না, এ কথা জানানো হয়েছে বারবার। আর এ কারণে, বিনিয়োগে না গিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে সোম ও মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচক উঠানামার মধ্যে বেড়েছে। তবে লেনদেনে ছিল না গতি।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে লেনদেন চলার সময় যখন এই শাটডাউনের প্রজ্ঞাপন আসে, তাতে উল্লেখ ছিল, খোলা থাকবে ব্যাংক। আর বিএসইসির আগেরই ঘোষণা ছিল, ব্যাংক খোলা থাকলে খুলবে পুঁজিবাজারও।
সকাল থেকেই বাজার ছিল ইতিবাচক। আর প্রজ্ঞাপন আসার আগ পর্যন্ত বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সূচক আগের দিনের চেয়ে বাড়ে ৪৭ পয়েন্ট। তবে প্রজ্ঞাপন আসার পর সেখান থেকে দেয় লাফ। এখান থেকে তিন ঘণ্টায় সূচক বাড়ে আরও ৬১ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে আগের দিনের তুলনায় সূচক বাড়ে ১০৮ পয়েন্ট। আর শাটডাউন আতঙ্কে রোববার পুঁজিবাজারে সূচক যত পড়েছিল, পরের তিন দিনে তা উদ্ধার করেও বাড়ল আরও ৫৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ ১০০ পয়েন্ট পতনের পর তিন দিনে উত্থান হলো ১৫৮ পয়েন্ট।
এই চিত্র এর আগে দেখা যায় গত ৫ এপ্রিল লকডাউনের প্রজ্ঞাপন আসার আগে।
কী কী চালু থাকবে এ নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ৪ এপ্রিল সূচকের পতন হয় ১৮১ পয়েন্ট। আর লকডাউনের প্রথম দুই দিনেই যোগ হয় ১৯৬ পয়েন্ট।
প্রধান সব খাতেই দাম বৃদ্ধি
পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক প্রবণতায় দেখা গেছে, কোনো একটি বা দুটি খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগকারীরা হতাশ হন।
তবে শাটডাউনের প্রজ্ঞাপন আসার দিন ব্যাংক, আর্থিক, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জ্বালানি, বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং বিবিধ খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে।
বিমা খাতে প্রায় সব কোম্পানির দর সর্বোচ্চ সীমায়
বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বুধবার ২টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। বাকি ৪৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টির ৬টি আর ২০টি কোম্পানির ১২টি ছিল এই খাতের।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রথম লেনদেনে আসা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার ১০ শতাংশ বেড়ে দাম হয়েছে ১১ টাকা। নতুন শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন এই প্রথম সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হলো।
একই হারে শেয়ার দর বেড়েছে নর্দান ইন্স্যুরেন্সের দর; ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬১ টাকা ৬০ পয়সা।
তারপরেই ছিল ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৫৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৪ টাকা।
সন্ধানী লাইফ ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯২ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯১ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের ৯.৮৮ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৮ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।
জনতা, রূপালী, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ শতাংশ পর্যন্ত।
এছাড়া ছয়টির বেশি কোম্পানি আছে যেগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে ৮ শতাংশ পর্যন্ত। এদিন বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা।
দুটি ছাড়া সব ব্যাংকের দাম বৃদ্ধি
শতকরা হারে কম থাকলেও ৩১টির মধ্যে ২৯টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি ব্যাংক খাতে সাম্প্রতিক আগ্রহ বৃদ্ধির আরও একটি নমুনা হিসেবে দেখা যায়।
অন্য যে দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়েনি, সেটিও দামও কমেনি, ছিল অপরিবর্তিত।
তবে এই খাতের কোম্পানির দাম বাড়ার হার শতকরা হিসেবে খুব একটি বেশি নয়। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির একটিও ছিল না এই খাতের।
ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৭.৬৯ শতাংশ। ব্যাংক খাতের সবচেয়ে দুর্বল এই ব্যাংকের শেয়ার প্রতি দর ৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ৪.৫৭ শতাংশ, পূবালী ব্যাংকের ৪.৪৩ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৩১ শতাংশ আর এবি ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে ৩.৪৯ শতাংশ।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
প্রকৌশলের চমক
অর্থবছরের শেষ দিন আর্থিক খাতের শেয়ারের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির। কমেছে দুটির।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এস আলম কোল্ডরোল স্টিলের দর। দিনের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে শেষ করেছে লেনদেন। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে অলেম্পিক এক্সসেসোরিজের ৯.৫৬ শতাংশ।
এ ছাড়া কে অ্যান্ড হকের ৮.২৭ শতাংশ, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ৮.২০ শতাংশ, অ্যাপোলো ইস্পাতের দর বেড়েছে ৬.৩২ শতাংশ।
প্রকৌশলী খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা।
বস্ত্রে দাম বাড়লেও পিছিয়ে লেনদেনে
দুই দিনের দর সংশোধন শেষে আবার এই খাতের শেয়ার দেখা দিয়েছে প্রবল আগ্রহ। দাম বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ারের। তবে কমে গেছে লেনদেন।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ১৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যা কিছু দিন আগেও ছিল চারশ কোটি টাকার বেশি।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বন্ধ থাকা তাল্লু স্পিনিং মিলসের দর। বেড়েছে বেশি ৯.৩৮ শতাংশ। মিথুন নিটিংয়ের দর বেড়েছে ৯.৩২ শতাংশ।
এছাড়া অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৭.৮৯ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭.৭৬ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ৬.১৩, ম্যাকসন্স স্পিনিং এর ৪.৮১, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ৪.৭৬, মালেক স্পিনিং এর দাম বেড়েছে ৪.৩৪ শতাংশঅ।
সব মিলিয়ে এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির দর কমেছে, পাল্টায়নি দুটির। বাকি ৫১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
অন্যান্য খাতের কী চিত্র
এ ছাড়া ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির। কমেছে একটির, আর দুটি ছিল অপরিবর্তিত। একটির লেনদেন বিএসইসির সিদ্ধান্তে স্থগিত আছে।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির। অপরিবর্তিত ছিল একটির। আর ৫টির দর কমেছে।
জ্বালানি খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টিরই। কমেছে তিনটির। আর অপরিবর্তিত ছিল একটির।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪টির। কমেছে ৬টির। আর একটির লেনদেন বিএসইসির সিদ্ধান্তে স্থগিত।
৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির। কমেছে তিনটির। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই হচ্ছে না। আর বাকি ১৪টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৩২১ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য