নানা অনিয়মে ডুবতে থাকা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পিপলস লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার একদিন পর মঙ্গলবার অনেকটাই চাঙ্গা এ খাতের লোকশানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে কেবল পিপলস লিজিংয়ের ক্ষেত্রেই বার বার সময় নিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে লেনদেন। পিকে হালদার কাণ্ডে কোম্পানিটি প্রায় ডুবতে বসেছিল। অবশেষে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড পুর্নগঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত বলেছে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবসর নেয়া কোনো বিচারপতি বা সিনিয়র আইনজীবী। আর বোর্ডের সদস্য থাকবেন একজন আইনজীবী, আমানতকারীদের মধ্যে একজন, সরকারি উচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেড।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের ঘোষণা করে ডিএসই। এরপর ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৮ দফায় প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করা হয়।
একইভাবে পুঁজিবাজারে লোকসানি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফার্স্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড সময় মতো লভ্যাংশ না দিলেও দর বৃদ্ধির জোয়ারে ভাসছে।
সোমবার আদালতের এমন সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো নন ব্যাংক আর্থিকখাতে। লেনদেন তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটির দরও কমেনি। ৫টির দর ছিল অপরিবর্তীত। আর বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে।
এ খাতের নানা অনিয়মের খবরে অনেক আগেই এ খাত থেকে বিনিয়োগ আগ্রহ হারিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
২৩ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান লোকসানি। বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ সময়মতো লভ্যাংশ ঘোষণা না করলেও শেয়ার প্রতি আয় ইতিবাচক।
গত তিন মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২টির দর বেড়েছে। কেবল ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে।
বিনিয়োগকারীদের ধারনা, লোকসানি এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আরও সজাগ হবে সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে কম দামি শেয়ার কিনে আগামীতে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব লোকসানি প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর শেয়ারের দরও বাড়ে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বছর শেষে লভ্যাংশ নয় বরং ডে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা পাবে এমন প্রত্যাশা থেকেই বিনিয়োগ হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই লোকসান করে থাকে। তবে এসব শেয়ার নিয়ে যারা কারসাজিতে যুক্ত কেবল তারাই মুনাফা নিয়ে খারাপ শেয়ার থেকে বের হয়ে যায়।
শেয়ার প্রতি লোকসান বেশি ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১১ টাকা ৩৮ পয়সা লোকসানে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৫ টাকা ৮০ পয়সায়। ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩৮.০৯ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসানে থাকা ফার্স্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা। গত ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। এই সময়ে এর শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৪১.৮৬ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৭৯ পয়সা লোকসানে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স লিমিটেডের গত ১৫ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ টাকায়। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩১ দমমিক ৫৭ শতাংশ।
ফার্স্ট ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটির মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। ২৮ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ৬ টাকা ১০ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ০৯.৮৩ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা লোকসানে থাকা ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ২৯ এপ্রিল দর ছিল ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৯.০৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দেড় টাকা বা ৪৫.৪৫ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ন্যাশনাল হাইজিংয়ের
এ সময়ে নন ব্যাংক আর্থিক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং লিমিটেডের। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা বা ৬১.৩৪ শতাংশ।
জিএসপি ফিন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যা ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা বা ৫৫.৮৮ শতাংশ।
প্রিমিয়ার লিজিংঅ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা। ৪ এপ্রিলে শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫ টাকা ৪০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ৫৫.৫৫ শতাংশ।
ইসলামী ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ২০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যা ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা বা ৫২.০৫ শতাংশ।
ফিনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার শেয়ার লেনদনে হচ্ছে ৩২ টাকা ২০ পয়সায়। ৮ এপ্রিল ছিল ২১ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৪৭.৭০ শতাংশ।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা বা ৪০.৯৬ শতাংশ।
প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা। গত ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ছিল ৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে সাড়ে তিন টাকা বা ৪০.৬৯ শতাংশ।
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ এর শেয়ার লেনদনে হয়েছে ১১৩ টাকা ৭০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যা ছিল ৮০ টাকা ৯০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৪০.৫৪ শতাংশ।
বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকা ১০ পয়সা। গত ৪ এপ্রিল শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ৪০.৩২ শতাংশ।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩২.১৪ শতাংশ।
মাইডাস ফিন্যান্সের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ২০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৯.৭২ শতাংশ।
আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। ১২ এপ্রিল যা ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৩.৮৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৮ টাকা ১০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা বা ৭৪.০২ শতাংশ।
আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সায়। ৪ এপ্রিল যা ছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা বা ২০.২০ শতাংশ।
ইউনাইটেড ফিন্যাস লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যার দর ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৮.৭০ শতাংশ।
উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। ১৯ এপ্রিল দর ছিল ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৭৪ টাকা ১০ পয়সা। ২০ জুন শেয়ার দর ছিল ৭৫ টাকা ১০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য